প্যালেস্তাইনের গাজায় ইজরায়েল যে যুদ্ধের সুত্রপাত ঘটিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। এখনও অবধি এই যুদ্ধে ৪৫০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রাপ্ত খবর ও তথ্য মোতাবেক ইজরায়েলি বোমার আঘাতে প্রতি মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। বিদ্যালয়, হাসপাতাল থেকে শুরু করে এখন রাষ্ট্রসংঘের দফতরের উপরেও ইজায়েলি সেনাবাহিনী হামলা করছে। যুদ্ধ সংক্রান্ত জাতিসংঘের সর্বজনস্বীকৃত আইনসমূহকে নির্লজ্জ্বের ন্যায় অগ্রাহ্য করার পাশাপাশি তারা বহুবিধ যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়ে চলেছে। গাজায় আক্রান্তদের জন্য পাঠানো জরুরী ত্রানসামগ্রী (যেমন পানীয় জল, খাদ্য, জীবনদায়ী ওষুধ, জ্বালানী ইত্যাদির ক্ষেত্রে রীতিমত সংকট দেখা দিয়েছে) অবধি ইজরায়েলের সেনাবাহিনী আটকে দিচ্ছে। ঐ এলাকায় কলেরা, চিকেনপক্স ও স্ক্যাবিসের মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ইজারায়েলের সেনাবাহিনীর গতিবিধি দেখে অনুমান করা হচ্ছে হয় তারা গাজার অভ্যন্তরে নিজেদের জন্য একধরণের ‘বাফার জোন’ তৈরি করতে চাইছে অথবা গাজা উপত্যকা পুনরায় নিজেদের দখলে নিয়ে আসতে চলেছে।
এধরণের যেকোনো পরিকল্পনায় যুদ্ধপরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠার পাশাপাশি ক্রমশ বিস্তৃতি লাভ করবে। ইতিমধ্যেই সিরিয়ার বিমানবন্দর সহ লেবাননের বিভিন শহরেও ইজরায়েল বোমা ফেলেছে। এমন ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার যাবতীয় প্রচেষ্টা সহ যুদ্ধ বন্ধ করতে সক্রিয় যেকোনো পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে পারে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতি (সিজ ফায়ার) ঘোষণা চাইছি, গাজার যুদ্ধ এখনই বন্ধ হোক।
প্যালেস্তাইন প্রসঙ্গে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিতে ইজরায়েলকে বাধ্য করা গেলে তবেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতির একমাত্র স্থায়ী সমাধান সম্ভব। প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে, ১৯৬৭ সালের আগে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মাঝে সীমানা সম্পর্কিত সমঝোতা হয়েছিল তাকে মেনে নিয়েই পূর্ব জেরুজালেম’কে রাজধানী ঘোষণা করতে হবে।
সারা বিশ্ব ইজরায়েলের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে, প্যালেস্তাইনের পক্ষে দুনিয়াজুড়ে জনসমর্থন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গাজা সহ প্যালেস্তাইনে চলা যুদ্ধের বিরুদ্ধে ও এখনই শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সারা ভারত শান্তি ও সংহতি অর্গানাইজেশন (এআইপিএসও) আগামী ১লা নভেম্বর নিজেদের সমস্ত ইউনিটকে সক্রিয় কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানাচ্ছে।
সম্পাদকমণ্ডলী
সারা ভারত শান্তি ও সংহতি অর্গানাইজেশন
নয়া দিল্লী