দীপ্তজিৎ দাস
‘আমরা এখনও কোনো ব্যবস্থা নিই নি। রাজ্য সরকারের কিন্তু ক্ষমতা আছে ব্যবস্থা নেওয়ার। এফআইআর করলে ওদের ভবিষ্যত নষ্ট হবে। পাসপোর্ট,ভিসা পাবে না। কেরিয়ার নষ্ট হবে।’ বাছা বাছা শব্দে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের শীতল হুমকি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ২৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিচারের গতিবিধি আজও দিশাহীন। বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই অপরাধ তাদের। তাই সরাসরি ‘টপ মোস্ট ‘ আসন থেকে থ্রেট। এই হুমকিই আজ রাজ্যে স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। মেডিকেল পড়ুয়া থেকে সিনিয়র চিকিৎসক সবাই আজ শিকার এই থ্রেট কালচারের। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে শাসক ঘনিষ্ট বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের ফোন কল। মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্নকে ফোন করে সে হুমকি দিচ্ছে শাসকের বিরোধীতা করলে রেজিস্ট্রেশন আটকে দেওয়া হবে। গত ১৩ বছর ধরে বাংলার সমস্ত হাসপাতালে এই ত্রাসের রাজত্বই কায়েম করেছে তৃণমূল ঘনিষ্ঠরা। তিলোত্তমা কান্ড ধীরে ধীরে খুলে দিয়েছে সমস্ত ফ্লাডগেট। ভয়ের শৃঙ্খল ছেড়ে মুখ খুলছেন সকলে। সামনে আসছে একের পর এক হাড় হিম করা কান্ড। প্রতিবাদও হচ্ছে সমান তালেই। তাই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোর আন্দোলনে স্বাভাবিকভাবেই থিম হয়ে উঠেছে স্টপ রেপ কালচার,স্টপ থ্রেট কালচার। এই হুমকির সংস্কৃতি এক ধরনের বিকৃত আধিপত্যবাদের প্রতিফলন। যে ঘরানায় শাসকের বলে বলীয়ান কিছু মাফিয়া ভীতির বাতাবরণ সৃষ্টি করে দমিয়ে রাখতে চায় সাধারণের কন্ঠস্বর। শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের লড়াইয়ের অনুরণনই ফুটে ওঠে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে।
৯ ই আগস্ট ভোররাতের ভয়াবহতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে জেগেছে গোটা বাংলা। সেই কম্পনেই সামনে এসেছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের একাধিক দুর্নীতির ঘটনা। দীর্ঘদিন দিনের আলোয় ঘটে যাওয়া বেনিয়মকেই কার্যত জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েই আড়াল করেছে কলকাতা পুলিশ। আন্দোলনের চাপে কিছুটা পিঠ বাঁচাতেই তারা বাধ্য হয়েছে তদন্ত শুরু করতে। যদিও হাইকোর্ট হয়ে সেই তদন্ত এখন সিবিআইয়ের অধীনে। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইসিআর দায়ের করেছে ইডি। সব অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ শাসক ঘনিষ্ঠ সন্দীপ ঘোষ। বারেবারে বদলি হয়েও তিনি ‘ আবার আসিব ফিরে ‘ ঢঙে ফিরে এসেছেন স্বপদে। এই সমগ্র প্রক্রিয়ায় সেফটি ভালভের কাজ করেছে শাসকের ছাত্র সংগঠন। প্রতিবাদী ছাত্রদের লাথি মেরে তিনি দফতর থেকে বেরোন। আবার তার হয়ে কেবল আর জি কর নয় প্রতিবাদে নামে রাজ্যের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজের টিএমসিপি ইউনিট। সন্দীপ ঘোষ মডেলে পরীক্ষায় পাশ থেকে হাউস্টাফশিপে সুযোগ সবকিছুই হয় কাটমানির বিনিময়ে। হাসপাতাল চত্বরে তিনিই পার্কিং লট থেকে পেশাদারী কায়েদায় তোলা তোলেন। হাসপাতালের টেন্ডার থেকে খাওয়ারের দোকান বসানো গরমিলের ন্যূনতম সুযোগ হাতছাড়া করেননা তিনি। তার মদতেই অনুমতি ছাড়া বেওয়ারিশ লাশে চলে এনাটমির ডিসেকশন বা ইএনটির সার্জারি শেখানোর প্রক্রিয়া। লাশ পাচারের অভিযোগও দুষ্টু হন এই চিকিৎসক। তবে তৃণমূলরাজে স্বাস্থ্যের দুর্বৃত্তায়নে সন্দীপ ঘোষ কেবল হিমশৈলের চূড়ামাত্র। বাংলার প্রায় প্রতি হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন হাজারো উদাহরণ। সেই অন্ধকারেই হাসপাতালগুলো হয়ে উঠছে সামজবিরোধীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে এই নৃশংস ঘটনার পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হলে উপস্থিত হন একাধিক শাসক ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক। সেই দৃশ্যে দেখা গেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলের সহ সভাপতি তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়,বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট বিবেক ভক্ত, মালদহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তাপস চক্রবর্তী, এসএসকেএম হাসপাতালের পিজিটি অভিক দে,কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়,আর জি কর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক ডেমনস্ট্রেটর দেবাশীষ সোম, সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী শান্তনু দের কলঙ্কিত উপস্থিতি। এই বিন্দু গুলিই যেন বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নৈরাজ্যের মিনিয়েচার। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাদের নামে। কখনও টেন্ডারের বিনিময়ে দুর্নীতি,ওষুধ পাচার চক্র,কোথাও কাটমনির বিনিময়ে বদলি,কোথাও টাকার বিনিময়ে পাস ফেল নির্ধারণ!একাধিক অভিযোগে জেরবার এরা প্রত্যেকেই। সন্দীপ ঘোষের বদলির পর আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদে বসানো হয় সুহৃতা পালকে। বিগত সময়ে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন তার বিরুদ্ধেই উঠেছিল একাধিক অভিযোগ। হ্যাক ও মেড নামক প্রকল্পকে ঘিরে ব্যাপক দুর্নীতির জেরে তাকে অপসারিত হতে হয়েছিল পদ থেকে। তার সময়েই এমবিবিএসের ফাইনাল পরীক্ষার সময়ে উঠেছিল গণ টোকাটুকির অভিযোগ। বিভিন্ন কলেজে ঘুরে উত্তর সাপ্লাই করতে দেখা গেছিল এসএসকেএমের এই পিজিটিকেই। সার্বিকভাবে এক অপরাধ চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। সেই অপরাধ প্রবণতারই বিকট প্রকাশ তিলোত্তমা খুন।
পেশাগত কৌলিন্য,আর্থিক নিরাপত্তা,সামাজিক স্বীকৃতির জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার ঝোঁক আমাদের রাজ্যে বহুকালীন। কেন্দ্র সরকারের এককেন্দ্রিকতার নীতি অনুযায়ী নিট পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে কোচিং সেন্টারগুলোর বাড়বাড়ন্ত। প্রান্তিক অংশের পরিবারের পড়ুয়াদের প্রতিনিধিত্ব ক্রমশ কমছে মেডিকেল কলেজগুলোতে। সেই হার্ডলস টপকে এসে যারা মেডিকেল কলেজে পড়তে আসছে তাদের ক্যাম্পাসে সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভয়াবহতার। একজন আদর্শ চিকিৎসকের কাজ কেবল রোগীকে সুস্থ করা নয় বরং রোগ নির্মূল করা। যে কোনো রোগের পিছনেই শারীরবৃত্তীয়, প্যাথলজিক কারণ ছাড়াও থাকে সামাজিক কারণ। মেডিকেল ক্যাম্পাসের জল হাওয়াই পড়ুয়াদের চিনতে শেখায় সমাজকে। স্বাভাবিক ভাবে সেই পরিবেশ ক্ষুণ্ন হওয়া মানে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কুঠারাঘাত। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে পড়তে আসা পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে এসে শিকার হতে হচ্ছে শাসক দলের মদতে বেড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের অত্যাচারের। বিগত সময়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে এই অভিযোগ এলেও শেষ কিছু বছরে এই প্রবণতা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। প্রতিবাদী,বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর দমিয়ে মগজ ধোলাই ঘরে ধামাধারিতে পরিণত করাই এই চক্রের প্রধান উদ্দেশ্য। মেডিকেল কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা,নবীনবরণ,সমাবর্তন, ফেস্টগুলো ছিল বন্ধুতা উদযাপনের মাধ্যম। আজ মেডিকেল কলেজের অনুষ্ঠান মানেই শাসক নেতাদের কাটমনির সুযোগ। কলেজে এসে হোস্টেলের ঘর পেতেও দিতে হচ্ছে মোটা অংকের কাটমানি। কেউ প্রতিবাদ করলেই জুটছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। কথার নড়চড় করলেই পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি আজ নিয়মিত শাসকের নেতা,শিক্ষকদের বদান্যতায়। পাশ ফেল যেন যোগ্যতার বদলে তাদের মর্জিমাফিক। পরিণামে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার ছেলের পরীক্ষার হলে সব সিসিটিভি মুড়ে যায় কালো কাপড়ে। এদের হতেই রাজ্যের আগামীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা। একই সাথে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলগুলিতেও বাড়ছে র্যাগিংয়ের ঘটনা। মেদিনীপুরে মেডিকেল কলেজেই অভিযোগ এসেছে ছাত্রীকে আইটেম নাম্বারে নাচতে বাধ্য করানোর। কলেজে কলেজে ভয়ের বাতাবরণ তৈরিতে যারা কারিগর তারা অধিকাংশই পাস আউট হয়ে যাওয়া ছাত্রছাত্রী। তবুও কলেজ জুড়েই তাদের জমিদারি শাসকের ছত্রছায়ায়। মানবসেবার প্রাঙ্গণে তাই আজ শাসকের হাত ধরেই দুষ্কৃতিরাজের কালোছায়া।
মেডিকেল ক্যাম্পাসের এই দুর্বৃত্তায়নই আরও দাঁত,নখ বের করে সক্রিয় সরকারি হাসপাতালগুলোতে। চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মীর পোস্টিং নির্ধারণে শাসকের প্রতি আনুগত্যই শেষ কথা। মাথায় শাসকের হাত থাকা ছাত্রকে জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে এমএস করার সুযোগ করে দেওয়ার বিনিময়ে স্বাস্থ্য শিক্ষার অধিকর্তার পদ মেলে চিকিৎসকের। সরকারি প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী আবার এদের কাছে বেআইনি টাকা উপার্জনের নতুন উইন্ডো। জেলাগুলোর অধিকাংশ নার্সিংহোমের মালিক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। ভুয়ো কার্ড বানানো বা ভুয়ো রোগী ভর্তির বিনিময়ে সরকারি টাকা আত্মসাতে তাদের দোসর আবার কিছু চিকিৎসকরা। সরকারি হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ,বিভিন্ন প্রকল্পের টেন্ডার থেকে অনৈতিক উপার্জন প্রায় নিয়মে পরিণত হয়েছে শাসক ঘনিষ্ঠ এই চিকিৎসকদের হাত ধরেই। ওষুধ পাচার , বায়ো মেডিকেল বর্জ্য পাচার,লাশ পাচারের মতন ভয়ংকর অভিযোগের তীর এদের দিকেই। খাস কলকাতার বুকে মেডিকেল কলেজে কোভিডে ব্যয়বহুল ওষুধ টসিলিজুমাব চুরি যাওয়ার ঘটনায় শাসক আশ্রিত চিকিৎসকের নাম জড়িয়ে যাওয়াই এই অভিযোগের অন্যতম জ্বলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত। সুস্থ সমাজের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠা চিকিৎসকদের হাতে এখন দুটি অপশন। এই চক্রে সামিল হয়ে অনৈতিকভাবে উপার্জন করা নয় চুপ করে ‘ কিছুই দেখেননি ‘ মুডে সব সহ্য করা। প্রতিবাদ করলেই জুটবে শোকজ কিংবা বদলির নির্দেশ
শাসক দলের ছাতার নীচে চিকিৎসক নেতা,জুনিয়র ডাক্তার,মেডিকেল পড়ুয়া,স্বাস্থ্যকর্মী,এলাকার দালাল,স্থানীয় নেতা থেকে শীর্ষ স্তরের নেতা সকলকে নিয়েই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুন্ডারাজের ইতিবৃত্ত। এই মাফিয়রাজের পরিনামেই হাওড়া হাসপাতালে সিটি স্ক্যান রুমে শ্লীলতাহানির শিকার হয় ১৩ বছরের নাবালিকা। এই দুষ্কৃতী দাপটের পরিণতিতেই ওয়ার্ডে অশালীন আচরণের শিকার হন ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নার্স। এই পঙ্কিল পরিবেশেই আততায়ীরা সুযোগ পায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করতে। তার প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় দোষীদের আড়াল করতে প্রশাসনের তৎপরতা। তিলোত্তমার লাশ যেন আমাদের ক্লান্ত বিবেককে প্রশ্ন করে ‘ আর কবে শির তুলে দাঁড়াবে?’ সেই প্রশ্ন সাড়া দিয়েই শুরু হয়েছে প্রতিরোধের পালা। তিলোত্তমা কান্ডের প্রতিক্রিয়ায় বাংলা হয়েছে প্রতিবাদী তিলোত্তমা। বিক্ষোভের তরঙ্গে সামনে এসেছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তৃণমূল জমানায় ঘটে চলা একের পর এক কেচ্ছা। তার বিরুদ্ধেও জোরদার হচ্ছে লড়াই। যে বিকৃত আধিপত্যবাদী লোলুপতা জন্ম দেয় রেপ কালচারের তারই আরেক সংস্করণ থ্রেট কালচার। তাই ধর্ষনের সংস্কৃতিকে নির্মূল করতেও আপোষহীন সংগ্রাম প্রয়োজন হুমকির সংস্কৃতির সাথে।
ভুলে গেলে চলবে না লোকসভা ভোট চলাকালীন নরেন্দ্র মোদীর দেশ জুড়ে ঘুষপেটিয়াদের দেশ থেকে বের করার হুমকি লোকসভায় বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরির, দানিশ আলিকে ‘ কাটুয়া ,মোল্লে ‘ বলে আক্রমণেও প্রতিফলিত হয়েছিল এই থ্রেট কালচারই। কাঠুয়ায় নাবালিকা ধর্ষনের পর জাতীয় পতাকা হাতে বিজেপি নেতাদের মিছিলে বা হাথরাশে বিজেপি নেতা কুলদীপ সেঙ্গারদের নৃশংসতায় প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছিল রেপ কালচারকেই। তাই মনুবাদের পৃষ্ঠপোষক বিজেপির কোনো অধিকার নেই ধর্ষণ বা হুমকির বিরুদ্ধে কথা বলার।
তিলোত্তমা কান্ড আমাদের সকলের ব্যথা,যন্ত্রণা,দুঃখের কারণ। সেই ব্যথাই বর্শা হয়ে বিঁধুক দুর্নীতির ঘুঘুর বাসায়। তিলোত্তমা কান্ড জাগিয়ে রাখে আমাদের,জাগিয়ে তোলে বুকের ভেতর না নেভা আগুনের লেলিহান শিখাকে। সেই আগুনের ফুলকির আজ দাবানল হয়ে ওঠার সময়। ঘৃণার আগুনে ধ্বংস করতে হবে ধর্ষণ আর হুমকির সংস্কৃতিকে। তবেই বাঁচবে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা,বাঁচবে বাংলার সমাজ,বাঁচবে সোনার বাংলা।