The Theoretical Challenges We face

সূর্য মিশ্র

১৮৮৩ সালে মার্কসের মৃত্যুর পর পরেই কমিউনিস্ট ইশ্তেহারের জার্মান সংস্করণের মুখবন্ধে ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস লিখেছিলেন, ‘ইশ্তেহারে প্রবাহিত মৌলিক চিন্তাটি হলো সমস্ত ঐতিহাসিক যুগে অর্থনৈতিক উৎপাদন ও তা থেকে উৎসারিত সমাজের গঠন সেই যুগের রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তির ইতিহাসের ভিত্তি তৈরি করে, সব ইতিহাসই শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস (আদিম সমাজের জমির অভিন্ন মালিকানার পর থেকে), শোষক এবং শোষিতের মধ্যে সংগ্রামের ইতিহাস, সামাজিক বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে আধিপত্যকারী এবং আধিপত্যাধীনের মধ্যে সংগ্রামের ইতিহাস, এই সংগ্রাম এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একইসঙ্গে গোটা সমাজটাকেই শোষণ নিপীড়ন এবং শ্রেণি সংগ্রাম থেকে মুক্ত না করে শোষিত ও নিপীড়িত শ্রেণি (সর্বহারা) তাদের যারা শোষণ ও নিপীড়ন করছে সেই শ্রেণির (বুর্জোয়া) থেকে মুক্ত করতে পারে না — এই মৌলিক চিন্তা কেবলমাত্র মার্কসের।’ (প্রকাশ কারাতের ভূমিকা সংবলিত মার্কসবাদী পথ প্রকাশিত সীতারাম ইয়েচুরির ‘মতাদর্শের প্রশ্নে’, পৃষ্ঠা ৩-৩২)

এই কথাগুলি এখনকার সময়ের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। সিপিআই(এম)’র ১৯৬৮ সালের বর্ধমান প্লেনাম, ১৯৯২ সালের মাদ্রাজ পার্টি কংগ্রেস, ২০১২ সালের কোঝিকোড় পার্টি কংগ্রেসে যে মতাদর্শগত দলিলগুলি গৃহীত হয়েছিল তার শেষ দুটির নির্মাতা মূলত ছিলেন কমরেড সীতারাম ইয়েচুরি। বলা বাহুল্য আমরা ঠিক এখন যে বিশ্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তা বিশ্লেষণ ও আমাদের করণীয় কাজ তথা মতাদর্শগত অবস্থান ও সংগ্রাম লেনিন নির্দেশিত ‘নির্দিষ্ট পরিস্থিতির নির্দিষ্ট বিশ্লেষণ’এর ওপর ভিত্তি করে স্থির করতে হবে।

দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখন আমেরিকায়, এলন মাস্ক তাঁর ছেলেপুলেদের নিয়ে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় নিঃসন্দেহে মুখ্য বিষয় মার্কিন পুঁজির বৈদেশিক বিনিয়োগে শুল্কবৃদ্ধির আগ্রাসী নীতি। যে সোয়া সাত লক্ষ ভারতীয় অভিবাসী আইনি কাগজপত্র ছাড়া আমেরিকায় বসবাস করছেন তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কি কথা হলো! কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির বুকের পাটা যে ‘৫৬ ইঞ্চির বেশি তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি আগাম ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁর সরকারই বিমান পাঠিয়ে তাঁর দেশবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি যা বলেছিলেন তাই করেছেন, অথচ আমাদের বিদেশ মন্ত্রী নাকি বলেছেন, হাতেপায়ে শিকল বেঁধে যেভাবে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানো হয়েছে সেটাই নাকি সাধারণ রীতি! ট্রাম্পের আহ্বানে সদলবলে প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের অভিজ্ঞতা মোটেই সুমধুর হয়নি। এটা কেবল ভারতের ব্যাপার নয়, চীন সহ ব্রিকসের দেশগুলোর অবস্থান কী তা অনেকটাই স্পষ্ট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের দেশগুলির অবস্থান খুব স্পষ্ট না হলেও আন্তঃসাম্রাজ্যবাদী দ্বন্দ্ব আগের মতো স্তিমিত থাকবে কিনা সেটা এখন অস্পষ্ট। মূল কথা হলো, বিশ্ব পরিস্থিতি এখন প্রায় প্রতিদিন বদলাচ্ছে আশা আকাঙ্ক্ষার মাপকাঠিতে। বিশ্বের বাম গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে আবার একবার রুজভেল্ট চার্চিল স্তালিনের ধাঁচে বৈঠক না হলেও এখনকার সময়ের উপযোগী কোনও বৈঠকে মিলিত হতে হবে কিনা তা একটা অনুমানের বিষয় মাত্র। মার্কস বলেছিলেন, ইতিহাসে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে প্রথমটা যদি ট্র্যাজেডি হয়, তবে দ্বিতীয়টা প্রহসনে পরিণত হয়। এককথায় বলা যায়, মানবসভ্যতার সামনে যে বিপদ দেখা দিয়েছে সেটা মার্কসবাদীদের কাছে মতাদর্শগত সংগ্রামের বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলা করার আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারতের ধারণা’ (idea of India) বাস্তবায়নে বামপন্থীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরি ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন — ‘এই ধারণা হলো বহুজাতির এক দেশে একটি অভিনব একাত্মতা তৈরি করা ও তাকে সংহত করা। ভারতের মতো ভাষাগত, ধর্মীয়, নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে নেই। সরকারি হিসাবেই ভারতে ১৬১৮টি ভাষা আছে, ৬৪০০ টি বর্ণ বা জাতি আছে, ৬টি বড় ধর্ম আছে যার চারটি এদেশেই তৈরি। আছে নৃতাত্ত্বিক বিভাজনের ৬টি জনগোষ্ঠী – ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজনৈতিক প্রশাসনিক কাঠামোতে তারা রয়েছে। দেশে ২৯টি বড় ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক উৎসব আছে, পৃথিবীর কোনও দেশে এত ধর্মীয় ছুটির দিন নেই। যারা মনে করেন এই বিপুল বৈচিত্রকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল ব্রিটিশরা, তারা একথা এড়িয়ে যান যে এই উপমহাদেশকে বিভাজিত করেছিল ব্রিটিশরাই। যে বিভাজন ১০ লক্ষ মৃত্যু এবং বিপুল মাত্রায় সাম্প্রদায়িক স্থানান্তরের জন্ম দিয়েছে। ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ বিভিন্ন দেশের বিভাজনের কারণ হয়ে রয়েছে আজও। স্বাধীনতার জন্য ভারতজোড়া গণসংগ্রাম এই বৈচিত্রকে ঐক্যের চেহারা দিয়েছে, আধুনিক ভারতে ৬৬০টির বেশি সামন্ততান্ত্রিক রাজন্য এলাকাকে সংহত করেছে। জন্ম নিয়েছে ভারতীয় চেতনাবোধ। ভারতের এই ধারণা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বামপন্থীরা।’

এই ভাষণে তিনি উল্লেখ করেছিলেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে– কেরালার পুন্নাপ্পা ভায়লার, বাংলার তেভাগা, আসামের সুরমা উপত্যকার সংগ্রাম, মহারাষ্ট্রের ওয়ারলি বিদ্রোহ, সর্বপরি তেলেঙ্গানার সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জমির প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে কমিউনিস্টরা– যেগুলি ভারতীয় কৃষক সমাজের বিপুল অংশকে ভারত গঠনের প্রক্রিয়ায় টেনে এনেছিল। স্বাধীন ভারতের ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠনের আন্দোলন, বিশাল অন্ধ্র আন্দোলন, ঐক্য কেরালা, সংযুক্ত মহারাষ্ট্রের আন্দোলন ইত্যাদিতে সামনের সারিতে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন এমন অনেকেই, যারা পরবর্তীকালে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অগ্রণী নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। ভারতীয় বাস্তবতার স্বীকৃতিতে বামপন্থীরা ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দৃঢ় দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে। ‘বিপুল বৈচিত্রের ভারতে ঐক্যগঠন সম্ভব কেবলমাত্র এই বৈচিত্রের বিভিন্ন বিষয়গুলিকে দৃঢ় করার মধ্য দিয়ে, কোনও জোর করে চাপানো অভিন্নতা ঐক্য রক্ষার সহায়ক হবে না। ভারতের সামাজিক জীবনের সবক্ষেত্রেই একথাটি সত্য, ধর্মের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

তাঁর ভাষণে পাওয়া যায় স্বাধীন ভারতের চরিত্র নিয়ে তিনটি দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে অবিরাম সংঘাতের উল্লেখ। মূল স্রোতের কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল স্বাধীন ভারত হবে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র। বামপন্থীরা এই ধারণার সঙ্গে সহমত হয়েও দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে প্রত্যেক ব্যক্তির অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত প্রসারিত করার দাবি করেছিল। এই দুটি ধারণারই বিরোধী একটি তৃতীয় পক্ষের ধারণাও ছিল – যারা মনে করত ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিই হবে স্বাধীন ভারতের চরিত্র। এই তৃতীয় ধারণার দুই যমজ ছিল হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের জন্য আরএসএস এবং ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য মুসলিম লিগ। এরপর হয়েছিল বিপর্যয়কর বিভাজন যার প্রতিক্রিয়া আজও সক্রিয়। অবশ্যই হিন্দু রাষ্ট্র গঠনে আরএসএস’র চেষ্টা তখন সফল না হলেও আজ সবচেয়ে বড় বিপদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, অবশ্যই বিভাজনের নতুন নতুন কৌশল ও বিরোধী দলগুলির অনৈক্যকে ব্যবহার করে। ভারতীয় রাষ্ট্রকে তাদের কল্পিত হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করা এখনো সুদূর, কিন্তু হিন্দুত্ব কর্পোরেট জোট এখন দেশের নীতি নির্ধারণে প্রধান চালিকা শক্তি। সারা দেশে লুটেরা পুঁজির (ক্রোনি ক্যাপিটালিজম) রাজত্ব যে এখন সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সাম্রাজ্যবাদ মদতপুষ্ট নয়া ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাভারকার লিখেছিলেন, ‘হিন্দুত্ব’নিছক হিন্দুধর্মের সঙ্গে সংযুক্ত নয়, তা একটি রাজনৈতিক প্রকল্প। এটা অবশ্যই সবরকম সংখ্যালঘুর, আদিবাসী, তফসিলি ও নানা অনগ্রসর সম্প্রদায়ের প্রশ্নহীন আনুগত্য দাবি করে, নারী সমাজকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে গণ্য করে। গোলওয়ালকর ‘উই অ্যান্ড আওয়ার নেশনহুড ডিফাইনড’বইতে বলেছেন, ‘যতক্ষণ তারা নিজেদের জাতিগত, ধর্মের এবং সাংস্কৃতিক পার্থক্য রক্ষা করবে তারা বিদেশি হয়েই থাকবে।… হিন্দুস্তানে আছে এবং কেবলমাত্র থাকবে প্রাচীন হিন্দুজাতি। যারা এই ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ভাষার অন্তর্গত নয় তারা প্রকৃত জাতীয় জীবনের বাইরে স্বাভাবিকভাবেই চলে যেতে বাধ্য। … যাদের হৃদয়ে হিন্দু জাতিকে গৌরবান্বিত করার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে যারা কর্মতৎপর কেবলমাত্র তারাই জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক। অন্য সকলে হয় বেইমান বা জাতীয় লক্ষ্যের শত্রু, অথবা খুব সৌজন্য সহ বললে মূর্খ।… হয় জাতীয় জাতিতে নিজেদের মিশিয়ে ফেলতে হবে, তাদের সংস্কৃতি আয়ত্ত করতে হবে, অথবা ঐ জাতির দয়ায় এদেশে থাকতে হবে, যতক্ষণ জাতীয় জাতি তাদের থাকতে অনুমতি দেবে। যখন তাদের সেই মধুর ইচ্ছা আর থাকবে না তখন দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। … হিন্দুজাতির কাছে পুরোপুরি বশ্যতা স্বীকার করে দেশে থাকতে হবে। কোনও সুবিধা, বিশেষ সুবিধা তো নয়ই, তারা দাবি করতে পারবে না। এমনকি তাদের নাগরিক অধিকারও থাকবে না।… নিজেদের জাতির ও সংস্কৃতির বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে জার্মানি গোটা দেশকে ইহুদিমুক্ত করে বিশ্বকে স্তম্ভিত করেছিল, জাতির গৌরব সেখানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। জার্মানি আরও দেখিয়েছে যে সমস্ত জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্যের শিকড় অনেক গভীরে তাদের সমগ্রের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ করা প্রায় অসম্ভব। হিন্দুস্তানে আমাদের জন্য এটি ভালো শিক্ষা। এর থেকে আমাদের লাভ হবে।’

আবারও ফিরে যেতে হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামের তিনটি মূল ধারার প্রশ্নে আমাদের অবস্থানে। আমরা ধর্ম জাতি ভাষা বর্ণ লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সামাজিক অর্থনৈতিক সমতার পক্ষে যেখানে সর্বহারা শ্রেণি ও তাদের মিত্র শ্রেণিগুলির শ্রেণি সংগ্রামকে সবরকম সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম থেকে আলাদা করা যায় না। এই দুই সংগ্রামই একই সংগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। মতাদর্শের জন্য সংগ্রামের ওপর ভিত্তি করে এই সময়ের রাজনীতি রণকৌশলগত সংগ্রাম এবং সেই বহুমাত্রিক সংগ্রামগুলির পরিচালনা ও সংগঠন গড়ে তোলার কাজের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছি আমরা। পশ্চিমবঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসকদল বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে, এরাজ্যের শাসকদলও আরএসএস’র রাজনীতির পথকেই প্রশস্ত করছে। আমাদের পার্টিকে এর জন্য নিজস্ব শক্তি বহুগুণ বাড়াতে হবে। সমস্ত বামপন্থী শক্তির ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করতে হবে, সেই সংগ্রামের জন্য বাম ও গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গড়ে তুলতে হবে এবং কেবল নির্বাচনী সংগ্রাম নয়, তার আগে ও পরে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ গড়ে তুলতে হবে। ভুললে চলবে না যে দেশ জাতি নির্বিশেষে আন্তর্জাতিকতার মহান পতাকা সবসময় উর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে। ‘সর্বহারাদের শৃঙ্খল ছাড়া হারাবার কিছুই নেই। জয় করার জন্য আছে সারা দুনিয়া। দুনিয়ার মজদুর এক হও।’কমিউনিস্ট ইশ্তেহারের এই আহ্বান যেন আমরা কখনো বিস্মৃত না হই।

Spread the word

Leave a Reply