ভারতের স্বাধীনতার অর্থ মানবজাতির মুক্তি।

ভারতের স্বাধীনতার অর্থ মানবজাতির মুক্তি।
ধর্মনিরপেক্ষতার এমন দৃষ্টান্ত সুভাষচন্দ্র বসু ব্যতীত কোন স্বাধীনতা সংগ্রামী স্থাপন করেছেন ?
শ্যামাপ্রসাদ ও হিন্দু-মহাসভার সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানো বহু সভা-মঞ্চ সুভাষচন্দ্রের নির্দেশে ফরোয়ার্ড ব্লক কর্মীরা ভন্ডুল করে দেয়।
সাম্প্রদায়িকতা তাঁকে কোনদিনও স্পর্শ করতে পারেনি।
শনিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালনের সরকারী অনুষ্ঠানে যে স্লোগান তোলা হয়েছে তা অনুচিত। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার সময়
২৩ জানুয়ারি,২০২১ শনিবার আমাদের স্কুলে সুগতবাবুর ইতিহাস ক্লাসে প্রায়ই বিতর্কের সূত্রপাত হত- কে শ্রেষ্ঠ? গান্ধী না নেতাজী! স্বাভাবিকভাবেই বাঙালি মানসে
[‘গণশক্তি’ ২৩ জানুয়ারি ১৯৯৭ সংখ্যায় প্রকাশিত প্রবন্ধ] আজ সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশতবর্ষ। তিনি নি:সন্দেহে ভারতের মহত্তম সন্তানদের অন্যতম। রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে তিনি
প্রায় দুশো বছর পরাধীন ভারতে নানা ধরনের লড়াই হয়েছে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে একটা অস্থায়ী স্বাধীন ভারত সরকার স্থাপন করে শত্রু ইংরেজ সরকারকে নোটিশ দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো ঘটনা আজাদ হিন্দ ফৌজ ও তার সর্বাধিনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বেই প্রথম সম্ভব হয়েছিল। আজাদ হিন্দ ফৌজ স্থায়ী হয়নি কিন্তু তাদের লড়াই, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ ভারতবর্ষের ইতিহাসে সুদূর প্রসারী ছাপ ফেলেছিল।