লোকসভায় সিপিআই(এম) নেতা কমরেড এ.কে গোপালন স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন যে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার যেকোনো সংগ্রামে পার্টি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই চালিয়ে যাবে।
Tag: CommunistInIndia
স্বাধীনতা পরবর্তী আধুনিক ভারত গড়তে বামপন্থীদের দায়বদ্ধতা (১ম পর্ব)
মানুষের স্বার্থ এবং আধুনিক ভারত গড়ে তুলতে কমিউনিস্টরা ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি প্রশ্নে গৌরবোজ্বল ভূমিকা পালন করেছে। এই সত্যকে স্বীকার করার কোন বিকল্প থাকতে পারে না।
জাতীয় মুক্তির জন্যই যাঁর জীবন ছিল উৎসর্গীকৃত – বিপ্লবী কমরেড আমির হায়দার খান স্মরণে
সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খল মুক্ত করে সাম্যের স্বদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল দুই চোখে। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য ব্যক্তিজীবনে একের পর এক আত্মত্যাগ করে গেছেন। স্বপ্নকে হৃদয়ে লালন করেই ব্রিটিশ কারাগারের নির্মম অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করেছিলেন।
সাম্প্রদায়িকতার বিষম পরিণাম
এই করে দেশের সর্বসাধারণের সর্বনাশ করা হচ্ছে। এদেশের যুবকগণ দেশের মুক্তির জন্যে কম নিগ্রহ ভোগ করেননি। ফাঁসিকাঠে ঝুলে আপনাদের প্রাণ তাঁরা হাসিমুখে বলি দিয়েছেন, কারাবরণ তাঁরা করেছেন এবং আরো কত প্রকারে যে নির্যাতিত তাঁরা হয়েছেন কে তার খবর রাখে। কিন্তু বর্তমানে দেশের এ দুর্দিনে তাঁদের কি কোনো কাজ নেই করার?
কাকাবাবু, বৈপ্লবিক প্রেরণার উৎস
পার্টি যাতে সংশোধনবাদের গাড্ডায় না পরে, তার জন্য মূল ভূমিকা নেন কমরেড মুজফ্ফর আহ্মদ। সে রকমই, ১৯৬৭ সাল থেকে পার্টির ওপর সংকীর্ণবাদীদের আক্রমণ শুরু হয়। তখন তাদের হাত থেকেও পার্টিকে রক্ষা করার মূল ভূমিকা গ্রহন করেন তিনি।
কাকাবাবু কেমন ছিলেন ?
কমিউনিস্ট পার্টির কাজে কমরেডদের সামনে এমন কিছু নির্দিষ্ট মুহূর্ত আসে যখন ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। আমাদের দেশে দু’বার পার্টি ভেঙেছে, প্রথমবার সেই লড়াই ছিল সময়োপযোগী করার নামে কমিউনিস্ট পার্টিকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির লেজুড়ে পরিণত করার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। পরেরবার জনগণের শক্তিতে আস্থা হারিয়ে নিজেরাই বিদ্রোহে ফেটে পড়ার সংকীর্ণতায় পা জড়িয়ে ফেলেন কিছুজন। কমিউনিস্ট পার্টির কাজে এই ঘটনা নতুন কিছু না। লেনিনকেও এই সমস্যার সমাধান করেই এগোতে হয়েছিল, মাও সে তুং কেও।
আজকের পরিস্থিতিতে কমরেড জ্যোতি বসুর উত্তরাধিকার সম্পাদনায় আমাদের সফল হতেই হবে - সীতারাম ইয়েচুরি
কাদের অথবা কাকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্নের চাইতে বেশি গুরুত্বপুর্ন হল সমর্থনের প্রেক্ষিত, সময়ের দাবীকে চিনে নেওয়া এবং সেই অনুযায়ী সঠিক সিধান্ত কার্যকর করা। কমরেড জ্যোতি বসু এই রণকৌশল আমাদের সামনে ব্যখ্যা করেছেন, তাকে প্রয়োগ করে অতীতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোকাবিলা করেছেন।
দুর্ভিক্ষের কারণ কিছু মানুষ
১৯৪৩ সালে তৎকালীন বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। কমিউনিস্ট পার্টি নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মানুষকে বাঁচানোর কাজে নামে – সংগ্রামের ইতিহাসে সেও এক অনন্য নজীর। মানুষের দুর্দশা এবং সরকারের অপদার্থতা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে একটি ছোট পুস্তিকা (হ্যান্ডবুক) প্রকাশিত হয়, শিরোনাম ছিল ‘দ্য ম্যান মেড ফ্যামিন’।ইংরেজিতে সেই লেখা ছিল জ্যোতি বসুরই।
সময়ের পতাকা যাঁদের হাতে
সময় যখন ডাক দেয় তখন উচিত কথা বলার জন্য সাহসে ভর করে সব কিছুকে বাজি রাখতে প্রস্তুত, এমনকী নিজেদের নিরাপত্তা পর্যন্ত, বিবেকবান সেই সৃষ্টিশীল মানুষদেররই— একমাত্র তাঁদেরই— আমরা শিল্পী হিসেবে স্বীকার করব, শ্রদ্ধা জানাব। আর কাউকে নয়। কখনই নয়।
মহম্মদ আবদুল্লাহ রসুল - এক ইতিহাসের কথা
দাঙ্গার ইতিহাস যেমন রয়েছে, তার উল্টোদিকে মানুষের সম্প্রীতির ইতিহাসও আছে, আর আছে সেই ইতিহাসে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা।