২৩ জুলাই ২০২৩ (রবিবার)
ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র চন্দ্রশেখর আজাদ। ‘প্রকৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের’ এই শব্দমালা ব্যবহার করার কারণ বর্তমানে বিজেপি (যার মূল চালিকা শক্তি আরএসএস) এমন কিছু ব্যক্তিত্বকে স্বাধীনতা সংগ্রামী বানাবার চেষ্টা করছে যাদের দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ন্যূনতম ভ‚মিকাও নেই। কেন্দ্রের সরকারের ক্ষমতায় থাকার সুবিধা নিয়ে ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থার অনৈতিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিজেপি সমস্ত কিছুর সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেও বিকৃত করছে। চন্দ্রশেখর আজাদ, যার আসল নাম চন্দ্র শেখর তিওয়ারী, জন্ম ২৩ জুলাই, ১৯০৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের আলিরাজপুর রাজ্যের ভাভরাতে (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ)। বাবার নাম সীতারাম তিওয়ারী, মা জগরানী দেবী। চন্দ্র শেখরের মা চেয়েছিলেন ছেলেকে সংস্কৃত ভাষায় পন্ডিত বানাতে। তাই চন্দ্র শেখরকে ছোট বেলায় পাঠানো হয়েছিল বেনারসের কাশি বিদ্যাপীঠে।
১৯২০ সালে গান্ধীজি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের সূচনা করেন। ১৫ বছর বয়সী চন্দ্র শেখর এই আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন ও আন্দোলনে যোগদান করেন। ফলস্বরূপ তিনি ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হলে তিনি নিজের নাম ‘আজাদ’ (মুক্ত) বলে জানান। বাবার নাম বলেন ‘স্বতন্ত্রতা’ (স্বাধীনতা) ও বাসস্থান ‘জেল’ বলে উল্লেখ করেন। এই কথা শুনে ম্যাজিস্ট্রেট রেগে গিয়ে চন্দ্র শেখরকে বেত মারার আদেশ দেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে ছোট বেলা থেকেই চন্দ্র শেখর অকুতোভয় ও আত্মত্যাগের প্রাণশক্তিতে ভরপুর ছিলেন। এর আগে ১৯১৯ সালের ১৩ই এপ্রিলের জালিয়ানওয়ালা বাগের ঘটনা কিশোর চন্দ্র শেখরের মনে গভীর রেখাপাত করেছিল। তখন থেকেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের ইচ্ছা তার মধ্যে জেগে উঠেছিল।
১৯২২ সালে চৌরিচৌরা ঘটনার পর গান্ধীজি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। এই ঘটনা চন্দ্র শেখরকে হতাশ করেছিল। তিনি মনে করেছিলেন শুধুমাত্র এই ধরণের আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করা যাবে না। এই সময় তরুণ বিপ্লবী প্রাণবেশ চ্যাটার্জীর মাধ্যমে বিপ্লবী রাম প্রসাদ বিস্মিলের সাথে চন্দ্র শেখরের যোগাযোগ হয়। রাম প্রসাদ বিস্মিলের সাথে যোগাযোগের পরে চন্দ্র শেখর নতুন করে উৎসাহিত হন এবং তিনি ‘হিন্দুস্থান রিপাবিøকান অ্যাসোসিয়েশন’ বা ‘হিন্দুস্থান রিপাবিøকান আর্মি’-তে (HRA) যোগদান করেন। এই বিপ্লবী সংগঠনের জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থানের বৈষম্যহীন সকলের সমান অধিকার এবং সুযোগ সহ একটি স্বাধীন ভারত গঠনের ধারণায় তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। এই সময় থেকে চন্দ্র শেখর সমাজতান্ত্রিক ভাবনা-চিন্তার উপর থেকে ভিত্তি করে নতুন স্বাধীন ভারত গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত হন। ‘হিন্দুস্থান রিপাবলিকান আর্মি’ (HRA)-তে যোগ দিয়েই তিনি এই বিপ্লবী সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে তিনি এই বিপ্লবী সংগঠনের একজন সক্রিয় গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন।
১৯২৫ সালের ৯ই আগষ্ট ‘কাকোরি’ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় চন্দ্র শেখর আজাদ সহ HRA বিপ্লবী সংগঠনের সদস্যরা যুক্ত ছিলেন। মূলত সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ করতে, ভারতীয়দের মধ্যে সংগঠন সম্বন্ধে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরী করতে লখনউয়ের খুব কাছে একটি জায়গা ‘কাকোরি’-তে ট্রেনে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পরে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে রাম প্রসাদ বিস্মিল, রাজেন্দ্র লাহিড়ী, আসফাকউল্লা খান, ঠাকুর রোশন সিং সহ অন্যান্য বিপ্লবীরা গ্রেফতার হন। চন্দ্র শেখর আজাদ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। ‘কাকোরি মামলা’-তে রাম প্রসাদ বিস্মিল, রাজেন্দ্র লাহিড়ী, আসফাকউল্লা খান, ঠাকুর রোশন সিং-এর ফাঁসি হয়। অন্যান্য বিপ্লবীদের কারাদন্ডের আদেশ হয়।
‘কাকোরি’ ঘটনার পর ব্রিটিশ পুলিশ বিপ্লবী সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ বন্ধ করতে উঠেপরে লাগে। এই সময় চন্দ্র শেখর আজাদ অন্যান্য বিপ্লবীদের সাথে বিপ্লবী কার্যকলাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। HRA বিপ্লবী সংগঠনের কার্যকলাপ আবার আগের মত করতে চন্দ্র শেখর আজাদ উদ্যোগী হন। এই সময় বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনগুলো একে অপরের কাছাকাছি আসে। ১৯২৮ সালে চন্দ্র শেখর আজাদ মূলত ভগৎ সিং-এর প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ‘হিন্দুস্থান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন’-কে ‘হিন্দুস্থান সোস্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন’ (HSRA) নামে পুনর্গঠন করেন। এই পুনর্গঠনের সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে Communist International--এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার কার্যকলাপ সংগঠিত করবে।
১৯২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি কমিশন গঠন করে। যার নেতৃত্বে ছিলেন স্যার জন সাইমন। যা ‘সাইমন কমিশন’ নামে পরিচিত। কিন্তু এই কমিশনের সদস্যদের মধ্যে একজনও ভারতীয় না থাকায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই কমিশনের সদস্যরা ১৯২৮ সালের ৩০ অক্টোবর লাহোরে গেলে লালা লাজপত রায়-এর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু তৎকালীন সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ, জেমস এ স্কটের নেতৃত্বে সেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর নৃশংস লাঠিচার্জ করা হয়। লালা লাজপত রায় গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে ১৭ নভেম্বর তিনি মারা যান। খবর ছড়িয়ে পরে ব্রিটিশ পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হবার জন্যই ওনার মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপতি হলে ব্রিটিশ সরকার বিষয়টি অস্বীকার করে। ভগৎ সিং এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন। ভগৎ সিং-এর সাথে যোগদান করেন শিবরাম রাজগুরু, শুকদেব থাপর, জয় গোপাল ও চন্দ্র শেখর আজাদ। জেমস এ স্কটকে হত্যাকরার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন ওনারা। কিন্তু ভুল ব্যক্তিকে জেমস এ স্কট হিসাবে চিহ্নিত করণের জন্য জেমস এ স্কট মারা না গিয়ে অন্য পুলিশ অফিসার জন পি স্যান্ডার্স নিহত হন। পালানোর সময় চন্দ্র শেখর আজাদের কভার ফায়ারিং-এ কনস্টেবল চান্নান সিং মারা যান। ব্রিটিশ পুলিশ এবারও বিপ্লবীদের ধরতে পারে না। তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
১৯২৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড আরউইন যখন স্পেশাল ট্রেনে চেপে দিল্লী থেকে আগ্রা যাচ্ছিলেন তখন ট্রেন লাইনে বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনার সাথে চন্দ্র শেখর আজাদ যুক্ত ছিলেন। অল্পের জন্য লর্ড আরউইন অক্ষত অবস্থায় মৃত্যু থেকে রক্ষা পান।
চন্দ্র শেখর আজাদ ছিলেন সমাজতান্ত্রিক চিন্তা ভাবনায় উদ্বুদ্ধ একজন বীর সন্তান। তিনি তাঁর সহযোদ্ধা শিব বর্মার কাছ থেকে ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্ট’ বিষয়ে জ্ঞান আরোহন করেছিলেন। তিনি সব সময় নিজের সাথে সত্যভক্তের লেখা ABC of Communism বইটি রাখতেন। সহযোদ্ধাদের মার্কসীয় চিন্তা ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করতেন। একই সাথে তিনি ছিলেন একজন দক্ষ বন্দুক বাজ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবীদের মধ্যে চন্দ্র শেখর আজাদের কীর্তি অবিস্মরনীয়।
ব্রিটিশ পুলিশ চন্দ্র শেখর আজাদকে গ্রেফতার করার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিল। শোনা যায় শুধুমাত্র চন্দ্র শেখর আজাদকে ধরবার জন্য ব্রিটিশরা প্রায় সাতশো পুলিশ নিয়োগ করেছিল। এছাড়াও তার খোঁজ দিতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণাও ছিল ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষ থেকে। ১৯৩১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারী এলাহাবাদের সিআইডি হেডের কাছে খবর আসে চন্দ্র শেখর আজাদ অ্যালফ্রেড পার্কে সহযোদ্ধা শুকদেব রাজের সাথে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। খবর পাওয়া মাত্রই CID হেড জে.আর.এইচ. নট বোয়ার এলাহাবাদ পুলিশকে সাথে নিয়ে পার্কটি ঘিরে ফেলেন। আজাদকে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। কিন্তু নিজেকে ‘আজাদ’ (মুক্ত) বলে ছোটবেলা থেকে যিনি পরিচয় দিতেন তিনি কি আর ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেন। শুরু হয় গুলির লড়াই। তিনজন পুলিশ আজাদের গুলিতে মারা যায়, আজাদও গুরুতর আহত হন। তিনি সাথী শুকদেব রাজকে পালাতে বলেন। আজাদের কভার ফায়ারিং-এর সাহায্যে শুকদেব রাজ পালাতে সক্ষম হন। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর আজাদের গুলি শেষ হয়ে আসে। শেষ একটি মাত্র বুলেটটি তিনি নিজের শরীরেই ফায়ার করেন। ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ধরা না দিয়ে বীরের মৃত্যু বরণ করেন। আজাদের মৃত দেহকেও পুলিশ ভয় পেয়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ তারা মৃতদেহর কাছে যেতেও শঙ্কিত বোধ করে। পরে তার মৃত দেহ রসুলবাদ ঘাটে পোড়ানোর জন্য লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর যখন মানুষ এই ঘটনা জানতে পারে তখন তারা অ্যালফ্রেড পার্কে জড়ো হয়। পুরো চত্বরে ব্রিটিশ বিরোধী ¯েøাগানে সোচ্চারিত হয়ে ওঠে |
চন্দ্র শেখর আজাদ তার কাজ ও মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বীরত্বের এক নতুন পরিভাষা লিখেছিলেন। ওনার মৃত্যুর পর ওনার দ্বারা শুরু হওয়া আন্দোলন আরও গতি পেয়েছিল। চন্দ্র শেখর আজাদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হাজার হাজার যুব স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পরে।
আজকের দিনেও চন্দ্র শেখর আজাদের মত স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। যে নতুন স্বাধীন ভারত গঠনের স্বপ্ন নিয়ে সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছিলেন, যে মতাদর্শ, ভাবনা-চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। বর্তমান কেন্দ্রের সরকারে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি (যার মূল চালিকা শক্তি আরএসএস) স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে কলুষিত, বিকৃত করতে উঠেপরে লেগেছে। যে বিজেপি-র পূর্বসূরীদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ন্যূনতম অংশগ্রহণের কোন ইতিহাস নেই তারা আজ সব থেকে বড় দেশভক্ত সাজতে চাইছে। যারা পরাধীন ভারতে ব্রিটিশদের দালালি করেছে, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ব্রিটিশ পুলিশদের হাতে ধরিয়ে দিতে তথ্য সরবরাহ করেছে, মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভৃত্যগিরি করতে চেয়েছে তাদের আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী বানানোর প্রচেষ্টা করছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে জানকবুল লড়াইও জারি রয়েছে। সেই লড়াইকে আরও তীব্র করতে চন্দ্র শেখর আজাদের মত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করা খুবই প্রয়োজনীয়|
চন্দ্র শেখর আজাদ স্বপ্ন দেখতেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সামাজিক অবস্থানের বৈষম্যহীন নতুন স্বাধীন ভারতের। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিজেপির শাসনকালে এই ধারণাকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে ফেলতে প্রতিদিন ষড়যন্ত্র রচিত হচ্ছে। ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’ - এই ধারণার পরিপন্থী রাজনৈতিক দর্শনের ধারক বাহক বিজেপি আজ কেন্দ্রের সরকারে অধিষ্ঠিত। স্বাভাবিক ভাবেই এরা আজ মানুষের মধ্যে বিভেদ, বিরোধ তৈরী করতে, ঐক্য-সংহতি-সম্প্রীতি ধ্বংস করতে উদ্যত। তাইতো নরেন্দ্র মোদীর প্রধান মন্ত্রিত্বে ধর্মের নামে কয়েক হাজার দাঙ্গা হয়। জাতের নামে দলিত মানুষের উপর নৃশংস আক্রমণ সংগঠিত হয়। বিলকিস বানুর মত লক্ষ নারীর ধর্ষনকারীরা ও হত্যাকারীরা সাজা পেয়েও জেল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে ও উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান করা হয় না শুধুমাত্র দলিত ও আদিবাসী হবার কারণে। এই সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াইকে শক্তিশালী, তীব্র করতে হবে। সর্বোপরি বিজেপি সহ সব সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উৎখাত করতে হবে। যারা ‘নতুন ভারত’-এর নামে দেশের সংবিধানকে প্রতিদিন আক্রমণ করছে তাদের পরাজিত করতে হবে। তবেই আমরা চন্দ্র শেখর আজাদের মত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারবো। এটাই সময়ের দাবী |
শেয়ার করুন