আবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। আদিত্যনাথ যোগী’র রাজ্যে ফের গণধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র ত্রিপাঠী। আপাতত জেলে ঘানি টানা কুলদীপ সেঙ্গারের কথা এখনও ভোলেননি কেউ। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ ও তাঁকে মেরে ফেলার অভিযোগ ইতোমধ্যেই আদালতে প্রমাণিত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির তিস হাজারি আদালত।
এই পরিস্থিতিতে বছর চল্লিশের এক বিধবা মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে। ধর্ষিতার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের ভদোহির বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র ত্রিপাঠী, তাঁর ভাগ্নেসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছেন মহিলা। অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভদোহির একটি হোটেলে বিধায়ক রবীন্দ্র ত্রিপাঠী ও তাঁর ভাইপো তাঁকে ধর্ষণ করায় তিনি অন্ত্বসত্তা হয়ে পড়েন। তাঁর গর্ভপাতও ঘটানো হয়। আর এই কথা কাউকে জানিয়ে দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। গোটা ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ফের দলের এক বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় প্রশ্নের মুখে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ওই মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির ভাগ্নে সন্দীপ তিওয়ারি ২০১৬ সালে তাকে ধর্ষণ করে। তখন সন্দীপ তাকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেননি। কিন্তু ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের সময়ে তাকে ভদোহির এক হোটেলে আটকে রাখে সন্দীপ। সেখানেই তাকে এক মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করে বিজেপি’র বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি সহ আরও পাঁচজন। বিধায়ক ও তার ভাগ্নে ছাড়াও চন্দ্রভূষণ ত্রিপাঠি, দীপক তিওয়ারি, প্রকাশ তিওয়ারি এবং প্রকাশ তিওয়ারি তাঁকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মহিলা। যদিও বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্র ত্রিপাঠী এই অভিযোগ মানতে চাননি।
এর আগে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়নন্দকে দেখা গেছে এক কলেজ ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নিগ্রহ করতে। স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় চিন্ময়নন্দের সেই বিতর্কিত ভিডিও। ২৩ বছর বয়সী আইনের এই ছাত্রীর অভিযোগ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চিন্ময়ানন্দ-র হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেও কোন লাভ হয়নি। ২০১৩-র আগস্টে এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত হন আরেক বিজেপি ঘনিষ্ট আধ্যাত্মিক গুরু আশারাম বাপু। ২০১৩-র ১৫ আগষ্ট রাজস্থানের যোধপুর আশ্রমে বাবা মার সঙ্গে গিয়েছিলেন সেই কিশোরী। গুরু আশারাম মেয়েটিকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেছিলেন।
যে দলের সরকার বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর বিজ্ঞাপন দেয়, সেই দলের নেতাদের কাজেই স্পষ্ট বিজ্ঞাপন গুলো মূলত ভাঁওতা ছাড়া কিছুই নয়।
To read more please click the links below