রেল চালাও-জীবনজীবিকাকে গতিশীল করো -অলোকেশ দাস

বেচারী নিকোলাস কোনু! ফ্রান্সের এই ভদ্রলোক রেল ইঞ্জিনের প্রথম মডেল তৈরি করেছিলেন। তিন চাকার। প্রথম চলতে গিয়ে গাড়ি ধাক্কা মারে দেওয়ালে। তারপরে বরাদ্দ হয় জেলের ঘানি। স্কটিশ ইঞ্জিনিয়ার উইলিয়াম মারডক তারপরে যে রেল ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন সেটা এত বড় এবং চলতে শুরু করলে এত কালো ধোঁয়া বের হতো এবং চারিদিকের ঘরবাড়ি কাঁপাতো যে পাদ্রীরা তার মধ্যে 'শয়তান' আবিষ্কার করেছিল। কয়লা খনিতে কাজ করা ব্রিটিশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জর্জ স্টিফেনসন ১৮১৪ এ শেষ অবধি যে রেল ইঞ্জিন মডেল তৈরি করলেন তা চলল ম্যানচেস্টার থেকে লিভারপুল অবধি। ১৮২৫এ। তখন দুরুদুরু বুকে ট্রেনে লোক উঠতো না বললেই চলে, বরং তাকে দেখার জন্য ভীড় উপচে পড়তো।

১৮৫৩ সালে এ দেশে ট্রেন চলার শুরু। মুম্বাই থেকে থানে। ৩৩ কি.মি নতুন তৈরি হওয়া রেলপথ। সময় লেগেছিল ৪৭ মিনিট। যাত্রী ছিল ৪০০ জন। সবাই আমন্ত্রিত। সিপাহী বিদ্রোহের ঘটনা ব্রিটিশের টনক নড়িয়ে দেয়। যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজন তৈরি হয়। সাম্রাজ্যবাদী পণ্য বাজারীকৃত করার জন্য আর দেশীয় কাঁচা মাল নিজের দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্রিটিশরা রেল সম্প্রসারণের উপর জোর দেয়। ৫৫ বছর ট্রেনে কোন টয়লেট ছিল না। ট্রেনেই হতো লাইভ টয়লেট। ১৯০৯ সালে ভারতে প্রথম টয়লেট যুক্ত রেলগাড়ির প্রবর্তন। সেই থেকে আজ অবধি রেলেও জল গড়িয়েছে অনেক। এখন ৬৬,০৩০ কিমি রেললাইন পাতা। প্রতিদিন এদেশে ট্রেন চলে ২২,৩০০। সেই ট্রেন স্পর্শ করে ৮০০০ রেল স্টেশন। পণ্য পরিবহন করে দৈনিক ৩০ লক্ষ টন। রোজ যাত্রী বহন করে কম নয়-দু কোটি ত্রিশ লাখ। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব শাহীর জনসংখ্যা যোগ করলেও এত হবে না। কথায় বলে ভারতের রেল কখনো ঘুমোতে যায় না।

দেখতে দেখতে ভারতের রেলের বয়স হয়ে গেল ১৬৭ বছর। আগে ছিল জলপথকে ঘিরে সভ্যতা। এখন রেলপথকে ঘিরে। সব রেলস্টেশনের বাইরে গড়ে ওঠে 'রেলবাজার'। ধান্দার ধনতন্ত্রের নিয়ন্ত্রিত প্রতিযোগিতার জীবনযাত্রার ব্যস্ততা রেলযাত্রীকে ঘরে ফেরার পথে স্টেশনের বাইরে থাকা এই বাজারেই মাছ ,সবজি, ঘর গৃহস্থালীর টুকিটাকি কিনিয়ে নেয়। দেশভাগের পর অনেক শরণার্থীদের অবলম্বন ছিল রেলস্টেশনের উঁচু জায়গা। পেটের তাগিদ সেই সময়েই তাদের দিয়ে শুরু করায় যাত্রীদের কাছে তাদের চাহিদার জিনিষ বিক্রির। এক যাত্রী থেকে আর এক যাত্রী পণ্য ফেরী করার সেই হচ্ছে হাতে খড়ি। মেয়েদের ব্রত কথা, গোপাল ভাঁড়ের গল্প, বিষহরি, দাদের মলম থেকে ধূপকাঠি। পণ্য বিক্রি করার বাকপটুতা, তৈরি হয়ে যাওয়া বিশ্বাসযোগ্যতা নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে তৈরি করে এদের এক নিবিড় সম্পর্ক। পশ্চিমবঙ্গে এরকম রেল হকারের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের ওপর। ট্রেন নেই মানে এদের কাজ নেই। সপরিবারে ধুঁকছে এরা। রেলের সঙ্গে যুক্ত ঠিকা শ্রমিকদের পরিবারের মুখে গ্রাস তুলে দেওয়াই তাদের কঠিন কাজ।

Source: Google

সমাজতন্ত্রের চাপে পুঁজিবাদের জনকল্যাণকর রাষ্ট্রর ভাবনাতেই লোকাল ট্রেন ছিল গরিব এবং মধ্যবিত্তের মোটামুটি আয়ত্তাধীন পরিবহন। শ্রমিক, কৃষিজীবী মানুষ, দিন আনি দিন খাই মজুর, গৃহপরিচারিকা, চুক্তি বা অস্থায়ী শ্রমিক, দোকান কর্মচারীর নিত্য অবলম্বন। কত লোকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জীবনধারণের সহায়ক এই ট্রেন। সেই ট্রেন বন্ধ।'৭৪ সালের রেল ধর্মঘটে ১৪ দিন অচল হয়ে গিয়েছিল সারাদেশ। সেই ট্রেন এবারে ছমাসের উপরে বন্ধ। রাস্তায় মোটরসাইকেলের ভিড়। বড় দূরত্ব অনেক সময় সাইকেলেও পাড়ি দিতে হচ্ছে। রাস্তায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। বাড়ছে যানজট। বাড়ছে যাত্রার সময়।

New Coaches of Shatabdi Express

এবার ভিতরের কথা বলি। যাত্রী ট্রেনের টিকিটের গায়ে লেখা থাকে, যার সরলার্থ করলে দাঁড়ায় যে যাত্রীর কাছ থেকে যে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে সেই ভাড়া দিয়ে তার পরিবহনের খরচের কেবল মাত্র ৫৭ শতাংশ মিটছে।২০১৭-১৮ সালে প্যাসেঞ্জার রেভিনিউ এক টাকা হলে খরচ হয়েছিল এক টাকা বিরাশি। ওই একই অর্থবর্ষে যাত্রী পরিবহনে ক্ষতি ৩৭,৯৩৭ কোটি, পণ্য পরিবহনে লাভ ৩৯,৯৫৬ কোটি। রেল এখন বলতে চায় ক্ষতি যখন তখন তুলে দাও। পি সাইনাথের ভাষায়-অসুখ হয়েছে? মেরে ফেলো।

স্বাধীনতার পরে রেলে পারস্পরিক ভর্তুকি চালু ছিল। তার মানে যাত্রী পরিবহন পরিষেবায় ক্ষতি হলেও তা পূরণ করা হবে পণ্য পরিবহনের লাভে। সেসব থেকে বিস্মৃত এখন রেল এবং কেন্দ্রের সরকার। এ বছরের পয়লা জুলাই রেল বেসরকারিকরণের শুরুওয়াত হয়েছে। ১০৯ টি রুটে ১৫১ ট্রেন বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। প্রথম বছরে ১২, তারপরে ৪৫, তারপর ৫০, শেষ বছরে ৪৪-এইভাবে মোট ১৫১টি।প্রাইভেট পার্টি এর জন্য ত্রিশ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। যাত্রীভাড়া তারা তাদের খুশি মতো ঠিক করবে। ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয় লোকও তারা ঠিক করবে। শুধু প্রশিক্ষিত ড্রাইভার এবং গার্ড নেবে রেলের থেকে। চুক্তি হলে পঁয়ত্রিশ বছর ধরে চলবে এরকম। এইজন্যই তো বলা হচ্ছে যে রেলের কর্মচারী বারো লক্ষ থেকে নেমে আসবে সাত লক্ষতে। রেলের কর্মচারীদের বলে দেওয়া হয়েছে ৫৫ বছর বয়স অথবা ৩০ বছর টানা চাকরি হয়ে গেলেই ভাগো। বাধ্যতামূলক স্বেচ্ছাবসর !

সবটাই হচ্ছে নিখুঁত ছকে। চিত্রনাট্য মেনে। ২০১৪তে ক্ষমতায় এসেই রেল সংক্রান্ত বিবেক দত্ত রায় কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করেছিল মোদি সরকার। বলেছিল পাঁচ বছরের মধ্যে কার্যকরী করব। পাঁচ বছর হয়ে গেছে তাই এত তাড়াতাড়ির ধুম। দেখুন কী ছিল সুপারিশে।
১. প্রাইভেট পার্টি যাত্রী, পণ্য পরিবহনের রেল চালাবে সরকারের রেলট্রাকে
২. পরিষেবা আউটসোর্সিং হবে। মানে বেসরকারিকরণ হবে
৩. রেলের রাস্তা, মানুফাকচারিং, ওয়াকসপ বেসরকারি হবে
৪. কনস্ট্রাকশন, অপারেশন, মেইনটেনেন্স-ঠিকাদাররা পরিচালনা করবে
৫. রেল স্টেশন চুক্তিতে ব্যক্তিগত হাতে দেওয়া হবে
৬. সমস্ত কনসেশন ছাত্র হোক বা প্রতিবন্ধী-তুলে দেওয়া হবে
৭. আর পি এফ তুলে দেওয়া হবে, প্রাইভেট সিকিউরিটি পার্টি নেওয়া হবে।
৮. কর্মি কমানো হবে।
৯. সুবারবার্ন ট্রেন চালাবে রাজ্য সরকার
১০. রেলের পৃথক বাজেট পেশ হবে না।
সব সুপারিশই কার্যকরী হয়ে গেছে। সর্বশেষ সিনিয়র সিটিজেন সহ ছাত্র, প্রতিবন্ধী ইত্যাদিদের কনসেশন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

Private Rail hostess

সরকার রেলকে বলছে নিজের লাইন নিজের টাকায় করো। কিন্তু সড়ক পরিবহনের জন্য রাস্তা নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ করছে। যাত্রী ট্রেন যদি না চলে তবে যাত্রী পরিবহন স্থানান্তরিত হবে সড়কে। কে না জানে সড়ক পরিবহনে সরকারিক্ষেত্র স্বল্প। বেসরকারি ক্ষেত্রের রমরমা। তাদের জন্যেই ‌ মোদি সরকার সংশোধন করেছে মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট এর। যার প্রতি ছত্রে শ্রমিক এবং সাধারণের স্বার্থ বিরোধীতা এবং মালিক,বড় পুঁজি, কর্পোরেটদের তাবেদারী। তাহলে কি এর জন্যই ট্রেনের গলার টুটি টিপে ফেলার ষড়যন্ত্র? ধীরে ধীরে সইয়ে দাও যে ট্রেন না চলাটাই নতুন স্বাভাবিকত্ব। তারপর সুযোগ বুঝে লাভ নেই যেখানে সেই ট্রেন তুলে দেওয়া। আর লাভ আছে যেখানে সেই ট্রেন প্রাইভেট পার্টির হাতে তুলে দেওয়া। করোনাকে সামনে রেখে কি রাজ্য বা কেন্দ্র এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তার নিজের এজেন্ডাকে। নতুন কৃষি আইন, শিক্ষানীতি, রাম মন্দির, শ্রম আইন সংস্কার……. চলছেই। এটাও সে রকম একটা ব্যাপার নয় তো? ঝোপ বুঝে কোপ মারা!

রেল তার নিজের দায় চাপাতে চায় যাত্রীদের উপর। ২০০৭ সালে রেলের তথ্যই জানিয়েছিল ২৯৮ টি প্রথম শ্রেণীর স্টেশনের ১২৮টিতে প্রয়োজনীয় শৌচাগার ,প্রস্রাবাগার নেই।৩৪টি বড় স্টেশনে জল অপর্যাপ্ত। এদের মধ্যে শিয়ালদা হাওড়া এমনকি নিউ দিল্লি স্টেশনও ছিল।২০০৭ থেকে ২০১৫,এই ৯ বছরে ভারতীয় রেলের যাত্রী বেড়েছে ৯০ লক্ষ। রেল নিজেই লজ্জা পাবে এই তথ্য জানাতে যে এত যাত্রী বাড়ার পরেও ক'টা টয়লেট ,ইউরিনাল এবং অন্যান্য পরিষেবা সামগ্রিকভাবে তারা বাড়াতে পারল। দূরপাল্লার অধিকাংশ ট্রেন থেকে সাধারণ স্লিপার ক্লাস তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। বদলে আসবে এ সি ক্লাস। এতে ভাড়া বাড়বে অবশ্যই।বোঝাই যাচ্ছে রেলকে সাধারণেরা আওতার বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাই হচ্ছে। লোকাল ট্রেনে তিনজনের বসার জায়গায় চারজন কষ্ট করে বসা। ভীড়ে নিঃশ্বাস নেওয়া দায়। বাদুর ঝোলা ট্রেন।মাথার উপরে ফ্যান চালাতে হয় পকেটের চিরুনি দিয়ে ব্লেড ঘুরিয়ে। বর্ষাকালে জানলা দরজা বন্ধ হয় না, গরমের সময় জানলার কাঁচ উপরে ওঠে না। সময় বিভ্রাটে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন করে- নটার ট্রেন কটায় আসবে?

Agitation at Pandua Rail Station

সরকার সংক্রমনের দোহাই দিচ্ছে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য । অথচ ট্রেন ছাড়া সকল পরিবহনই চলছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসের ভাড়া বাড়াবো না বলে জনগণের কাছে তার জনকল্যাণকর বার্তা দিলেন। কিন্তু বাসের মধ্যে যাত্রীদের কাছে ভাড়া নেওয়ার যে যথেচ্ছাচার চলছে সেই ব্যাপারে নীরব রইলেন। সম্ভবত বাস মালিকদের সঙ্গে এটাই তার নীরব বিনিময়ের বোঝাপড়া। বাস যে চলছে তাতে কোথাও সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর বালাই নেই। ভিড়ে ঠাসা বাস। মুখে মাস্ক নেই এমন যাত্রীর সংখ্যাও প্রচুর। অটো ,টোটো, ট্রেকার সব জায়গায় ভিড়ের দিক দিয়ে পুরনো অবস্থা ফিরে এসেছে। কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। ২৮শে সেপ্টেম্বর রাজ্যের তদানীন্তন অতিরিক্ত মুখ্য সচিব চিঠি দিয়ে রেলকে জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে ট্রেন পরিষেবা চালাতে। রাজ্য সরকার পরে সেই গ্রীন সিগনাল দেয়নি। সামনে নির্বাচন। কোনরকম ঝুঁকি নিতে চায় না রাজ্য সরকার। মোদির ঘাড়ে বন্দুক রেখে রাজ্য সরকার অপেক্ষা করছে। কেন্দ্র আগে সম্মতি দিক। তারপরে রাজ্য স্কুল খুলবে, ট্রেন চালানোর সম্মতি দেবে। তাতে যদি সংক্রমণ বাড়ে তবে তা কেন্দ্রের সরকারের উপর দিয়ে চালানো যাবে। অথচ সম্মুখে মহারাষ্ট্রের গণেশ পুজো, কেরালার ওনাম উৎসব এর পর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার উদাহরণ থাকলেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেক পুজোয় পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করে সংক্রমণকে উপেক্ষা করেছেন, শারদ উৎসবে গোষ্ঠী সংক্রমণের ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করেছেন। উনার জানা না থাকলে জানিয়ে দেওয়া ভালো মহারাষ্ট্রের সরকারের সম্মতিতে ২০০টি লোকাল ট্রেন চলছে মুম্বাইয়ে- যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি সতর্কতার উপরে কড়া নজর রেখে। তাহলে এ বাংলায় নয় কেন? জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রকাশ নেই কেন সরকারের? হেমাঙ্গ বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথের 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে'গানটি গাওয়া নিয়ে কুণ্ঠিত ছিলেন। যেহেতু একলা চলার প্রসঙ্গ আছে। চীনে গিয়ে দেখেন যে সেই গানটি পরিবেশিত হচ্ছে। তারা গানটি সম্পর্কে বলেন যে সমষ্টি যখন বিভ্রান্তিতে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে তখন ব্যক্তিকে এগিয়ে এসে উদ্বুদ্ধ করতে হয়। তৃণমূল, বিজেপি ভোটের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকুক। মানুষের দিকে তাকিয়ে অতিক্রান্তিকালীন এই সময়ে ব্যক্তি হিসেবেই আমরা বলি না কেন-অর্থনীতির ভিত্তি করতে পাকা/আনলক করো ট্রেনের চাকা । সাধারণের জীবন জীবিকার স্বার্থে চলুক লোকাল ট্রেন। দেশের জনগণের জীবন রেখা স্তব্ধ হয়ে আছে। জীবনে জীবন যোগ করো।
অবিলম্বে ট্রেন চালাও।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন