মানুষের পাশে থাকবেন বামফ্রন্ট কর্মীরা ঘূর্ণিঝড় আমফানের বিপর্যয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে ও সাহায্য করতে বামফ্রন্টের নেতা ও কর্মীদের জরুরিভিত্তিতে নামতে বললেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
মঙ্গলবার একটি বিবৃতিতে বসু বলেছেন, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। রাজ্যের যে সব জায়গায় তা আছড়ে পড়বে সেই সব জায়গায় সতর্কতার সঙ্গে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যান্য এলাকা থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণের ব্যবস্থা করতে হবে। বামফ্রন্ট নেতা ও কর্মীদের কাছে এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ। সর্বত্র গণসংগঠনের কর্মীদের উদ্যোগে লকডাউনে বিপর্যস্ত এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ ও সহযোগিতার কার্যক্রম চালু আছে, তা-ও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আমফান ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে এই মুহূর্তে সাহায্য ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করাই হবে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
এদিকে বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, আইলার বিপর্যয় মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকারকে টাকা দিতে নিষেধ করেছিল তৃণমূল। তাদের সাংসদ এই দাবিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের চেয়ারম্যানকে। আজকে ঘূর্ণিঝড় আমফানের বিপদের মুখে আমরা কিন্তু তেমন আচরণ করব না। আমরা চাইব সরকার যেন দলীয় সঙ্কীর্ণতা সরিয়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের বিপদে পাশে থাকে।
মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন করার পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সরকার যেন যথেষ্ট পরিমাণ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে রাখে। আইলার পরে নদীবাঁধগুলির মেরামতির কাজ এই সরকার করেনি। ফলে নদীবাঁধ নিয়েও সতর্ক থাকার দরকার আছে। ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সরকার যে হেল্পলাইন নম্বর তা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও ঘরে ফেরার জন্য দেওয়া হয়েছিল। ওই নম্বরে ফোন করে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ আছে। তাই বিকল্প কিছু করা যায় কিনা সরকার দেখুক।