ঔচিত্যবোধে সমৃদ্ধ মানবিক কাজ গণতন্ত্রের জন্য দরকার। ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গড়ে তোলা মানেই ঔচিত্যবোধের অগ্রগতি।

ঔচিত্যবোধে সমৃদ্ধ মানবিক কাজ গণতন্ত্রের জন্য দরকার। ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গড়ে তোলা মানেই ঔচিত্যবোধের অগ্রগতি।
ধর্ম তার বিশ্বাস আর দেবতার কাছ থেকেই কেবল তার সব কাজের মান্যতা পায়, যোগ্যতা অর্জন করে। উভয়ের কর্তৃত্ব অর্জনের ক্ষেত্র স্পষ্টতই আলাদা।
অভিন্ন দেওয়ানী বিধির চেহারা চরিত্র কেমন হবে তা নিয়ে আজ অবধি মাহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কোনো স্পষ্ট নির্দেশ বা বক্তব্য রাখেনি।
যে মুহূর্তে আমরা মস্তিস্ক প্রসুত বিশুদ্ধ জ্ঞানের অনুভবে মজে গেলাম, তখনই যাচাই করে নেওয়ার তাগিদটুকু চলে গেল।
সাম্প্রদায়িকতাবাদ ও মৌলবাদের বিষের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমাদের রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত যুদ্ধ চালাতে হবে।
একটি মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে সঙ্ঘ পরিবার এবং বিজেপি হিটলার, গোয়েবেলসকে প্রথম থেকে অনুসরণ করে আসছে। যেমন তাদের ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে এসেছে। বহুদিন ধরে বাবরি মসজিদ রাম মন্দিরের উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে প্রচার করতে করতে একটি পর্যায় এসে রহস্যজনক ভাবে তাকে আইনী বৈধতা দেওয়া হল। যেমন প্রচার করে সমুদ্রগুপ্ত কুতুব মিনার তৈরি করেছিলেন এবং তার আসল নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। অথচ সমুদ্র গুপ্তের রাজত্বকাল ছিল ৩২০ থেকে ৩৮০ খ্রিস্টাব্দে। আর কুতুব মিনার তৈরি হয় ১২০খ্রিস্টাব্দে। এই কাজ শেষ করেন ইলতুতমিস।
কমিউনিস্টদের আনা পূর্ণ স্বরাজের প্রস্তাবের পক্ষে ব্যাটন ধরেন সুভাষচন্দ্র বসু। আবার কংগ্রেসের সভাপতি পদে সুভাষচন্দ্র বসুর নাম প্রস্তাব করেন কমিউনিস্টরা।
সংবিধানকে বাঁচানো ও সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত করবার জন্যই সংবিধানের মর্মবস্তু চর্চার পরিসরকে বাড়ানো দরকার। বিশেষ করে আগামী দিনের সমাজ গড়ার কারিগরদের কাছে তা বেশি বেশি করে বলা দরকার।
Who said facts are facts? সুতরাং নির্মানই শেষ কথা নয়। প্রকরণ, সত্য, মিথ্যা, আংশিক সত্য, এক সত্যকে অপ্রকাশিত রাখা তার কৌশল। যাই হোক, নির্মাণ নির্ভর করে নির্মাতার শ্রেণী দৃষ্টিভঙ্গির উপর ।
স্বাধীনতা সংগ্রাম সঞ্জাত এই নানাবিধ ভাবনার প্রেক্ষাপটেই ‘ভারতের ধারনা’। তাঁকে মূল সূত্র রেখেই ভারতের সংবিধান। স্বাধীন ভারতের প্রাথমিক কাজ এই সংবিধানকে রক্ষা করা এবং সংবিধানের নির্দেশকে কার্যকরী করা। অতীতের মতই সেক্ষেত্রে বামপন্থী শক্তিকে ধারাবাহিকভাবে লড়াই জারি রাখতে হয়েছে।