২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশের কিছু এলাকার আকাশ পুরোপুরি লাল হয়ে গেছে, এমন কিছু ছবি ও ভিডিও। ভারতের অবস্থাও সংকট জনক।
প্রতি বছরই ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের মুখে জরুরি অবস্থা জারি হয়। বছরের কয়েকদিন স্কুল পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। লোকজনকে ঘর থাকতে বলা হয় এবং হাসপাতালগুলোতে হাজার হাজার রোগী ভিড় করে শ্বাসজনিত রোগে। এইসবই ঘটছে দূষিত বাতাসের কারণে। দিল্লির বাতাস হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত। দিল্লিকে এখন বর্ণনা করা হয় ‘গ্যাস চেম্বার’ বলে। কিন্তু উত্তর ভারতে দিল্লিই একমাত্র নগরী নয় যেখানে বায়ু দূষণ এত মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ছয়টি নগরীর পাঁচটিই উত্তর ভারতে। গত বছর গ্রীনপীসের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৩০টি নগরীর ২২টিই ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে মাত্রার দূষণকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে, ভারতের নগরীগুলোতে দূষণের মাত্র তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি। বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৭০ লাখ মানুষ অপরিণত বয়সে মারা যায়। দিল্লি এখন যে ধোঁয়াশায় ঢেকে আছে তার কারণে সেখানে মানুষের মধ্যে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং আরও অনেক ধরণের ক্রনিক ফুসফুসের রোগ বেশি হারে হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সারা পৃথিবীতে ২৩ শতাংশের বেশী মৃত্যুর কারণ পরিবেশ দূষণ। পশ্চিমবঙ্গে এমন বেশ কিছু শিল্প কারখানা রয়েছে যা বেশি মাত্রায় দূষণ ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই রাজ্যের হলদিয়া, হাওড়া ও আসানসোলকে মারাত্মক দূষণযুক্ত অঞ্চল এবং দুর্গাপুরকে উচ্চ মাত্রায় দূষণযুক্ত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক ২০১২ সালে সংসদে যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক সংখ্যায় – ১২,৮১০টি দূষণ সৃষ্টিকারী (রেড ক্যাটাগরি) শিল্পক্ষেত্র রয়েছে। শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে পরিবেশ সংক্রান্ত আইন রূপায়ণ সহ দূষণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওপর বর্তায়। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে পরিবেশ সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘনের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ তা করেনি।
২০১৭-র জুলাই মাসের তথ্য অনুযায়ী, ৫,৪৫২টি রেড ক্যাটাগরির শিল্পের মধ্যে এই রাজ্যে কেবল ১,৯০৮টি শিল্পের কাছে যথাযথ ছাড়পত্র রয়েছে। অন্যদিকে, ২৭৯৭টি শিল্পের এই ধরনের ছাড়পত্রের মেয়াদ ইতিমধ্যেই উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তিনটি অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত অঞ্চল – হলদিয়া, হাওড়া ও আসানসোলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা রূপায়ণ করা হয়নি। অতিমাত্রায় দূষিত অঞ্চল দুর্গাপুরের জন্য কোন কর্মপরিকল্পনা এখনও তৈরি হয়নি। তাছাড়া, এইসব অতিরিক্ত দূষিত এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নীতি-নির্দেশিকা অনুযায়ী বায়ু ও জলের মান নির্ণয় সংক্রান্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি। হাওড়া, আসানসোল ও দুর্গাপুরে বায়ু দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে ধরা পড়েছে।
কলকাতার বাতাস বিষিয়ে তোলার পিছনে ৭০ শতাংশ অবদান মোটর গাড়ির ধোঁয়ার। যদিও কোন উপাদান কলকাতার বায়ু কতটা দূষিত করছে, সেটা নির্ণয় করার কোনও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা আজ পর্যন্ত হয়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশের বড় বড় শহরে এই ধরনের সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, বায়ু দূষণে সে সব জায়গায় মোটরযানের ধোঁয়ার অবদান ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। সেই নিরিখে কলকাতায় নিশ্চয়ই ৭০ শতাংশ হবে। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, পুণে, মুম্বই, চেন্নাই ও কানপুরে আগেই এই কাজ হয়েছে। কলকাতা পিছিয়ে আছে।
কলকাতার বাতাসে ভাসমান বিভিন্ন কণার পরিমাণ এখন সহনশীল মাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি। পর্ষদের নিজেরই যন্ত্রে এটা ধরা পড়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সুত্রের মতে, কোন উপাদান কতটা বিষ ছড়াচ্ছে, তার পরিমাণ নির্ধারণ না করলে দূষণের মোকাবিলা করার জন্য সঠিক কৌশল নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। যে দূষক বেশি দূষণ ছড়াচ্ছে, তার মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটা না জানলে অন্ধকারে পথ হাতড়ে বেড়াতে হবে।
পর্ষদ সূত্রের আরও খবর, কলকাতার বাতাসে কোন দূষক কতটা দূষণ ছড়াচ্ছে, সেটা মেপে দেখার দায়িত্ব নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-কে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। নিরি এই কাজ করেছে দিল্লি ও মুম্বইয়ে।
পর্ষদের এক প্রবীণ বিজ্ঞানীর বক্তব্য, গাড়ির ধোঁয়াই কলকাতার বাতাসকে সব চেয়ে বিষিয়ে তুলেছে, এটা ধরে নিয়ে পনেরো বছরের পুরনো সব গাড়ি বাতিল করা হয়েছে, এলপিজি চালিত অটোরিকশা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং কঠোর থেকে কঠোরতর দূষণবিধি মেনে তৈরি ভারতে স্টেজ ফাইভের গাড়িও চলে এসেছে। কিন্তু তার পরেও দূষকদের মধ্যে গাড়ির ধোঁয়ার অবদান যদি দেখা যায় ৭০ শতাংশেরও বেশি, সে ক্ষেত্রে দিল্লির মতো জোড় সংখ্যার গাড়ি এক দিন, বিজোড় সংখ্যার গাড়ি অন্য দিন বার করার নীতি চালু করার কথা হয়তো ভাবতে হবে। ওই বিজ্ঞানীর কথায়, “যদি দেখা যায় গাড়ির ধোঁয়া তেমন দূষণ ছড়াচ্ছে না কিংবা কলকাতার বাতাস বিষিয়ে তোলার পিছনে গাড়ির ধোঁয়ার অবদান ৬০ শতাংশ বা তার কম, সে ক্ষেত্রে নির্মাণকাজে ওড়া ধুলো, কয়লা পোড়ানোর ধোঁয়া— এ সবের দূষণ ঠেকাতে আগে ব্যবস্থা নিতে হবে”। গত ২৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি তথা এ রাজ্যের পর্ষদ চেয়ারম্যান কল্যাণবাবু দেশের বড় বড় শহরে বায়ু দূষকদের পরিমাণগত অবদান নির্ধারণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্ষদের চেয়ারম্যান অরুণকুমার মেহতা জানান, যে ভাবে বায়ু দূষণ বাড়ছে, তাতে দেশের সব ক’টি বড় শহরেই দূষকদের কার কত অবদান, সেটা মাপার কাজ যত শীঘ্র সম্ভব, শুরু করতে হবে। কলকাতা ছাড়াও লখনউ, আমদাবাদ, হায়দরাবাদেও এই কাজ শুরু হবে।
বিষয়ত উল্লেখ্য উৎসগুলো আগে ঠিকঠাক চিহ্নিত করতে হবে। কলকাতা শহরে এখনও মান্ধাতার আমলের পদ্ধতিতে কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে, পিচ গলিয়ে রাস্তা মেরামত করা হয়। এর থেকে প্রচণ্ড বায়ুদূষণ হচ্ছে। অথচ মাইক্রো-সারফেসিংয়ের মতো দূষণহীন ও দ্রুত পদ্ধতি প্রয়োগ করার ব্যাপারে সরকার উদাসীন। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপকের মতে, ‘‘প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন জঞ্জাল ও গাছের ডালপালা ও পাতা শীতকালে পোড়ানোর প্রবণতা কলকাতায় বেশি। এ সবের ফলে এমন কণা বাতাসে তৈরি হয়, যেগুলো সরাসরি ফুসফুসে ঢোকে।’’
পর্ষদ জানাচ্ছে, নিরি-র বিশেষজ্ঞরা কোনও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে প্রথমে দূষণের উৎসগুলো চিহ্নিত করবেন, তার পর সেই সব উৎসে গিয়ে দেখবেন, বাতাসকে দূষিত করার ক্ষেত্রে কার অবদান কতটা এবং সেই এলাকার বিভিন্ন তল্লাটের বাতাসও পরীক্ষা করে দেখা হবে। তবে অন্তত একটা গোটা বছরের বিভিন্ন সময় ধরে এই সমীক্ষা চালাবেন বিশেষজ্ঞরা। তার আগে কলকাতার বাতাসকে বিষিয়ে তোলা দূষকদের বিরুদ্ধে সুসংহত রণকৌশল ঠিক করা যাবে না।
আবার উত্তর ভারতের এই বায়ু দূষণ, বিশেষ করে গঙ্গার সমতলভূমির এই দূষণের কারণে ভারতের প্রতিবেশি নেপাল এবং বাংলাদেশও ঝুঁকিতে আছে। কারণ পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসে ভর করে এই ধোঁয়াশা আর ধূলিকণা সেখানে চলে যেতে পারে। মূলত বিশেষ করে অক্টোবর-নভেম্বরে অবনতি ঘটে পরিস্থিতির। কিন্তু কেন?
যানবাহনের দূষণঃ যেসব উপায়ে ভারত সরকার এই দূষণ ঠেকানোর চেষ্টা করছে তার একটি হচ্ছে গাড়ির দূষণ কমানো। দিল্লি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন নগরীর রাস্তায় চলে প্রায় ৩০ লাখ গাড়ি। কাজেই দূষণ কমাতে তারা রাস্তায় গাড়ি চালানোর ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যদিও ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে নিয়ম করা হয়েছে, জোড় নম্বরের গাড়ি রাস্তায় নামবে একদিন, আর বেজোড় নম্বরের গাড়ি আরেকদিন। সরকারের দাবি, এর ফলে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে।
কিন্তু অন্য কিছু পরিসংখ্যানের দিকে নজর দেওয়া যাকঃ ২০১৬ সালে ভারতের রাস্তায় চলতো প্রায় দুই কোটি গাড়ি। সেই সংখ্যা এখন আরও অনেক বেড়েছে। কাজেই গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে বায়ু দূষণও বেড়েছে। ফসল পোড়ানোর দূষণের চেয়ে এই দূষণ কম নয়। ভারতের গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ডিজেল বেশ জনপ্রিয়। সেটা একটা সমস্যা। সরকার আরও বেশি ইলেকট্রিক কার চালু করার চেষ্টা করছে, কিন্তু সে চেষ্টায় তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। ভারত সরকারের হিসেবে দেশে ২০১৫ সালে বাস-ট্রাকের মতো ভারী যানবাহনের সংখ্যা ছিল এক কোটি নয় লাখ। এছাড়া আরও লাখ লাখ ডিজেল চালিত ট্যাক্সি এবং প্রাইভেট কার চলে। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’ পরিচালিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাস্তায় ডিজেল চালিত যানবাহন থেকেই বিশ্বের বায়ু মণ্ডলে ২০ শতাংশ নাইট্রোজেন অক্সাইড ছড়াচ্ছে।
নির্মাণ শিল্পঃ প্রতিবার যখন দিল্লি নগরীতে বায়ু দূষণ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয়, সরকার এবং আদালত দিল্লি এবং এর আশে-পাশে সবধরণের নির্মান কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর ফলে হাজার হাজার নির্মাণাধীন অ্যাপার্টমেন্ট ভবন, সরকারি ভবন, রাস্তা, শপিং মল আর ফ্লাই ওভারের নির্মাণ কাজ থমকে যায়। নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব নিয়ম-কানুন মানার কথা, সেগুলো মানা হয় না বলেই এটা এত বড় একটা সমস্যা। এই ধুলো-বালির মধ্যে রাসায়নিকও থাকে, বাতাসে ভেসে তা ঢুকে পড়ে মানুষের শ্বাসযন্ত্রে, এবং সেখানে নানা সমস্য তৈরি করে।
এই মূহুর্তে ভারত জুড়ে কী পরিমাণ নির্মাণ কাজ চলছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে ভারতের যে কোন ছোট শহরে গেলেই দেখা যায় সেখানে সব খাতেই বিরাট নির্মাণ যজ্ঞ চলছে। আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন থেকে শুরু করে নানা ধরণের পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। কাজেই ভারতের নগরীগুলোতে বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে এই নির্মাণ খাতেরও রয়েছে বিরাট ভূমিকা। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকার জন্য ভারতের মরিয়া চেষ্টায় নির্মাণ খাত বড় ভূমিকা রাখছে।
ফসল পোড়ানোঃ দিল্লি আর উত্তর ভারতে বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে ফসল কাটার পর মাঠে পড়ে থাকে যে ফসলের গোড়া, সেটি পরিস্কার করার সবচেয়ে সহজ উপায় আগুণে পুড়িয়ে দেওয়াকে। কৃষকরা সেই পথই বেছে নেন। পশ্চিমা বাতাসে মাঠে পুড়তে থাকা আগুনের ধোঁয়া দিল্লির দিকে চলে আসে। সেখানে তৈরি করে মারাত্মক দূষণ। সরকার ফসলের ক্ষেতে আগুন দেওয়ার এই কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু কোন ফল হয়নি। ভারতের অর্থনীতি এখনো মূলত কৃষি নির্ভর। এই ফসলের গোড়া পোড়ানোর কাজটি চলে এমন ব্যাপক মাত্রায়, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানায়। দিল্লির খুব কাছেই এই দুটি প্রদেশ।
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে দিল্লি আর কতদিন বাসযোগ্য থাকবে সেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।