October 1, 2024 The Central Committee adopted condolence resolutions paying homage to Comrade Sitaram Yechury, Comrade Buddhadeb Bhattacharya and other

October 1, 2024 The Central Committee adopted condolence resolutions paying homage to Comrade Sitaram Yechury, Comrade Buddhadeb Bhattacharya and other
অস্বাভাবিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা অতিমুনাফা করেছে তাদের উপর অস্বাভাবিক হারে কর লাগু করার দাবি নানা মহল থেকে দেশে-বিদেশে উঠছে। এই সরকার সে কথা না ভেবে সমস্যার অভিমুখই বদলে দিতে চাইছে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা পাল্টাচ্ছে না। নয়-উদারবাদ উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহার কোন সম্ভাবনাই নেই। নির্মলার বচনে সেই অনর্থনৈতিক সত্যই সামনে এসেছে।
নয়া-উদারবাদের জাল কেটে বেরোতে না পারলে এহেন সংকট থেকে মুক্তির কোন সুযোগই নেই, সুতরাং প্রাথমিক কর্তব্য হল এদেশে নয়া-উদারবাদের কোলের সন্তান বিজেপি’কে রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা। আজকের ভারতে বাঁচার জন্য জনগণের অন্য কোন পথ অবশিষ্ট নেই।
আগামী ২৫-৩১ মে’র সময়কালে মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারি বিরোধী দেশব্যাপী সংগ্রামকে আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সমবেত আন্দোলনে পরিণত করতে বাম দলসমূহ সারা দেশে নিজ নিজ পার্টি ইউনিটকে আহ্বান জানাচ্ছে।
মোদি সরকারকে এখন অবশ্যই QUAD-এর মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি কৌশলগত সামরিক জোটে যোগদানের বিপদগুলো উপলব্ধি করতে হবে যা হুমকি এবং চাপের জন্য সমস্ত দরজাগুলো খুলেছিল। ভারত সরকারকে এই সংকটে ভারতের সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুণ্ন রাখতে হবে এবং এই ধরনের মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করা চলবে না।
পেট্রোপন্যে কেন্দ্রীয় শুল্ক পেট্রোলের প্রতি লিটারে ৩৩ টাকা এবং ডিজেলের প্রতি লিটারে ৩২ টাকা। সেই কারনে দামের এহেন হ্রাসে সার্বিক অর্থনীতি কিংবা জনগণের উপর অত্যধিক জ্বালানির মূল্যের বোঝা এতে কমে না। কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপি’র খারাপ ফলাফলের জন্য এভাবে দাম কমানো হয়েছে, কার্যত এ হল উঠে দাঁড়ানোর আগে হাঁটু ঝাঁকুনি দেবার মতোই তাচ্ছিল্যের বহিঃপ্রকাশ।
বামদলগুলির পক্ষে সমস্ত রাজ্য ইউনিটগুলির উদ্দেশ্যে আহ্বান জানানো হচ্ছে যাতে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বাধ্যবাধকতা মেনে এবং নিজেদের রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বিচার করেই উপরোক্ত বিষয়গুলিতে একপক্ষকাল ব্যাপি যথোপযুক্ত প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন।
জনজীবনের প্রধান
সমস্যা যেমন পেট্রোপন্যের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের
সংসদে যেকোনো আলোচনাই প্রত্যাখ্যান করছে, পলিট ব্যুরো কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাবের
তীব্র বিরোধিতা করছে। আলোচনা এড়িয়ে যাবার উদ্দ্যেশ্যেই ১৫ মার্চ অবধি সংসদের অধিবেশন
মুলতবী করে দেওয়া হয়েছে। সংসদে কৈফিয়ত দেবার প্রসঙ্গে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী সরকারের
যে দায়বদ্ধতা রয়েছে তাকে সরাসরি খারিজ করে দেওয়ার জঘন্যতম উদাহরন হল এই ঘটনা।
পলিট ব্যুরো আরও একবার পেট্রোপণ্যে যাবতীয় বর্ধিত কর প্রত্যাহার করে নেবার দাবী জানাচ্ছে।
বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ’এর পক্ষ থেকে আবেদন….