সুদীর্ঘ এগার বৎসর কাল যে মিথ্যাচার চালাইয়া আসিয়াছেন তাহার ক্লেদাক্ত ইতিহাস মানুষের ভুলিবার কোন উপায় নাই।

সুদীর্ঘ এগার বৎসর কাল যে মিথ্যাচার চালাইয়া আসিয়াছেন তাহার ক্লেদাক্ত ইতিহাস মানুষের ভুলিবার কোন উপায় নাই।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিষ্ঠুরতার ইহাই পূর্ণ চিত্র নহে। এই নিষ্ঠুরতা সম্যক উপলব্ধি করিতে হইলে আরও কয়েকটি দিক স্মরণ রাখিতে হইবে।
আরএসএস-বিজেপি’র সরকার আরেকবার ক্ষমতায় এলে ভারতের চরিত্রই বদলে যাবে- আর তাই বিজেপি’কে হারাতেই হবে।
ভোট ডাকাতির পরেও লালঝাণ্ডার ভোট বাড়লো ১০-১১%-রও বেশী, বিজেপির ভোট কমেছে ১৫-১৬%।
পশ্চিমবঙ্গ তথা আমাদের দেশের রাজনীতিতে এই নির্বাচনের এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। জনগণের লড়াইয়ের ইতিহাসে সেই ভূমিকা এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবে আগামীদিনে চিহ্নিত হতে চলেছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কাছে অন্তত এই বার্তা পৌঁছানো দরকার যে, রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবার অধিকার তাকে কেউ দেয়নি।
বৃহৎ বুর্জোয়া- ভূস্বামীদের দ্বারা প্রণীত ভারতের সংবিধানের প্রতিটি প্রগতিশীল অংশের রক্ষার লড়াইয়ে বামপন্থীরাই এ দেশে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছে, যেখানে বৃহৎ বুর্জোয়া ক্ষয়িষ্ণু সামন্তবাদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে প্রতিক্রিয়ার আক্রমণ হেনেছে সংবিধানের উপর।
দেশ পরিচালনার ভার আজ তাঁদের হাতে যাঁদের দেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন ভূমিকা ছিল না। বৃটিশের সাথে আপোষ আর দালালিই ছিল তাঁদের একমাত্র কাজ। তাঁদের হাতে দেশ কি নিরাপদ থাকতে পারে?
১৯৪৩ সালে তৎকালীন বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কমিউনিস্ট পার্টি নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মানুষকে বাঁচানোর কাজে নামে – সংগ্রামের ইতিহাসে সেও এক অনন্য নজীর। মানুষের দুর্দশা এবং সরকারের অপদার্থতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি ছোট পুস্তিকা (হ্যান্ডবুক) প্রকাশিত হয়, শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান মেড ফ্যামিন’।ইংরেজিতে সেই লেখা ছিল জ্যোতি বসুরই।
দাঙ্গার ইতিহাস যেমন রয়েছে, তার উল্টোদিকে মানুষের সম্প্রীতির ইতিহাসও আছে, আর আছে সেই ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা।