আন্দোলনের সূচীমুখ রাখতে হবে স্থির : শমীক লাহিড়ী…

২ এপ্রিল ২০২৩ (রবিবার)

মনে পড়ে?


“সারদায় প্রথম সুবিধাভোগী ব্যক্তির নাম মমতা। এটা কোনও টাকা নেওয়ার থেকেও বেশি। উনি টাকা নিয়েছেন কি নেননি, আমি সে বিষয়ে বলছি না। বলছি, সরাসরি টাকা নেওয়ার থেকে, সুবিধা নেওয়া কি কম?” ( ৮ম পৃষ্ঠা, ১ম অনুচ্ছেদ)

“সারদার ক্ষেত্রে দেখলাম, তৃণমূলের প্রভাবশালীরা মালিকের বন্ধু। আমি তো শুধু মিডিয়া দেখতাম, বাকিরা তো নানাভাবে যুক্ত।” ( ৫ম পৃষ্ঠা, ৪র্থ অনুচ্ছেদ)

“প্রথমে আমাকে সামনে রেখে গোটা মিডিয়াটা ব্যবহার করা হল। কাগজের প্রতি লাইন, টিভি-র প্রতিটা মিনিট দিদির জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। নিরপেক্ষ কিছু হলেই ফোনে ধমক, মালিককে চাপ।” ( ৫ম পৃষ্ঠা, ৭ম অনুচ্ছেদ)

“মনে রাখুন ২০০১ সালেও মমতার সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। তখন কিন্তু মমতা জেতেননি। ২০১১-তে জিতলেন। পারিপার্শ্বিক কারণগুলির মধ্যে সারদা একটা বড় ফ্যাক্টর। সারদার যা সুফল মমতা পেয়েছেন, আর কেউ পাননি এতটা।” (৮ম পৃষ্ঠা, ২য় অনুচ্ছেদ)

“সারদা মিডিয়ার পূর্ণ সুবিধা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও এখনকার রাজ্য সরকার। কাগজের প্রতি পাতা, চ্যানেলের প্রতি মিনিট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রচার দিয়েছে তাদের। এখন আমাকে মিথ্যা অভিযোগে হয়রান করে নিজেদের আড়াল করছে। পুলিশ একতরফাভাবে কাজ করছে। ওপর মহলের নির্দেশে চলছে। আমি হতাশ, বীতশ্রদ্ধ।” (১৬শপৃষ্ঠা, ৫ম অনুচ্ছেদ)

“সারদা থেকে স্ট্র্যাটেজিক মিডিয়ায় চার লক্ষ টাকা বিজ্ঞাপন নেওয়ার জন্য আপনি এত কড়া হচ্ছেন৷ আমার দিক থেকে যা বলার, আমি বলেছি৷ সুদীপ্তবাবু বাইরে যাওয়ার পর টাকা ছিল ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে (মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানা)৷ সেখান থেকে টাকা ঢালা হয়েছে৷ …… সুদীপ্ত সেন যখন বাইরে ছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে টাকা ছিল৷ সেখান থেকে টাকা বিলি হয়েছে৷” (২১শে এপ্রিল, ২০১৬, আদালতে প্রকাশ্য বয়ান)।
এগুলো সিপিআই(এম) প্রকাশিত কোনও দলিলের লেখা নয়। গণশক্তিতে প্রকাশিত খবরও নয়। মমতা ব্যানার্জীর সরকারের পুলিশের হাতকড়া পরা, পরে সিবিআই-র হাজতে বাস করা এক অভিযুক্ত আসামীর লেখা চিঠির অংশ এগুলো। চারশো বিশ ধারা সহ আরও অনেকগুলো প্রতারণার ধারায় অভিযুক্ত, ৩৪মাস জেল খাটা কুনাল ঘোষ ৯১পাতার একটা চিঠি লিখেছিলেন সিবিআই-কে। জেলের ঘানি টানার ফাঁকে ফাঁকে লেখা এই দীর্ঘ চিঠির ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে এমন অজস্র কথা। নিজের ফেলা থুতু চাটা, ইনি এখন বাম আমলের চিরকুটের গল্প আমদানী করছেন। বাম নেতাদের গায়ে কালি ছেটানোর খেলায় নেমেছেন ডিগবাজী ঘোষ!

চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা


এর দোসর কে? ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রয়াত নেতা কমল গুহ’র পুত্র, দলবদলু উদয়ন গুহ।

১৯৭০ এর দশকে মুম্বাইয়ে একটা জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে দেখা গিয়েছিল, নায়কের শিশুবেলায় কেউ অন্যায়ভাবে লিখে দিয়েছিল, ‘মেরা বাপ চোর হ্যায়’। বড় হ’য়ে সিনেমার নায়ক এর বদলা নেয়। এই গল্প ঘিরে তৈরী হওয়া সিনেমার শেষ দৃশ্যে যখন দেখতে পাওয়া যেত, ‘মেরা বাপ চোর হ্যায়’, লিখে দেওয়া খলনায়ককে বেদম মারছে নায়ক – তখন দর্শকের তুমল হাততালিতে ফেটে পড়ত প্রক্ষাগৃহ।

আর এখন এই ছেলে নিজে চুরির হাত থেকে বাঁচতে বলছে – ‘মেরা বাপ চোর হ্যায়’।

২০১১ সালে ফরোয়ার্ড ব্লকের টিকিটে জেতা এই বিধায়ক অতীতে যখন পশ্চিমবঙ্গ বীজ কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন, সেই সময়ে না কি অনেক দুর্নীতি হয়েছিল। এই অভিযোগে মমতা ব্যানার্জী সরকারের সিআইডি তদন্ত শুরু করে ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ। এছাড়াও ২০১৩ সালের একটা খুনের মামলায় এর নামে এফআইআর দায়ের করে মমতা ব্যানার্জী সরকারের পুলিশ। গ্রেপ্তারের ভয়ে কিছুদিনের জন্য ফেরার হয়ে যান। কিছু দিন পরে, ১লা অক্টোবর ২০১৫, দমদম বিমানবন্দরে আত্মপ্রকাশ করে, সেখানেই মাননীয়ার অনুপ্ররণার চাপে ঝাঁপিয়ে তৃণমূলে যোগদান ক’রেন এবং কোনোক্রমে জেল যাত্রার হাত থেকে বাঁচেন। তাঁরই অনুপ্ররণায় এখন, নিজেকে আর নিজের অধুনা দলের নেতাদের দুর্নীতি আড়াল করতে শেষ পর্যন্ত নিজের প্রয়াত পিতৃদেবকেও টেনে নামিয়েছেন এই গুণধর লোকটি।

বাংলায় বহু পুরাতন একটা প্রবাদ আছে – চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা। পিসি-ভাইপোর সব সাক্ষীই হয় হাজতবাসী, নয় তো জেল ফেরত। বর্তমান হাজতবাসী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই আসরে খোল কর্তাল নিয়ে দু’কান কাটা নির্লজ্জের মতো নেমে পড়েছেন। সাথে ভাইপো ঘনিষ্ঠ আরও ২/৪টে জেলবন্দী জালিয়াতও তাদের গুরুকূলকে বাঁচাতে পুলিশি ব্যবস্থাপনায় সাংবাদিক সম্মেলন করছে।

এসব কিছুরই আসল উদ্দেশ্য, মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। তৃণমূলের এভারেস্ট ছাপিয়ে যাওয়া দুর্নীতি কি ২/৪টে জেলখাটা- গাঁটকাটা- দলবদলুকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করিয়ে ঢাকা দেওয়া যায়? তাও এটাই মানুষের ধর্ম – সমুদ্রের মাঝে খড়কুটো পেলে সেটা জাপটে ধরেই বাঁচতে চায় ডুবন্ত মানুষ। ওরা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী বলে কি মানুষ নয়!

তৃণমূল বিজেপির ওয়াশিং মেশিন


এমন বহু অধুনা তৃণমূল- বিজেপি’র নেতা-নেত্রী পাওয়া যাবে, যারা দিদির অনুপ্ররণায় বা দাদার বিকাশের চাপে ঘন ঘন দল বদল ক’রে থাকেন, গারদে ঢোকার ভয়ে। যেমন মুকুল রায় – যেই সারদা মামলায় সিবিআই ধরতে এল, ওমনি ‘দাদার চরণে সেবা লাগি’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। একইভাবে নারদা-সারদা-নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে ত্রস্ত অধিকারী, হনুমানের মতো এক লাফে কাঁথি থেকে গিয়ে পড়লেন নাগপুরে। সেখান থেকে আশীর্বাদ নিয়ে সোজা বাংলার বিরোধী দলনেতা। তবে বাবা আর দুই ভাইকে তৃণমূলের জামিনে রেখে এসেছেন, যাতে এখানকার সিআইডি আবার হুল না ফোটায়। মাঝে মাঝে অবশ্য পিসী’র চরণ ছুঁয়ে ভরসা আদায় করে আসেন।

মমতা ব্যানার্জী বছর তিনেক আগেও যে “মাফিয়া”কে গ্রেপ্তার করার জন্য বারেবারে পুলিশ পাঠিয়েছেন, সেই অর্জুন সিং, বিজেপি’র সাংসদ, কিন্তু হাজতবাস আর সম্পত্তি বাঁচাবার অনুপ্রেরণায় তৃণমূলের উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়ে পিসী-ভাইপো’র পাশে পাশে ঘুরছেন। তিনিও নাকি বাম আমলের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রাজীব ব্যানার্জী ২০২১ সালে বিজেপি’তে যাওয়ার পর মমতা ব্যানার্জী, চাকরী বিক্রি আর অন্য দুর্নীতির জন্য তাঁকে জেলে ভরবেন বলেছিলেন। তারপর অবশ্য দিদি’র চরণামৃত খেয়ে কোনওক্রমে হাজতবাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন। তিনিও নাকি সিপিআই(এম) নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে কি সব বলেছেন। ‘খুনের মামলার আসামী’ মানস ভুঁইয়া তৃণমূলের ওয়াশিং মেশিনে ধোলাই-মলাই ক’রে নিজেকে রক্ষা করেছেন। ইনি অবশ্য এখনও কিছু বলেছেন বলে শোনা যায়নি। চালাক মানুষ তো, জল মাপছেন বোধহয়।

আরও অনেক ছোট-মেজ-বড় নানান মাপের নেতারা বামফ্রন্ট বিরোধী কুৎসায় নেমেছে নিজেদের, দলের আর দলের মাথা পিসী ভাইপো’র সাগরের চাইতেও ব্যাপ্ত দুর্নীতি থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে।

জবাবদিহি কাদের কাছে!


এদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে রাজনীতি করতে হবে কমিউনিস্টদের! এসব চুরি-জালিয়াতির দায়ে জেল খাটা আসামী আর দলবদলুদের কথার উত্তর দিতে হবে, এমন দুরাবস্থা বামপন্থীদের হয় নি। জাল ডক্টোরেটকে জবাবদিহি করবে আসল ডক্টোরেট – হয় নাকি!
কমিউনিস্টরা দায়বদ্ধ মানুষের কাছে। তাই চোরদের স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের দায়িত্বপালন নিয়ে জবাবদিহি করবে মানুষের কাছে।

করুক না প্রমাণ!


১২ বছর সরকারে আছে ওরা। সিআইডি- আইবি-পুলিশ সব তো ওদের হাতে। প্রমাণ করুক না, বাম আমলে চাকরি বিক্রি করে টাকা কামিয়েছেন কোনও বাম মন্ত্রী-সাংসদ- বিধায়ক, এমনকি পাড়ার বাম কর্মী। ১৬/১৭ টা বিচার বিভাগীয় কমিশন গড়ে, মানুষের কোটি কোটি টাকা খরচ করে একজন বাম নেতাকেও দোষী সাব্যস্ত করে জেলে তো ঢোকাতে পারেন নি মমতা ব্যানার্জী।

বামফ্রন্টের দৃষ্টিভঙ্গী


বামফ্রন্ট সরকারের প্রয়াস ছিল, পুঁজিবাদী পচা গলা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ দুর্নীতি রোধে প্রতিনিয়ত আরও ত্রুটিমুক্ত ব্যবস্থা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া। স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসার নিয়োগের দায়িত্ব অতীতের মতো ১/২ জনের হাতে না রেখে, তাই প্রথমে এসেই নির্বাচিত পরিচালন মন্ডলী গঠন ক’রে, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর অভিজ্ঞতায় দেখা গেল, এতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা সর্বত্র বজায় রাখা যাচ্ছেনা। তাই জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার তৈরি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।

একইভাবে গড়ে ওঠে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন। সরকারি চাকরি নিয়োগের প্রায় সবটাই তুলে দেওয়া হয়েছিল পাব্লিক সার্ভিস কমিশন এর হাতে। পাব্লিক সার্ভিস কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বশাসিত সংস্থায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। কোনও মন্ত্রীর দাদা-ভাই-ভাগ্না-ভাইপোকে কমিশন সদস্য করা হয়নি, তৃণমূল সরকারের মতো।

এইভাবে পঞ্চায়েত ও পৌরসভা পরিচালনায় স্বচ্ছতার জন্য প্রথমে নিয়মিত নির্বাচন, তারপর শুধু প্রধান নয়, নির্বাচিত সদস্যদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিজ্ঞতার নিরিখেই আরও ত্রুটিমুক্ত ব্যবস্থার জন্য গ্রাম সংসদ ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে, তাদের কাছে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়বদ্ধ করা হয়।

এইভাবে দুর্নীতি রোধে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামোয় বার বার পরিবর্তন করা হয়েছে বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে। এভাবেই আরও স্বচ্ছ ত্রুটিহীন প্রশাসন গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে বামফ্রন্ট সরকার। আদালতের নির্দেশে বা কোনও আন্দোলনের চাপে এই কাজ করেনি – বামফ্রন্ট সরকার নিজেরাই এইসব উদ্যোগ নিয়েছিল।

চোর তৈরিই লক্ষ্য তৃণমূলের


আর এখন তো পুলিশ পাহারায় কয়লা-বালি- পাথর-গরু পাচার হয়। আবার পুলিশের পাহারায় পাচারের কমিশনের অর্থ অনেক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী- সাংসদ- বিধায়কদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। পৌরসভা -পঞ্চায়েতের টাকা চুরিতে সাহায্য করার জন্য অনেক সরকারি আধিকারিকদের ব্যবহার করা হয়। সোনা পাচার করে বিমানবন্দরে ধরা পড়লে, পুলিশ কমিশনার দৌড়ে যান পাচারকারীকে ছাড়িয়ে আনতে।

নিজের দলের লোকদের থেকেও এরা ঘুষ নেয় নির্বাচনে দলীয় টিকিট দেওয়ার জন্য। লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে টিকিট কিনে কেউ কি নির্বাচনে হারতে চায়? তাই বোমা-পিস্তল- দুস্কৃতি জড়ো ক’রে ভোট লুট ক’রে, মানুষকে ভোট দিতে দেয়না। ক্ষমতা দখল করা হয়ে গেলে, ঘুষ দেওয়া অর্থের দশ-বিশ গুণ কামানোর জন্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। কে কত টাকা চুরি করবে, কত ভাগ পাবে তাই নিয়ে নিজেরা বোমা গুলি চালিয়ে নিজেদেরই খুন করে।

মুখ্যমন্ত্রীর সাহস থাকলে বলুন – কত তৃণমূলী খুন হয়েছে তৃণমূলের হাতে গত ১২ বছরে।

এখন কেবল হবে লড়াই


এখন বাংলার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। তাড়া করছে দিদির দূতদের। রাস্তায় গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় ‘চোর চোর’ আওয়াজ উঠছে তৃণমূলী নেতাদের দেখলেই।

এখন নাগপুর- দাঙ্গা বাঁধানো
-দিল্লিতে দরবার -ধর্ণা- হুমকি কিছুই আর কাজে লাগছে না। গ্রাম-নগর মাঠ পাথারে আওয়াজ একটাই – চোর ধরো জেল ভরো। চোরের মাথাদের রক্ষাকর্তা মোদি সরকার নিপাত যাক

বামপন্থীরা সব বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী শক্তির সাথে সম্মিলিতভাবে চোর তাড়ানোর লড়াইয়ে এখন ময়দানে।
আন্দোলনের বর্শাফলক এখন স্বৈরাচার ও দুর্নীতির আঁতুড় ঘর ভাঙতে উদ্যত। আন্দোলনের সূচীমুখ এখন স্থির রাখতেই হবে।

Spread the word

Leave a Reply