ওয়েবডেস্ক ধারাবাহিক
ইদানিং এক ফ্যাশন হয়েছে।
এই কেতায় নিয়ম হল, চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঐ জায়গার জনসাধারণ কত সমস্যায় আছে – সুতরাং মেনে নাও তোমরা কত ভালো আছো! ওরা লাইনে দাঁড়ানোর মতো কিছুই হাতে পায়নি, তাই তুমি লাইনে দাঁড়িয়ে বলতে পারবেনা যা পাওয়ার কথা ছিল কেন পাচ্ছ না!
সরকারের কাজের সমালোচনায় জনগণ যাতে দপ্তরের দরজায় এসে হাজির না হতে পারে তাই আমাদের রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার! জনসাধারণের দরজা আটকে দাঁড়িয়ে সরকার নিজেই ফিরিস্তি শোনাবে কি কি মহা কর্তব্য সাধিত হয়েছে আর সেই সুযোগে পাকা বাড়ি, দালান সমেত গৃহস্থের নামটি আবাস যোজনার তালিকায় ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের জন্য ন্যুনতম মজুরি সমেত কাজ পেতে হাতে জব কার্ড থাকার কথা ছিল। কর্মক্ষম অথচ জব কার্ড পাচ্ছেন না- এমন যারা, নিজেদের উঠোনে দাঁড়িয়ে শুনছেন আসছে বছর আবার শিল্প সম্মেলন হবে! এই কায়দাতেই ঘুষ নিয়ে সরকারী বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেই তালিকা প্রকাশ করছে। ঘুষ নেওয়ার মতো, দেওয়াও একশবার অন্যায়- তবু মনে রাখতে হবে এমন করতে বাধ্য করেছে যে বন্দোবস্ত আসল অপরাধী খুঁজতে হয় সেখানেই।
জেলায় জেলায় লোকজনের হাতে উপযুক্ত তো দূরের কথা ন্যুনতম রোজগার অবধি নেই। শিশির গায়ে মেখে বাজারে হাজির হলেও সাজিয়ে রাখা শীতকালের সবজিতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। রিজার্ভ ব্যাংক বলছে খাদ্যসামগ্রীতে মূল্যবৃদ্ধি সবচাইতে অসহ্য অবস্থায় রয়েছে। ‘করোনা’য় যা গেছে-তা গেছে বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার, ছোট-মাঝারি ব্যবসা সব বন্ধ, বড় কারখানার (এই রাজ্যে না, বাইরে) কাজেও ব্যপক ছাঁটাই হলে ঘরে ফেরা বাঙালী শ্রমজীবী পরিবার দেখেছে তারই নামের জব কার্ড, কিন্তু সেই টাকা তুলছে তৃণমূলের লোকজন! তবু সরকারী সহায়ক কর্মীরা বাড়ি বাড়ি এসে সকাল বিকাল জানতে চাইছেন ‘বাড়িতে সবাই ভালো আছেন’! ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা হাতে তালিকা নিয়ে মিলিয়ে দেখছেন এমন কতজন আছে যাদের আদৌ পাওয়ার কথা না, তবু এতদিন ধরে তারাই সব পেয়ে চলেছে। জেলা হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগ নেই, সরকারী স্কুলে পাঠরতদের জন্য আইনানুগ সংখ্যায় শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই, রোজগার প্রকল্পে কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
পশ্চিমবঙ্গে এখন আছেটা কি? বাজারে বিক্রি হওয়ার মতো সামগ্রী, সরকারী কাজে শুন্যপদ আর জেলের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রি-আমলা আর বর্তমানেও তৃনমূলের হেভিওয়েট নেতা এই যা পড়ে আছে। প্রখ্যাত সুরকার রাগ করবেন না, এমন অবস্থাকেই নরক-গুলজার বলে!
অতিমারির ধাক্কায় বেসামাল হয়েছে এমন রাজ্যের তালিকায় শুধু পশ্চিমবঙ্গ ছিল না। সারা দেশই এর অভিঘাতে নড়ে গিয়েছে। তবু একেক রাজ্যের আজকের পরিস্থিতি একেক রকম। কারণ দেশের সব রাজ্যে যেমন ডবল ইঞ্জিনের সরকার নেই, তেমনই দুয়ারে সরকারও নেই। তাই আমরা বিজেপি শাসন, তৃণমূল জমানা আর বিকল্প সরকারের রিপোর্ট কার্ড পাশাপাশি রেখে দেখে নিতে চাইছি।
আজ সেই আলোচনারই প্রথম পর্ব।
কেরালায় এলডিএফ সরকারের মুখোমুখি আমাদের রাজ্যে ‘কোথায় সরকার’!
কেরলার কোচি আর পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া।
দুটোই বন্দর এলাকা। নগরায়নের নিয়মানুযায়ী দুজায়গাতেই অত্যাধুনিক শহর নির্মাণই হল স্বাভাবিক পরিণতি। আর কে না জানে শহর গড়ে ওঠার সাথেই গড়ে ওঠে বৈষম্যের নতুন নতুন মাপকাঠি!
উন্নয়নের নামে আমাদের দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা দুটি। প্রথমটি জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন (জেএনএনইউআরএম), আরেকটি মোদী’র কৃপাধন্য অটল মিশন ফর রিজুভিনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফর্মেশন বা অম্রুত। আরও একটি পরিকল্পনা সদ্য আসরে নেমেছে, তার নাম স্মার্ট সিটি মিশন। মোদী জমানায় স্মার্ট আর ডিজিটাল দুটি শব্ধই আমাদের জাতীয় স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এর ফলেই জনসাধারণের দুর্দশা কিভাবে চেপে রেখে কম দেখানো যায় সেই নিয়ে আমরা যেমন ক্রমশ স্মার্ট হতে পারছি, আরেকদিকে যাবতীয় ফিজিক্যাল সমস্যার ভার্চুয়াল (ডিজিটাল) সমাধানও খুঁজে চলেছি। মোদী সবকিছুতেই একটা করে নম্বর নাহলে কার্ড বের করে চলেছেন, আমাদের রাজ্যে প্রতিটি কার্ড পিছু নাম একজনের থাকলেও কিভাবে সুবিধাটুকু অন্যের হতে পারে সেই গবেষণা চলছে।
সম্প্রতি অক্সফ্যাম প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেখিয়েছে সবচাইতে বেশি সম্পত্তি রয়েছে এমন দশ শতাংশ ভারতীয় এবং চালচুলো কিছুই প্রায় নেই এমন দশ শতাংশের মধ্যেকার ফারাক ক্রমশ বাড়ছে। গ্রামীণ ভারতে সেই অনুপাত বেড়েছে ৫০০ গুণ। শহরাঞ্চলে ৫০,০০০।
উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভারত সরকারের কর্মসূচি এখনও ৯০’র দশকের নগরায়ন ভাবনার বাইরে বেরোতে পারেনি। নাম পাল্টে আর কতটুকুই বা হয়। উন্নয়নের এই মডেলে আসলে যা হয় তা হল ক্যাপিটাল জেনারেশনের নামে বিভিন্ন শহরের মধ্যে বিনিয়োগ টেনে আনার প্রতিযোগিতা। বিনিয়োগ হয়েছে একথা সত্য, কিন্তু তার ফল সীমাবদ্ধ থেকেছে কতিপয়ের হাতেই। অক্সফ্যামের প্রতিবেদন সে কথাই প্রমাণ করছে।
ক্যাপিটাল জেনারেশন মানে কি? পণ্য উৎপাদনের জন্য মুনাফার হার বেশি এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে ক্রমাগত দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ টেনে আনা, নাগরিকদের উপরে বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া, ক্রমবর্ধমান সম্পত্তি কর চাপিয়ে দিয়ে রাজস্ব আদায় (এবং অনাদায়ের ফলে সরকারী বরাদ্দে কাটছাঁট)। এই প্রক্রিয়ার কোথাও সাধারণ মানুষের জীবনের কিছু থাকে ন, সবটাই চুঁইয়ে পড়া অর্থনীতির অনুগ্রহে ফেলে দেওয়া হয়।
এই প্রেক্ষিতেই কোচিতে পরিচালিত হচ্ছে মিউনিসিপ্যালিটি। হলদিয়াতেও। কোচিতে কাজ করছে এলডিএফ। হলদিয়ায় শুধুই অনুপ্রেরণা।
দুটি উদাহরনেই স্পষ্ট হয়ে যায় মানবিক কর্মসূচির সারসংক্ষেপ। অতিমারি, লকডাউনের ধাক্কায় মানুষ কাজ হারিয়েছেন দুজায়গাতেই। কোচিতে শুরু হয়েছিল বিনামূল্যে খাবার বিতরণের সরকারী প্রকল্প, মিউনিসিপ্যালিটি সেই কাজের দায়িত্বে ছিল। লকডাউন উঠে গেলে অনেক রাজ্যে সহায়তা প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়, কেরালার এলডিএফ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় ১০টাকার বিনিময়ে পেট ভরা খাবারের আয়োজন করতে হবে। এই কাজের দায়িত্ব নেয় মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী কুদুম্বশ্রী। নিরামিষ খাবার বসে খাওয়া কিংবা প্যাক করে ঘরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে কোচিতে। যারা আরও দশটি টাকা খরচ করতে পারবেন তারা পাবেন মাছ নাহলে মাংসের আরও একটি রান্না করা পদ। সবটাই পরিচালিত হচ্ছে কেরালার এলডিএফ সরকারের ‘সমৃদ্ধি’ প্রকল্পের অধীনে। এই প্রকল্পে কাজ করছেন যারা তাদের ন্যুনতম দৈনিক মজুরি ৬৫০ টাকা, ওভারটাইম কাজ করলে ৮০০ টাকা অবধি রোজগারের সুযোগ। গরীব মানুষের জন্য মাসে প্রায় কূড়ি হাজার টাকা ন্যুনতম রোজগার।
যদিও সমৃদ্ধি প্রকল্পের রান্না করা খাবার খেতে শুধু গরীব মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন এমনটা না, মধ্যবিত্ত পরিবারের হাইস্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও ভিড় করে রয়েছেন।
বামেরা শুধু মুখে বলে না, কাজে করেও দেখায়।
এতক্ষণ শুধু কোচির কথাই হল। হলদিয়ার কিছু নেই কেন একথা ভাবছেন যারা তাদের অন্তত একবার হলদিয়া মিউনিসিপ্যালিটির ওয়েবসাইটটি দেখে নেওয়া উচিত।
তারা নিজেদের সাধারণ কাজের খতিয়ানে কি লিখছেন?
যে সকল পরিষেবার সুযোগ রয়েছে সেগুলি হল-
১) Organizational development
২) Arrangement of Government Meetings
৩) Management of Relief Funds
৪) Issue of Notices, Circulars, MOMs
পরের অনুচ্ছেদে আরও কিছু জরুরী কাজের বিবরণ-
ক) Organize BOC, CIC & Standing Committee Meeting,
খ) Functioning Office Order, Issuing of certificate etc., along with Receiving, Despatch.
গ) Appointments of Govt. Officer, All type of departmental correspondence.
ঘ) Bank Loan given to Employees on different Scheme, deal with Legal Matters.
ঙ) Perform works of NOAPS, NSAP, SASPFW.
কোনটা কাজের কাজ আর কোনটা লোক দেখানো সেই নিয়ে এর চাইতে বেশি কথা বলার মানে হবে পাঠকের যুক্তি-বুদ্ধি-সচেতনতা সম্পর্কে সন্ধিহান হওয়া। আমাদের রাজ্যে এখনও সেই পরিস্থিতি নেই।
তুলনামূলক অর্থনীতি চর্চার সবচাইতে বড় বিপদ হল সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষিত। বাস্তব অবস্থার ফারাক ব্যতিরেকে যোগানের পরিমাণ, বাজারমূল্যের তারতম্য কিংবা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার সংক্রান্ত যেকোনো আলোচনাই শেষ অবধি বাস্তবোচিত সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দেয়। সংকটের সময় এই বিষয়টি আরও বেশি জরুরী হয়ে পড়ে। পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি হল এমনই এক সূচক। সাধারণ জীবনযাপনে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর একটা তালিকা ভেবে নিন। এবার সেই সমস্ত সামগ্রীর একটা গাঁটরি কল্পনা করুন। এই গাঁটরিটি কোন জায়গায় কত দামে বিক্রি হচ্ছে সেটাই তুলে ধরে জনসাধারণের জীবনযাত্রায় মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব কিভাবে পড়ছে। এমন একটা সূচক বুঝিয়ে দেয় সাধারণ মানুষ কিভাবে জীবন ধারণ করছেন, মাথাপিছু গড় আয়ের হিসাব কষে উন্নয়ন বুঝতে বা বোঝাতে যে ফাঁকিটুকু রয়ে যায়, তত্ত্বের সাথে তথ্যের ব্যবধান কিছুটা হলেও এতে কমে। আমরা এই দৃষ্টিভঙ্গিতেই বিভিন্ন রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার তুলনা করি।
সরকারী ব্যয়বরাদ্দ এমনই আরেক সূচক। প্রশ্ন উঠতে পারে ব্যয় যেহেতু আয়ের উপরে নির্ভরশীল, সরকারী বরাদ্দের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে যেতে তবে কি উপায় হবে? এখানেই আসে সরকারী পরিকল্পনার প্রসঙ্গ, সমবায় সম্পর্কে, গণউদ্যোগ সম্পর্কে এবং সবশেষে বিকল্প হিসাবে কর্তৃপক্ষের রাজনীতি কেমন? সামাজিক ক্ষেত্রে সরকারী ব্যয়বরাদ্দের জন্য উপযুক্ত তহবিল (সরকারী অর্থভান্ডার) না থাকলে সরকার বাজার থেকে ঋণ নিতে পারে, সেই অর্থ উপযুক্ত পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করা হলে সুদ কেন আসলও শোধ করে দেওয়া যায়। শর্ত একটাই- এহেন ব্যয়ের লক্ষ্য হবে বাজারের চাহিদাকে কার্যকরী ও যতদূর সম্ভব স্থায়ী চেহারায় বাড়িয়ে তোলা। বুনিয়াদি প্রয়োজনে মানুষের চাহিদা মিটলে তবেই হাতে থাকা অর্থটুকু বাড়তি বলে বিবেচিত হয়, সেই টাকাই বিনিয়োগ যোগ্য। ব্যংক, বীমা সহ যাবতীয় পণ্যের বাজারে তেজি আসে তখনই যদি মানুষের হাতে সেইসব পণ্য কেনার মতো যথেষ্ট অর্থ থাকে। তাই খাদ্য, জনস্বাস্থ্য, জনশিক্ষা এসব বিষয়কে খয়রাতি বলে তাচ্ছিল্যের টিপ্পনী কাটেন যারা তারা হয় অর্থশাস্ত্রের বুনিয়াদি প্রয়োজনীয়তাকেই অস্বীকার করেন (ফিনান্স ক্যাপিটাল নির্ভর পুঁজিবাদ যেমনটা করে) নয়তো ফাটকা কারবার জনিত মুনাফার বৈধ কিংবা অবৈধ অংশীদার থাকার সুযোগ হারাতে চান না।
তাই ক্ষমতাসীন রাজনীতিই নির্ধারণ করে দেয় জনসাধারণের ভবিতব্য। এই সত্যটুকু বুঝতে অসুবিধা হলেই নয়া-উদারবাদের সুবিধা, তাই প্রচার চলে অর্থনীতির সাথে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মুনাফার হিসাব কষে সময় ফুরিয়ে যায় বলেই ধ্রুপদী পুঁজিবাদ সরাসরি রাজনীতিতে নামতে চায়নি, জনসাধারণের দুর্দশা ঘোচাতে তত্ত্ব হাজির করেছিল সরকারী নিয়ন্ত্রণ মুক্ত বাজারই হল সর্বরোগহর দাওয়াই। আজ অবধি আর যারই হোক জনগণের হিতসাধনে এই থিওরি কাজে দেয়নি। অথচ নতুন করে বাজারে এসেছে বিকেন্দ্রীকরণের যুক্তি, এবার অবশ্য ভোল একটু বদলেছে- আগে বলা হত অর্থশাস্ত্র, এখন বলে ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট। অর্থনীতি আপাতত দুরহ, দুর্বোধ্য ইকোনমেট্রিক্সের জগতে ঢুকে পড়েছে, যার মর্যাদা রক্ষায় প্রতি বছর একটি করে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়, জনসাধারণ ক্রমশ তলিয়ে যেতে থাকেন।
কেরালায় সব সমস্যা মিটে গেছে এমনটা না। সেখানে কৃষিতে বিরাট কর্মসংস্থানের সুযোগ কম, পণ্য উৎপাদনে বাইরে থেকে বিনিয়োগ টেনে আনতেই হবে এলডিএফ সরকারকে। বিজয়নের নেতৃত্বে এলডিএফ নিজেদের কাজে, বক্তব্যে সেই কথা স্পষ্টও করেছে। কথা হচ্ছে সরকারের হাতে যেটুকু যা রয়েছে তার ভিত্তিতে কোন সরকার কিভাবে চলছে। কথা হল সম্পদ বণ্টন প্রসঙ্গে দৃষ্টিভঙ্গি কি।
এই নিরিখেই কেরালা মডেল। এই নিরিখেই আমাদের রাজ্যের তলিয়ে যাওয়া।
কেরালা কাজ করেছে, করছে এবং বলছে সমস্যা আছে, তার সমাধান করতে হবে।
আমাদের রাজ্যে তো অনেকদিন আগেই একশো শতাংশ কাজ হয়ে গেছে!
পশ্চিমবঙ্গে সরকারের প্রধান নিজেই সেকথা মাইকে বলে দিয়েছেন।