ওয়েবডেস্ক প্রতিবেদন
দুশো টাকা। সুরেন্দ্রনাথ দত্ত ও রেবতী বর্মণ জোগাড় করে এনেছিলেন। আজ আমরা যাকে গণসংগ্রহ বলি কিছুটা সেভাবেই। কিছুটা বলার কারন এই যে তখন কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞার বাধা পেরিয়েই ঐ অর্থ সংগৃহীত হয়েছিল। মার্কসীয় সাহিত্য প্রকাশনা ও বইয়ের দোকান খোলার আগে সেই দুশো টাকাই ছিল সম্বল।
মুজফ্ফর আহ্মদ লিখছেন-
‘উনিশশো ত্রিশের দশকও শেষ হতে চলেছিল। মার্কসীয় সাহিত্যের চাহিদাও বেড়েছিল। তবুও আমরা কলকাতায় কোন পুস্তক বিক্রয় ও প্রকাশন ভবন স্থাপন করতে পারলাম না। কলকাতা ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় পুস্তকের বাজার। এই বাজারে খুব ছোট একটা দোকান খুলতে হলেও কমপক্ষে দু চার হাজার টাকার দরকার। সেই টাকা পাওয়ার কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না’।
কমরেড রেবতী মোহন বর্মন একজন স্কলার ছিলেন এবং সন্ত্রাসবাদি দলের একজন নেতাও ছিলেন তিনি। বিনা বিচারে বন্দি করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করার আগে হতেই তিনি মার্কসীয় সাহিত্যের পড়াশুনা আরম্ভ করেছিলেন। বন্দী শিবিরে গিয়ে পড়াশুনা তিনি আরো বাড়িয়ে দিলেন। ১৯৩৮ সালে তিনি যখন মুক্তি পেলেন তখন তিনি একজন পাকা কমিউনিস্ট। বাইরে এসেও নানারকম সাংগঠনিক কাজের ভিতর দিয়ে অন্য অনেকের সঙ্গে তিনিও ভারতের অবৈধ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ অর্জন করে নিলেন। মার্কসীয় সাহিত্য পরিবেশন করার উদ্দেশ্যে একটি দোকান খোলা হোক এটা তিনিও একান্তভাবে চাইছিলেন। কিন্তু টাকা কোথায়? তখনকার দিনে সন্ত্রাসবাদীর দল হতে যারা অবৈধ কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিতেন তাঁরা কমরেড মুজফফর আহমদ এর সঙ্গে সংযোগ রাখতেন। তিনি চিহ্নিত ব্যক্তি ছিলেন। দোকান স্থাপনের ব্যাপার নিয়ে কমরেড রেবতী বর্মনের কমরেড মুজফফর আহমেদ এর সঙ্গে দিনের-পর-দিন আলোচনা হল। শেষে স্থির হল যে কমিউনিস্ট পার্টির শুভেচ্ছাকে মূলধন করেই একটি ছোট দোকান খুলে দেওয়া হোক। শ্রী গোপাল ঘোষ কমরেড রেবতী বর্মনের পুরনো পার্টির সভ্য ছিলেন এবং কমরেড বর্মনকে খুব ভালোও বাসতেন তিনি। আমরা যে সময়ের কথা বলছি (১৯৩৯) সেই সময় শ্রী ঘোষ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর নিকট হতে কমরেড বর্মন ২০০ টাকা নিলেন।
এই সময়ে আরও দুটি সুযোগ এসে গেল। কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য কমরেড সুরেন্দ্রনাথ দত্ত এমসি সরকার এন্ড সন্স এর দোকানে চাকরি করতেন। সরকাররা দোকানের কর্মী কমাচ্ছিলেন। এই সূত্রে ১৯৩৯ সালের পয়লা জুন তারিখে কমরেড সুরেন দত্তের ছাঁটাই হলেন। ছাঁটাই হওয়াটা ভালো কথা নয়। কিন্তু কমরেড সুরেন দত্তের ছাঁটাইতে আমরা সেদিন খুব খুশি হয়েছিলেম। কারণ আমরা নিজেদের দোকান খুলতে যাচ্ছিলেম। ৭২ নম্বর হ্যারিসন রোড এর (কলেজ স্কোয়ার এর দিকে) একটি কবরের জায়গা হতে সামান্য বড় একখানা ঘরে শ্রী ব্রজবিহারী বর্মনের ‘বর্মন পাবলিশিং হাউস’ ছিল। তিনি এই ঘরখানা ছেড়ে দিয়ে তার সঙ্গে লাগা অপেক্ষাকৃত বড় ঘরে উঠে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তাঁর খালি করে দেওয়া ঘরখানা নিয়ে নিলাম। সামান্য ভাড়া ছিল – দৈনিক ছয় আনা কিংবা আট আনা। সামান্য কিছু ফার্নিচারও জোগাড় করা হলো।
১৯৩৯ সালের ২৬ শে জুন তারিখে আমরা দোকান খুলে দিলাম। শুধু বাংলাদেশের নয়, সমস্ত ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম পুস্তক এর দোকান।
আমাদের মূলধন ছিল: কমিউনিস্ট পার্টির শুভেচ্ছা; কমরেড সুরেন্দ্র নাথ দত্তের শ্রম; কমরেড রেবতী মোহন বর্মন এর জোগাড় করা দুইশত টাকা।
দোকানের নাম দেওয়া হলো ন্যাশনাল বুক এজেন্সি। সারা ভারতের মার্কসীয় ও প্রগতির সাহিত্যের পরিবেশক হওয়ার স্বপ্ন সেদিন আমরা দেখেছিলেম। ওই অর্থেই আমাদের নামের গোড়ায় ন্যাশনাল কথাটা বসেছিল। কেউ কেউ ভুল ধারণা করেন অন্তত অতীতে করেছেন যে আমরা ন্যাশনালিস্ট সাহিত্যের প্রকাশক ও পরিবেশক। ন্যাশনালিস্ট সাহিত্য আমাদের নিকটে পরিত্যাজ্য নয়, কিন্তু তার জন্য অনেক দোকান আছে। তাই আমাদের ভবিষ্যতে যাতে কোনো বিচ্যুতি ঘটতে না পারে সে কথা মনে রেখে ১৯৪৩ সালে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রি করার সময় আমরা তার মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন এর নির্ধারণ করে দিয়েছি যে আমাদের কোম্পানি শুধু মার্কসীয় ও প্রগতি সাহিত্যের প্রকাশক ও পরিবেশক। মেমোরেন্ডাম এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
যদিও আমাদের দোকানে পুস্তকের সংখ্যা খুবই কম ছিল তবুও পুস্তক আসা মাত্রই তা বিক্রয় হয়ে যাচ্ছিল। কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কমিউনিস্ট পার্টির ব্যক্তিরা যে দোকানে আসা-যাওয়া করতেন তা থেকে পার্টি সভ্যরা তো বটেই পার্টির বন্ধুরাও বুঝে নিয়েছিলেন যে দোকানটি কমিউনিস্ট পার্টির শুভেচ্ছায় পরিচালিত।
অশেষ সাহসে ভর করে ওই অবস্থায় আমরা যে সেদিন দোকানটি খুলেছিলাম অনেকে তাতে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে ছিলেন। এই আগ্রহ প্রকাশকারীদের মধ্যে কমরেড ধরণীকান্ত গোস্বামী ও কমরেড আব্দুল হালিমের নাম উল্লেখযোগ্য’।
বেলঘরিয়ায় রেবতী বর্মণের বাড়িতে প্রথম সভা হয়। পার্টির উদ্যোগে প্রকাশনার কাজ শুরু করতে হবে। রেবতী বর্মণ, সুরেন দত্ত, ধরনী গোস্বামী ও গোপাল ঘোষের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হল ‘ন্যাশনাল বুক এজেন্সি’ই হবে সেই প্রকাশনার নাম। এদেশে কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত প্রথম বই প্রকাশনা ও বিক্রয় কেন্দ্রের নাম ‘ন্যাশনাল বুক এজেন্সি’। এই নামের প্রস্তাবক ছিলেন রেবতী বর্মণ নিজেই।
নভেম্বর বিপ্লবই চিন্তার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। হেগেলের ‘ফিলোসফি অব রাইট’-র সমালোচনা করতে গিয়ে মার্কস লিখলেন, ‘যে মুহূর্তে কোনো মতবাদ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সেই মুহূর্তে ওই মতবাদ বস্তুগত শক্তিতে পরিণত হয়ে যায়’। সেটাই ছিল ভাবনার মূল উপাদান। মুজফ্ফর আহ্মদ লিখেছেন, ‘১৯৩৯ সালের ২৬শে জুন তারিখে আমরা দোকান খুলে দিলাম। শুধু বাংলাদেশে নয়, সমস্ত ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম পুস্তকের দোকান’। ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির কার্যক্রমের সাথেই নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছে এনবিএ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। মনে রাখা দরকার কমিউনিস্ট পার্টির প্রকাশনা কেন্দ্রের ইতিহাস এক অর্থে কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিকাশেরও ইতিহাস। কমিউনিস্ট পার্টি গড়ার প্রশ্নে ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিকাশের ইতিহাসে পার্টি প্রকাশনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশনা সংস্থা গঠিত করার কাজ পৃথিবীর কোনো কমিউনিস্ট পার্টি করতে পারেনি, এদেশেরও তার অন্যথা হয়নি। তাই বলে চিন্তা ভাবনা বা প্রয়াস একেবারে হয়নি তা নয়, ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির গঠিত হওয়ার প্রায় উনিশ বছর পরে এক ধারাবাহিক প্রয়াসের মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে এনবিএ।
১৯৪২ সালে পার্টির উপর থেকে সরকারী নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে মার্কসীয় সাহিত্য প্রচারের ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভাবনা দেখা গেল। মুজফ্ফর আহ্মদ ও সুরেন্দ্রনাথ দত্তের বিশেষ প্রচেষ্টায় ৭২নং হ্যারিসন রোডের পাট চুকিয়ে ১২নং বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটের নতুন বাড়িতে উঠে এলো ন্যাশনাল বুক এজেন্সি। রেবতী বর্মণ-র লেখা ১২টি ইংরেজি বই প্রকাশ করার কথা ছিল। পরে প্রতিটি বই বাংলা তর্জমা করেও প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু রেবতী বর্মণ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। দেউলি জেলে থাকতেই তাঁর শরীরে কুষ্ঠ রোগ বাসা বাঁধে, পরে সেই রোগেই তার মৃত্যু হয়। অসুস্থ হওয়ার কারণে বাংলা তরজমার কাজ আর বিশেষ এগোয়নি, যদিও ঐ অবস্থাতেই তিনি সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ বইটি লেখার কাজ শেষ করেছিলেন। এনবিএ থেকে তারই লেখা ‘Society And its Democracy’, ‘Marxist view of Capital’ ও ‘সমাজের বিকাশ’ এই তিনটি বই দিয়ে প্রকাশনার কাজ শুরু হয়। ‘সমাজের বিকাশ’ বইটি ‘সমাজ ও সভ্যতার ক্রমবিকাশ’-র আগে লেখা।
১৯৪৭ সালের শেষ ভাগে অবিভক্ত বাংলায় ঢাকা শহরে ২৬, নওয়াবপুর রোডে এনবিএ-র প্রথম শাখা। সেই উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। তাতে উল্লেখ রয়েছে, ‘ঢাকা শহরে পূর্বে যা ঘটেনি তারই ব্যবস্থা আমরা করতে যাচ্ছি। ১০ই নভেম্বর তারিখে প্রামাণিক মার্কস-লেনিনবাদী সাহিত্য ও প্রগতি সাহিত্যের একটি নতুন দোকান আমরা খুলবো ২৬, নওয়াবপুর রোড’। একের পর একটি বই প্রকাশিত হওয়া শুরু হল- জে ভি স্তালিনের লেখা ‘অক্টোবর বিপ্লব’, পি. সি. যোশী-র ‘শেষ আঘাত হানো’, সতীশ পাকড়াশী-র ‘অগ্নিদিনের কথা’, অজয় ঘোষ-র ‘ভগৎ সিং ও তার সহকর্মীরা’, রজনী পাম দত্তের ‘ব্রিটিশের বিভেদনীতির নতুন পালা’। সারা বাংলা ও আসামের নানা স্থানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নতুন নতুন নামে প্রায় ২৫টি প্রগতিশীল বইয়ের দোকান চালু হলো।
১৯৪২-৪৬, ‘জনযুদ্ধ’-এর সময়কাল। কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পার্টির বক্তব্য বই আকারে প্রকাশিত হবে। সেই বিজ্ঞাপনের বয়ান লক্ষ্য করার মতো-
‘সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে
কমিউনিস্টরা জাতীয় স্রোতের বিরুদ্ধে
কংগ্রেস থেকে কমিউনিস্টদের বিতাড়িত কর।
এ সম্বন্ধে মতামত নেবার আগে আপনাকে কোন বই পড়তে হবে। সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতিতে জনসাধারণ দাবা-পাশার ঘুঁটিমাত্র। আমার-আপনার কাছে জনগণের মরণ-বাঁচন সমস্যাই রাজনীতি। তাই আমাদের প্রথম পাঠ : সোমনাথ লাহিড়ির ‘কাপড় চাই’ রেবতী বর্মন অনুদিত ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস-এর লেখা সমাজতন্ত্রবাদ : কল্পনামূলক ও বিজ্ঞানমূলক।
ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস রচিত সেই বইটি আজও পাঠকদের মধ্যে সমাদৃত। যদিও আধুনিক সংস্করণে বইটির নামে বদল ঘটেছে। এখন ছাপা হয় সমাজতন্ত্রঃ ইউটপিয় ও বৈজ্ঞানিক শিরোনামে।
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে এন বি এর দোকানে পুলিশি হামলা শুরু হল। কাকাবাবু সহ আরো অনেকে তখনই গ্রেফতার। এরপর ১৯৪৮ সালের ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি আক্রান্ত হয়। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ কে কেন্দ্র করে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। কমিউনিস্ট পার্টি বিভাজনেরও আঁচ পড়ে এনবিএ-র উপর। কাকাবাবুর জীবদ্দশাতে এবং পরেও সেই হামলা, আক্রমণ থেমে থাকেনি।
মুজফ্ফর আহ্মদের কৃতিত্ব এই যে তিনি অসংখ্য গুণী মানুষকে ন্যাশনাল বুক এজেন্সির সঙ্গে সমবেত করতে পেরেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যেমন প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক কবি প্রাবন্ধিক ছিলেন, তেমনি অনেক নতুন লেখকের এর যাত্রাও শুরু হয়েছিল ন্যাশনাল এর হাত ধরেই।
এনবিএ-র পরিচালকমণ্ডলীতে বেশ কিছু যোগ্য সংগঠকের সমাবেশ ঘটেছিল, আর ছিল অগণিত নিবেদিতপ্রাণ ন্যাশনাল এর কর্মী, এবং রাজ্য তথা দেশ তথা বিদেশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী। এদের সকলের সামনে ছিলেন কাকাবাবু, এক আদর্শ। তাঁর জীবদ্দশায় ন্যাশনাল বুক এজেন্সির অনেক প্রসার ঘটেছিল। চীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, গ্রেট ব্রিটেন থেকেও বই আমদানির বন্দোবস্ত হয়েছিল।
আজ ৮৪ বছরের দ্বারপ্রান্তে ন্যাশনাল বুক এজেন্সি। শুরুর দিন থেকে এনবিএ-কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মার্কসীয় সংস্কৃতির পরিমণ্ডল। ক্রেতা হয়ে, লেখক হয়ে, শুভানুধ্যায়ী হয়ে এমনকি অর্থ, মেধা ও চিন্তার শ্রমে বহু মানুষ এনবিএ-কে প্রসারিত করেছেন। একইসঙ্গে বিপদ এবং চরম বিপদের দিনে আক্রমণের দিনগুলিতেও সাহসের সঙ্গে তারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, মোকাবিলা অবধি করেছেন।
শুধু প্রকাশকই নয়, মতাদর্শগত লড়াই ও অন্দোলনের ময়দানে এনবিএ-র ভূমিকা নিজেই এক ইতিহাস। সেই ইতিহাসের অনন্য বৈশিষ্ট হল এই যে তা শুধু অতীতের কথা না, আজও প্রবাহমান।