সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে উত্থাপিত ধন্যবাদ প্রস্তাব
জুন,২০১৪
সীতারাম ইয়েচুরি
এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রতি ধন্যবাদ প্রস্তাবের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চাই। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, এবং কখনোই এই অর্থে নেওয়া উচিত নয়, যে আমরা ঐ ভাষণের বিষয়বস্তুর সাথে একমত। যদিও আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, যেমন প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতিকে ভাষণ দেওয়ার জন্য, কিন্তু আমরা কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করতে চাই যা আমি মনে করি অত্যন্ত, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, জনগণের মতামত এবং দেশের মানুষের প্রত্যাশাগুলো’র তাৎপর্য বুঝবার জন্য। সুতরাং, আমাকে স্বীকার করতে হবে যে আমি এই মুহূর্তে কিছুটা বিভ্রান্তির মধ্যে দিয়েই শুরু করছি।
শ্রদ্ধেয় সংসদ নেতার (লিডার অফ দা হাউস) ভাষণ শোনার পর, যিনি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মী, যাঁর সঙ্গে আমি কাজ করেছি যখন তিনি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, এবং বিরোধী দলের নেতা, তাঁর সঙ্গেও আমি তখন কাজ করেছি – যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন – এবং তার আগেও, এখন যখন দু’জনে কথা বলেন, তখন আমার কেবলই উইনস্টন চার্চিলের কথা মনে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, তিনি যখন ইংল্যান্ডে নির্বাচনে হেরে যান, অবাক হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এ থেকে একটাই শিক্ষা আমি পেয়েছি, তা হলো বিজয়ে উদারতা এবং পরাজয়ে বিনয় প্রকাশ করতে হবে।’ দুর্ভাগ্যবশত, সেই বিষয়টাই এখানে দেখা যাচ্ছে না, যা দেখে আমি সত্যিই ব্যথিত। আমি কাউকে দোষারোপ করছি না, বরং আমি সত্যিই ব্যথিত – না বিনয়, না উদারতা – কিছুই এখানে প্রকাশ পেল না।
যদি আপনি অনুমতি দেন, আমি একবার প্রসঙ্গান্তরে যেতে চাই, আমি সভাকক্ষ’কে অনুরোধ করছি কথাটা মজার ছলে নিন এবং আমাকে ভুল বুঝবেন না। হলিউড থেকে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সিনেমা বেরিয়েছিল, বলিউড নয়, যার নাম Hangover। আমি রাজনীতিতে হ্যাংওভার (খোঁয়ারি) ব্যাপারটা কী, সেটা এতদিন পর্যন্ত বুঝতে পারিনি। এখন বুঝতে পারছি। নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, স্যার। আমরা আমাদের হিসাবপত্র চুকিয়ে ফেলেছি। এখন আসল বিষয় হলো, রাষ্ট্রপতি যা তুলে ধরেছেন, তা, কী তিনি মনে করেছেন বা আমরা সবাই যা ভাবছি তিনি মনে করে থাকতে পারেন? সম্ভবত, দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নীল নকশা বা ব্লু প্রিন্ট প্রস্তুত করেছেন। যেহেতু আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, আমি মনে করি, যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়েছে, মতামতদান সমাপ্ত, সেই আলোচনার অনুশীলনটা শুরু করা উচিত যে ভবিষ্যতে কী কী ঘটবে। নতুন সরকার এসেছে এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমরা শুধু তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। আমরা চাই তাঁরা জনগণের প্রত্যাশাগুলো পূরণ করুন। আমরা তা সংসদের বাইরে করেছি এবং এখানে, সংসদেও করব। কিন্তু, শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতির ভাষণ – যেসব বিষয় গুরুত্ব ও গম্ভীরতার সাথে বিবেচনা করা উচিত, সেগুলো যথাযথভাবে বিবেচিত হচ্ছে – এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলছে না। কেন আমি একথা বলছি, স্যার?
প্রথমত, এই ভাষণটি হলো নির্বাচনী প্রচারণার সময় উত্থাপিত সমস্ত স্লোগানের একটি সংকলন। আমার এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। নিঃসন্দেহে, কাজ সহজ হবে, ঠিক যেমন আমরা স্কুলে মানে-বই ব্যবহার করতাম। আমি বলতে চাইছি, আমরা সর্বদা এটি খেয়াল করে নির্বাচনী প্রচারের বিভিন্ন স্লোগানগুলোর দিকে ফিরে যেতে পারি। ঠিক আছে, এটা কাজ চালিয়ে নিতে পারে। আমি বলতে চাইছি, আপনি চাইলে নির্বাচনে বিজয়ী দলের নির্বাচনী ইশতেহারকেও নতুন করে উপস্থাপন করতে পারেন। সেটিও সম্পূর্ণভাবে অনুমোদনযোগ্য, কিন্তু তারপর, যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো কোনপথে অর্জন করবেন? সেটাই প্রত্যাশিত, আর সেখানে, আমার মনে হয়, অত্যন্ত হতাশাজনক ব্যর্থতার অবকাশ রয়েছে। এখানেই আমি মনে করি যে, ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা বা নীল নকশা নেই—কীভাবে এগিয়ে যাবেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তি কী হবে— কিছু নেই। আমরা সবাই মজা করে প্রথম ১০০ বছরের কথা বলেছি—আমার মনে হয়, বিরোধী দলের নেতা আমাকে তখন এই দিক থেকে ইঙ্গিত করেছিলেন, আর আমি ১০০ দিনের পরিবর্তে ‘১০০ বছর’ বলেছিলাম—আর সেটা তখনকার সরকারের অগ্রাধিকারগুলো পূরণ না হওয়া নিয়ে ছিল, যা ঘটেনি।
আমরা ২০০৯ সালে তৎকালীন সরকারের ১০০ দিনের এজেন্ডা নিয়ে তখনো বলেছি, হ্যাঁ বলেছি! কিন্তু সেখানে একটা অগ্রাধিকার ছিল। তাঁরা বলেছিলেন, ‘আমরা এটা করব’। যদিও তাঁরা সেটা করেননি, এবং তার ফল ভোগ করেছেন। কিন্তু আজ, এই ভাষণে, মহাশয়, কোনো অগ্রাধিকারই তো দেখা যাচ্ছে না। শুধুমাত্র অভিপ্রায়ের ঘোষণা। যত মহান বা বৈধ সেই অভিপ্রায়ই হোক না কেন, দেশ জানতে চায় কীভাবে সেটা অর্জন করা হবে, এর রোডম্যাপ কী, এর নীল নকশা কী; এবং সেটিই এখানে অনুপস্থিত। এখানে বারবার যে স্লোগান উচ্চারিত হয়, তা হলো ‘সুশাসন’ এবং ‘উন্নয়ন’। সংসদ নেতা, যখন তিনি বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, তখন আমরা দু’জনই একসঙ্গে আওয়াজ তুলেছিলাম ‘অর্ডিন্যান্স রাজ’ এর বিরুদ্ধে, আমরা দু’জনই আগে তো একসাথে এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বিরোধিতা করেছিলাম। কিন্তু এখন, এই সরকার প্রথম যে কাজটি করছে তা হচ্ছে তাঁরা অর্ডিন্যান্স জারি করেছে, আর সংসদ এক সপ্তাহ পরে বসতে চলেছে। অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে তাঁরা শাসন শুরু করছেন, আর কোন বিষয়ে? ঠিক আছে, যখন আমরা সেই বিষয়ে আসব, আমরা না হয় এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব। সরকারের কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিষয়ে। কিন্তু মূল বিষয়টি হলো, এই শুরুর ধরনটা খুবই আশঙ্কাজনক বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু মূল আলোচ্য বিষয় হলো উন্নয়নের প্রশ্ন। ভারতের রাষ্ট্রপতিও সেকথা উল্লেখ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলেন, “এটি একটি আশার নির্বাচন ছিল”, এটা সত্যি কথা। এটা একটি আশার নির্বাচনই ছিল। যখন আমি এবং শ্রদ্ধেয় সংসদ নেতা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বেরিয়েছিলাম এবং আমাদের শিক্ষাগত ভবিষ্যতের দিকে আমরা তাকিয়ে ছিলাম, তখন আমাদের সামনে ছিল শুধুই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা দু’জনই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম, অবশ্যই ভিন্ন কলেজে। কিন্তু আমরা সেখানেই গিয়েছিলাম। আজ, যখন আমার ছোট ছেলে তার উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করল, তার সামনে একই শহরে ১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সে বেছে নিতে পারবে।
এখন, অবশ্যই বৃদ্ধি হয়েছে; উন্নয়ন হয়েছে; সুযোগের প্রসার হয়েছে। কিন্তু যে আশা তরুণদের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। মূল প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে আপনি তা পূরণ করবেন? ‘ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর’ স্লোগানটা ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু কীভাবে আপনি জনগণের সেই বর্ধমান প্রত্যাশা পূরণ করবেন? আমার মনে হয়, এর জন্য আপনাকে বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে, যা আমার আশঙ্কা, এই ভাষণে বিবেচনায় আসেনি। আমি এটা বলছি কারণ, যদি আমরা শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের প্রথম অংশ দেখি—যেমন তিনি অনুচ্ছেদ ১, ৪, ৫, ৭-এ বলেছেন, এবং তারপর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে, কিছুটা আবেগপ্রবণ ভাবে, আমি উদ্ধৃত করছি, “দারিদ্র্যের কোনো ধর্ম নেই, ক্ষুধার কোনো ধর্ম নেই, হতাশার কোনো ভূগোল নেই। আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভারতের দারিদ্র্যের অভিশাপ দূর করা। আমার সরকার শুধু ‘দারিদ্র্য বিমোচন’ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবে না, বরং ‘দারিদ্র্য নির্মূল’ এর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।” খুবই কাব্যিক এবং মহৎ, সন্দেহাতীতভাবে। কিন্তু, মহাশয়, আমাদের দেশে বর্তমান বাস্তবতা কী? আজকের বাস্তবতা হলো, পরিকল্পনা কমিশনের তেন্ডুলকর কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, আমাদের জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। বিতর্ক এবং বিদ্বিষ্টতার অবকাশ রয়েছে এই সব স্ট্যাটিস্টিক্সে, তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে দরিদ্র্যের সংখ্যা বিশাল। এখন, শুধুমাত্র অভিপ্রায়ের ঘোষণা যথেষ্ট নয়। আপনি কীভাবে এই দারিদ্র্য দূর করবেন? দারিদ্র্য মোকাবিলার জন্য আপনার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিগুলো কী কী, এবং এর শুরুটা কীভাবে করবেন? আমরা বলছি না যে আপনি এখনই সবকিছু করতে পারবেন। কিন্তু, আপনি কীভাবে এই সূচনা করবেন? এটা এমন একটি বিষয়, যা আমি এই ভাষণে খুঁজে পাইনি, এমনকি মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করেও নয়, মহাশয়। আপনি বৈষম্য নিয়ে কথা বলেছেন। বাস্তবতা কী? আমি মনে পড়ে বলেছিলাম, এই একই স্থান থেকে, এবং আমি আপনাদের দু’জনকেই আশ্বস্ত করতে পারি (সংসদ নেতা ও বিরোধী দলনেতা), গত একবার যখন আমরা ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম, তখন আমি বলেছিলাম, ‘আপনারা দুজন স্থান বদলাতে পারেন, আমি কিন্তু এখানেই থাকব।’ এবং আমি এখনও এখানে আছি। এবং, আমরা আমাদের সমালোচনা চালিয়ে যাব, যা আমি মনে করি দেশের এবং মানুষের স্বার্থে। সেই সমালোচনা কী? কেন আমরা তা করছি? ভারতের বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদ গত পনেরো বছরে ১২ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে ৫৯ জন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না।
দয়া করে, তাঁরা বংশলতিকায় বাড়ুন। তাঁদের বাড়তে দিন। কিন্তু বিষয়টি হলো, এই ৫৯ জনের সম্পদমূল্য প্রায় আমার দেশের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-অর্ধাংশ। এরপর, আমাদের ৮০ কোটি বা ৮০০ মিলিয়ন মানুষ রয়েছেন যারা আজ ২০ টাকারও কমে বাঁচতে পারছেন না। ব্যাপারটা হলো আমাদের মধ্যে দুটি ‘ভারত’ তৈরি হচ্ছে। যদি দারিদ্র্য নির্মূল করতে হয়, তবে এই বাড়তে থাকা বৈষম্যের ব্যবধানের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে হবে। আজ আমাদের দেশে আয়ের বৈষম্যের জন্য গিনি সহগের হার বিশ্বের অন্যতম উচ্চ। তাই যদি হয়, তবে আমরা কীভাবে আসলে এই সমস্যার সমাধান করব? হ্যাঁ, বৃদ্ধির উচ্চ হার ছাড়া, কর্মসংস্থানের উচ্চ বৃদ্ধি ছাড়া তা সম্ভব নয়। আমরা সবাই জানি। কিন্তু, আপনি কীভাবে তা অর্জন করতে যাচ্ছেন? অর্জন প্রসঙ্গে, আপনি এই ভাষণে আসলে কিছুই উল্লেখ করেননি। অন্য একটি উদ্বেগ, যা শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে, তা হলো মুদ্রাস্ফীতি বা ইনফ্লেশন সম্পর্কিত প্রশ্ন। সংসদ নেতা সম্প্রতি বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতির হার উচ্চ এবং বৃদ্ধির হার কম। এখন, এই মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে মোকাবিলা করা হবে? এই সম্পূর্ণ ভাষণে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা সম্নন্ধে একটিও শব্দ নেই। আমরা দাবি করছি যে, এই মূল্যস্ফীতির একটি প্রধান কারণ হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়েও আন্দাজমূলক বিনিয়োগের (স্পেকুলেটিভ ট্রেডিং) অনুমতি দিয়ে দেওয়া। যতক্ষণ না আপনি কিছু সময়ের জন্য এটি নিষিদ্ধ করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, এমন কোনো নীলনকশা বা রোডম্যাপ নেই যা থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে ব্যাপারটা নিদেনপক্ষে বিবেচিত হচ্ছে।
আপনার কাছে বিশাল খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। কেন আপনি সেই খাদ্যশস্যগুলি রাজ্যের জন্য BPL মূল্যে গণবন্টন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে বিতরণ করে দিচ্ছেন না? তা বাজারে পৌঁছাতে দিন, সেটাও আপনার মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেবে। না, সেটা করা হচ্ছে না। বরং, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম যে কাজটি ঘটে তা হল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, যা পরিবহন খরচ বাড়াবে এবং এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি আরো বাড়বে। তাহলে আমরা কী বার্তা দিচ্ছি? এটাই – আমি মনে করি খুবই উদ্বেগের অবকাশ রয়েছে – যে আমরা কীভাবে এই সমস্যাটি মোকাবিলা করবো, যা ভারতের সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেছেন। তারপর তিনি আশা বাড়িয়েছেন, তিনি বলেছেন যে এই নির্বাচন ছিল ‘আশার’ নির্বাচন। হ্যাঁ, আমরা সবাই আমাদের জনগণকে, আমাদের নির্বাচন কমিশনকে এবং আমাদের যুবকদের অভিনন্দন জানিয়েছি — যাঁরা মতামত দিয়েছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেছেন যে যুবসমাজ আজ আমাদের দেশের চালিকাশক্তি, এটি আমাদের জনসংখ্যার সবচেয়ে বড় অংশ। প্রকৃতপক্ষে, তিনি বলেছেন, ‘আমার সরকার যুব উন্নয়ন থেকে যুব-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা করবে।’
ভাষান্তরঃ নবারুণ চক্রবর্তী