স্ট্যান স্বামীঃ রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিরোধী দলগুলির
তারিখঃ মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১
৬ই জুলাই বিরোধীদলগুলির পক্ষ থেকে দেশের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফাদার স্ট্যান স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবীতে দেশের সরকারকে নির্দেশ দেবার আবেদনে বিরোধীদলগুলির নেতৃবৃন্দ সাক্ষর করেছেন।
মাননীয় রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি ভবন নয়া দিল্লী মাননীয় রাষ্ট্রপতি মহোদয়,প্রধান বিরোধীদলসমুহের পক্ষে আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে আপনার কাছে নিজেদের গভীর অসন্তোষ জ্ঞাপন করছি। বিচারাধীন অবস্থায় ফাদার স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর প্রসঙ্গে আমাদের এই চিঠি।
ভীমা কোরেগাঁও ঘটনায় যুক্ত হবার অভিযোগে দানবীয় আইন ইউ এ পি এ ধারায় ফাদার স্ট্যান স্বামীকে আটক করা হয় গত ৬ই জুলাই। ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকার আদিবাসীদের অধিকার এবং জীবনসংগ্রামের লড়াইকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি একজন অনন্য মানবাধিকার কর্মী ছিলেন।
পার্কিনসন্সে আক্রান্ত ফাদার স্ট্যান স্বামী আরও বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার শিকার হওয়া সত্বেও তাকে চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়। জেলের ভিতরে অসুস্থতার কারনে তার একান্ত প্রয়োজন ছিল পানীয় জলের একটি পাত্র এবং পাইপ, অথচ সেইটুকু ব্যবহারের অনুমতি দেশজূড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পরেই দেওয়া হল।
বন্দীদের অতিরিক্ত চাপ থাকা সত্বেও তাকে তালোজা জেলেই রাখা হয়েছিল। সেখানে কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে গেলেও বিষয়টিকে অবহেলার দৃষ্টিতে বিচার করা হয়। তিনি বাড়ি ফিরতে চেয়ে বারংবার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন, প্রতিবার তা নামঞ্জুর করা হয়। শেষে বোম্বে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে গুরুতর শারীরিক সংকটের অবস্থায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হল। যদিও বিচারাধীন অবস্থায় মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল।
দেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিচারাধীন বন্দীর এহেন মৃত্যুর ঘটনায় যারা স্ট্যান স্বামীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়, গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্বেও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে বারংবার তার জামিনের বিরোধিতা করে এবং জেলের ভিতরে তার সাথে চরম অমানবিক আচরণ করে সেইসব দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে কেন্দ্রীয় সরকার যার কার্যকারিতা আপনার অনুমতিস্বাপেক্ষ, তাকে আপনি অবিলম্বে নির্দেশ দিন - এই আমাদের আবেদন। তাদের কৃতকর্মের উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন। ভীমা কোরেগাঁও এবং অন্যান্য মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে দেশদ্রোহিতা এবং ইউ এ পি এ’র ন্যায় দানবীয় আইনের অন্যায্য প্রয়োগের জোরে আটক থাকা প্রত্যেক রাজনৈতিক বন্দীকেই এখনই মুক্তি দিতে হবে।
সাক্ষর
সোনিয়া গান্ধী (আই এন সি)
এইচ ডি দেবেগৌড়া (জে ডি – এস)
শরদ পাওয়ার (এন সি পি)
ফারুক আবদুল্লাহ (জে কে পি এ)
মমতা ব্যানার্জি (টি এম সি)
তেজস্বী যাদব (আর জে ডি)
এম কে স্তালিন (ডি এম কে)
ডি রাজা (সি পি আই)
হেমন্ত সোরেন (জে এম এম)
সীতারাম ইয়েচুরি (সিপিআই – এম)