বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসুর বিবৃতি
২৪ অগাষ্ট, ২০২২
স্বাধীনতা দিবসে একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সম্মান নিয়ে বক্তৃতা করছেন তখন অন্যদিকে গুজরাট সরকারের বরান্যতায় মুক্তি পায় বিলকিস বানো দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তার চোখের সামনে পরিবারকে খুন করার আসামিরা। আদালতের রায়ে নয়, পঞ্চমহলের জেলা শাসককে চেয়ারম্যান করে গুজরাট সরকারের এক কমিটি এই মুক্তির সুপারিশ করে।
বিলকিস ধর্ষকদের মুক্তি বাতিলের দাবিতে এবং গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন সিপিআইএম সদস্য সুভাষিণী আলী সহ আরো অনেকে। তাঁর সঙ্গে আবেদন করেছেন সাংবাদিক ও লেখক রেবতী লাউল এবং সমাজকর্মী রূপরেখা বর্মা।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার সময় দাহোদের এক গ্রামে আক্রান্ত হয় বিলকিস বানোর পরিবার। ৩ মার্চ আক্রমণের সময় গাছ দিয়ে ঘেরা একটি মাঠের মধ্যে লুকিয়েছিলেন বিলকিস, সঙ্গে ছিলেন বিলকিসের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ২০-৩০ জন আততায়ী তাদের ঘিরে ধরে আক্রমণ করে। বানোর পরিবারের ১৪ জন কে খুন করে। বিলকিসের ৩ বছরের শিশুকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মায়ের সামনেই পাথরে আছাড় মেরে হত্যা করে। বিলকিস সহ ৮ জন মহিলাকে ধর্ষণ করে। তাদের মধ্যে ১ জন মারা যায়।
২০০৮ এর ২১ জানুয়ারি বিশেষ সিবিআই আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। মুম্বাই হাইকোর্টও একই রায় দেয়।
গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করছে বামফ্রন্ট এবং অবিলম্বে আসামিদের মুক্তি বাতিল করে কারাদণ্ড বহাল রাখার দাবী জানাচ্ছে।