আগামী কাল থেকে ২৭ মার্চ অবধি পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, সংক্রমণ ক্রমশ মহামারীর দিকে এগোচ্ছে।
কাল থেকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল সহ আমাদের রাজ্যেও লকডাউন করা হচ্ছে।
সংক্রমণ রুখে দিতে ইতালির থেকে শিক্ষা নিয়ে এধরণের পদক্ষেপ জরুরী।
এই লকডাউন সম্পর্কে কিছুটা স্বচ্ছ ধারণা সবার মধ্যেই থাকার প্রয়োজন,তাতে অহেতুক হয়রানি কমবে, মানুষের স্বার্থে লকডাউনকে ব্যবহার করা যাবে। অযথা আতংকিত হয়ে কাজ করলে সংক্রমণের আক্রমন বাড়বে বৈ কমবে না। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ব্যাতিরেকে দোকান-বাজার, স্কুল-কলেজ যেসব জায়গায় জনসমাগম হতে পারে এমন সব কিছু এই লকডাউনে বন্ধ থাকবে। রেল,মেট্রো এবং অন্যান্য যাত্রী পরিবহন পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
এই অবস্থায় অকারণ কেউ বাইরে জমায়েতে অংশ নেবেন না, সতর্ক থেকে নিজেদের এবং অন্যদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার।
এই লকডাউনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন গরীব মানুষ, তাদের হাতে সারা মাস চালানোর টাকা মজুত নেই, সারা মাসের খাবারের কোন ভাঁড়ার নেই। তারা দৈনিক রোজগারের উপরে নির্ভরশীল হতে বাধ্য। এই লকডাউনের পরিস্থিতিতে তাদের উপরে আক্রমণের চরিত্র দ্বিমুখি। একদিকে সংক্রমণ, অন্যদিকে ক্ষুধানিবৃত্তি – প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ওষুধ জোগাড় করে জীবন রক্ষার দায়।
এই অবস্থায় রাজ্যসরকারকেই তাদের বেঁচে থাকার দায়িত্ব স্বীকার করতে হবে,গরিব-অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, পরিযায়ী শ্রমিক, ফুটপাথবাসী মানুষের জন্য অর্থবরাদ্দ করতে হবে সরকারকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমনের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলা করার পাশাপাশি গরীব মানুষের দুবেলা-দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার অধিকারকে কম গুরুত্ব দেবার প্রশ্নই ওঠে না।
সরকারের কাছে আবেদন থাকছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা করার সাথেসাথেই এই প্রশ্নে সদর্থক পদক্ষেপ অবিলম্বে গ্রহণ করতে হবে।
আমরা বলছি –
১. সরকারকে ধন্যবাদ ট্রেণ বন্ধ ও লক ডাউন ঘোষণা করার জন্য।
২. আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজেদের আবদ্ধ রাখা ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. যেসব শ্রমজীবী মানুষ দৈনিক মজুরীর ভিত্তিতে জীবন নির্বাহ করেন, তাদের জন্য আর্থিক প্যাকেজ অবিলম্বে ঘোষণা করুক সরকার।
৪. যেসব কল-কারখানা-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, তার শ্রমিক কর্মচারীদের মজুরী/মাইনে বন্ধ যাতে না হয়, সরকার সেই ঘোষণা করুক।
৫. খাবার ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নিক সরকার
।
করোনা থেকে বেঁচে কেউ যেন খিদেয় না মরে।
লকডাউন সম্পর্কে সরকারি নির্দেশনামাটি পড়তে নিচের ফাইলে ক্লিক করুন