কমিউনিস্ট পার্টি মন্মথনাথ সরকারকে কোনো পুরস্কার দিতে পারেনি। তিনি পার্টির কর্মশীল সভ্য ছিলেন। পুরস্কার তিনি নিতেই বা যাবেন কেন?

কমিউনিস্ট পার্টি মন্মথনাথ সরকারকে কোনো পুরস্কার দিতে পারেনি। তিনি পার্টির কর্মশীল সভ্য ছিলেন। পুরস্কার তিনি নিতেই বা যাবেন কেন?
সাধ্যমতো সমাজে এভাবেই ইতিবাচক হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু শুধু সেবামূলক কাজেই আটকে থাকা উদ্দেশ্য নয়, বৈপ্লবিক পরিবর্তনই হল লক্ষ্য। মিশনারি থেকে রেভলিউশনারি হয়ে ওঠাই তরুণ কমরেডদের চর্চা করতে হবে। কাকাবাবুর স্মরণে সেটাই হবে প্রকৃত উত্তরাধিকার বহন।
কমরেড মুজফফর আহমদের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একজন আদর্শ কমিউনিস্ট নেতার বহুবিধ গুণাবলিকে অনুসরণ করে আমাদের পার্টিকে প্রকৃত বিপ্লবী পার্টি হিসেবে গড়ে তোলার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় জীবনের বিভিন্ন দিকের ক্রমবর্ধমান সংকটের মোকাবিলা করে – শ্রমিক, কৃষক ও শোষিত নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প গ্রহণ করতে হবে।
দোকানের নাম দেওয়া হলো ন্যাশনাল বুক এজেন্সি। সারা ভারতের মার্কসীয় ও প্রগতির সাহিত্যের পরিবেশক হওয়ার স্বপ্ন সেদিন আমরা দেখেছিলেম। ওই অর্থেই আমাদের নামের গোড়ায় ন্যাশনাল কথাটা বসেছিল। কেউ কেউ ভুল ধারণা করেন অন্তত অতীতে করেছেন যে আমরা ন্যাশনালিস্ট সাহিত্যের প্রকাশক ও পরিবেশক। ন্যাশনালিস্ট সাহিত্য আমাদের নিকটে পরিত্যাজ্য নয় ,কিন্তু তার জন্য অনেক দোকান আছে। তাই আমাদের ভবিষ্যতে যাতে কোনো বিচ্যুতি ঘটতে না পারে সে কথা মনে রেখে ১৯৪৩ সালে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রি করার সময় আমরা তার মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এর নির্ধারণ করে দিয়েছি যে আমাদের কোম্পানি শুধু মার্কসীয় ও প্রগতি সাহিত্যের প্রকাশক ও পরিবেশক । মেমোরেন্ডাম এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
একটি কথা বলা প্রয়োজন। পার্টি, আন্দোলন, মতাদর্শ ও বিপ্লবের স্বার্থে তিনি ছিলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের খুবই কঠোর। বাইরের কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব তাকে পার্টির আদর্শ থেকে কোনদিন বিচ্যুত করতে পারেনি। এমনকি পার্টির অভ্যন্তরে যখন আদর্শগত সংগ্রাম হয়েছে তখনও তিনি বলতেন, “বন্ধুর থেকে পার্টি ও তার আদর্শ বড়”। “মার্কসবাদী-লেনিনবাদী আদর্শ রক্ষার ক্ষেত্রে কারোর বন্ধুত্ব যেন অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়”। শোষক শ্রেণী ও শাসকগোষ্ঠীর প্রতি তাঁর ছিল অসীম ঘৃণা। মার্কসবাদ বিরোধী তত্ত্বের ও ক্রিয়া-কলাপ এর বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম ছিল গৌরবোজ্জ্বল।