অনেকেই তাঁকে ‘দক্ষিণ আফ্রিকার গান্ধী’ বলে দেখানোর চেষ্টা করেন।
সেইসঙ্গেই তাঁরা সযন্তে এড়িয়ে চলেন সশস্ত্র আন্দোলনে ম্যান্ডেলার সংগ্রামী জীবনকে।
অনেকেই বলেন, ম্যান্ডেলা হলেন শান্তি, ভালোবাসা, ক্ষমার প্রতীক। কেউই অসত্য বলেন না। কিন্তু তাঁরা শুধুই ম্যান্ডেলার অক্লান্ত লড়াইয়ের একটি অংশের কথা বলেন।
ইতিহাস জানে, ম্যান্ডেলা ছিলেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সশস্ত্র শাখা উমখোনতো উই সিজোয় (এম কে)-র প্রথম প্রধান।
ঘৃণ্য বর্ণবিদ্বেষী শাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যোদ্ধা।
যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তখন তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
কমিউনিস্ট পার্টি, মার্কসবাদের প্রতি তাঁর ছিল অসীম শ্রদ্ধা।
রিভোনিয়ার মামলায় যেমন বলেছিলেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যেও যদি কেউ ঘোষণা করে যে কমিউনিস্টরা আমাদের শত্রু, যেমন আমি করেছিলাম, তবে অবশ্যই সে কোনও অর্বাচীন ও হটকারী রাজনীতিবিদ, ঠিক যেমনটি আমি করেছিলাম ১৯৪৯সালে।’
ম্যান্ডেলার কাছে অহিংসার রাজনীতি ছিল রণকৌশল। গান্ধীজীর কাছে ছিল রণনীতি।
*** কমিউনিস্ট পার্টির নেতা জো স্লোভোর সঙ্গে।