যে কোনও ভাবে টাকা জোটাও — এই সংস্কৃতি এসেছে মূলত অনিশ্চয়তা থেকে। ‘অনুপ্রেরণা’ পেয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। সামগ্রিকভাবে যা ছিল গনতন্ত্রের এক দৃষ্টান্ত তা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

যে কোনও ভাবে টাকা জোটাও — এই সংস্কৃতি এসেছে মূলত অনিশ্চয়তা থেকে। ‘অনুপ্রেরণা’ পেয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। সামগ্রিকভাবে যা ছিল গনতন্ত্রের এক দৃষ্টান্ত তা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
যখন ভোটগণনা হচ্ছে, সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গেছে ছাপ্পা দিচ্ছে প্রকাশ্যে, ক্যামেরার সামনে। হিংসার প্রতিক্রিয়ায় রেহাই পাননি তৃণমূলও। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে অন্তত ৭জন তৃণমূলকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
গ্রামের গরিব মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে কাজ চলছে। ওই প্রতিনিধি দল দেখেছেন যে, কত কাজের দাবি আছে এবং কত কাজের মাস্টার রোল তৈরি হয়েছে তার কোনও হিসাবই সঠিকভাবে রাখা হয় না। অর্থাৎ মাস্টার রোলেই গোঁজামিল।
প্রশ্ন জাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানায় ঘুষের বিনিময়ে পরীক্ষায় ফেল করা সাদা খাতা জমা দেওয়া টাকার বিনিময়ে বদলি হওয়া এইসব শিক্ষকরা কি শিক্ষা ছাত্রদের দিয়েছে?
মানুষের স্বার্থে ন্যায্য অধিকারের লড়াইতে একচুল জায়গা ছাড়া হবে না, বাকি রইল আমাদের উপরে হামলা, আক্রমন ও হুমকি সহ যা কিছু- হম দেখেঙ্গে।
মানুষের অসহায়, মরিয়া অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল গড়ে তুলছে দুর্নীতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। চাকরির অভাব না থাকলে কেউ জমি, বাড়ি, গয়না বেচে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য ১০-১২ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হত না।
গত ১১ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা সিস্টেমে দুর্নীতি-স্বজনপোষণ’কে এরাজ্যে পঞ্চায়েত থেকে নবান্ন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দিয়েছে। সরকারি আমলাতন্ত্রের একটা অংশ, আইপিএসদের একাংশ, পঞ্চায়েত-পৌরসভার কর্মীদের একাংশ এই র্যাকেটের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
ক্যাবিনেটের প্রাক্তন মন্ত্রী-আইপিএস অফিসার এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।এমনই আরও কোন বন্ধু ব্রুটাসের মতো “Not that I loved Caesar less, but that I loved Rome more” ভেবে না বসেন।
রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য বামফ্রন্ট আহ্বান জানাচ্ছে।