১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (সোমবার) বর্তমান শতকের শুরু থেকেই আমাদের রাষ্ট্র পুঁজির লুঠকে তীব্রতর করতে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে প্রথমেই

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (সোমবার) বর্তমান শতকের শুরু থেকেই আমাদের রাষ্ট্র পুঁজির লুঠকে তীব্রতর করতে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করে প্রথমেই
। সরকারের তরফে জানানো মৌখিক আশ্বাসের ক্ষেত্রে এবং সেই আশ্বাসের ভরসায় নিজেদের আন্দোলন থেকে পেছিয়ে আসার ক্ষেত্রে দেশের কৃষক ইউনিয়নগুলির পূর্ব অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত, এর আগে এধরণের মৌখিক আশ্বাসের ন্যুনতম মর্যাদাও রক্ষিত হয় নি। তাই যথাযথ প্রত্যুত্তর না মেলা অবধি আমরা নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছি না – আজকের সভায় কৃষকরা এই কথাই জানিয়েছেন।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরো জয়ের লক্ষ্যে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ সংকল্পকে স্বাগত জানাচ্ছে। তিন কৃষি আইন বাতিল প্রসঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে তারা জানিয়েছেন কালা আইন বাতিলের প্রকৃত কার্যক্রম সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তারা নিজেদের গ্রামে ফিরে জাবেন – লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ রাস্তা নির্ণয়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার এহেন রণকৌশলের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছে পলিট ব্যুরো
ন্যুনতম সহায়ক মুল্য হল সেই ব্যবস্থা যার কারনে কেন্দ্রীয় খাদ্যভান্ডারে খুব বেশি প্রভাব না ফেলেই সারা দেশজূড়ে ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে কৃষকদের লাভজনক দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা বজায় থাকে। ফসলে সহায়ক মূল্য বাড়ানো হলে সরকারী গুদামে চাপ বেশি না বাড়িয়েও কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়। ঐ তিনটি রাজ্য (পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ) বাদে সারা দেশে নিজেদের গুদাম স্থাপনের কাজে এফসিআই’র অকর্মণ্যতা নিশ্চই রয়েছে। সেই কারনেই কয়েকটি রাজ্য সরকার খাদ্য মজুত করার কাজে নিজস্ব সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানেই রাজ্য সরকারের সংস্থাগুলি সেই কাজ পরিচালনা করেছে, মজুতের কাজে খুব সফল না হলেও এদের কারনেই সেই সব রাজ্যে কৃষকরা লাভজনক আয় করতে পেরেছেন। তাই উচিত হবে গুটিকয়েক রাজ্যে নিজেদের কাজে পরিধিকে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বভারতীয় স্তরে এফসিআইকে আরও সক্রিয় করে তোলা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় খাদ্য মজুত প্রক্রিয়াকে আরও বিস্তৃত করা।
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ নং এবং ৩৫(ক) ধারা বাতিলের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে সিপিআই(এম) সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত আবেদনে সাড়া দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করুক – কেন্দ্রীয় কমিটি সেই আবেদন জানাচ্ছে।