পলিটব্যুরো সদস্য ,মহম্মদ সেলিমের প্রেস বিবৃতি শোনার জন্য উপরের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দিল্লি থেকে করা এ রাজ্যবাসীর উদ্দেশে জনসভার প্রতিবাদে পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম (Mohammad Salim) বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে রাজ্যের মানুষ যখন অসহায় অবস্থায়, অর্থনীতিতে সঙ্কট, সঙ্গে রয়েছে আমফানের বিপর্যয়, সেই সময় ভোট চাইছেন অমিত শাহ। প্রাক্তন এই সাংসদ বলেন, “সোনার বাংলা গড়ার নামে হাজারও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন অমিত শাহ, তবে বাস্তবে, দেশের বাংলা ভাষী মানুষদের সিএএ এবং এনআরসির নামে তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করতে চাইছেন”।
মহম্মদ সেলিম আরও বলেন, রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং সড়ক যোজনা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কিছুই কোনও পদক্ষেপ করেনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। তাঁর দাবি, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অনেকটাই সরব ভারতীয় জনতা পার্টি, তবে কোনও ইস্যুতেই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্র। বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাত মিলিয়ে চলার অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, গণতন্ত্রকে কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়েছে বিজেপি, তাকে আইসিইউতে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি - মমতার আঁতাত এর প্রশ্ন তুলে বলেন, কাদা না হলে তো পদ্ম ফোটে না। তাই RSS বিজেপি কে রাজ্যে আনার জন্য পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলের জন্ম দিয়েছে।
সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমের কথায়, “দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থাকা সত্ত্বেও, মনরেগায় কাজের দিন ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করার খুবই প্রয়োজন রয়েছে, যদিও গ্রাম ও শহরের গরীব মানুষের জন্য কিছুই করা হচ্ছে না”।
তাঁর দাবি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ভোগান্তি সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় বেশি আগ্রহী নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র কয়েকশো ছিল, সেই সময়, দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা এবং যখন আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ পেরিয়েছে সেই সময় লকডাউন শিথিল করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
দেশে করোনার যথাযথ সংখ্যায় পরীক্ষা না করার অভিযোগ তুলে সেলিম বলেন, আড়াই মাস লকডাউনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়নি কেন্দ্র।
সেলিম বলেন, ১)জাত পাত, ধর্ম, ভাষা নির্বিশেষে ঐক্য সব থেকে বড় কথা। তাকে রক্ষা করতে হবে।
২)অর্থনৈতিক পচন থেকে, দেশ ও রাজ্য কে উদ্ধার করতে হবে।
৩)বিভাজনের রাজনীতি করে যাদের মগজ কলুষিত করা হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠান গুলোকে জাগাতে হবে।
আমাদের বাংলার হৃত গৌরব, তৃণমূল -বিজেপি গত ৯ বছর ধরে নষ্ট করছে ,তাকে পুনরুদ্ধার করতে গেলে বাংলায় লাল ঝান্ডা কে আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শেয়ার করুন