‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ শুধু একটি বিশেষ অর্থনীতি না, একটি বিশেষ ধরনের রাজনীতিও। আমরা তাকেই কর্পোরেট-কমিউনাল নেক্সাস (কর্পোরেট ও সাম্প্রদায়িক শক্তির আঁতাত) বলেছি।

‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ শুধু একটি বিশেষ অর্থনীতি না, একটি বিশেষ ধরনের রাজনীতিও। আমরা তাকেই কর্পোরেট-কমিউনাল নেক্সাস (কর্পোরেট ও সাম্প্রদায়িক শক্তির আঁতাত) বলেছি।
পুঁজির এসবে কোনও দায় নেই- এটুকু নিশ্চিত করতেই তারা আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির পিছনে সমর্থন দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছাড়া যাদের আর কিছুই দেওয়ার নেই- তারাও আর কোথাও ঠাঁই না পেয়ে এমন লুটেরা পুঁজির ধামধরা হয়েছে।
হিন্দু জাতীয়তাবাদ আসলে এমন এক উৎকট ও উগ্র জাতীয়তাবাদী ধারণা যা স্বাধীনতা পরবর্তী ভারত নির্মাণের যাবতীয় বুনিয়াদী ধারণাকেই ধ্বংস করতে চায়।
নয়া-উদারবাদের আঘাতে সাবেক শ্রমিকশ্রেণি ইতিমধ্যেই আক্রমণের মুখে পড়েছিল। এর উপরে আন্তর্জাতিক লগ্নী পুঁজির দাপটে ভারি শিল্পে উৎপাদনের অনেকটাই ইউরোপের হাতছাড়া হয়ে যায়। পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় বহুবিধ কাঠামোগত পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল, এরই প্রভাবে উৎপাদনের মূলধারার নানারকম কাজ অনেকটাই উন্নয়নশীল দেশের মাটিতে সরে আসে।
দেশজুড়ে কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনা যেমন বাড়ছে তেমনই কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে কাজের খোঁজে কৃষক ও খেতমজুরেরা দলে দলে শহরে এসে ভিড় করছেন। তারা বেশিরভাগই আদৌ উপযুক্ত কোন কাজ পাবেন না, উল্টে বেকারবাহিনী ক্রমশ বাড়তে থাকলে মজুরি ও অন্যান্য ন্যায্য সুযোগবিধা আদায়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের দর-কষাকষির লড়াইতে মালিকরাই বাড়তি সুবিধা ভোগ করবেন।
অস্বাভাবিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা অতিমুনাফা করেছে তাদের উপর অস্বাভাবিক হারে কর লাগু করার দাবি নানা মহল থেকে দেশে-বিদেশে উঠছে। এই সরকার সে কথা না ভেবে সমস্যার অভিমুখই বদলে দিতে চাইছে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা পাল্টাচ্ছে না। নয়-উদারবাদ উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহার কোন সম্ভাবনাই নেই। নির্মলার বচনে সেই অনর্থনৈতিক সত্যই সামনে এসেছে।