Site icon CPI(M)

The Outcome of KMC Election: TMC BJP Binary and the Left – Somyajit Rajak


যে বছরটা ফুরিয়ে আসছে দ্রুত, সেই একুশে কলকাতার মানুষ ভোট দিলেন দু’বার। এপ্রিলে বিধানসভার, ডিসেম্বরে কর্পোরেশনে। ভবানীপুরের মানুষকে ভোটের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে তিন তিনবার। অস্থায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে স্থায়ী করার জন্য তো সেখানে উপনির্বাচনও করতে হয়েছে। সে যাই হোক, মোদ্দা কথাটা হ’ল, ভোটের পরে ভোট আসছে। চলেও যাচ্ছে। মানুষের ভোটে জিতছেন যারা, তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি সবই বাড়ছে। কিন্তু ভোট দেওয়া মানুষগুলোর দুর্দশা কমছে না। বেড়েই চলেছে। এই অভিজ্ঞতার অভিঘাত, নিশ্চিতভাবেই, পড়ছে মানুষের চেতনায়।


বিধানসভার ভোটে হেরে টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী গায়ক-সাংসদ আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূলের কাছে। মানুষ দেখলেন। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি হাজার-কোটি টাকা বিনিয়োগে হাওয়া তুলে দিয়েছিল এবার বাংলায় নিজেদের সরকার বানানোর। আর সেই হাওয়ায় দলে দলে তৃণমূল নেতারা গিয়ে ভিড়েছিল বিজেপির ঘরে। মানুষ সেটাও দেখেছিলেন; ভোটের পরে গোয়ালের গরুগুলোকে গোয়ালে ফিরে আসতেও দেখলেন। এই অপরিসীম নির্লজ্জতার প্রদর্শনী খুল্লামখুল্লা সবার চোখের সামনেই হচ্ছিল। মানুষ দেখছিলেন এই দুই দলের নেতাদের কীর্তি। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদলের নেতারা মানুষের দুর্দশার দিকে একবারও তাকিয়ে দেখার ফুরসত পাচ্ছিলেন না। সকলেই ব্যস্ত ছিলেন রাজনৈতিক ক্ষমতার গুড় চেটে খাওয়ার ধান্দায়।
এক লপ্তে এক লিটারে কেরোসিন তেলের দাম বাড়ল ১৫টাকা। মাসে মাসে সিইএসসি দাম বাড়াল বিদ্যুতের। দিনে দিনে বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের। সুগার-প্রেসারের ওষুধ থেকে ভোজ্য তেল কিংবা রোজকার বাস-অটো ভাড়া; মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় সংসার চালানোই দুষ্কর হয়ে পড়ল জনতার। জনতার ভোটে জিতে তৃতীয়বার মসনদে বসা মমতা ব্যানার্জির সময় কোথায় সেদিকে তাকানোর? তিনি ব্যস্ত জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরার আঁক কষতে। আর জনতার ভোটেই এরাজ্যে অভূতপূর্ব শক্তি সঞ্চয় ক’রে যারা বিরোধী দল এখন, সেই বিজেপি? না, সাত মাসে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া গেল না মানুষের দাবিতে একটা লড়াইতে। শাসকের প্রতি কোনো বিরুদ্ধতায়। শাসক হিসেবে তৃণমূল ব্যর্থ, বিরোধী হিসেবে বিজেপি।
এই কথাটা কাউকে বলে দিতে হয়নি। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতায় অনুভব করেছেন। নিশ্চিতভাবেই এই অভিজ্ঞতাও ছাপ ফেলেছে মানুষের চেতনায়।


আরএসএস-এর নির্দেশ ছিল। আকাঙ্খা ছিল কর্পোরেটকূলের। ভাড়াটে ‘ভোটকুশলী’র কৌশলও ছিল একই। তৃণমূল-বিজেপি দ্বিমেরুতত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পড়ে লেগেছিল লক্ষ-কোটি টাকায় কেনা তাবৎ মিডিয়া। ছিল স্যোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক নেটর্কিং আর পাড়ায়-গলিতে-গ্রামে-মহল্লায় আরও কত আয়োজন! ক্ষেত্র সমীক্ষা ক’রে চিহ্নিত করা হয়েছে কোন্‌ ‘ভোটার’ (মানুষ ওদের কাছে কেবলই ভোটার, এটাই বাস্তব) রাজ্যের শাসকদলের ওপর ক্ষুব্ধ আর কারা কেন্দ্রের শাসকদলের ওপর! প্রথম পক্ষকে বোঝাও, “এই মুহূর্তে তৃণমূলকে সরাতে পারবে একমাত্র বিজেপি”! দ্বিতীয় পক্ষকে বোঝাও, “এই মুহূর্তে বিজেপিকে ঠেকাতে পারবে একমাত্র তৃণমূল”! সামগ্রিক এই পরিকল্পনায় আরএসএস ছিল, আইপ্যাকও ছিল। এবং হতাশাজনক হলেও এটাই সত্যি যে এই তত্ত্বটাকে জনমানসে প্রতিষ্ঠা করতে তারা সফল হয়েছিল।
’১৯-এর লোকসভায় সে সাফল্যের অনেকটা ভাগই গোলায় তুলেছিল বিজেপি। ’২১-এর বিধানসভায় তৃণমূল। তবে বিজেপিও যে একেবারে কিছুই পায়নি তা নয়; ‘প্রায় কিছু না’ থেকে ‘প্রধান বিরোধী দল’ হয়েছে তারা। ৭৭টি আসন জিতেছে এ বাংলায়, যা কিনা নজিরবিহীন। সে যাই হোক, এই যে ‘বায়নারি’ যার কথা বহুবার আলোচিত হয়েছে এর আগেও, একখানা ফাঁক কিন্তু রয়েই গিয়েছিল তাতে।


বিজেপি-র বাক্সে যে ভোট সংহত করা হয়েছিল তা ছিল মূলত “তৃণমূল বিরোধিতা”র সূত্রে। “তুমি তৃণমূল বিরোধী তাই বিজেপিকে ভোট দাও” –এই ছিল যুক্তি। অন্যপক্ষে তৃণমূলের বাক্সে যে ভোট সংহত করা হয়েছিল তা ছিল মূলত “বিজেপি বিরোধিতা”র সূত্রে। অর্থাৎ “তুমি বিজেপি বিরোধী তাই তৃণমূলকে ভোট দাও” –এই যুক্তিতে। আগেও যেমনটা বলা হয়েছে, এই প্রচার কিন্তু সাময়িকভাবে হলেও কাজ করে গেছে। বহু মানুষ শুধুমাত্র তৃণমূলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে, “তৃণমূলকে হাটাতে গেলে এইমুহূর্তে একমাত্র কার্যকর বিকল্প শক্তি বিজেপি” এই কথা বিশ্বাস ক’রে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির প্রতি তাঁদের সমর্থনের কারণে দেননি। আবার বিজেপির মতো একটি ভয়ঙ্কর শক্তিকে এই রাজ্যের মাটিতে সরকার গড়া থেকে রুখতে হবে ভেবে তৃণমূলের প্রতি তাঁদের হাজারটা সমালোচনা থাকা সত্বেও বহু মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন, এটাও সত্য। তাঁরা বিশ্বাস করেছেন, এইমুহূর্তে ভোটের অঙ্কে এরাজ্যে বিজেপিকে কেউ আঁটকাতে পারলে, তৃণমূলই পারবে। এই দুই রকম মানুষই যে সমর্থন না থাকা সত্বেও বিজেপি বা তৃণমূলকে ভোট দিলেন তার পেছনে মূলগত কারণ ছিল এই দুটি দল যথাক্রমে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকার চালাচ্ছে। অর্থাৎ “বিজেপির হাতে যেহেতু সেন্ট্রাল আছে তাই তৃণমূলকে রাজ্যের সরকার থেকে তাড়ানোর শক্তি এদেরই আছে” এবং “রাজ্যে যেহেতু তৃণমূল শাসকদল তাই এরাই পারবে বিজেপিকে আঁটকাতে”। ঘটনা হ’ল, একটি গণতান্ত্রিক পরিসরে শাসকদলকে যদি অন্যপক্ষের প্রতি নেতিবাচক ভোটে পুনরায় জিততে হয় তাহলে সেটা গণতন্ত্রের পক্ষেই বড় সংকট। সেই দলের পক্ষে তো বটেই।
বায়নারিটি সফলভাবে প্রতিষ্ঠা করা গেলেও এই সংকটের বীজ কিন্তু থেকেই গেছিল তাতে। বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ের জন্যই।


এই গোটা প্রকল্পে এরাজ্যের বামশক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, কিন্তু ‘অনুপস্থিত উপাদান’। বামেদের নাম কোথাও শোনা যায়নি এই গল্পে, খবরে, আখ্যানে। বামেদের নাম যাতে শোনা না যায় তার জন্যই তো এত আয়োজন, এত সুপরিকল্পিত বায়নারি-নির্মান! এই গোটা প্রকল্পটি যেহেতু বাংলার রাজনীতি থেকে পাকাপাকিভাবে বামেদের নাম মুছে ফেলার লক্ষ্যেই সংগঠিত তাই বামেরাই এই প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, এটা মানতে হবে।
এখন এটিও সত্যি যে এখানে বামেদের একটা ব্যর্থতা রয়ে গেছে। এই ব্যর্থতা অস্বীকার করার কোনো কারণও নেই, করা সম্ভবও নয়। গত ৬ই আগাস্ট ২০২১ তারিখে সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গৃহীত “পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা”য় এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “Party state committee in its assessment when the preparations for these assembly elections began had come to the conclusion that the correlation of political forces that emerged from 2019 elections have not changed. These results confirms this. But the question is why we could not change this political correlation between 2019 and 2021?” অর্থাৎ ২০১৯ থেকে রাজ্য রাজনীতিতে যে দ্বিমেরুকরণ পুষ্ট হয়ে উঠেছিল, ’২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রাজ্য কমিটি বলে, সেই দ্বিমেরুকরণকে ভাঙা যায়নি। এই কথাটা যে ঠিক তা বিধানসভার ফলাফলে প্রমাণিত হল। কিন্তু কেন ’১৯ থেকে ’২১-এ এই পরস্থিতিকে পালটানো যায়নি এটাই হ’ল আসল প্রশ্ন!
এই ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধান করতে চেয়েছে পার্টি। ব্যর্থতাকে কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে। কেন আমরা পারলাম না এরাজ্যে বিজেপিকে হটানোর ব্যাপারে মানুষের কাছে বাস্তসম্মতভাবে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য শক্তি হয়ে উঠতে? কেন পারলাম না তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রশ্নে মানুষের কাছে বাস্তসম্মতভাবে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য শক্তি হয়ে উঠতে? এর কারণ কি শুধু এটাই যে আমরা সরকারে নেই? বিগত নির্বাচনগুলির ভোটের হিসেবেই যদি পরবর্তী ভোটগুলির হিসেব হতে থাকে তাহলে সরকারে না থাকা কোনো দলের পক্ষেই তো ভবিষ্যতেও কখনো জেতা সম্ভব হবে না! নাকি মানুষের সামনে যে ভঙ্গিতে দাঁড়ানো দরকার ছিল, তাতে কোথাও খামতি থেকে গিয়েছিল আমাদের? আমাদের আচরণে এমন কোনো লক্ষ্মণ কি ফুটে উঠেছিল যা মানুষ আমাদের থেকে প্রত্যাশা করেন না? বিগত ভোটের অঙ্কে না হয় নাই হলাম কিন্তু মাঠের লড়াইতেও কি আমরা নিজেদের বিজেপি বা তৃণমূল বিরোধী সংগ্রামে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত শক্তি হিসেবে প্রমান করতে অক্ষম হয়েছি? আরও, আরও অজস্র, নানানরকম প্রশ্ন আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা ভেবেছি। পার্টির বাইরে থাকা বহু মানুষকেও ভাবিয়েছে এসব প্রশ্ন।


এগুলো পরীক্ষার হলে ব’সে কাগজে কলমে লেখার প্রশ্ন ছিল না। ছিল আলপথের, রাজপথেরও। তাই পথে হাঁটতে হাঁটতেই উত্তর খুঁজেছি আমরা। হাঁটতে হাঁটতেই হাঁটার ভঙ্গিমা খানিক শোধরানোর চেষ্টা করেছি। করছি এখনো। নিশ্চিত, আরও করে যেতেই হবে; সারাটা পথজুড়েই।
আপাতত কথা বলছি, গত বিধানসভা ও কলকাতা কর্পোরেশনের মাঝের সময়টা নিয়ে। এর মধ্যে পৃথিবী নিজের অক্ষে প্রদক্ষিণ করেছে মাত্র ২৩৫ বার। এরই মধ্যে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের জার্সি পাল্টাপাল্টি মানুষ যেমন দেখেছেন, আমাদের আন্তরিক সংশোধনের প্রয়াসও তেমন নজরে পড়েছে তাঁদের।
মানুষ দেখেছেন, বামপন্থীরা শুধু কথায় নয়, কার্যক্ষেত্রে পাল্টেছে বডিল্যাঙ্গুয়েজ। বিদ্যুতের মাশুল, পেট্রল-ডিজেলে-কেরোসিন তেল-রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে সংগ্রামের মাটিতে পড়ে থেকেছেন বামপন্থীরা। অতিধনীদের উপর সম্পদ কর আরোপ ক’রে গরিব মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশদ্য ও নির্দিষ্ট পরিমান নগদ টাকা দেওয়ার দাবিতে নিরবিচ্ছিন্ন লড়াই করেছেন। আর এই লড়াই-আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের অব্যবহির পরে ধেয়ে আসা করোনার ভয়াবহ দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে মানুষকে বাঁচাতে অকল্পনীয় কাজ করেছেন রেড ভলান্টিয়ার্সরা। নিজের অভিজ্ঞতাতেই অনুধাবন করেছেন মানুষ, লাল পতাকা ধরা লোকগুলোকে মানুষের বাঁচা-মরা এখনো ভাবিয়ে তোলে, এখনো গোলাপে ফোটে এঁদের ভালোবাসা। এঁদের কাঁধে ধরা পতাকার জোরেই দিল্লীর সীমান্তজুড়ে ঘটে যাওয়া অনবদ্য কৃষক আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে মিছিল-নগরী কলকাতায়। আজও, এই একুশ শতকেও। মানুষ দেখলেন, বিজেপিকে হারিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়া দল যখন ভোটের অঙ্ক ক’ষে হিন্দুত্বের চটিতে পা গলায়, তখন পরাজিত হয়েও বামপন্থীরা আপোষ করে না সাম্প্রদায়িকতার সাথে। এক ছটাক জমিতেও করে না আপোষ।
হৃত সম্মান, ভালোবাসা, ভরসা তিলেতিলে ফিরে পাওয়া শুরু হয়েছে বামেদের। বিশ্বাস হচ্ছে না? দখলদারির আর হাজার সন্ত্রাস-ভোট লুঠ সত্বেও কলকাতা কর্পোরেশনের ফলাফলে একথার প্রমান আপনি পেয়ে যাবেন।
না, এতে আত্মতৃপ্তির কিচ্ছু নেই। সেই যে বায়নারি-দ্বিমেরুতত্ত্ব ইত্যাদির কথা হচ্ছিল, সেটা এখনো ভাঙা যায়নি। কিন্তু এই ফলাফলে আপনি প্রমান পাবেন যে ওটা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। ইঙ্গিত মিলছে স্পষ্ট।


এই নির্বাচনের পরে যেখানে এসে দাঁড়ালাম আমরা, সেটা একটা ফুটফুটে সকাল নয়। নিশ্চিতভাবেই, রাত্রি। এখানে থামার নয়। এখানে থামব না আমরা। বরং খানিকটা হিম্মত কুড়িয়ে নেব বাকি পথ পাড়ি দেওয়ার আগে। আগের চেয়ে কফিডেন্ট পা ফেলব আমরা সামনের রাস্তায়।
কেবল প্রতিষ্ঠিত বায়নারিটি ভাঙার উদ্দেশ্যেই নয়, প্রকৃত বায়নারিটিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। একদিকে খেটে-খাওয়া মানুষ, অন্যদিকে লুটে-খাওয়া। একদিকে সরকারকে মাথা নত করতে বাধ্য করা কৃষক, আগামী ধর্মঘটের প্রস্তুতি নেওয়া শ্রমিকশ্রেণি আর অন্যদিকে কর্পোরেট-আরএসএস-আইপ্যাক-ছোট/বড় ফুল। একদিকে লাল ঝাণ্ডা আর অন্যদিকে বাকি সব।
রাজনৈতিক স্তরে এই বায়নারিকে প্রতিষ্ঠা করেই শ্রেণিশক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটানোর কাজ সমাধা করতে হবে। সদ্য সমাপ্ত খণ্ড-যুদ্ধটির ফলাফলে যে বিশেষ ইঙ্গিত মিলেছে তা নিশ্চিতভাবেই ক্রমাগত হতাশ হতে থাকা আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থক-দরদীদের খানিকটা হলেও আশার হদিশ দিতে সক্ষম। তাকে সংহত করাই এখন রাজনৈতিক-সাংগঠনিক চ্যালেঞ্জ।


গত ১৯শে ডিসেম্বর ২০২১ হাজার হুমকি-হামলার পরেও এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে আসেননি কমরেডরা। এই আত্মবিশ্বাসেই শপথ নিচ্ছি আমরা বৃত্তের পরিধিকে আরও বহুদূর প্রসারিত করার। এবং সেটা কেন্দ্রবিন্দুকে নির্ভুল, অভ্রান্ত রেখেই!
মুরোদ থাকলে কেউ রুখে দেখাক আমাদের!

শেয়ার করুন