মূল লক্ষপথে অবিচল থেকে এগিয়ে চলা, এটাই তো কমিউনিস্টদের সব থেকে বড়ো বৈশিষ্ট্য।

মূল লক্ষপথে অবিচল থেকে এগিয়ে চলা, এটাই তো কমিউনিস্টদের সব থেকে বড়ো বৈশিষ্ট্য।
ঠিক কে লিখেছিল বলা মুশকিল। কিন্তু এই বাংলার কথা, শ্রমজীবী, গ্রামীণ সমাজের কথা বারংবার উঠে এসেছে প্রথম আন্তর্জাতিক ও মার্কসের কথায়।
মতাদর্শ বাদ দিয়ে রাজনীতি কিংবা এই দুটিই ব্যতিরেকে সংগঠন, সংগ্রাম কোনোটাই হয় না। এই চারটি বিষয় পরস্পর পরস্পরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কিউবার সামনে উপস্থিত হয় চ্যালেঞ্জের সময়।সোভিয়েত থেকে আসা বিপুল পরিমাণ অনুদান বন্ধ হয়ে পথ চলা হয়ে ওঠে বিপদসঙ্কুল। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় সরকার। তথাপি মাথা নীচু করেননি কাস্ত্রো। এখানেই কার্যকরী হয় তার দীর্ঘদিন ধরে মানুষের মধ্যে বপন করে আসা বিপ্লবের বীজ।
এই উপমহাদেশের ছাত্র-যুব আন্দোলন ভগৎ সিং এর মতন চে-র সংগ্রামী জীবন দেখেই স্বপ্ন দেখে সমাজ পরিবর্তনের।
মহম্মদ আবদুল্লাহ্ রসুলের মতো কমিউনিস্ট নেতারা প্রেরণার উৎস হিসাবে অমর থেকে যান।
সমাজবাদী বা প্রলেতারীয় সংস্কৃতিই হচ্ছে জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ও তার সমাজ ব্যবস্থার সংস্কৃতি, তার একটা বিশেষ স্তর। তাই সে জেহাদ শুরু করতে আর বিলম্ব করা উচিত নয় ।
তাঁকে আপনি যাই ভাবুন, মার্কস এখনও একটা ব্যাপার, মার্কসকে বাদ দিয়ে ভাবতে পারবেন না।
বইয়ের পাতায় ছোট্ট অলিভারের দুঃখ সম্পর্কে পড়ে, অনুভব করে এদেশের শৈশব বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে যাওয়া স্বপ্নে যবে থেকে নিজেকে অলিভারের বন্ধু করে তুলেছে- আসল বিশ্বায়ন ঘটেছিল তখনই।
অ্যালেইদা আর এস্তেফানিয়া’রা দেখে যাবেন কলকাতাও বিপ্লবী চেনে।