যে আমরা সবাই নাগরিক এবং প্রত্যেকে সমানভাবে মত প্রকাশের অধিকারী। যদি এই সম অধিকারের প্রাথমিক অঙ্গীকার থেকে সরে গিয়ে আমরা এটা মনে করতে শুরু করি যে এই দেশে কেবলমাত্র একটি ধর্মের মানুষের বা কোনো গোষ্ঠীর অধিকার বেশি হওয়া উচিত অথবা সংখ্যালঘুদের অধিকার কম হওয়া উচিত তা হলে গণতন্ত্রের ভিত্তিকেই টলিয়ে দেওয়া যায়।
Tag: economicpolicy
GST and Food: A Report (Part II)
, জিএসটি হার বৃদ্ধির বিষয়ে সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যাপার হল এই সিদ্ধান্তের সময়। দেশ এখন মূদ্রাস্ফীতির তীব্র সংকটের মুখে। খুচরো মূদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের উপরে। পাইকারি মূল্য সূচক ১৫শতাংশ বেড়েছে।
GST and Food: A Report (Part I)
এই প্রয়োগের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল টেকসই পণ্যগুলির সাথে যুক্তরা যাদের বিদ্যমান করের বোঝা ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশের মধ্যে ছিল।তাদের কর হ্রাস করে অভিন্ন ২৮% শতাংশ করা হয়েছিল যা জিএসটি-এর অধীনে সর্বোচ্চ করের হার হিসাবে নির্ধারিত হয়েছিল।
A Prolonged Crisis: An Introspect
অস্বাভাবিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে যারা অতিমুনাফা করেছে তাদের উপর অস্বাভাবিক হারে কর লাগু করার দাবি নানা মহল থেকে দেশে-বিদেশে উঠছে। এই সরকার সে কথা না ভেবে সমস্যার অভিমুখই বদলে দিতে চাইছে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে।
New Current of Old Currency!
মোদী সরকার যতই এহেন সমস্যার ব্যখ্যায় অর্থনীতির তত্ত্বকথা আওড়াক না কেন হ্যামলেটের দুঃস্বপ্নের মতোই বারে বারে যার প্রসঙ্গ ফিরে আসবে তাকে বলে রাজনৈতিক-অর্থনীতি। অবশ্য এই বিষয়ে মোদী সরকারের অবস্থান স্পষ্ট- তারা নিজেদের নাক কেটেও ডলারের প্রমোদ ভ্রমণ আটকাতে চান না।
There Is No Job!
এখনই যদি পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারী ব্যয়বরাদ্দ না বাড়ানো হয়, রোজগার নেই এমন পরিবারগুলিকে মাসিক ন্যুনতম ৭৫০০ টাকার ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার প্রকল্পের আওতায় না আনা যায় এবং গণবণ্টন ব্যাবস্থাকে আরও বিস্তৃত করে জনগণকে রিলিফ না দেওয়া যায় তাহলে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি দেখেও কিছুমাত্র শিক্ষালাভ হয় নি বলেই বুঝতে হবে।
WB Per Capita: The Real Story
পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সংকটের ইতিহাসকে বস্তুনিষ্ঠতায় স্বীকার করে সেই প্রসঙ্গে যদি কাউকে দায়ী করতেই হয় তবে দেশভাগ থেকে সেই আলোচনা শুরু করতে হবে। সেখান থেকে বিধান রায়, জহরলাল নেহরু এবং প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবিশ… – পণ্ডিত নেহরুর অর্থনৈতিক মডেলের প্রতিটি ব্যবহারিক তথা বৌদ্ধিক কর্ণধার অবধি সেই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই অর্থনৈতিক মডেলই সমৃদ্ধির প্রসঙ্গে ১৯৪৭-এ সামনের সারিতে থাকা আমাদের রাজ্যকে পরবর্তী অন্তত আড়াই দশকের জন্য অবনমনের খাদে ঠেলে দিয়েছিল।
It’s A Cut! Shylock’s Cut!
মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমাদের শেষ কথা পাল্টাচ্ছে না। নয়-উদারবাদ উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ী সুরাহার কোন সম্ভাবনাই নেই। নির্মলার বচনে সেই অনর্থনৈতিক সত্যই সামনে এসেছে।
It’s Fire in Lanka! A Report
রাজাপক্ষে সরকার করের পরিমাণ হ্রাস এবং পুঁজিপতিদের জন্য ব্যাপক সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। আর এইসব প্রতিশ্রুতি পালন করতে গিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ হ্রাস পায়। ফলে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। খাদ্যে ভরতুকি ছাঁটাই করার খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ইতিমধ্যে দেশের কৃষি ব্যবস্থা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ফলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা আক্রান্ত হয়। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় কোভিড সংক্রমণ।
Reflections on the Sri Lankan Economic Crisis
শ্রীলংকায় যা হয়েছে তা আগামিদিনে যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। সরকারী ব্যয়বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া কিংবা জনকল্যানমুখী নীতিসমূহকে বাতিল করে দেওয়ায় আদৌ কোন সুরাহা হবে না যেমনটা কতিপয় ভারতীয় পর্যবেক্ষক আমাদের দেশের কিছু রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন। যা প্রয়োজন তা হল নয়া-উদারবাদের শিকল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা।