“জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি”
রবীন্দ্রভাবনায় জ্ঞান ও তার ফলিত প্রয়োগ শিক্ষার সর্বজনীনতার মূল ভাবনা গেঁথে আছে এই ক’টা শব্দেই। জ্ঞান মানুষকে কার্যত মানুষ করে তোলে, শিক্ষা তার মেলামেশার ডানা তৈরী করে। মানুষকে সম্পৃক্ত করে প্রকৃতির সাথে। তালমিল ঘটায় প্রবৃত্তির সাথে। মানুষ গড়তে শেখে। পড়তে পড়তে গড়া, আবার গড়তে গড়তে পড়া- সভ্যতার ক্রমবিকাশের প্রতিটি ধাপে এই মন্ত্রেই মানুষ তার অনন্যতা চিহ্নিত করেছে সমগ্র জীবজগতের মধ্যে। নিজের হাতকে পরিণত করেছে হাতিয়ারে, প্রকৃতির সাথে গড়ে নিয়েছে উৎপাদনের সম্পর্ক। সেই হাতিয়ারের মালিকানার ভিত্তিতে হয়েছে শ্রেণীবিভাজন। হাতিয়ার দখলের লড়াইয়ের পথ শ্রেণীসংগ্রাম। আজ অবধি মানবসভ্যতার অর্জিত সমস্ত জ্ঞান সঞ্চিত হয়েছে এই উৎপাদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই। অথচ যেই তার ফলিত প্রয়োগ শিক্ষার ওপর অধিকারের প্রশ্নটা সামনে এসেছে তখনই তা কুক্ষিগত হয়েছে হাতিয়ারের মালিকদের জিম্মায়। আবার শিক্ষা যখন নিজেকে পরিণত করেছে তথ্যে তখন তার ওপর সর্বগ্রাসী একাধিপত্য স্থাপন করেছে হাতিয়ারের মালিকশ্রেণী।
মানুষের মানবিক ও মানসিক বিকাশের সমস্ত স্তর যে শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল সেই প্রাণশক্তিকে কুক্ষিগত করে রাখা মানে শ্রেণী কর্তৃত্ব স্থাপন করে রাখা। জ্ঞান এখন আর মুক্ত নয়, শিক্ষা নয় সর্বজনীন, তথ্য নয় সব্বার। বসুন্ধরার সবচেয়ে কর্মঠ জীবকে জন্তুতে পরিণত করতে দুমড়ে মুচড়ে দিতে হবে তার মন, তার মানবিক গঠন- এটা আরএসএস’র শিশুপাঠ্য একপ্রকার। একুশ শতকের ফ্যাসিবাদ তাই সমস্ত দাঁতনখ বার করে গিলে নিতে চাইছে পড়াশোনার ন্যূনতম অধিকার। সংবিধান প্রদত্ত রাইট টু এডুকেশন’কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যে ব্যবস্থাটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে লেখাপড়ার আগ্রহ, উৎসাহ, প্রেরণা হারিয়ে যাবে মানবজাতির মন-মগজ থেকে। এটাই লক্ষ্য, এটাই উদ্দেশ্য, এটাই পরিকল্পনা আরএসএস’র।
প্রশ্ন এবং সংশয়- এই দুই অনুভূতিকে খুন করার, নিশ্চিহ্ন করা প্রাথমিক ব্লুপ্রিন্ট। শিক্ষার সাথে সংযুক্ত, জ্ঞান আরোহন নিযুক্ত ছাত্রসমাজই এই প্রশ্ন ও সংশয়ের মৌলিক বিচারধারার ধারক-বাহক। এই ধারণ এবং বহনের কেন্দ্র হলো ক্যাম্পাস। নানা মত, নানা পথের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে ক্যাম্পাস- স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। যুগ যুগ এই ভাবনার কারখানায় লকডাউন নোটিশ ধরানোর চেষ্টা করে গেছে হুকুমত। পুঁজি তার নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েছে চিন্তার বিকাশের মৌলিক কেন্দ্রকে। সামাজিক বৈষম্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য যত বেড়েছে ততোই ক্যাম্পাসের চরিত্র বদলে তাকে একমুখী বড়লোকের ঠিকানায় পরিণত করার চেষ্টা চলেছে। শিক্ষানীতির আদল হয়েছে পুঁজির স্বার্থবাহী। যার পকেটে টাকা, সে মানুষের মতো পড়বে আর যার পকেট ফাঁকা সে জন্তুর মতো গড়বে। কি গড়বে তা ঠিক করে দেবে তারা যারা শিক্ষানীতির নিয়ন্ত্রক, পুঁজির মালিক, পড়াশোনার বিপুল বাজারের চাহিদা-জোগানের ভারসাম্যের প্রধান ব্যবসায়ী।
একুশ শতকের ফ্যাসিবাদ যুক্ত করলো এক নয়া বৈশিষ্ট্য। এখন ঐ মানুষের মতো পড়াটাও নিয়ন্ত্রণ করবে কর্পোরেট পুঁজি। যাতে মানুষের মতো পড়তে পড়তে, জন্তুর মতো গড়ার ট্রেনিংটাও একইসাথে দেওয়া যায়। সৃষ্টিশীল চেতনাকে বিযুক্ত করলো শিক্ষার থেকে। লক্ষ্য বিশাল কর্পোরেট সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে সস্তার শ্রম, দর কষাকষিহীন শ্রমশক্তির ভাণ্ডার গড়ে তোলা। বিজেপি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির মূল ভাবনা এখানেই। আগের সমস্ত জাতীয় শিক্ষানীতির সাথে এখানেই তার পার্থক্য। মানবসম্পদকে কর্পোরেট মুনাফার বোঝা বয়ে পাহাড় চড়ার খচ্চরে পরিণত করার পরিকল্পনা। একবার এই পড়ার সিলেবাসে কর্পোরেট পুঁজির নিয়ন্ত্রণ গড়ে নিতে পারলেই এরই মধ্য দিয়ে মগজের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে আরএসএস। গড়ে নিতে পারবে হিন্দুত্ববাদী মন- একদম প্রাক প্রাথমিক স্তর থেকেই। ঝা চকচকে সমস্ত ক্যাম্পাসই কাজ করতে থাকবে সরস্বতী বিদ্যামন্দিরের পাঠক্রমে। দেশের সিলেবাস গড়ে দিচ্ছে বিদ্যা ভারতী, সমস্ত সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণকারী ভূমিকায় আরএসএস’র বিশ্বস্ত বিস্তারক বা প্রচারকেরা। করসেবকের প্রধানমন্ত্রীত্বে এটাই এখন দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থার ভেষজ ফর্মূলা।
আমাদের রাজ্যের মাটিতে ‘১১ পরবর্তী সময়ে শিক্ষাকে সংযুক্ত করা হয়েছে দুর্নীতির মূল তৃণমূলী চক্রের সাথে। কলেজ ইউনিয়ন হোক বা স্কুলের পরিচালন সমিতি- দখলদারির লড়াই মানেই এই দুর্নীতির চক্রে নিজ অংশীদারিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। আরএসএস’র হিন্দুত্বচাষের উর্বর জমি প্রস্তুত করতে দরকার এক মূল্যবোধহীন প্রজন্ম। বাংলার বুকে দীর্ঘ বামপন্থী পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের শিক্ষা-সংস্কৃতি-মূল্যবোধের ঘরানা ভাঙতে না পারলে তা সম্ভব নয়। ঠিক এখানেই হাজির তৃণমূল কংগ্রেস, আরএসএস-বিজেপি’র এজেন্ডার জমি তৈরীর কাজে। এখানেই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগ করার জনমত গড়তে সহায়ক রাজ্য শিক্ষানীতি৷ ঠিক এখানেই মিশে গেছে বেসরকারি কর্পোরেট দখলদারি স্থাপন করতে সরকারি শিক্ষা পরিকাঠামোকে ধ্বংস করার কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের যৌথ ষড়যন্ত্রের ছক।
জনতার করের টাকায় পুষ্ট হবে না আগামী প্রজন্ম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সমস্তটা পাবলিক থেকে পরিণত প্রাইভেটে। লোকসভা থেকে বিধানসভা- বাজেটে সরকারি টাকা বরাদ্দের তালিকায় ক্রমশ কমছে সরকারি শিক্ষার পরিসর। চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপনের জন্য বরাদ্দ হয়ে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের বাস্তবতায় প্রাইভেট কর্পোরেট ক্যাপিটাল। অতএব আশপাশটাকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে এক অনিশ্চিত পরাবাস্তবের বুদবুদে। এই পরাবাস্তবের একমাত্র নিশ্চয়তা তার অনিশ্চিতির মধ্যেই। অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী কখনো রাম, কখনো বিষ্ণুর একাদশতম অবতার- তাই তিনি যা দেবেন তা কার্যত প্রসাদ এবং ততোটুকুই সভ্যতার প্রাপ্য আরকি! রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী দিদি- তাই যা দেবেন সেটাই তার স্নেহের পরশ, সৌভ্রাতৃত্বের মায়া! এই উত্তর আধুনিক মুখোশগুলোই প্রস্তুত হয় আরএসএস’র নাগপুর হেডকোয়ার্টারে। মুখোশ ব্যবহারের নির্দিষ্ট ব্যবহারও শেখানো হয় একদম ক্লাসরুম টিচিং পদ্ধতিতে। মানুষের ওপর দেবত্ব আরোপ করলেই তো তার মুখনিঃসৃত গালাগালিও পরিণত হয় বাণীতে, দন্ডনীয় অপরাধও পেয়ে যায় সামাজিক স্বীকৃতি, মানব থেকে অতিমানবে উত্তীর্ণ হওয়া সেই ব্যক্তিবর্গকে পৌঁছে দেওয়া যায় সমস্ত প্রশ্ন ও সংশয়ের উর্দ্ধে। মানবমনকে অসাড় করে দেওয়ার এই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে আরএসএস। সবচেয়ে বড়ো গবেষণাগার ছাত্রমন- কারণ তা সমাজের সবচেয়ে বেশী সংবেদনশীল অংশ।
“যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি”
সমাজের এই সংবেদনশীল অংশে প্রশ্নহীন ও সংশয়হীন আনুগত্য কায়েম করতে চায় আরএসএস। তার জন্য দরকার সর্বক্ষণের নিয়ন্ত্রণ মনে-মস্তিষ্কে। উপায় সিলেবাসের দখল। মানে যে কিয়দংশ এই ব্যবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে যাহোক করে পড়াশোনাটা চালিয়ে নিয়ে যাবে তারাও গড়ে উঠবে আরএসএস’র হিন্দুত্ববাদী ধাঁচায়। মোঘল সাম্রাজ্যের সময়ের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো- যা বাড়িয়েছিল শিক্ষার ও জ্ঞানের পরিধি, গড়ে তুলেছিল দেশের অনন্য অর্থনৈতিক মডেল, সেই সমস্তটুকু স্মৃতি থেকে মুছে দিতে সিলেবাস থেকে বাদ মোঘল সাম্রাজের বিস্তীর্ণ সময়কাল। সম্রাট অশোক থেকে আকবর- ভারত ভাবনার যে বিবর্তন আসলে সেটাই মুছে ফেলতে চায় আসএসএস। গোটা বিশ্বজগতকে সূত্রায়িত করেছে মেনডেলিফ তার পর্যায় সারণীতে। বাদ সেটাও। কারণ বিচ্ছিন্নতার পাঠ গড়তে হবে ছাত্র মনে। কোনো কিছুই, কোনো কিছুর সাথে সূত্রায়িত নয়- এমনটাই পড়াতে চায় ওরা। ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্ব সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারাকে পরিচিত করেছিলো মানুষের কাছে। সভ্যতার চাকা যারা উল্টোদিকে ঘোরাতে চায় তাদের নির্দেশে ভারতের সিলেবাস থেকে বাদ পড়ছেন ডারউইন সাহেব।
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সব অধ্যায় বাদ পড়ছে পাঠক্রম থেকে। সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার যে প্রেক্ষিত আমাদের দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের মূল পর্বকে প্রভাবিত করেছে সেই সমস্ত ভাবনাই বাদ পাঠ্যপুস্তক থেকে। বদলে মিথ্যার মোড়কে পেশ করা হচ্ছে সাভারকারের মতো বেইমানদের। ‘অমৃতকালের’ দেশ মানে সাভারকারের দেশ, নাথুরামের দেশ। ইতিহাস শুধু বিকৃতই হচ্ছে না, মুছে দিয়ে লেখা হচ্ছে নতুন ইতিহাস- যা দিয়ে মসৃণ হবে হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থানের পথ।
বাংলার বুকে ভক্তি আন্দোলন, সুফি আন্দোলন, চৈতন্য-কবীর চর্চা সংকুচিত হয়েছে পাঠক্রমে। ভোট একত্রিত করতে এবং মূল্যবোধ ব্যতীত একটা ছাত্রবাহিনী গড়তে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই গেলানো হচ্ছে ছাত্রদের। গীতাপাঠ-চন্ডীপাঠের প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতায় নিস্তেজ করার প্রক্রিয়া সহজ পাঠের চাহিদাকে।
রবীন্দ্রনাথ, সমাজ-রাজনীতি সম্পর্কে রবীন্দ্রভাবনা সেন্সর হচ্ছে ক্রমাগত। নজরুল, ফায়াজ, গালিব চর্চা আটকানো হয়েছে স্কুলস্তর থেকেই। ধর্ম দ্বারা রাজনীতির পরিচালনার পরিপন্থী যে কোনো ভাবনাকেই মুছে ফেলার প্রচেষ্টা। তার্কিক সত্তার জাতিকে, উগ্র ধার্মিক বানানোর প্রক্রিয়াকরণ। এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অন্তরায় হলো যুক্তিবোধ। যুক্তির মৃত্যু ঘটাতেই দেশের জনবিজ্ঞান সাধনার গায়ে লাগানো হচ্ছে হিন্দুত্বের পোশাক। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে ঢেকে রাখা হচ্ছে আরএসএস’র নয়া পাঠ্যসূচীর দ্বারা- যেখানে পুস্পক রথ মানে এরোপ্লেন, গণেশের মাথা প্লাস্টিক সার্জারি, কর্ণ সারোগেট সন্তান প্রভৃতি। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পরিচিত হচ্ছে নতুন ওষুধ- ভাবিজি পাপড়!
মনোজগতে সর্বক্ষণের এক অরাজকতা চালিয়ে রাখার পরিকল্পনা। জেনে নেওয়ার সমস্ত পথ রুদ্ধ করে, মেনে নেওয়ার অন্ধকূপে নিক্ষেপ করা দেশের ছাত্রসমাজকে।
“চিত্ত যেথা ভয়শূন্য,
উচ্চ যেথা শির”
জেনে নেওয়ার লড়াইয়ের আহ্বান তবু টিকে আছে! শোষণের শেষ অবধি দাঁড়িয়েও দমন করা যাচ্ছে না পড়তে চাওয়ার চিরশাশ্বত চিন্তাগুলোকে। দেশ বাঁচানোর, সংবিধান বাঁচানোর, শিক্ষা বাঁচানোর ডাকে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে ছাত্রসমাজ। যুগযন্ত্রণার দাগ মনে মগজে নিয়ে, যুগ সন্ধিক্ষণে ইতিহাস গড়ছে চাইছে ভগৎ সিং-অশফাকুল্লাহ খানের উত্তর প্রজন্ম। শিক্ষার পরিকাঠামো, গবেষণার পরিধি, স্কলারশিপ, সিলেবাস, ক্যাম্পাস যাপন সবটা যখন আক্রমণের মুখে- প্রতিরোধও তখন ক্যাম্পাসের মাটি থেকেই। ধ্বংসস্তূপ থেকেই বেঁচে থাকার, বাঁচিয়ে রাখার আহ্বান। ইতিহাসের সুমহান ঐতিহ্য ভুলিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে মনে রাখার সংগ্রাম। স্মৃতির লড়াই বিস্মৃতির বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ের প্রাণকেন্দ্র যে ছাত্র সংসদ তা এখন এরাজ্যে লুটেরাদের দখলে। মগজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রক্রিয়ায় লুটের রাজত্বকে স্বাভাবিকতার তকমা দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। একইভাবে অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ হামলা করে দখল নিতে চাইছে এবিভিপি।
পড়া-গড়ার ওপর আক্রমণের মাত্রা যত বাড়ছে তত প্রসারিত হচ্ছে লড়ার
ভাষ্য, লড়ার হাতিয়ার, লড়ার পাঠক্রম। ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ১৫টা ছাত্র সংগঠন। পার্লামেন্ট অভিযানের পর দক্ষিণ ভারতে সংগঠিত হয়েছে চেন্নাই র্যালি। দেশ, সংবিধান, শিক্ষা বাঁচানোর ডাকে আবার মিশবে কলকাতার কলেজ স্ট্রীট। দেশকে আরএসএস-বিজেপি’র হাত থেকে মুক্ত করতে হলে, বাংলার মাটিতে রুখতে হবে তৃণমূলকে। ক্যাম্পাস থেকে রাজপথ পরিণত যুদ্ধক্ষেত্রে- মুক্তির যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ। সেই যুদ্ধক্ষেত্র থেকেই বাংলার ছাত্রসমাজ দেশের সমস্ত অংশের মানুষের প্রতি পাঠাবে রবীন্দ্রনাথের সেই সাবধানবাণী-
“এ পানপাত্র নিদারুণ বিষে ভরা
দূরে ফেলে দাও, দূরে ফেলে দাও ত্বরা”।