আজ তৃতীয় ও শেষ পর্ব।

আজ তৃতীয় ও শেষ পর্ব।
প্রথম থেকে ২৭তম সম্মেলন।
মেহনতি জনগণের প্রতিদিনের লড়াই-সংগ্রামে যুক্ত থেকেই রাজ্যের বুকে অন্ধকারের অবসান ঘটাতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে জয়ী হতে হবে, মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতিকে প্রতিহত করতে হবে। কমিউনিস্টরা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় কখনো হতাশ হন না, তারা মানুষকে সাথে নিয়েই নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থেকে শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যান।
কালকের সম্মেলনে প্রায় ৩৫০ জন ও ৮০-৯০ জন দর্শক প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত হতে চলেছে। দূরের জেলাগুলি থেকে ১২৯ জন প্রতিনিধি কমরেড অভ্যর্থনা সমিতির দায়িত্বে থাকবেন আগামী তিনদিন। এই তিনদিন রাজ্য সম্মেলনের কাজ সম্পন্ন করতে ৫৩ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ৩০ জন সহযোগী কর্মীর টিম সক্রিয় থাকবে। থাকবে বিভিন্ন কিয়স্ক। রেড ভলান্টিয়ার, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি থেকে রাজ্য সোশ্যাল মিডিয়া। শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতায় সম্মেলনের সাফল্যে পার্টি প্রত্যয়ী।
১৫-১৭ মার্চ, কলকাতায় হতে চলেছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র ২৬তম রাজ্য সম্মেলন। ব্রিটিশ শাসনে থাকা ভারতের অবিভক্ত বাংলায় কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম রাজ্য সম্মেলন হয় ১৯৩৪ সালে। মেটিয়াবুরুজে। সর্বহারা-কৃষক মেহনতি মানুষের স্বার্থে শ্রেণিসংগ্রাম, গণআন্দোলন পরিচালনায় এই রাজ্যে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস উজ্জ্বল। রয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর অনন্য নজির। মেটিয়াবুরুজ থেকে কলকাতা। প্রথম থেকে ২৬তম সম্মেলন। সেই ইতিহাসেরই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য রাজ্য ওয়েবডেস্কের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হল চারটি পর্বে। আজ চতুর্থ, তথা শেষ পর্ব।
মনে রাখতে হবে, মানুষের সৃজনশীল ক্ষমতা অফুরন্ত। তাঁদের উদ্যোগই আমাদের প্রধান সম্পদ। তাঁদের অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষাই আমাদের জ্ঞানলাভের প্রধান উৎস। শেষ বিচারে মানুষই ইতিহাস রচনা করেন। মানুষের উপরে নির্ভর করেই এগিয়ে যেতে হবে।