চিঠিতে সাক্ষরকারী একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ একযোগে নিম্নলিখিত বিবৃতি দিয়েছেনঃ
গুরুতর নিপীড়ন সহ্য করে, টিয়ারগ্যাস এবং জলকামানের ধাক্কা অগ্রাহ্য করে, বন্ধ করে রাখা রাস্তার মুখ খুলে এমনকি জাতীয় সড়ক খুঁড়ে দিয়ে কৃষকদের সাথে যুদ্ধপ্রস্তুতি সেরে রাখা পুলিশের ব্যারিকেডের বাধা পেরিয়ে অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে দশ হাজারেরও বেশি কৃষক দেশের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন। পশ্চাদপদ রাজনীতির ফসল হিসাবে সরকারের নয়া কৃষি আইনগুলি বাতিল করার দাবীতে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শনের লড়াইতে তাদের একনিস্ঠ এবং সাহসী মনোভাবের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে অভিবাদন।
দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনে বাধা দেবার যে পূর্বসিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছিল তা থেকে তাদের সরে আসতে হয় বাধ্য হয়েই, পরে তারা একটি ময়দানে কৃষকদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমোদন দেন। যদিও সেই ময়দানটি দশ হাজার কৃষকদের জন্য যথেষ্টই ছোট বলে তারা দিল্লির ভিতরে ঢোকেন। আমরা যার আএই চিঠিতে সাক্ষর করেছি তারা দাবী জানাচ্ছি যাতে রামলীলা ময়দান কিংবা ঐ আকারের কোনো ময়দান কৃষকদের সমবেত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য অনুমতি সাপেক্ষে নির্দিষ্ট হোক এবং সেই জায়গায় তাদের থাকা এবং খাবারের প্রয়োজনীয় সমস্ত বন্দোবস্ত করা হোক।
নয়া কৃষি আইনসমূহ যা ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, ন্যুনতম সহায়ক মূল্যব্যাবস্থা ধ্বংস করে দেবে এবং আমাদের দেশের কৃষিব্যাবস্থা ও কৃষক - অন্নদাতাদেরকেই উৎখাত করবে আমরা পুনরায় তা বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি–প্রকরণ মেনে বিক্ষোভরত কৃষক এবং তাদের দাবীর প্রতি নজর দেওয়া
শরদ পাওয়ার সভাপতি, এন সি পি
টি আর বালু কোষাধ্যক্ষ, ডি এম কে
সীতারাম ইয়েচুরি সাধারন সম্পাদক, সিপিআই(এম)
ডি রাজা সাধারন সম্পাদক, সিপিআই
মনোজ ঝা সাংসদ, আর জে ডি
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য সাধারন সম্পাদক, সিপিআই(এম-এল)
দেবব্রত বিশ্বাস সাধারন সম্পাদক, এ আই এফ বি
মনোজ ভট্টাচার্য সাধারন সম্পাদক, আর এস পি
শেয়ার করুন