সংখ্যালঘু অধিকার দিবসের ভাবনা - সেখ সাইদুল হক...

১৮ ডিসেম্বর ,২০২০ শুক্রবার

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সেই সব দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার ও নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৯৯২ সালের ১৮ই ডিসেম্বরের ঘোষণা পত্র মতো প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর দিনটিকে সংখ্যালঘু অধিকার দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। ঐ ঘোষণাপত্র ছাড়াও ১৯৪৮ সালে গৃহীত রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার সনদে সংখ্যালঘুদের অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ তার মানবাধিকার সনদের ৩০নং ধারায় এবং আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির ২৭নং ধারায় প্রতিটি দেশে সংখ্যালঘু জনগণের অধিকারের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার কথা বলেছে।


রাষ্ট্রসঙ্ঘের ঘোষণা –
রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৯৯২ সালের ১৮ই ডিসেম্বরের ঘোষণায় বলা হয়েছে প্রতিটি দেশ সেই সেই দেশের ভূখণ্ডে ধর্মীয়, ভাষাগত, জনগোষ্ঠীগত, সংস্কৃতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থকে রক্ষা করবে, তাদের নিরাপত্তাকে রক্ষা করবে এবং তাদের পরিচিতির প্রকাশ ও উন্নয়ন ঘটাতে উৎসাহ দান করবে। প্রসঙ্গত এটা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর সংঘ পরিবার মদতপুষ্ট উগ্র হিন্দুত্ববাদীশক্তি বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। রাষ্ট্রসংঘের এই ঘোষণার পিছনে সেটিও একটি কারণ হিসাবে কাজ করেছে। রাষ্ট্রসংঘের এই ঘোষণাকে মান্যতা দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ১৮ ডিসেম্বর দিনটিকে সংখ্যালঘু অধিকার দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। সেই অর্থে ১৮ই ডিসেম্বর দিনটি আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবসে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশেও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ঐ দিনটি সংখ্যালঘু অধিকার দিবস হিসাবে ঘোষণা করে পালন করে চলেছে। বিভিন্ন সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই দিনটিকে সেই অর্থেই উদযাপন করে। আমাদের দেশের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে যখন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছে, ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে, সংখ্যালঘুদের উপর, দলিত ও আদিবাসীদের উপর সংগঠিত আক্রমণ নেমে আসছে তখন এই দিনটির তাৎপর্য্য ও প্রাসঙ্গিতা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।



আমাদের দেশ-
বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যই হল আমাদের দেশের মর্মবাণী। আমাদের দেশে মূল আটটি প্রধান ধর্মগোষ্ঠী আছে। আছে দুই হাজারের বেশি জনগোষ্ঠী এবং ১৫টির বেশী প্রধান ভাষা। এত বিভিন্নতার মধ্যেও দেশে মিলনের বার্তা মুখ্য হয়ে উঠেছে। কবি অতুলপ্রসাদ সেন' এর ভাষায় বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান। সংঘ পরিবার এবং তাদের শাখা প্রশাখা সমূহ, তাদের প্রচারক ও সেবকরা এই ঐক্যকে ভাঙতে চাইছে। এটা নয় যে এই সরকারের পূর্ব জামানাগুলিতে ঐক্য ভাঙার ঘটনা ঘটেনি, ঘটেছে। বাবরি ভেঙেছিল ১৯৯২ সালে যখন নরসীমা রাওয়ের সরকার। কিন্তু পরবর্তীতে আবার বিরোধ অতিক্রম করে ঐক্য ভাবনাই প্রাধান্য পেয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দিল্লিতে মোদীর নেতৃত্বে যে সরকার সংঘ পরিবারের তত্ত্বাবধানে চলছে তা বিপদের মাত্রাকে এক চরম জায়গায় উপস্থিত করেছে। সম্প্রীতি ভাবনাকে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। দেশে এবং আমাদের রাজ্য বিগত ছয়-সাত বছরের ঘটনাবলীকে বিচার বিবেচনার মধ্যে রেখে এই দিনটি পালনের তাৎপর্য গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ - ২০১৪ সালের মোদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবার পরপরই সংঘ পরিবারের এজেণ্ডা অনুযায়ী শুরু হলো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর বিশেষ করে মুসলিম এবং সেইসাথে খ্রিস্টানদের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ। ফেসবুকে শিবাজীর ছবি বিকৃত করা হয়েছে এই অভিযোগে পুনেতে তথ্য প্রযুক্তির সংস্থার কর্মী মহসীনকে ২০১৪ সালের জুনে পিটিয়ে মারা হলো। ঘর ওয়াপসির নামে প্রলোভন দেখিয়ে কিংবা জবরদস্তি করে মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের হিন্দু ধর্মে দীক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করা হলো। উত্তর প্রদেশের দাদরিতে ফ্রিজে গো-মাংস রাখার অভিযোগ তুলে সেখ একলাখকে পিটিয়ে মারা হলো। তারপর গোরক্ষার নামে পেহেলু খাঁ, জুনেইদ, আলাউদ্দিন সহ আরো ৭জনকে মারা হলো। এই ধারা অব্যাহত। রাজস্থানে পুড়িয়ে মারা হলো মালদার কালিয়াচকের আফজারুলকে। তারপর লাভ জিহাদ বন্ধের নামে মুসলিম যুবকদের হিন্দু মেয়েদের সাথে প্রেম ভালোবাসার না করার হুমকি দেওয়া শুরু হলো। এখন তো এ বিষয়ে বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্য আইন এনেছে, জেলে ভরতে চাইছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের জীবনসঙ্গী বাছার সংবিধান প্রদত্ত অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। মানবাধিকার সনদে ১৬ ও ১৮ নং ধারায় এ বিষয়ে প্রদত্ত অধিকার নসাৎ করতে চাইছে। তাৎক্ষনিক তিন তালাক প্রথা বন্ধের নামে একটি দেওয়ানী বিষয়কে মুসলিমদের ক্ষেত্রে ফৌজদারি বিধিতে পরিণত করা হলো। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে রাজ্যকে ভেঙে কাশ্মীরিজনগনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আক্রমণের নিশানা বানানো হলো। নাগরিকপঞ্জি বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে শাহীনবাগ আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবহার করে হামলা চালানো হলো। জামিয়া মিলিয়ার আন্দোলনকারী নিরাপরাধ ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশ দিয়ে নির্মমভাবে পেটানো হল। সিএএ-এর বিরোধী আন্দোলনে শুধু মুসলিম সংখ্যালঘু নয়, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী ও বাম ও গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক নেতাদেরও নিশানা বানানো হলো। অনেকেই জেলে পোরা হলো। উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে আন্দোলনরতদের উপর নির্যাতন করা হলো। উত্তর প্রদেশে ডাঃ কাফিল খানকে জেলে ভরা হলো। জেএনইউ-এর ছাত্র নেতা উমর খালিদকে জেলে ভরা হলো। নাগরিকপঞ্জি বিরোধী আন্দোলনে যুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, এনএসএ-র মত দানবীয় আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করা হলো। এমনকি করোনার সঙ্গে দিল্লীর নিজামাউদ্দিনের অনুষ্ঠানকে যুক্ত করে সাম্প্রদায়িক প্রচার চালানো হলো। ২০২০ ফেব্রুয়ারীর দিল্লীর সাম্প্রদায়িক হিংসার তদন্তের নামে মুসলিম সংখ্যালঘুদের নিশানা করা হলো। দিল্লি পুলিশ এক ষড়যন্ত্রের তত্ব খাঁড়া করে সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে ও সংবিধান রক্ষার দাবিতে যারা আন্দোলন করেছিলেন তাদের সকলকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হলো। আর হিংসার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের ভূমিকাকে আড়াল করা হলো। উত্তেজক বক্তৃতা দিয়েছেন, হিংসার মদত দিয়েছেন এমন বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে নীরবতা গ্রহণ করা হলো।

শুধু সংখ্যালঘু মুসলিমরাই নয় খ্রিস্টানরাও হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণের শিকার। উড়িষ্যাতে খ্রিস্টান পাদ্রী গ্রাহাম স্টেইনকে কিভাবে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তা আমরা জানি। মোদি ক্ষমতায় আসার পর পরই ৩৮টি চার্চে আগুন লাগানো হয়েছিল। সংঘ পরিবার সংখ্যালঘু শিখদের শিখ ধর্মকে আলাদা ধর্ম হিসেবে মানতে অস্বীকার করে। তারা বলার চেষ্টা করে শিখেরা হিন্দু ধর্মেরই একটি অংশ। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মীবল্মীদের ক্ষেত্রেও একই পথ নিয়েছে। বর্তমানে পাঞ্জাবের কৃষকদের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে ধর্না আন্দোলনকে খালিস্তানি বলে কটুক্তি করছে। অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। এসবের প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় দাভালকার, পানসারে, কালবুর্গি, গৌরীলঙ্কেশকে খুন হতে হয়েছে। এখনও ভারভারা রাও, স্টানলি স্বামী সহ বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক ও দলিত আন্দোলনের সংগঠককে জেলে ভরে রেখেছে। বর্তমানে মোদি সরকার শিক্ষায় গৌরিকীকরণের মধ্য দিয়ে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ ইতিহাস চেতনাকে ভাঙতে চাইছে। নয়া ভারত গঠনের নামে হিন্দু ভারত গড়ে তুলতে চাইছে। হিটলারের উত্তরসুরীরা করপোরেট তোষণ ও সাম্প্রদায়ীক বিভজনের মিশেল তৈরী করে ফ্যাসিবাদী পথে দেশ চালাতে চাইছে।

দলিত, এথনিক জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণ - গত ছয় বছরে দলিত, আদিবাসী এবং এথনিক জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণ বেড়েছে। রোহিত ভেমুলা কাণ্ডে বিজেপির দলিতদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিফলিত হয়েছে। গুজরাতের উনাওতে, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে দলিতদের উপর তাণ্ডব চালানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে হাথরসের ঘটনা প্রমাণ করেছে দলিতদের ও দলিত নারীদের উপর কি ধরনের আক্রমণ হতে পারে। এটা জাতীয় লজ্জা যে সংঘ ভক্তরা, ধর্ষক ও আক্রমণকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি শাসিত সরকারগুলি এই ঘটনাগুলিকে আড়াল করতে চেয়েছে। মোদি সরকার গঠিত হবার পরপরই জনজাতি জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা এই আক্রমণের শিকার হয়েছে। দিল্লিতে মনিপুরের বাসিন্দা নিডো তানিয়ার মৃত্যু ঘটেছে। এরা মোঙ্গলয়েড মুখ্যাকৃতির জন্য চিঙ্কি বলে বিদ্রুপের শিকার হয়েছে ও হচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর উঠেছে শ্রীরাম সেনা, হিন্দু সেনা ইত্যাদি সংঘভক্ত সংগঠনগুলির দিকে।

আমাদের রাজ্যে-
আমাদের রাজ্যেও বর্তমান শাসকদল যে বিভেদ বিভাজনের রাজনীতি করছে তাতে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তিগুলি উৎসাহিত হচ্ছে এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়নের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংখ্যাগুরু সাম্প্রদায়িকতাকেই এই সরকার মদতপুষ্ট করছে। রাজ্যে গত কয়েক বছর কয়েক জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মোদী ও মমতার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি আমাদের রাজ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার যে ঐতিহ্য আছে তাকে ভেঙে ফেলতে চাইছে। সংখ্যালঘুদে প্রকৃত উন্নয়ন অপেক্ষা বর্তমান রাজ্য সরকার সংখ্যালঘু যুবকদের একটা অংশকে বিপথে পরিচালিত করে একটি লুম্পেন বাহিনী গড়ে তুলেছে। যারা তোলাবাজি করবে এবং দিদির হয়ে ভোট করবে। রাজ্যের শাসকদলের এই রাজনীতি আখেরে সংখ্যালঘুদেরই ক্ষতি করছে।

সংখ্যালঘু ঐক্য শ্লোগান নয়-
সংখ্যালঘু অধিকার দিবসের ভাবনা মানে সংখ্যালঘু ঐক্য শ্লোগান নয়। সংখ্যালঘু ঐক্যের ডাক কখনো সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। সংখ্যালঘুরা এক হও দাবি উঠলে সংখ্যাগুরুরাও এক হও এই দাবি উঠবে। সংঘ পরিবার এটাই চাই। তাই সোচ্চারে বলতে হবে সংখ্যালঘু জনগণের স্বার্থের বড় গ্যারান্টি হল ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের ঐক্য। দেশি-বিদেশী বিভিন্ন কর্পোরেট শক্তি অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে যাতে লুণ্ঠন বজায় রাখতে দেশের জনগণের ঐক্যকে ভেঙে দেওয়া যায়। মোদি-মমতার রাজনীতির পরিসর ও আখ্যান এরাই তৈরী করে দেয়।


প্রান্তিকজনের অধিকার ভাবনা নয়- সংখ্যালঘু অধিকার ভাবনাকে যেন আমরা প্রান্তিক জনের অধিকার ভাবনাই পরিনত না করি। এদের প্রতি করুনা বর্ষণ না করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, সংখ্যালঘু অধিকারের দাবি কোন সম্প্রদায়গত দাবি নয়। এটি ধর্ম নিরপেক্ষ দাবি। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী মূল স্রোত ধারারই অংশ। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বিকাশের পটভূমিতে, স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে, সাহিত্যে, সঙ্গীতে, শিল্প কলায় ও ক্রীড়ার বিকাশের পটভূমিতে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও অবদান কোন অংশেই কম নয়। রাষ্ট্রসংঘের ব্যাখ্যায় মানবাধিকারের মৌল স্তম্ভগুলির একটি হল সংখ্যালঘু জনগণকে সংখ্যালঘু হিসাবে না ভাবা। সেই ভাবনা হতেই নিজ নিজ দেশের, সংখ্যালঘু জনগনের অধিকার এবং তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এটা দেখতে হবে যেন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সমসুযোগ হতে বঞ্চিত না হন। এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। নয়া উদারবাদের প্রভাবে যত বৈষম্য বাড়ছে, ততই বিক্ষোভ বাড়ছে। আর তাকে বিপথে পরিচালিত করতে পরিচিতি সত্বার রাজনীতিকেই সামনে আনা হচ্ছে। সংখ্যালঘু অধিকার ভাবনার সময় এই বিষয়টি সম্পর্কেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শ্রমজীবি জনগণের ঐক্য রক্ষা করতে হবে।



ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া ও গুগল ইমেজ
শেয়ার করুন

উত্তর দিন