পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সংকটের ইতিহাসকে বস্তুনিষ্ঠতায় স্বীকার করে সেই প্রসঙ্গে যদি কাউকে দায়ী করতেই হয় তবে দেশভাগ থেকে সেই আলোচনা শুরু করতে হবে। সেখান থেকে বিধান রায়, জহরলাল নেহরু এবং প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ… – পণ্ডিত নেহরুর অর্থনৈতিক মডেলের প্রতিটি ব্যবহারিক তথা বৌদ্ধিক কর্ণধার অবধি সেই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই অর্থনৈতিক মডেলই সমৃদ্ধির প্রসঙ্গে ১৯৪৭-এ সামনের সারিতে থাকা আমাদের রাজ্যকে পরবর্তী অন্তত আড়াই দশকের জন্য অবনমনের খাদে ঠেলে দিয়েছিল।
Tag: EconomicRecession
It’s A Cut! Shylock’s Cut!
মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা পাল্টাচ্ছে না। নয়-উদারবাদ উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহার কোন সম্ভাবনাই নেই। নির্মলার বচনে সেই অনর্থনৈতিক সত্যই সামনে এসেছে।
Reflections on the Sri Lankan Economic Crisis
শ্রীলংকায় যা হয়েছে তা আগামিদিনে যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া কিংবা জনকল্যানমুখী নীতিসমূহকে বাতিল করে দেওয়ায় আদৌ কোন সুরাহা হবে না যেমনটা কতিপয় ভারতীয় পর্যবেক্ষক আমাদের দেশের কিছু রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রয়োজন তা হল নয়া-উদারবাদের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা।
Fiscal Folly
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথেই মোদী সরকারের রাজস্ব আদায় নীতি অভ্যন্তরীণ মুদ্রাস্ফীতির হারকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। সরকার যদি সেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তবে বিশ্বের দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় পেট্রোপণ্যের দাম না বাড়িয়ে তাদের উপরে চাপানো বর্ধিত কর কার্যকরীরূপে কমাতে হবে (যেমনটা তারা সম্প্রতি করেছে)। কিন্তু তারপরেও সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে সেই ঘাটতির ভারসাম্য বজায় রাখা হবে যাতে রাজস্ব ঘাটতি সীমার মধ্যে থাকে এবং বিশ্বায়িত পুঁজির স্বার্থ অক্ষুণ্ণ থাকে। এর ফলাফল হবে অত্যন্ত হাস্যকর যখন মোদী সরকার জাতীয় অর্থনীতির মন্থর অবস্থার মধ্যেও বেকারত্বকে আরও ভয়াবহরূপে বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে।
“It Is Not Consciousness That Determines Their Being, But, On Contrary Their Social Beings That Determines Their Consciousness”: The Pegasus Comes Alive (Part II)
বলা বাহুল্য চলতি সংকটের আক্রমনে জর্জরিত জনগণের ভীষণ রোষ তো আর লাইব্রেরীর টেবিলে বসে লেখা গবেষণাপত্র না যে বেছে বেছে ঠিক এই এই স্থানে পুঁজিবাদ লুকিয়ে রয়েছে তাকেই শুধু আক্রমন করবে, জনগণ বস্তুগত সত্যকেই আঁকড়ে ধরেন। তারা নাটের গুরু চিনে নেবেন খুব সহজেই, ফলে আক্রমণটা নেমে আসবে রাষ্ট্রের পরিচালকবৃন্দের উপরেই – পুঁজিবাদ এই সত্য ভালো বোঝে, রাষ্ট্রপরিচালনায় যুক্ত রাজনৈতিক শক্তি বোঝে আরও বেশি কারন তার গদি হারানোর ভয় থাকে, দেশে বিদেশে ছুটে বেড়ানো ফিন্যান্স পূঁজির মতো তার চরিত্র আদৌ বিমূর্ত নয় যে! ফলে জনগণ কখন কি ভাবছে, কি করছে সেই খোঁজ রাখতে রাষ্ট্র বাধ্য – ফলে ‘আড়ি পাতা’ এবং ‘পেগাসাস’।
Economy in Doldrums
Date: Thursday, November 12, 2020 The Polit Bureau of the Communist Party of India (Marxist) has issued the following statement: The