২৭তম রাজ্য সম্মেলন সফল হোক

বিমান বসু

আমরা অবগত রয়েছি যে ১৮৪৮ সালে কাল মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস লন্ডনে কমিউনিস্ট লীগের জন্য কমিউনিস্ট ইশ্‌তেহার লিখেছিলেন। এই ইশ্‌তেহারে রাষ্ট্রের চরিত্র এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবন যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছিলেন। সংক্ষেপে উল্লেখ করলে বলতে হয়, শোষণ ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন সংঘটিত করতে মজুরশ্রেণিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। মজুরশ্রেণি অর্থাৎ শ্রমিকশ্রেণি যাদের মেহনতের উপরে মালিকশ্রেণি মুনাফার পাহাড় তৈরি করে তার পরিবর্তন শ্রমিক শ্রেণির দর্শনের ভিত্তিতেই করা সম্ভব। তৎকালে কেউ কেউ এই কথা ঘিরে ঠাট্টা ইয়ার্কি করেছে। কিন্তু প্রায় সাত দশকের ব্যবধানে ১৯১৭ সালে বিপ্লবাত্মক কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে সেই শ্রমিক শ্রেণিকে সংগঠিত করে কমরেড লেনিনের নেতৃত্বে জার-সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে শ্রমিক শ্রেণির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এই ঘটনায় সারা পৃথিবীতে রুশ বিপ্লব এবং কমরেড লেনিনকে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ১৯১৭ সালে বলশেভিক বিপ্লবের আলোয় আলোকিত হয়ে সারা দুনিয়ার শ্রমজীবী মানুষ যখন আপন মুক্তির সন্ধানে নানারকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন এদেশেও গড়ে ওঠে ছোট বড় নানা নামে কমিউনিস্ট গোষ্ঠী। ছাত্র-যুব আন্দোলন, শ্রমিক-কৃষক আন্দোলন, সাম্রাজ্যবাদ-সামন্তবাদ বিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন ধারার সংগ্রামী মানুষ গ্রহণ করেন মার্কসবাদ-লেনিনবাদ। ভারতের মতো ঔপনিবেশিক দেশগুলিতে রুশদেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের স্বার্থে যে নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা নিয়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে কমরেড এম এন রায়ের নেতৃত্বে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর প্রবাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে ওঠে।

১৯২০ সালে প্রবাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে উঠলেও দেশের অভ্যন্তরে কমিউনিস্ট কার্যকলাপ ১৯২১ সাল থেকে দানা বাঁধতে শুরু করে, যা খানিকটা ১৯২৫ সালে কানপুর সম্মেলনে সংহত করার উদ্যোগ তৎকালীন নেতৃত্ব নিয়েছিলেন। আবার কলকাতাতেও ১৯৩৩ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সর্বভারতীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে একটি গোপন সম্মেলনে মিলিত হয়ে পার্টিকে সংহত করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। মতাদর্শ বাদ দিয়ে তো কমিউনিস্ট পার্টি হয় না, তাই মার্কসবাদ লেনিনবাদের দর্শনকে সামনে রেখেই তদানুযায়ী জনগণকে সংগঠিত করার, বিশেষ করে শ্রমিক কৃষক ও মেহনতকারী মানুষকে সংগঠনের অভ্যন্তরে নিয়ে আসার কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। আর এই কাজ করতে কমিউনিস্ট কার্যকলাপের সফলতা ও বিফলতা যৌথ আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট করতেই পার্টি সম্মেলন বা সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে পার্টি কংগ্রেসে মিলিত হতে হয়।

বঙ্গ-প্রদেশে রাজ্যগত সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করতে আমাদের পূর্বসূরিরা ১৯৩৪ সালে কলকাতার মেটিয়াবুরুজে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় প্রথম সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। তখন দেশ পরাধীন। স্বাভাবিকভাবেই, ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধেই প্রধান বর্ষাফলক রেখে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের আদর্শ অনুযায়ী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। অনুরূপভাবে ১৯৩৮-৩৯ সালে দ্বিতীয় ও ১৯৪৩ সালে তৃতীয় রাজ্য সম্মেলন যথাক্রমে ফরাসি উপনিবেশ হুগলী জেলার চন্দননগর ও কলকাতার ভারত সভা হলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চতুর্থ রাজ্য সম্মেলন থেকে অর্থাৎ স্বাধীন ভারতে পার্টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই দেশের বুর্জোয়া জমিদার শ্রেণির স্বার্থে পুঁজিবাদী কায়দায় শাসকগোষ্ঠীর শোষণ বঞ্চনা ও মানুষের অধিকার হরণের প্রতিবাদে সোচ্চার হতে সম্মেলনগুলিতে কমিউনিস্টরা মিলিত হয়েছেন।

এবার আমরা স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)র রাজ্য সম্মেলনে মিলিত হতে চলেছি ২২- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ হুগলী জেলার ডানকুনি উপনগরীতে। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার গড়ে ওঠার পর ১৪টি রাজ্য সম্মেলনের মধ্যে একটা শিলিগুড়ি, বেশিরভাগ কলকাতায়, দু’টি ২৪ পরগনার উভয় জেলায় এবং একটি হাওড়া জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। হুগলী জেলায় উত্তরপাড়ার হিন্দ মোটর অর্থাৎ গাড়ি কারখানা উঠে গেলেও গঙ্গার ধার ধরে বহু কলকারখানা রয়েছে, রয়েছে বিস্তীর্ণ কৃষি ক্ষেত্র। এই জেলায় নানা ধরনের শাক-সবজি, আলু ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদিত হয়। হুগলী জেলা মাছ এবং পান চাষেও পিছিয়ে নেই। জেলায় শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর সংগঠিত করার কর্মতৎপরতাও উল্লেখযোগ্য।

এই জেলায় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার কর্মতৎপরতা লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্বাভাবিকভাবে রাজ্য সম্মেলন পরবর্তী সময়ে জেলার পার্টি নেতৃত্ব অবশ্যই রাজ্য সম্মেলনের সিদ্ধান্ত এবং জেলা সম্মেলন থেকে আশু কর্মসূচি যা গ্রহণ করা হয়েছে তাকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে অগ্রসর হবে।

২৭তম রাজ্য সম্মেলনের প্রাক মুহূর্তে আমাদের একটু ফিরে দেখা প্রয়োজন। ভারতের বুকে পার্টি গড়ে ওঠার পর থেকে আমরা অনেক সম্মেলনে এবং পার্টি কংগ্রেসে মিলিত হয়েছি। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে পার্টি কর্মসূচি ও সেভাবে পার্টি কর্মনীতি গ্রহণ করতে পারেনি, কারণ রাষ্ট্র কাঠামোর শ্রেণি চরিত্র ও তার অভিমুখ সম্পর্কে তৎকালীন নেতৃত্ব বিস্তর আলোচনা করেছেন কিন্তু সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে যে কর্মনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তাও সঠিকভাবে রাষ্ট্রের চরিত্র বিশ্লেষণ করে দিক নির্দেশকারী নীতি হিসাবে পার্টির অভ্যন্তরে নেতৃত্ব ও কর্মীদের সঠিক দিশা দেখাতে পারেনি। এই সমস্যার কারণে গত শতাব্দীর ষাটের দশকের প্রায় মধ্যভাগ পর্যন্ত আমাদের পার্টিকে কর্মসূচিবিহীন অবস্থায় পথ চলতে হয়েছে। অনেক বড় বড় আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, কমিউনিস্টদের আন্দোলন সংগ্রামকে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমর্থন করেছে। বলা যায় সপ্তম পার্টি কংগ্রেস যা কলকাতায় ১৯৬৪ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে ত্যাগরাজ হলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানেই রাষ্ট্রের চরিত্র বিশ্লেষণ করে আশু কর্মসূচি ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নির্ধারণ করে পার্টি কর্মসূচি নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। পার্টি কর্মসূচিকে ২০০০ সালে ত্রিবান্দমে অনুষ্ঠিত বিশেষ পাটি কংগ্রেসে সময়োপযোগী করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই পরিবর্তন করার প্রয়াজন দেখা দিয়েছিল ১৯৯০-৯১ সালে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ফলশ্রুতি হিসাবে।

আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনে মতাদর্শগত দিক থেকে বেশ কিছু বিতর্কের সূত্রপাত হয়, গত শতাব্দীর ষাটের দশকের প্রাক্কালে এবং ষাটের দশকের পরবর্তী সমযেও সেই বিতর্ক চলতে থাকে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে এই ধরনের বিতর্কের প্রেক্ষাপটে বিশেষ মতাদর্শগত বক্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করার জন্য ১৯৬৮ সালে বর্ধমানে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে পার্টি কর্মসূচি ও পার্টি গঠনতন্ত্র এবং ১৯৬৮ সালে মতাদর্শগত দলিল নির্দিষ্ট হওয়ায় ভারতের বুকে কমিউনিস্ট পার্টি ও বিভিন্ন গণসংগঠন বিশেষ করে শ্রেণি সংগঠন সুস্থ পরিবেশে গড়ে ওঠে। ধান ভাঙতে শিবের গীত গাওয়ার জন্য উপরোক্ত আলোচনা উল্লেখ করলাম তা নয়, কমিউনিস্ট পার্টি ভারতের কোনও রাজ্যে গড়ে তুলতে এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপ পরিচালনা করতে সর্বভারতীয় প্রেক্ষিত বাদ দিয়ে সেই আলোচনা কখনও করা যায় না বা করা উচিত নয়। তাই সম্মেলনকে ঘিরে টুকরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা এই লেখায় উল্লেখ করতে হলো।

আমাদের রাজ্যে আমরা ২৭ তম রাজ্য সম্মেলন শেষ করে মিলিত হবো এপ্রিল মাসের সর্বভারতীয় পাটি কংগ্রেসে তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে। সর্বভারতীয় পার্টি কংগ্রেস ছাড়াও আমরা ১৯৭৮ সালে হাওড়া জেলার সালকিয়াতে সাংগঠনিক প্লেনামে মিলিত হয়ে সংগঠনের কাজকর্মের চুলচেরা বিচার করে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। আবার ২০১৫ সালে কলকাতায় সর্বভারতীয় সাংগঠনিক প্লেনাম থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচি নির্দিষ্ট করেছিলাম। স্বাভাবিকভাবে সর্বভারতীয় পার্টি প্লেনামে ২০১৫ সালে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে রাজ্যে সংগঠনকে স্ট্রিম লাইনড করার জন্য এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের মধ্যে কাজ করার জন্য তাদের কতটা পার্টির পতাকাতলে সমবেত করতে পেরেছি তারও বিচার বিশ্লেষণ আমাদের রাজ্য সম্মেলনে করার প্রয়াজন দেখা দেবে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সাংগঠনিক প্লেনামে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৮ সালের মধ্যে অন্তত মোট পার্টি সদস্যের শতকরা ২৫ ভাগ মহিলাদের মধ্য থেকে গ্রহণ করার। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তফসিলি জাতি ও আদিবাসীদের মধ্য থেকে সদস্য সংখ্যাও বাড়ানোর কর্মসূচি নেওয়ার। আজ ৯ বছর পরে আমরা এক্ষেত্রে কতটা সাফল্য লাভ করতে পেরেছি, তার বিচার তো আমাদেরই করতে হবে। এ কাজ তো অন্য কেউ করে দেবে না।

আমাদের মনে রাখতে হবে যে ভারতের বুকে তথা আমাদের রাজ্যে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তুলতে বিগত ৯১ বছর ধরে হাজার হাজার পার্টির নেতা কর্মী শহীদ হয়েছেন বা অত্যাচার নির্যাতনের ফলশ্রুতিতে পঙ্গুত্বের জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছেন। অগণিত কমিউনিস্ট নেতা কর্মী ত্যাগ-তিতিক্ষার আদর্শ স্থাপন করেছেন শোষণের সমাজব্যবস্থার পরিবর্তনের লড়াই সংগ্রামে যুক্ত থেকে। ঐ সব কমরেডদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণে রেখে আমরা এখন যারা রাজনৈতিক মতাদর্শকে গ্রহণ করে পার্টি কর্মসূচি ও পার্টি গঠনতন্ত্রকে মান্য করে পার্টি প্রসারের কাজে যুক্ত রয়েছি, তাদের ভাবনা চিন্তা করতে হবে তারা কি পার্টির প্রয়োজনীয় কাজে নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলছেন? নিশ্চয়ই অনেকেই করছেন কিন্তু সবাই করবেন না কেন? শাখা থেকে জেলা পর্যন্ত পার্টির সম্মেলন শেষ করেই আমরা রাজ্য সম্মেলনে মিলিত হব। রাজ্য সম্মেলনে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের ব্যক্তিগত আলোচনার সুযোগ থাকে না। কিন্তু শাখা থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত সম্মেলনে এই সমালোচনা ও আত্মসমালোচনার ব্যাপক সুযোগ থাকে, তা অবশ্যই ভবিষ্যতে করতে হবে।

ভারতের রাজনীতিতে যে প্রক্রিয়ায় সম্প্রদায়িকীকরণের কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষে মানুষে ঐক্য সংহতি বিরোধী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে এবং স্বৈরাচারী চেহারা ফুটে উঠছে তাকে আমাদের হিসাবে রাখতে হবে। অন্যদিকে এ রাজ্যে যে কায়দায় মিথ্যাচার, অনাচার, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজনীতি চলছে সে সম্পর্কেও রাজ্যবাসীকে অবহিত করতে জনসংযোগ বহুগুণ বৃদ্ধি করতে হবে। এই উভয়বিধ অশুভ জনবিরোধী শক্তি সম্পর্কে জনগণকে সজাগ ও সতর্ক করতেই হবে। যে কাজ জনগণকে সংগঠিত করে মাঠে নেমেই করতে হবে।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র ২৭ তম ডানকুনি সম্মেলন পার্টির নিয়মনীতি মান্য করে গঠনমূলক আলোচনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে জেলায় জেলায় পার্টির শক্তিকে সংহত করে প্রসারিত করবে প্রত্যাশা করছি। প্রত্যাশা করছি সিপিআই (এম)’র শক্তি বৃদ্ধি করে সত্যিকারের বামপন্থীদের যুক্ত আন্দোলনকে প্রসারিত করতে ২৭তম সম্মেলন সফল হবে। সংসদীয় রাজনীতিতে এরাজ্যে আমাদের পার্টি অন্য বামপন্থী এবং জাতীয় কংগ্রেস বিধানসভায় ও লোকসভায় শূন্য অবস্থানে আছে। এই বাস্তব সত্যকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করে সত্যিকারের বিকল্প হয়ে ওঠার কর্মযজ্ঞে তৃণমূল-বিজেপি বিরোধী অসাম্প্রদায়িক শক্তির উন্মেষ ঘটাতে আমরা সহ অন্য বামপন্থীদের গভীর আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়ে সঠিক বোঝাপড়ায় পৌঁছাতেই হবে। এই কঠিন এবং জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নতুনভাবে আমাদের শক্তির বিন্যাস ঘটাতেই হবে।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র ২৭তম রাজ্য সম্মেলন নতুন দিশা দেখাবে প্রত্যাশা করছি। ২৭তম রাজ্য সম্মেলন জিন্দাবাদ।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন