২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ২০২২
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলা সদরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের উপর নৃশংস পুলিশী হামলার নিন্দা করছে সিপিআই(এম)’র পলিট ব্যুরো৷ এই ঘটনায় ২৫০ জনেরও বেশি সিপিআই(এম) নেতা-কর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। ১৭০ জনেরও বেশি গ্রেপ্তার হয়েছেন। সিপিআই(এম)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড আভাস রায়চৌধুরী সহ মোট ৪১ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারারুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতি বছর ৩১ আগস্ট, ১৯৫৯ সালে ঐতিহাসিক খাদ্য আন্দোলনে নিহত ৮০র’ও বেশি শহীদকে স্মরণ করে বাংলার সমস্ত জেলা সদরে আইন অমান্য আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। বিনা প্ররোচনায় পুলিশ প্রথমে জল কামান চালায়, এর পরেই নৃশংস কায়দায় লাঠিচার্জ শুরু করে। জেলা শাসককের সাথে দেখা করতে তার অফিসের দিকে এগোন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর এ ধরনের হামলা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সিপিআই(এম)-র পলিট ব্যুরো পার্টি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি, যাবতীয় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অপ্রীতিকর হামলা চালানোর জন্য পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন তিস্তা
একই সাথে তিস্তা শীতলাবাদকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়ার সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে স্বাগত জানাচ্ছে সিপিআই(এম)৷ এই মামলার শুনানি দীর্ঘায়িত করার জন্য গুজরাট হাইকোর্টের অবিচারকেও সুপ্রীম কোর্ট নিজেদের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে। সিপিআই(এম) তিস্তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে- সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের জন্য ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে লড়াই করা যদি ভুল না হয় তবে তিনি কোনও অন্যায় করেননি।