রোজা লুক্সেমবুর্গের প্রতি কমিউনিস্টদের যে দায় রয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন লেনিন।

রোজা লুক্সেমবুর্গের প্রতি কমিউনিস্টদের যে দায় রয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন লেনিন।
একপক্ষে রয়েছে তারা যাদের মনে হয় মাও মানেই পিঠে রাইফেল বেঁধে যুদ্ধ, আরেকপক্ষ তাকে এশিয়া মহাদেশের ডিক্টেটর বানিয়েই ছাড়বে বলে পণ করেছে। এরা উভয়েই একে অন্যকে যুক্তি সরবরাহ করে চলে।
চীনের বিপ্লবের নেতা হিসাবে কমরেড মাও সে তুঙ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ পুস্তক রচনা করেছেন। এই রচনাগুলিকে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের তত্ত্বের আলোকে সামগ্রিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কেবলমাত্র উদ্ধৃতির উপর নির্ভর না করে মাও সে তুঙ-র রচনাবলীর শিক্ষণীয় বিষয়গুলি আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের দেশে এই সংগ্রাম একইসঙ্গে শ্রেণি-সংগ্রাম এবং সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
গোয়েন্দা পুলিশ বাংলায় বলশেভিক অন্তর্ঘাতের জনক হিসেবে লেনিনকে অভিযুক্ত করে দাবী করেন তিনি নাকি নকল টাকা ছাপিয়ে এই অঞ্চলের স্থানীয় অর্থনীতি ধসিয়ে দেবার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
সর্বহারা শ্রমজীবী মানুষের একটা বড় অংশ এখন এই চরম হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির শিকার। এদের রক্ষা করতে না পারলে জনগণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে এগোনো সম্ভব নয়।
আমেরিকার শাসকদের ক্রোধ লোকটির প্রতি স্বাভাবিক। প্রথমত, লোকটিও আমেরিকান। দ্বিতীয়ত, পড়াশোনা করেছেন হার্ভার্ডে। তবু পুঁজিবাদী অর্থনীতির নিষ্ঠাবান প্রচারক হওয়ার বদলে হয়েছেন র্যাডিক্যাল। তৃতীয়ত, সবচেয়ে যা মারাত্মক — সোভিয়েত বিপ্লবের মত ‘ইতরদের হিংসা, বিশৃঙ্খলা’-র অনুপুঙ্খ বিবরণ লোকটি সংগ্রহ করেছেন প্রকাশ্যে — পেত্রোগ্রাদের কাদাভরা রাস্তায় হেঁটেচলে, নোংরা দেওয়াল থেকে সযত্নে গোছা গোছা ইশ্তেহার, ঘোষনাপত্র সোল্লাসে সংগ্রহ করে। ছদ্মবেশে রাশিয়া গেছেন। সেখানে মজুর, সৈনিক, কৃষকদের চিৎকার, তর্কের মাঝে পা মুড়ে বসে, তাঁদের আলোচনা থেকে ‘নোট’ নিয়েছেন। আর সেই সব কিনা গুছিয়ে বয়ে এনেছেন দেশে। লিখেছেন লুকিয়ে — খোদ নিউ ইয়র্কে বসে।
ফরাসি বিপ্লব(১৭৮৯) এবং নভেম্বর বিপ্লব(১৯১৭) এর মধ্যবর্তী সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগ্রাম ছিল প্যারি কমিউন(১৮মার্চ থেকে ২৮ মে,১৮৭১)। কার্ল মার্কস