৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
১৯৪৩-এ বাংলার মন্বন্তর। প্রায় ৩০লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আর সেই সময়েই হিন্দুত্ববাদীদের ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে মহিলাদের কাজের দাবী সামনে এনেছিল বামপন্থী নারী আন্দোলন। সেদিন বাংলার নারী আন্দোলন ভবিষ্যতের নারী আন্দোলনের এক সুনির্দিষ্ট পথ নির্দেশও করেছিল।
১৯৪৪-র ১৩ই জানুয়ারি মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির উদ্যোগে একটি সভা হয় তৎকালীন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে। সেই সভায় বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আয়োজক সংগঠনের নেত্রীরা তো বটেই, সব সংগঠন, ব্যক্তিত্ব একটি অভিমতে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন যে, ‘দুর্ভিক্ষ সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছে নারী সমাজের উপর।’
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় — ‘‘নারীদের ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হলে তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত এই গুরুতর সমস্যার দিকে নজর দেয় নাই। গ্রামের গরিব মেয়েদের জীবনযাত্রার ব্যবস্থা করা, দুঃস্থ নারী ও শিশুদের গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে মহিলাদের কাজ দেওয়া — এই দুটি কাজ সরকারকে এখনই করতে হবে।’’
সেই আকালে এই দাবিতে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি পৌঁছেছিল এবং একটি অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন সময়ের নারী আন্দোলনের নেতৃত্ব। ১৯৪৩-এর মন্বন্তরের সময়ে ত্রাণে, খাদ্য-বেবিফুডের ব্যবস্থায় কলকাতায় অনেকগুলি শিবির পরিচালনা করেছিল মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি। আবার সেই সময়েই, ১৯৪৩-৪৪-এ কলকাতা এবং কয়েকটি জেলায় অন্তত ১০০টি কুটির শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠে মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির উদ্যোগে। সেই সময়ে এই সংখ্যা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। যে সংগঠন তৎকালীন সরকারের কাছে নারীদের কাজের দাবি জানাচ্ছে, দুর্ভিক্ষ-বন্যায় ত্রাণ বন্টনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তারাই একইসঙ্গে কুটির শিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজে গুরুত্ব দিচ্ছে।
কমরেড কণক মুখার্জির কথায়,‘‘মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির রিলিফের কাজের আর একটি বৈশিষ্ট্য ছিল, সূচনা থেকেই দুঃস্থ মহিলাদের এমনভাবে সাহায্য করতে চেষ্টা করা হয়, যাতে তারা এক সময়ে নিজেরা শ্রম করে, হাতের কাজ করে কিছু উপার্জন করতে পারে। কারণ, শুধু রিলিফ দিয়ে একটি জাতিকে বাঁচানো যায় না।’’ অর্থাৎ ‘সেবা ও সংগ্রাম’-র কাজ একইসঙ্গে পরিচালিত হচ্ছিল। নারীদের কর্মসংস্থানের প্রশ্ন তখনই গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছিল মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি। সুনির্দিষ্ট ভাবনা — ‘শুধু রিলিফ দিয়ে একটি জাতিকে বাঁচানো যায় না।’ তাই ‘সমাজজীবন পুনর্গঠনের’ কাজে মনোনিবেশ। তাই উত্থাপিত হয়েছিল মহিলাদের কাজের দাবি।
স্বাভাবিকভাবেই ৮০ বছর আগের পরিস্থিতি আজ নেই। কিন্তু ‘শুধু রিলিফ’ দিয়ে নারী সমাজকে ভোট ব্যাঙ্কে পরিণত করার পরিকল্পনা আজও শাসক করে। প্রমাণ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’-র মত প্রকল্প। এমন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও চালু ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল নারীদের স্বনির্ভর করে তোলা। সেই লক্ষ্য গড়ে উঠেছিল আন্দোলনের ময়দানে। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি গড়ে ওঠার সময়েও সেই দাবি, তার জন্য তৎপরতা ছিল।
এখন রাজ্যে কাজ নেই — নারী, পুরুষ কারও। আর্থিক সঙ্কটে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে নারীদের। একশো দিনের কাজ বন্ধ। কৃষি বিপন্ন। ফলে চাষেও কাজ কমেছে — নারী এবং পুরুষের। পুরুষরা বাইরে কাজে যাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে। আর কর্মক্ষম নারী পরিণত হয়েছেন কর্মহীনে। রাজ্যের নথিভুক্ত অসংগঠিত শ্রমিক প্রায় ২কোটি ৬০লক্ষ। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫৫%, অর্থাৎ প্রায় ১কোটি ৪১লক্ষ নারী। উল্লেখযোগ্য হলো, রাজ্যে অসংগঠিত নারী শ্রমিকদের বড় অংশ খেতমজুর। এছাড়াও বিড়ি, বস্ত্রশিল্প, গৃহ পরিচারিকা ক্ষেত্রেও অনেক শ্রমিকই নারী। আবার বিভিন্ন পরিষেবা ক্ষেত্র, মলগুলির বিপণিতে, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে, সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রেও আমরা নারীদের কর্মরত দেখতে পাই। এমনকি সরকারি ক্ষেত্রেও চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মচারীদের একাংশ নারী — যাঁদের যথেচ্ছ কাজ করানো হয়। বেতনের নামে সামান্য টাকা দেওয়া হয়। নেই অন্য কোনও নিরাপত্তা। রাজ্যের এই নারী শ্রমিক, কর্মচারীদের অনেকের নিয়মিত কাজ নেই। কাজ আছে তো নিয়মিত মজুরি নেই। কর্মক্ষেত্রে যৌন এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার অনেকে। মজুরি থাকলে তা তুলনামূলক কম। আবার অনেক নারী কাজের অপেক্ষায় — কাজ নেই। এই পরিস্থিতিতে এই বিপুল কর্মক্ষম এবং শ্রমজীবী নারীর দাবীই আজকের নারী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবী।
আমরা ইতিহাসে দেখতে পাবো, শহীদ প্রতিভা গাঙ্গুলির মত অনেকেই সেই সময়ে ‘শ্রমজীবীদের সঙ্গে একাত্ম হও’-র রাজনৈতিক-মতাদর্শগত অবস্থান থেকে শ্রমজীবী মহিলাদের এলাকায় কাজ করতে শুরু করেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, স্বনির্ভর করে তোলা এবং সেই পথে তাঁদের মধ্যে নারী আন্দোলন বিকশিত করার কাজ করেছিলেন। সেই কাজে চাকরিরতা হওয়া সত্বেও শহীদ কমরেড লতিকা সেন, কমরেড অনিলা দেবীদের মত অনেকেই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
কিন্তু সেই সময়েই ‘হিন্দু মহাসভা নারী সঙ্ঘ’ও গড়ে তোলা হয়েছিল। তারাও সেবার কাজ করতে চায় বলে নেমেছিল। কিন্তু সেই মন্বন্তরের সময়কালেও সেবার কাজকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালিত করতে চেয়েছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির উদ্যোগে তৈরি সেই সংগঠন। পরিস্থিতিও কিছুটা তাদের অনুকূলেই ছিল। প্রথমত, বাংলায় তখন সোহরাওয়ার্দির মুসলিম লীগ সরকার। দ্বিতীয়, দেশভাগের আশঙ্কা ততদিনে অনেকটাই ছায়া ফেলেছে জাতির সমাজজীবনে। তৃতীয়ত, বিশ্বযুদ্ধকালীন আর্থিক পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর। চতুর্থত, ’৪২-র ভারত ছাড়ো আন্দোলন বাংলায় ভেস্তে দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ শাসকদের চিঠি লেখা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির হিন্দু মহাসভা তখন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির যথেষ্ট বিশ্বাসভাজন। কিন্তু হিন্দু মহাসভার সেই বিভাজনের রাজনীতি, মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল সেদিনের মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির নেতা, কর্মীরা। একটি চমকপ্রদ বিষয় দেখা যাচ্ছে ১৯৪৫-এ। যে সভায় মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি আজাদ হিন্দ ফৌজের বন্দীদের মুক্তির দাবী করছে, সেই সভাতেই ৫টি দাবীর অন্যতম — মহিলাদের অবিলম্বে কাজের ব্যবস্থা চাই।
কর্মসংস্থানের প্রশ্ন এবং শ্রমজীবী নারীদের মধ্যে নারী আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তোলায় জোর দেওয়া হয়েছিল অবিভক্ত বাংলায় নারী আন্দোলন গড়ে ওঠার প্রথম যুগ থেকেই। আমরা পরবর্তীকালে দেখেছি, ১৯৭৯-র মার্চে আসানসোলে, শ্রমজীবী নারী সম্মেলনে উপস্থিত হচ্ছেন নারী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
কেন শ্রম ও পুঁজির দ্বন্দ্বে সরাসরি নারী আন্দোলন যুক্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে নারীর সমানাধিকার, তাঁর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কিংবা পরিষেবায় যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে। কারখানায় কিংবা অফিসে তাঁর উপর হওয়া শারিরীক, মানসিক নির্যাতন শুধু মাত্র পিতৃতান্ত্রিক সমাজের প্রভাব, তা বলে দেওয়া যায় না। তাঁর কর্মক্ষেত্রে সেই নির্যাতন আসলে শ্রেণী সংগ্রামের অংশ। কারন — যে শাসক তাঁকে বিপ্লবী শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তৈরি করে যুগ যুগ ধরে, তারাই সেই নারী সমাজকে শোষণ করে — সবরকম ভাবে।
কী বলছেন আলেকসান্দ্রা কোলনতাই? বস্ত্র কারখানার ধর্মঘটীদের আন্দোলনে নিজের জীবনের লক্ষ্য খুঁজে পাওয়া কোলনতাই ১৯০৭-র প্রথম আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলন সম্পর্কে লিখছেন, “গোটা বুর্জোয়া পৃথিবী শুনেছিল..তবে ক্ষুব্ধ হয়েছিল অধিকাংশ সময়েই মহিলা প্রলেতারিয়েতদের দৃঢ় কণ্ঠস্বরে। পুরুষদের কথা যত বিপ্লবীই হোক, যত ‘উন্মত্ত’ সিদ্ধান্তই তারা নিয়ে থাকুন না কেন, বুর্জোয়ারা বরাবর এই বলে নিজেদের সান্ত্বনা দিয়েছে যে, তাদের কাছে ইচ্ছামতো ব্যবহার করার মতো পরীক্ষিত কোন না কোন পদ্ধতি আছে: নারী শ্রমিক দিয়ে ক্ষিপ্ত পুরুষদের প্রতিস্থাপন করে প্রতিরোধকে ভাঙতে হবে।’’
বুর্জোয়ারা, শাসকরা নিপিড়িত শ্রমিকদের মধ্যেও নিপিড়িত নারীদের নিজেদের স্বার্থে, দক্ষিণপন্থার স্বার্থে ব্যবহার করেছে। বারবার। ফলে নারী-পুরুষ শ্রমজীবীদের ঐক্য চাই শোষণ ভাঙতে। সমাজের দীর্ঘ লালিত নানা বাধা, পিছিয়ে পড়া মানসিকতায় নিমজ্জিত, শৃঙ্খলিত রেখে নারীদের আসলে শোষণেরই বড় হাতিয়ার করে রাখা হয়েছে। সেই নারী কারখানায় কিংবা স্কুলে কাজ পেলেও তাঁর মগজে থেকে যায় সমাজের সেই সব কৌশলের জাল। যা আজকের দুনিয়ায় উগ্র দক্ষিণপন্থা নিজেদের পক্ষে ব্যবহার করতে চাইছে। উদাহরণ বাঙ্গালোর কিংবা উত্তর প্রদেশের শিক্ষিকা তিনজন। তাঁরা জানালেন, প্রবল ভাবেই জানালেন — সাম্প্রদায়িকতা কিংবা উগ্র দক্ষিণপন্থার নেহাত আর সুপ্ত ধারক নন নারীরা।
উত্তর প্রদেশের মুজফফরপুরের বছর সাতেকের এক মুসলিম সহপাঠীকে একের পর এক থাপ্পড় কষিয়েছিল বন্ধুরা। কয়েকদিন আগের ঘটনা। মুসলিম সহপাঠীকে পর পর চড় মারার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ছাত্রদের। নির্দেশ দিয়েছিলেন এক শিক্ষিকা। তার কয়েকদিন পর দিল্লির আর এক শিক্ষিকার কান্ডও সামনে এসেছে। তিনি সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, দেশের স্বাধীনতায় মুসলিমদের কোনও ভূমিকাই ছিল না। তৃতীয় ঘটনাটি কর্নাটকে। এই ক্ষেত্রে অভিযোগ, শিবমগ্গা জেলার উর্দু ইনস্টিটিউশনের এক শিক্ষিকা দুই পঞ্চম শ্রেণির মুসলিম ছাত্রকে বলেছেন, ‘‘এটা হিন্দুদের দেশ। তোমরা পাকিস্তানে চলে যাও।’’ কেন? শিশুদুটি ক্লাসে ঝগড়া করছিল। তাই এই নিদান।
গুজরাট দাঙ্গার সময় সংখ্যালঘু-বিদ্বেষে ভরপুর মহিলাদের আমেদাবাদের জ্বালিয়ে দেওয়া দোকান থেকে জিনিস লুট করতে দেখা গেছিল। কিন্তু সরসারি মুসলিম-বিদ্বেষের প্রচারে তথাকথিত সাধারন, মধ্যবিত্ত রমনীদের প্রকাশ্যে ভূমিকা পালনের উদাহরণ বিশেষ নেই।
নারী সমাজে উগ্র দক্ষিণপন্থার প্রভাবের উদাহরণ সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলি। প্রসঙ্গত, এই প্রবণতা আন্তর্জাতিক। ইতালিতে মুসোলিনির ভক্ত, নয়া নাৎসি যিনি ক্ষমতায় এসেছেন, তিনি একজন মহিলা — জর্জিয়ো মেলোনি। আবার একদা ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্কেও ‘ঐস্লামিক জাতীয়তাবাদ’ প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রপ্রধান এরদোয়ানের পরেই যাঁর ভূমিকা যথেষ্ট নজর কেড়েছে, তিনি তাঁর স্ত্রী। উগ্র দক্ষিণপন্থার প্রচারে এবং আধিপত্য কায়েমের চেষ্টায় নারী সমাজের এত জোরদার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার উদাহরণ ইতিহাসে বিশেষ নেই।
নারী সমাজ তাই একটি সন্ধিক্ষণে আছে।
এই সন্ধিক্ষণে অর্থনীতি বিপন্ন। সোভিয়েত-বিপর্যয়ের পরে প্রচার হয়েছিল যে, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা কায়েম হবে। তা এক দুর্বিষহ দিন এনেছে। বেকারি মারাত্মক। এই পরিবেশ নারী সমাজের উপর প্রভাব ফেলছে। তাই স্বাভাবিক। নারী সমাজকে নিজেদের উগ্র ধর্মীয়, জাতিগত প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছে উগ্র দক্ষিণপন্থা। মণিপুরে কী দেখলাম আমরা? কুকি রমনীদের উপর পাশবিক অত্যাচারের বিরোধিতার বদলে বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবারের খ্রিষ্টান আদিবাসী-বিরোধী আক্রমনে সহায়ক ভূমিকা নিল একাংশের মহিলাই।
সাম্প্রদায়িকতা, বিভাজন এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই কর্মসংস্থানের দাবীতে, যথাযথ মজুরির দাবীতে, নিয়োগের দাবীতে কর্মক্ষম এবং শ্রমজীবী নারীদের সংগঠিত করাই আজকের নারী আন্দোলনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।