মানুষকে করুণা ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মানুষকে করুণা ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
রাজ্যব্যাপী আন্দোলনের আহবান।
অন্তত পনেরো হাজার মানুষ কাজ হারাবেন।
আর কিছু না হোক এখনও ঘাড়ের উপরে থাকা মাথাটা আপনারই রয়েছে।
জামার কলার সাদা, নীল,কালো যাই হোক আমার আপনার রক্তের বিনিময়েই পুঁজি তার মুনাফার পরিমাণ বাড়িয়ে চলে তাই প্রতিটি শ্রমজীবি মানুষের লড়াই একটাই
‘শ্রেণীসংগ্রাম’ কথাটার উপরেই একপ্রকার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বসে গেছিল। শ্রেণী নিয়ে তুমি কথা বলছো, মানে তুমি প্রাচীনপন্থী, ও আবার কেউ বলে নাকি ? আর ‘ধর্মঘট’ ?
দ্য আনঅর্গানাইজড ওয়ার্কার্স সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০০৮ ধারা 2(L) অনুযায়ী ‘অসংগঠিত ক্ষেত্র’ বলতে বোঝাবে একটি সংস্থা যা কোন ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ বা স্বনিযুক্ত শ্রমিক/শ্রমিকরা তার মালিক এবং এই সংস্থাটির কোন দ্রব্য উৎপাদন বা কোন সামগ্রী বিক্রি বা যেকোনো ধরনের পরিষেবা প্রদান করে এবং এই কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে কিন্তু তার সংখ্যা ১০ জনের কম।
করোনা সংক্রমনের ধাক্কায় দেশের সংসদের একের পর এক অধিবেশন খারিজ হলেও বারে বারে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে নয়া কৃষি আইন, শ্রম আইন পাশ করানো হয়েছে। দেশের কৃষকরা ফসলে ন্যুনতম সহায়ক মূল্য সহ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে এক বছরেরও বেশি সময় সময় ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করেছেন, সেই আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিলের মৌখিক ঘোষণা করেছেন – যদিও সংস্লিস্ট আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলি এখনও আদায় হয় নি। আগামি মার্চ মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখে দুইদিন ব্যাপি ধর্মঘটের আহ্বান জানিয়েছে সারা দেশের কেন্দ্রীয় ট্রেডইউনিয়নগুলি। কার্যত ভারতের কৃষক সমাজ এবং শ্রমিক-মেহনতি মানুষ লড়াই চালাচ্ছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে, সেই সংগ্রামে প্রতিদিন সাধারন মানুষের সমর্থন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত বাজেটকে দেখতে হবে।
পূর্বতন পরিযায়ী শ্রমিক আইনের আওতায় একজন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজের প্রায় সবটুকু অংশকেই আনা হয়েছিল’, যেমন, তার কর্মনিযুক্তি, নথিভুক্তি, আসা যাওয়ার ভাড়া, কর্মক্ষেত্রে তার বাসস্থানের ব্যবস্থা, মজুরি নির্ধারণ এবং তার নিয়মিত সময়ে প্রদান, ঠিকাদারদের এবং মুখ্য নিয়োগকারী সংস্থার তার প্রতি দায়দায়িত্ব ইত্যাদি। কাজের ক্ষেত্রে মালিকপক্ষের সাথে কোনো রকম সংঘাতের প্রশ্নে শিল্প বিরোধ আইন প্রযোজ্য ছিল এবং সামাজিক নিরাপত্তাসমূহের জন্য শিল্প মজুরি আইন, ইএসআই, ভবিষ্যনিধি প্রকল্প সংক্রান্ত আইনসমূহ প্রযোজ্য ছিল। এই নতুন কোডের আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাবতীয় পুর্বোক্ত অধিকার হরণ করা হচ্ছে। সে কারণে কর্পোরেটদের দাসানুদাস বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের এই অমানবিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ১৯৭৯ সালের পরিযায়ী শ্রমিক আইন পুনরায় বহাল করার এবং তাকে আরো শক্তিশালী করার দাবিতে লড়াই চালিয়ে যেতেই হবে।
আর্থিক ক্ষতির প্রভাব অবশ্যই সার্বিক, যদিও মুনাফা কামানোর পথে উৎপাদন করতে বা যোগান (পণ্য বা পরিষেবা) দিতে শ্রমের ভূমিকা এখনও সামাজিক! মুনাফার খোঁজে নির্লজ্জ পুঁজিবাদের চরিত্র বর্ণনা করতে ঠিক মার্কস যেমনটা বলেছিলেন। সেই লেখার ধাক্কায় পুঁজিবাদ তাই আজও কমিউনিজমের ভূত দেখছে বৈকি!