২৮ মে ২০২১ (শুক্রবার)
ছ’মাস আগে, সেপ্টেম্বরেও তিনি সতর্ক করেছিলেন। রীতিমতো প্রথম আন্তর্জাতিকের অধিবেশনে। ফরাসী শ্রমিকদের হুঁশিয়ারি শুনিয়েছিলেন, এই বিদ্রোহ হতে চলেছে ‘একটি নিরেট মূর্খামি’। নিষেধ করেছিলেন ‘অস্ত্র হাতে তুলে নিতে’।
সেই তিনিই যখন তুমুল গণআন্দোলনের সাক্ষী, তখন গভীর আগ্রহে নজর রেখে চলেছেন বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতিটি অগ্রগতি। ‘অকাল’ আন্দোলনকে পণ্ডিতি চালে নিন্দা করেননি। বরং, প্যারি নগরীর বিপ্লবী শ্রমিকশ্রেণির অভিনব ভূমিকায় দৃশ্যতই চমকিত। ফরাসী শ্রমিকরা তাঁর কথা শোনেননি বলে মনের মধ্যে নেই বিন্দুমাত্র আক্ষেপ। বিদ্রোহকে শুধু দু’হাত তুলে সমর্থন জানানোই নয়, বলছেন: ‘বেপরোয়ারকমের সাহসী’ প্যারির বীর শ্রমিকরা ‘স্বর্গে ঝড়’ তুলেছেন।
স্বাভাবিক। তিনি কার্ল হাইনরিখ মার্কস।
প্লেখানভ নন। ১৯০৫, রাশিয়ায় বিপ্লবী আন্দোলন তুঙ্গে ওঠার মাসখানেক আগেও সর্বহারাশ্রেণিকে যে প্লেখানভ বলেছিলেন, ‘অস্ত্রের ব্যবহার শিখুন, অস্ত্র তুলে নিন’, সেই তিনিই আন্দোলন যখন চরমে তখন বলছেন, ‘ওদের অস্ত্র তুলে নেওয়া উচিত হয়নি’। বলছেন ভ্লাদিমির লেনিন। কুগেলমানকে লেখা মার্কসের পত্রাবলির ভূমিকায় লেনিন বলছেন, মার্কস ‘কি স্কুলশিক্ষিকার মতো (প্যারির শ্রমিকদের) বকুনি দিতে শুরু করেছিলেন এবং বলেছিলেন: আমি তো তোমাদের এমনই হবে বলেছিলাম, তোমাদের হুঁশিয়ার করেছিলাম, এখন যা হলো, তা তোমাদের রোমান্টিকতা আর বিপ্লবী পাগলামোর কারণে?’ কিংবা তিনি কি প্লেখানভের মতো বলেছিলেন, ‘তোমাদের অস্ত্র তুলে নেওয়া উচিত হয়নি’?
না, মার্কস যে মার্কসই!
প্যারি কমিউনকে কুর্নিশ জানিয়ে বলছেন, ‘১৮ মার্চের ভোরে প্যারির ঘুম ভাঙল ভিভে লা কমিউনের (দীর্ঘজীবী হোক কমিউন) বজ্রনির্ঘোষে।… প্যারি কমিউন যখন নিজের হাতে বিপ্লব পরিচালনার ভার তুলে নিল, যখন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ প্রথমবারের জন্য তাদের ‘স্বাভাবিক ঊর্ধ্বতনদের’ বিশেষ সরকারি অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করতে সাহস পেল… তখন শ্রমিকশ্রেণির সাধারণতন্ত্রের প্রতীক লালঝাণ্ডাকে টাউন হলের শীর্ষে উড়তে দেখে রোষে ফুঁসছিল প্রাচীন পৃথিবী।’
প্যারি কমিউন। দুনিয়ার প্রথম সর্বহারা বিপ্লব। প্রথম সর্বহারার একনায়কতন্ত্র। এক নতুন যুগের সূচনা। কেন? এর আগে আঠারো বা উনিশ শতকে অনেক বিপ্লব হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে সামন্ত রাজাদের উৎখাতের লক্ষ্যে। বুর্জোয়া বিপ্লব। যেমন ছিল ফরাসী বিপ্লব। একটি ধ্রুপদী বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব। তারপরে বিশ শতকে অক্টোবর বিপ্লব। তার আগে প্যারি কমিউন। সর্বহারাদের প্রথম ক্ষমতা দখল ও একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের প্রচেষ্টা। যদিও ছিল স্বল্পায়ু। মাত্র ৭২ দিন। ১৮৭১: ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মে। কিন্তু সর্বহারা বিপ্লবী ইতিহাসের জন্য রেখে গিয়েছে এক অনির্বাণ প্রভাব।
বুর্জোয়া শাসনে অসন্তুষ্ট শ্রমিকশ্রেণি উৎখাত করেছিল সরকারকে। দখল করেছিল ক্ষমতা। ন্যাশনাল গার্ডের কেন্দ্রীয় কমিটি গড়েছিল অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার। কমিউন নিয়েছিল বেশকিছু গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং বিপ্লবী পদক্ষেপ। ক্ষমতা দখলের পরই ডাক দিয়েছিল নির্বাচনের। অধিকাংশ আসনই (৮৬-র মধ্যে ৬৫) জিতেছিল বিপ্লবী সংগঠনগুলি। নির্বাচিত হয়েছিলেন ২৬ জন শ্রমিক। বাকিরা ছিলেন সরকারি কর্মী, শিক্ষক, ডাক্তার, সাংবাদিক ও আইনজীবী। ৩৩ জন ছিলেন প্রথম আন্তর্জাতিকের সদস্য।
কমিউনের ২০-বছর পূর্তিতে মার্কসের ‘ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ’র ভূমিকায় এঙ্গেলস লিখছেন, ‘প্রথম থেকেই কমিউন মানতে বাধ্য হয়, ক্ষমতায় একবার এসেই শ্রমিকশ্রেণি পুরনো শাসনযন্ত্র দিয়ে কাজ চালাতে পারবে না। যে আধিপত্য শ্রমিকশ্রেণি সদ্য জয় করেছে, তাকে আবার হারাতে না হলে একদিকে যেমন সকল সাবেকি নিপীড়ন যন্ত্র, যা এতকাল ব্যবহৃত হয়েছে তাঁদেরই বিরুদ্ধে, তাকে উচ্ছেদ করতে হবে, তেমনই আবার আত্মরক্ষা করতে হবে নিজেদের প্রতিনিধি ও সরকারি পদাধিকারীদের হাত থেকেও। সেকারণেই ঘোষণা করে বিনা ব্যতিক্রমে যে কোনও মুহূর্তে এদের প্রত্যাহার করা যাবে।’
দু’সপ্তাহের মধ্যেই কমিউন ঘোষণা করে পুরনো সেনাবাহিনী আর থাকবে না। বাতিল। এখন জনগণই সেনাবাহিনী। সবার হাতে তুলে দাও অস্ত্র। যাঁরা অস্ত্র বহন করতে পারবেন, তাঁরাই ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য। বাতিল পুলিশবাহিনী। শ্রমিকরাই রক্ষা করবে আইনশৃঙ্খলা। যবে থেকে প্রুশিয়বাহিনী প্যারি নগরী অবরোধ করে রেখেছে (১৮৭০’র অক্টোবর থেকে ১৮৭১’র এপ্রিল), কোনও বসতবাড়িকে দিতে হবে না খাজনা। সব খাজনা মকুব। সরকারের কোনও আমানত বিক্রি করতে পারবে না সরকার। কমিউনের কোনও সদস্য, কর্মচারীর বেতন হবে না ৬ হাজার ফ্রাঁর বেশি।
শুধু তাই নয়, রাষ্ট্র থেকে চার্চকে পৃথক করে কমিউন। সমস্ত স্কুল থেকে তুলে দেওয়া হয় ধর্মীয় প্রতীক, আপ্তবাক্য। তুলে দেওয়া হয় ধর্মীয় প্রার্থনা। সব সমবায়কে যুক্ত করা হয় একটা ইউনিয়নে। শুরু করা হয় উৎপাদনের উপকরণের সামাজিকীকরণ। মালিকরা যেসব কারখানা ফেলে রেখে গিয়েছিলেন, তা তুলে দেওয়া হয় শ্রমিক সংগঠনের হাতে, আবার সেগুলি খোলা হয় শ্রমিকদের পরিচালনায়। শ্রমিকদের সুরক্ষায় জারি করা হয় ডিক্রি। বেতনের বিপুল ফারাকের অবসান ঘটানো হয়। কাজের পরিবেশ উন্নতির সঙ্গেই ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর কথা বলা হয়। রাতে নিষিদ্ধ করা হয় শ্রম। বাতিল করা হয় শিশুশ্রম। শুরু করা হয় বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
ফরাসী দেশের তেরঙা পতাকা বদলে করা হয় লাল পতাকা।
কমিউনের প্রশংসা করে মার্কস লেখেন, ‘প্যারিসের বুকে কমিউন যে পরিবর্তন আনল, তা সত্যিই বিস্ময়কর! দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের সময়কার ব্যাভিচারী প্যারিসের কোনও চিহ্নই রইল না! প্যারিস আর রইল না ব্রিটিশ জমিদারদের, অনুপস্থিত আয়ারল্যান্ডবাসীদের, আমেরিকার প্রাক্তন দাসমালিক আর ভূঁইফোড় লোকেদের, সাবেক রুশ ভূমিদাস মালিকদের। অথবা রইল না ভালাচিয়ার অভিজাতদের বিনোদন ক্ষেত্র।’
কেমন হলো প্যারিসের চেহারা? মার্কস লিখছেন, ‘লাশকাটা ঘরে মৃতদেহ নেই, রাতে নেই ডাকাতির হিড়িক, প্রায় নেই চুরি। বস্তুত, ১৮৪৮’র ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম প্যারিসের রাস্তাঘাট হলো নিরাপদ। তাও কোনও ধরনের পুলিশ পাহারা ছাড়াই।’
শেষে প্রতিবিপ্লবী বুর্জোয়াদের ভার্সাই সরকারের প্রধান তিঁয়েরের প্যারিস আক্রমণ। প্রুশীয় বাহিনীর (জার্মানি) সাহায্য। প্রতিরোধের ‘রক্তাক্ত সপ্তাহ’। কমিউনের পতন। ৬,৬৬৭ জনের কবরের হিসাব পাওয়া গেলেও, আসলে সেদিন ২০ হাজারের বেশি কমিউনার্ডের রক্তে ভেসেছিল প্যারি নগরী।
কমিউনের পতনের অন্যতম কারণ ছিল বুর্জোয়া সরকারকে প্যারিস থেকে পালিয়ে শহরতলি ভার্সাইতে ঘাঁটি গাড়ার সুযোগ করে দেওয়া। প্রতিবিপ্লবের উৎসকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট না করা। কমিউন তখনও পরাস্ত হয়নি। শুরুতেই সেই ১২ এপ্রিল, কুগেলমানকে লেখা চিঠিতে মার্কস বলছেন: কমিউনার্ডরা ‘যদি পরাজিত হন, তবে একমাত্র দায়ী থাকবে তাদের সহৃদয়তা।… জাতীয় রক্ষী বাহিনীর প্রতিক্রিয়াশীল অংশটা পশ্চাদপসরন করার পরেই ভার্সাইয়ের উপর তাঁদের (কমিউনার্ডদের) অভিযান চালানো উচিত ছিল।’
আরেকটি গুরুতর ভ্রান্তি ছিল, জাতীয় ব্যাঙ্কের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা। যা উৎখাত হওয়া বুর্জোয়াদের আমানত ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। এবং প্রতিবিপ্লবী কাজে অর্থ জোগাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, কৃষকসহ অন্যান্য শহরের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছিল প্যারি কমিউন। যা কমিউনের অস্তিত্বের দীর্ঘ লড়াইকে দুর্বল করেছিল।
‘আশু পরিণতি’ নিয়ে দূরদর্শী মার্কস সন্দিহান থাকলেও সেই এপ্রিলেই কুগেলমানকে লেখা চিঠিতে মার্কস বলেন, ‘প্যারিসের সংগ্রামে পুঁজিপতিশ্রেণি ও তার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণির সংগ্রাম উন্নীত হয়েছে এক নতুন স্তরে।’
এটাই প্যারি কমিউনের তাৎপর্য। সেইসঙ্গেই মার্কস বলেন, ‘আশু পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অর্জন করা গেল দুনিয়াজোড়া ঐতিহাসিক গুরুত্বের এক নতুন পয়েন্ট অব ডিপারচার (যাত্রা বিন্দু)।’
প্যারির পতনে তুমুল উচ্ছ্বাসে তিঁয়ের ঘোষণা করেন, অসভ্য মজদুরদের ক্ষমতা দখলের খোয়াব চিরকালের জন্য ভেঙে দিলাম। অবশ্য তার আগেই কমিউনের ‘অন্তিমক্ষণটি সমাসন্ন’ আশঙ্কা করে আন্তর্জাতিকের সাধারণ পরিষদে (২৩ মে, ১৮৭১) মার্কস বলেন, ‘তাঁর আশঙ্কা অন্তিমক্ষণটি সমাসন্ন। কিন্তু কমিউন যদি পরাস্ত হয়ও, সংগ্রাম তাহলে পিছিয়ে পড়বে মাত্র। কমিউনের নীতিগুলো চিরন্তন। সেগুলিকে চূর্ণ করা যাবে না। শ্রমজীবী শ্রেণিগুলি যতদিন মুক্ত না-হচ্ছে ততদিন সেগুলি বারবার ফিরে ফিরে আসবে।’
স্বাভাবিক। মার্কসের কথায়, প্রতিটি পরাজয়ই শ্রমিকশ্রেণির জন্য ভবিষ্যতের সংগ্রামকে শক্তিশালী করার একটা শিক্ষা। মার্কসের শিক্ষা, একটি পরাজয় মানে সংগ্রাম পিছিয়ে পড়ে মাত্র। কিন্তু শেষ হয় না।
যেমন প্যারি কমিউনেই শেষ হয়ে যায়নি ইতিহাস।
বরং, প্যারি কমিউন এই গ্রহের শ্রমিকশ্রেণির কাছে তুলে দিয়েছে বিপ্লবের ব্লুপ্রিন্ট। ভ্লাদিমির লেনিনের বয়স তখন মাত্র এক বছর।
এবং ৪৬-বছর পরে অক্টোবর বিপ্লব। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক যুগান্তর। শোষণ-ভিত্তিক সমাজের অবসান। পুঁজি ও মুনাফার স্বার্থে নয়, শোষিত জনগণের স্বার্থে রাষ্ট্র— সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে তার প্রথম বাস্তব প্রতিফলন। পুঁজিবাদের একটি সুনির্দিষ্ট বিকল্প হিসাবে বিশ্ব ইতিহাসের অ্যাজেন্ডায় সমাজতন্ত্র।
১৮৭১, মার্কসের লেখা পুস্তিকা ‘ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ’ই ছিল রুশ বিপ্লবের প্রাকমুহূর্তে ১৯১৭’র গ্রীষ্মে লেনিনের লেখা ‘রাষ্ট্র ও বিপ্লব’র মুখ্য অধ্যায়গুলির ভিত্তি।
১৯০৫, রুশদেশে ব্যর্থ বিপ্লবেই শেষ হয়ে যায়নি ইতিহাস। বারো বছর বাদে সফল অক্টোবর বিপ্লব।
প্যারি কমিউন। টিকে ছিল ৭২ দিন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৭২ বছর।
১৯৩১, চীন। বড় ধাক্কা। জাপানিদের মাঞ্চুরিয়া দখল। মাওয়ের নিজের কথায় ‘শহরাঞ্চলের ১০০ শতাংশ, গ্রামের ৯০ শতাংশ শক্তি ক্ষয়।’ কিন্তু ইতিহাস ওখানেই থেমে থাকেনি। ১৯৩৫, নতুন শক্তি অর্জন। তারপর কমিউনিস্টদের অপ্রতিরোধ্য গতি। শেষে চীনের আকাশে লাল তারা।
২৬ জুলাই, ১৯৫৩। মনকাডা সেনা ছাউনি অভিযান। সেখানেই শেষ নয়। বরং শুরু। সেদিন অভিযান ব্যর্থ হলেও, সেদিনই আসলে কিউবা বিপ্লবের জন্ম। মনকাডা অভিযানের পর পাঁচবছর, পাঁচমাস, পাঁচদিন। ১ জানুয়ারি, ১৯৫৯। কিউবায় সফল বিপ্লব।
এখনও মে দিনে আমাজন থেকে আন্দামান সাজে লাল ঝান্ডায়। এই গ্রহের যেখানে সূর্যের আলো, সেখানেই লাল পতাকা। খেতে কারখানায় হাটে বন্দরে বস্তিতে— যেখানে মানুষ, সেখানেই লাল পতাকা।
গোর্কির উপন্যাসে, আইজেনস্টাইনের চলচ্চিত্রে, ব্রেখটের নাটকে, পিকাসোর চিত্রকলায়, পিট সিগারের গানে, নেরুদা, বিষ্ণু দে’র কবিতায় উজ্জ্বল এই পতাকা।
এমনকি হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পর্যন্ত উড়েছে লাল পতাকা।
এই রাজ্যেও, সেদিন বক্সা ক্যাম্পের কমিউনিস্ট বন্দীরা লেপের লাল কাপড় কেটে বিধান রায়ের পুলিসকে উপেক্ষা করে মে’দিনে উড়িয়েছেন লাল পতাকা।
পরাজয় মানে তাই সংগ্রামে পিছিয়ে পড়া মাত্র। শেষ নয়। আমরা একটি লড়াইয়ে হেরেছি মাত্র। জারি রয়েছে যুদ্ধ। এবং শেষ লড়াইয়ে আমাদের জয়ই নিশ্চিত।