খনি ও শিল্পের জন্য কৃষিজমি এবং কৃষি জীবিকা ছেড়ে দিতে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার কৃষকদের বাধ্য করা উচিত নয়
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এক নতুন কয়লা খনি প্রকল্প চালু করতে চায় এবং তার জন্য বীরভূম জেলার দেওচা-পাচামী -হরিনশিঙ্গা-দেওয়ানগঞ্জ এলাকার কৃষকদের কৃষিজমি এবং চারণভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ঘোষিত একটি “ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ” গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জানা গেছে যে এই কৃষকদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ সাঁওতাল আদিবাসী; সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং অনগ্রসর শ্রেণির একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যাও রয়েছে। আরও জানা গেছে যে গ্রাম সভা আয়োজন, খনি প্রকল্পের বিবরণ এবং পুনর্বাসন প্যাকেজ উপস্থাপন করে এই সভাগুলির দ্বারা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়াও সরকার পালন করেনি। পরিবর্তে, গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষজনের কাছ থেকে তথাকথিত সম্মতি আদায় করার একটি বেআইনী প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। মিডিয়া রিপোর্ট থেকে আরও জানা গেছে যে কৃষকদের গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের দ্বারা নির্মমভাবে দমন করা হচ্ছে। আদিবাসী গ্রামবাসী ও তাদের সমর্থনকারী আন্দোলনকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসের চালানো হচ্ছে এবং অনেককেই গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে।
এসকেএম স্পষ্ট করে জানাচ্ছে যে খনি ও শিল্পের জন্য কোনভাবেই কৃষকদের কৃষিজমি, চারণভূমি, বসতবাড়ি এবং পশুপালনের জীবিকা ছেড়ে দিতে বাধ্য করা উচিত নয় যদি না রাইট টু ফেয়ার কম্পেনশেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি ইন ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন, রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসেটলমেন্ট অ্যাক্ট, ২০১৩–তে স্পষ্টভাবে নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা সম্মতি না দেয়। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সর্বদা কৃষকদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে এবং ভারতের কৃষিপ্রধান সমাজের যে কোনো সংকটে তাদের পাশে দাঁড়াবে।
কৃষকদের প্রতি ন্যায়বিচারের স্বার্থে দেওচা-পাচামী-হরিনশিঙ্গা-দেওয়ানগঞ্জ এলাকার কৃষকদের মতামত জানার জন্য বাধ্যতামূলক আইনী স্বচ্ছ পদ্ধতি গ্রহণ করার জন্য এসকেএম পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ করছে। অবিলম্বে গ্রামবাসী ও কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তার বন্ধ করতে এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছে এসকেএম।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষে –
ডঃ দর্শন পাল, হান্নান মোল্লা, জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়াল, জোগিন্দর সিং উগ্রাহান, শিবকুমার শর্মা (কাক্কাজি), যুধবীর সিং, যোগেন্দ্র যাদব