সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বিবৃতি

রাজ্যের জনগণ যখন জীবন-জীবিকার জরুরী দাবি-দাওয়া আদায়ে এবং সর্বব্যাপ্ত দুর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতিদিন রাস্তায় আন্দোলনে, তখন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি জণগণের এই ক্ষোভকে বিপথে পরিচালিত করতে নমেেছে। নাগপুর-কালীঘাটের পরিকল্পনায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পিঠ বাঁচাতে তারা ব্যস্ত। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে ছাত্রীর মৃত্যু ঘটনা ও পুলিশের অমানবিক আচরণকে নিন্দা করার কোন ভাষা নেই। এই ঘটনার পরেও যথাযথ তদন্তের বদলে পুলিশ অপেশাদার, বোধহীন এবং শাসক দলের দাসত্বের কাজ করছে। রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসন যোগী রাজ্যের মত এনকাউন্টারে হত্যার পথ নিচ্ছে যা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।

অন্যদিকে, এই ঘটনাকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক ও মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে সচেষ্ট বিজেপি। প্রকৃত অপরাধ ও অপরাধীর প্রতি সুদৃঢ় আইনী ব্যবস্থা প্রয়োগের দাবির বদলে সম্প্রদায়,বর্ণের নামে এই অপরাধকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের বিভাজনের রাজনীতিতে সমান সক্রিয়। আমাদের রাজ্যের হাসখালি, বিজেপি শাসিত হাথরাস,উন্নাও, জম্মুর ঘটনায় এই একই দৃশ্য আমরা দেখেছি। তৃণমূল-বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে দাড়িভিট কান্ড বা বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির গুলিকাণ্ডকে ঘিরে মানুষের ঐক্যকে দুর্বল করে বিভাজনের রাজনীতি করে নির্বাচনে সাফল্য পেয়েছিল। আবার তারা এই ধরনের বিভাজনের রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক ঘৃণার চাষ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে হাওড়া, রিশড়া, ডালখোলা , কালিয়াচকে মানুষ বিভাজনের এই নীল নকশা কে পরাস্ত করেছেনশুক্রবার বিজেপি উত্তরবঙ্গ বন্ধ বন্ধের যে ডাক দিয়েছে তা এই বিভাজনের রাজনীতিকে তীব্র করার লক্ষ্যেই। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, অপরাধীদের শাস্তি, দোষী পুলিশের শাস্তির দাবি করার পাশাপাশি সিপিআই(এম) জনগণের ঐক্য রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছে। এই বনধে মানুষের জরুরী দাবি যেমন ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা, নিয়োগ দুর্নীতির সকল দোষীর শাস্তি, খাদ্য- জ্বালানি- ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির কোন কথা নেই।

২৭ এপ্রিল,২০২৩ কলকাতা


শেয়ার করুন

উত্তর দিন