পুশকিনের লেখা পড়তে বড় ভালবাসতেন লেনিন।
১৯২১ সাল। রাশিয়ায় চারিদিকে শুধুই অভাব, বিশেষ করে খাবারের অভাব। জনসাধারণের শরীরে পুষ্টির অভাব রয়েছে জেনে কমলালেবু খাওয়া বন্ধ করে দিলেন, দরজা বন্ধ করে খেতে শুরু করলেন। পার্টির ভিতরে গুঞ্জন শুরু হল, দরজা বন্ধ করে খাচ্ছেন মানে নিশ্চয়ই ভাল খাবারদাবার আসছে লেনিনের টেবিলে!
একদিন দেহরক্ষী কমরেডটি আচমকাই দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লেন, খাবারের নামে লেনিনের টেবিলে ছিল একবাটি কালো কফি আর একটা পোড়া পাউরুটি।
খবর গেল, লেনিন কি খাচ্ছেন!
সারা দেশ থেকে টিফিন আসা শুরু হল, লেনিনের টেবিল ভরে গেল খাবারে। দরজা ঠেলে ঢুকে পড়া সেই দেহরক্ষীকে ডেকে পাঠিয়ে আশেপাশের এলাকার সর্বত্র যত শিশু এবং অসুস্থ সহ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন তাদের হাতে সেই খাবার বিলি করে দিতে নির্দেশ দিলেন।
যেদিন মাইকেল ক্রপ্টকিন’কে কবর দেওয়া হল সেইদিন বিকালের পরে শিশু-কিশোরদের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির কমিউনে গেছিলেন লেনিন। সকলেই উত্তেজিত, সবাইকে ডেকে ডেকে লেনিন জিজ্ঞাসা করছেন “কি কি বই পড় তোমরা?”
“আমরা মায়াকোভস্কি পড়ি!”
“পুশকিনের লেখা পড় না?” – লেনিন বিশেষভাবে জানতে চাইলেন।
“না! আমরা পড়ি না! আর উনি তো একজন বুর্জোয়া লেখক! তাই আমরা সবাই মায়াকোভস্কি পড়ি!” – ছেলেমেয়েরা জানালো।
“আমার মনে হয় পুশকিনের লেখা বেশি ভাল” – স্মিত হেসে বলেছিলেন লেনিন।
উজ্জ্বল একজোড়া চোখে তাকিয়ে থাকা, স্মিত হাসি ঠোঁটে নিয়ে বিরলকেশ লেনিনের ছবিটাই আমরা মনে রাখি। এই ছবি সেই নেতার, যাকে পাহাড়ের চূড়ায় বসে থাকা ঈগলপাখির ন্যায় শ্যেন, যুক্তিজাল বিস্তার করে সবাইকে নিজের দিকে টেনে নেওয়ার অসাধারণ দক্ষতাকে অক্টোপাসের পেঁচিয়ে ধরার সাথে তুলনা করেছিলেন স্তালিন।
মার্কসবাদী দার্শনিক, প্রখর রাজনীতিবোধ সম্পন্ন লেনিন, সারা দুনিয়ায় বিপ্লবী সর্বহারা শ্রেণীর নেতা লেনিন’কে নিয়ে লেখা কম নেই।
সেইসব ইতিহাসের ভারে কিছুটা হারিয়ে যেতে বসা যে মানুষটির প্রকৃত নাম ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ, তিনি কেমন ছিলেন?
মানুষ লেনিনের খোঁজ পেতে আমাদের নির্ভর করতে হয় তার পাশে থাকা এমন কিছুজনের স্মৃতিচারণায় যারা তাকে উলিয়ানভ থেকে লেনিন হয়ে উঠতে দেখেছেন, যারা তাকে পরিশ্রমে শ্রান্ত হতে দেখেছেন, উত্তেজিত হতে দেখেছেন, আনন্দে হাসতে দেখেছেন – তার দুঃখের সাক্ষী থেকেছেন। নাঝেদজা ক্রুপ্সকায়া এমনই একজন, তিনি ছিলেন লেনিনের কমরেড ইন আর্মস বলতে যা বোঝায় তাই। লেনিনের স্ত্রী হিসাবে তার পরিচিতি অনেক পরের কথা।
নাঝেদজারই লেখা ‘রেমিনিসেন্সেস অফ লেনিন’, লেনিন-স্মৃতিচারণা। সেই বইয়ের পাতায় পাতায় আমরা খুঁজে পাই মানুষ লেনিনকে যাকে ক্রুপ্সকায়া সারা জীবন ইলিচ বলেই সম্বোধন করেছেন।
বিপ্লবী জীবনে বেশ কয়েকবার তাদের দুজনকেই নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় গ্রহন করতে হয়েছিল। রাশিয়ায় থাকাকালীন প্রথম দিকে লেনিনকে ভাল করে চিনতেন না নাঝেদজা, তখন ঘনিষ্ঠ এক কমরেডের থেকে শুনেছিলেন ‘বিজ্ঞান-যুক্তিবাদে লোকটি ভীষণরকম দক্ষ, কিন্তু সাহিত্য বলতে প্রায় কিছুই জানে না, ওসব কবিতা-উপন্যাস পড়ে না’। একথা শুনে ক্রুপস্কায়া কিছুটা হলেও হতাশ হন, নিজের মনে লেনিন সম্পর্কে সেই হতাশা চেপে রেখেই দেখা করলেন লোকটির সাথে।
লক্ষ্য করলেন রাশিয়ার সর্বহারা জনসাধারণের (লেনিনের ভাষায় শ্রমিক এবং কৃষক) জীবনযাপনের প্রায় প্রতিটি খুঁটিনাটি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিফহাল লেনিন।
সাইবেরিয়াতে নির্বাসনে থাকাকালীন তারা দুজনে প্রথমবার একে অন্যকে কাছ থেকে দেখার, জানার, বোঝার সুযোগ পেয়েছিলেন। ক্রুপস্কায়া লিখেছেন, ‘ইলিচের মাথার কাছেই রাখা থাকতো তুর্গেনেভ, পুশকিন, লের্মেন্তভ, নেক্রাসভের লেখা বই। সাহিত্যে তার দখল পরীক্ষা করতে গিয়ে বুঝলাম যাবতীয় ধ্রুপদী সাহিত্য (ক্ল্যাসিক্স) সে একেবারে গুলে খেয়েছে’। কিছুদিন পরেই লেনিনের বাক্সর ভিতর থেকে একটি অ্যালবাম খুঁজে পেলেন, তাতে এমিল জোলা, চের্নিসেভস্কি, হার্জেন ও পিসারেভের ছবি সেঁটে রাখা। সেই সময় লেনিন আরেকবার গ্যেটে’র ‘ফাউস্ট’ পড়তে শুরু করেছেন, তারই সাথে পড়ছেন জার্মান ভাষায় ছাপা হাইনে’র কবিতা।
মিউনিখে থাকার সময় দুজনে একসাথে পড়েছেন জেরহার্তের ‘ব্যেই মামা’, পোলেঞ্জের ‘ব্যুত্নার বাউয়ার’।
প্যারিসে লেনিন সারাদিনের বেশিরভাগ সময়টা ব্যয় করতেন বিভিন্ন শ্রমিক মহল্লায় ঘুরে বেড়িয়ে, নাহলে কম খরচে বাসের টিকিট কেটে চলে যেতেন দূরের গ্রামগুলিতে। ঢুকে পড়তেন মজদুরদের জন্য নির্মিত সস্তার হোটেলে, পানশালায়। আসলে খুঁটিয়ে দেখতে চাইতেন সেইদেশে সর্বহারা জীবন কিভাবে চলছে, তারা কি বলছে, কি করছে এমনকি কি পড়ছে বা কি গান গাইছে অবধি। এভাবেই একদিন পরিচিত হলেন প্যারি কমিউনের একজন বিপ্লবী কমিউনার্ডের সন্তান মন্তেগুস’র সাথে। দুজন একে অন্যের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেন, ভাষার ব্যবধান পেরিয়ে দুজনেই বিভোর হতেন আগতপ্রায় বিপ্লবের স্বপ্নে। ক্রুপস্কায়া সেই আড্ডার বর্ণনা দিতে লিখেছেন ‘একে অন্যের কথা সবটা বুঝতে না পারলেও তারা দুজনেই বিপ্লবের স্বপ্নে ডুবে যেতে ভালবাসতেন, আর কে না জানে অন্য ভাষায় স্বপ্ন দেখা আরোই সহজ’।
লেনিন মন্তেগুস’কে বিশেষ পছন্দ করতেন। পরবর্তীকালে মন্তেগুস নিজের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে ফেলেন, শোভিনিস্টদের দলে ভিড়ে যান। অনেক দিন পরেও লেনিন একা চুপচাপ থাকার সময় ‘….বাট নেভার উইল ইউ হ্যাভ আওয়ার হার্টস’ গুনগুন করে গাইতেন। বিশেষ করে ১৯০৯ সাল নাগাদ দেশের বাইরে থাকার সময়, রাশিয়াতে বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
লেনিন থিয়েটার দেখতে বিশেষ পছন্দ করতেন, দেশে বাইরে নির্বাসিতের জীবনযাপনের সময়েও ক্রুপস্কায়া এবং লেনিন নিজেদের অন্যান্য খরচ বাঁচিয়ে থিয়েটার দেখতে যেতেন। অনেক সময়েই প্রথম দৃশ্য শেষ হওয়ার পরেই থিয়েটার ত্যাগ করে বেরিয়ে যেতেন, সারা জীবন বাহুল্যতা, অতিকথন ও যা কিছু অহেতুক, বাড়তি সেইসব এড়িয়ে চলেছেন লেনিন। থিয়েটারে অভিনেতারা এমন কিছু করলেই তিনি বিরক্ত হতেন। বিপ্লবোত্তর রাশিয়ায় লেনিনের জীবন নিয়ে একটি থিয়েটার প্রদর্শিত হওয়ার সময়েও বিরক্তিতে হল ছেড়ে বেরিয়ে যান। ক্রুপস্কায়া উল্লেখ করেছেন ‘সাইবেরিয়াতে আমরা সবে একে অন্যকে কাছ থেকে জানার সুযোগ পেয়েছি, একে অন্যকে ভালবেসেছি – দুজনের বয়সও তখন কিছুটা কম, আর থিয়েটারে নির্দেশক মশায় কিনা আমাদের দিয়ে কবিতা অনুবাদ করিয়েই গোটা পর্বটা কাটিয়ে দিলেন’!
অমানবিক, অতিপ্রাকৃত কোনকিছুতে আগ্রহ ছিল না লেনিনের, সেই জন্যই অন্য অনেকের থেকে ভাল বুঝতেন রাশিয়ার জনসাধারণ কি চায়।
সেই কারনেই টলস্টয়’কে বলতেন ‘রাশিয়ার আয়না’, ম্যাক্সিম গোর্কি সম্পর্কে ছিলেন বিশেষ উৎসাহী।
১৯১৫ সালে বার্নে থাকার সময় টলস্টয়ের নাটক ‘দ্য লিভিং কর্পস’ অভিনীত হচ্ছে শুনে দুজনে হলে এসে হাজির হলেন এবং সেই অভিনয় অনেকদিন অবধি লেনিনের মনে ছিল, বারে বারে সেকথা উল্লেখ করতেন তিনি। ১৯২২ সালে শেষ থিয়েটার দেখতে গেছিলেন, সেবার চার্লস ডিকেন্সের ‘ক্রিকেট অন দ্যি হার্থ’ নাটক মঞ্চস্থ হয়।
বিপ্লবোত্তর রাশিয়াতে শিল্প-সাহিত্যে নতুন ধারা চর্চার জোয়ার এসেছিল। সেই চর্চায় কিছুটা নৈরাজ্য বাকিটুকু ইউরোপের অন্ধ অনুসরণ খুঁজে পেয়েছিলেন। ক্লারা জেটকিনের সাথে আলোচনার সময়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন – ‘যুগ যুগ ধরে যে দেশে জনসাধারনের সমস্ত মানবিক উচ্চাশাকে দাবিয়ে রাখা হয়েছে বুটের তলায়, বাধ্য করা হয়েছে ইতর জীবনযাপনে সেই দেশে বিপ্লবের পরে কিছুদিন এমনটা হতে বাধ্য। এখন কিছুটা ধৈর্যসহ চলতে হবে। কিন্তু কমিউনিস্টরা কিছুতেই নৈরাজ্য প্রতিষ্ঠা হতে দেবে না, তারা সেই ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে’।
নতুন ধারার শিল্প-সাহিত্য চর্চার নামে পুরাতন যা কিছু সবই গোল্লায় যাক এহেন মনোভাবের প্রতি তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন ‘একি ঈশ্বরের সমীপে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ নাকি যে সুন্দর হওয়া স্বত্বেও কোনকিছুকে শুধুমাত্র এইজন্য বাতিল করতে হবে কারন সেটি পুরানো! বলা হচ্ছে যা কিছু নতুন তাই নাকি সুন্দর – এমন মনোভাব একেবারেই ছাইপাঁশ! এসব আসলে ইউরোপীয় হাল ফ্যাশনের অন্ধ অনুকরণ ব্যাতিত আর কিছুই না। শিল্প-সাহিত্যে সুন্দর যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে সেইসবই সংরক্ষণ করে রাখা হবে। পুরানো বলেই বাতিল করে দেওয়া কোন নীতি হতে পারে না’।
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ক্লারা জেটকিন’কে বলেন ‘তাহলে তো এখন আমায় নিজেকে বর্বর ঘোষণা করতে হবে! এক্সপ্রেশনিজম, ফিউচারিজম, কিউবিজম এবং অন্যান্য ইজমের নামে যা সব চলছে আমি তো তার কিছুই বুঝতে পারিনা। এসব থেকে আমি কোন আনন্দই পাই না। বিপ্লবের আশায় অনুপ্রাণিত মানবীয় মুখের ছবি আঁকতে কেন যে ত্রিভুজের ব্যবহার করা হবে অথচ কোন নাক থাকবে না অথবা বিপ্লবী মেজাজ বোঝাতে কয়েকটি বর্শামুখের প্রলম্বিত দাঁড়িযুক্ত জটিল চেহারাতেই কেন যে একটি মানবশরীর রূপান্তরিত হবে সেইসব উপলব্ধি করতে আমি অক্ষম’।
এহেন শ্লেষ স্বত্বেও সোভিয়েতে শিল্প-সাহিত্যিকদের প্রসঙ্গে ব্যখ্যা করতে গিয়ে বললেন ‘ব্যাক্তিমালিকানা নির্ভর সমাজে একজন শিল্পী বাজারের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করতে বাধ্য হয়। আমরা যে বিপ্লব সংগঠিত করেছি তাতে শিল্পী-সাহিত্যিকেরা সেই বাধ্যবাধকতা হতে মুক্তি পেয়েছেন। এখন রাষ্ট্র শিল্পী-সাহিত্যিকদের জীবনরক্ষার দায় স্বীকার করে, জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তারা সৃষ্টি করছেন বিনা বাধায়। নতুন কিছু সৃজনে সক্ষম এমন যেকোনো ব্যাক্তিই মুক্তমনে নিজের সৃজনে মনোযোগ দিতে পারছেন, পারবেন – তাদের সেই অধিকার রয়েছে, তাদের নিজস্ব মতাদর্শ যাই হোক না কেন, কাজের ক্ষেত্রে সেসব কোন বাধা হবে না’।
রাশিয়ায় কিশোরদের কমিউনে বারে বারে মায়াকোভস্কির নাম শুনেও মজাই পেয়েছিলেন লেনিন। কিন্তু নিজের পছন্দ বলে পুশকিনের লেখা অন্যদের পড়ার জন্য চাপিয়ে দেন নি, আবার সবাই বলছে বলেই মায়াকোভস্কি’র লেখার অহেতুক প্রশংসাও করেন নি।
কিছুদিন পরে মায়াকোভস্কি যখন সোভিয়েত আমলাতন্ত্র নিয়ে তীক্ষ্ণ ব্যাঙ্গকাব্য প্রকাশ করলেন অন্য অনেকে চুপ থাকলেও সেই লেখার পক্ষে সোচ্চার প্রশংসা এল ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের থেকেই।
মৃত্যুশয্যায় লেনিনের পাশে ছিলেন ক্রুপস্কায়া। তখনও তার বই পড়ার ইচ্ছা কমেনি। নাঝেদজা’কে বই পড়ে শোনাতে হত, শেদ্রিনের রচনা কিংবা গোর্কির ‘মাই ইউনিভার্সিটিজ’ শোনার জন্য লেনিন বিশেষভাবে অনুরোধ করতেন।
মৃত্যুর ঠিক দুদিন আগেও বই পড়ার অভ্যাস জারী ছিল, জ্যাক লন্ডনের লেখা ‘লভ অফ লাইফ’ লেনিনকে বিশেষ আনন্দ দিয়েছিল।
মৃত্যুমুখে পতিত আহত একজন মানুষ তুষারাবৃত প্রান্তরে মাটিতে পড়ে রয়েছে, হাঁটার ক্ষমতা নেই – মাটিতে শুয়েই হাতের সাহায্যে শরীরটাকে টেনে নিয়ে চলেছে সেই মানুষটি, তার পাশেই চলছে একটি আহত শ্বাপদ। জীবনের আশায় দুজনের মৃত্যুপণ লড়াইয়ের কাহিনী যার শেষে মানুষ জিতে যায় লেনিনের মুখে হাসি এনে দিয়েছিল।
এর ঠিক পরের গল্পেই জ্যাক বর্ণনা দিলেন কিভাবে এক জাহাজের নাবিক নিজের জীবন বিপন্ন করেও মালিকের সম্পত্তি রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল এবং শেষে নিজের জীবন হারাল।
শেষটুকু শুনেই একটি হাত তুলে, হাসি মুখে নিজের অসম্মতি জানালেন ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন।
মালিকের স্বার্থরক্ষায় শ্রমজীবী মানুষ নিজের জীবন ত্যাগ করছে… সেই কথা গল্পে লিখছেন একজন সাহিত্যিক!
সারা জীবন সর্বহারা মানুষের মুক্তির পথ খুঁজতে জীবন বাজি রেখে এগিয়েছেন যিনি সেই লেনিন আততায়ীর গুলির আঘাতে নিজের মৃত্যুশয্যাতেও একথা মানতে রাজি নন।
সেই সময় কথা বলার ক্ষমতা ছিল না লেনিনের।
তবে ক্রুপস্কায়া বুঝলেন কি করে?
নাঝেদজা ক্রুপস্কায়ার পক্ষেই লেনিনের হাত তুলে হাসির অর্থ বোঝা সম্ভব ছিল।
ঐ হাসিতেই, ঐ হাত তোলার জোরেই পৃথিবীর বুকে প্রথম সর্বহারার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
ইলিচ হতে লেনিন হয়ে ওঠার সেইসব প্রতিটি বাঁক ও মোড়ে তার পাশে ছিলেন নাঝেদজা ক্রুপস্কায়া, কমরেড ইন আর্মস হয়ে, স্ত্রী হয়েও।
ওয়েবডেস্কের পক্ষেঃ সৌভিক ঘোষ