২৮ সেপ্টেম্বর,বুধবার, ২০২২
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র পলিট ব্যুরোর বিবৃতি
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এমন একটি সংগঠন যা চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং তারা নিজেদের ধারণা করা বিরোধীদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ করে। সিপিআই(এম) এই চরমপন্থী মতামতের তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং সবসময়ই পিএফআই-এর হিংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করেছে।
সিপিআই(এম) মনে করে বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধক আইন (ইউএপিএ) এর অধীনে একটি বেআইনি সমিতি হিসাবে পিএফআই এর নাম যুক্ত করা এই সমস্যাটি মোকাবিলার উপায় নয়। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে আরএসএস এবং মাওবাদীদের মতো সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আদৌ কার্যকর হয়নি। পিএফআই যখনই বেআইনি বা হিংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় তার বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনের অধীনেই দৃঢ় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সংগঠনের সাম্প্রদায়িক ও বিভেদমূলক মতাদর্শকে উন্মোচিত করতে হবে এবং জনগণের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে হবে।
পিএফআই এবং আরএসএস কেরালা এবং উপকূলীয় কর্ণাটকে হত্যা এবং প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে, সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ তৈরি করার লক্ষ্যে সামাজিক পরিবেশকে খারাপ করেছে। এছাড়াও সনাতন সংস্থা এবং হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির মতো চরমপন্থী সংগঠন রয়েছে, যাদের কর্মী,সমর্থকরা প্রখ্যাত ধর্মনিরপেক্ষ লেখক ও ব্যক্তিত্বদের হত্যার সাথে জড়িত।
এই সমস্ত শক্তি, চরমপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু গোষ্ঠী যারই প্রতিনিধিত্ব করুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দেশের নিয়মিত আইন ব্যবহার করে এবং দৃঢ় প্রশাসনিক পদক্ষেপের মাধ্যমে লড়াই করতে হবে।
এই ধরনের শক্তির মোকাবিলা করে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখা অবশ্যই তাদের প্রধান কর্তব্য হতে হবে যারা ক্ষমতার শীর্ষে থাকে এবং সংবিধানকে সমুন্নত রাখার শপথ নেয়।