অর্কপ্রভ সেনগুপ্ত
“The day Lenin passed away
A soldier of the death watch, so runs the story, told his comrades: I did not want to
Believe it. I went inside, and
Shouted in his ear: ‘Ilyich
The exploiters are on their way!’ He did not move. Now
I knew that he has expired.”
Cantata on the Day of Lenin’s Death, Bertolt Brecht
কোনো এক ডিসেম্বর মাসের হাড় কাঁপানো শীতের রাত। জেল টহল দিতে দিতে ছেলেটার দিকে আবার চোখ চলে গেল দারোগা মশাইয়ের। এতক্ষণে অন্ততঃ একবার হাতে পায়ে ধরা উচিৎ ছিল, নিদেন পক্ষে একটা আবেদন বা ক্ষমাপ্রার্থনা। দারোগা মশাই পুরোনো মানুষ। এইসব কলেজি বিপ্লবীদের তিনি হাড়ে হাড়ে চেনেন। সেই ১৮৬০-৭০-এর দশক থেকেই রাশিয়া এইপ্রকার কলেজি বিপ্লবীদের দেখছে। সাধারণতঃ এরা খুব ভালো ছাত্র হয়, যেমন এই ছেলেটা, বিদ্যালয় স্তরে স্বর্ণপদক পেয়ে পাশ করেছে। তারপর কলেজে উঠে তিনদিন ‘চলছে না, চলবে না !’ করে, তারপর যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বা কলেজের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়, অধিকাংশের বিপ্লবী তেজও হয় ফুড়ুত। তারপর দেখা যায় যে সরকারের বিরুদ্ধে ‘চলছে না, চলবে না !’ বলত, তাদেরই নিয়ন্ত্রিত আমলাতন্ত্রে, পুলিশে, সেনাবাহিনীতে বা বিদ্যায়তনে একটা চাকরির জন্য এরা মারামারি করছে। হ্যাঁ, একথা ঠিক, এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। গ্রামে গিয়ে বিপ্লবী সংগঠন করে কেউ কেউ, কেউ যোগ দেয় বিপ্লবী গুপ্ত সমিতিতে – গুপ্তহত্যার রাজনীতির মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করতে চায় জারতন্ত্রের মধ্যে। তবে এই ছেলেটি সেই গোত্রের বলে দারোগা মশাইয়ের মনে হয় না। গুপ্তসমিতি করে যারা, তাদের রাজনীতির ধরণ তিনি জানেন। এই ছেলেটির রাজনীতির ধাঁচা সেইরকম নয়। এ-ও সম্ভবতঃ সেই ‘চলছে না, চলবে না’ গোত্রেরই।
তবে সাহস আছে ছোকরার, এটাও মনে মনে স্বীকার করতে বাধ্য হলেন দারোগামশাই। ‘ছাত্র সভা’-ডেকে তাতে এইরকম রাষ্ট্রদ্রোহী বক্তব্য রাখা সহজ কাজ না, বিশেষ করে যেখানে বহিষ্কারের শাস্তি কপালে নাচছে। বহিষ্কার করাও হবে বোধ হয় ছোকরাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, এমনটা কানে এসেছে তাঁর। এই পর্যায়ে এসে অধিকাংশ ছেলেই ক্ষমা-টমা চেয়ে নেয়, হাতে পায়ে ধরে। এ তার কিছুই করছে না দেখে ভীষণ অবাক হচ্ছেন দারোগা বাবু। মনে মনে ভাবলেন – ছেলের রক্ত বেশ গরম। হঠাৎ বেশ একটি স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়লেন তিনি। তাঁর ছাত্র জীবনে তিনিও তো দিন বদলের স্বপ্ন দেখতেন। তখন রাশিয়ায় উদারপন্থার প্রথম হাওয়া বইছে। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার ভূমিদাসদের মুক্তি দিয়েছেন। খোলামেলা আলোচনা সরকার কিছু কিছু বরদাস্ত করছে। আজ তৃতীয় আলেকজান্ডারের শাসনে রাশিয়া একটা কারাগার, কেউ সরকারের বিরুদ্ধে গলা উঁচু করার আগে দুইবার ভাবে। তখনকার সময় তার থেকে সুখের ছিল, বিপ্লবী স্বপ্ন দেখাও ছিল অনেক সহজ। তবে সেই সুখস্বপ্ন খুব বেশিদিন দেখননি দারোগা বাবু। জীবনের দৌড়ে এগনোর জন্যই সেই স্বপ্নকে চাপা দিয়েছেন তিনি। এটাই বাস্তব। প্রত্যেক যুবককেই বিপ্লবী স্বর্গের স্বপ্ন থেকে বাস্তবের মাটিতে নামতে হয় একদিন না একদিন।
ছেলেটার প্রতি মায়া হল দারোগার। ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে গেলেন তিনি। কাঁধে হাত রেখে নরম গলায় বললেন – ‘আরে এতো হই হাঙ্গামায় আর কি হবে ছোকরা ? শেষটা তো এই দেওয়াল !’ দপ করে চোখগুলো জ্বলে উঠল। দারোগাবাবু চমকে উঠলেন। চোখ দুটো যেন ঠিক দুটো স্ফুলিঙ্গ। সতেরো বছরের ছেলেটির সদ্য গজানো গোঁফের রেখার নিচে খেলে গেল একটা হাল্কা হাসি। সুদৃঢ় প্রত্যয় ভরা কন্ঠে দারোগার প্রশ্নের জবাব এলো, ‘দেওয়াল, তবে ঘুণ ধরা। ধাক্কা দিলেই ভেঙে পড়বে।’
১৮৮৭ সালের ডিসেম্বরের এক শীতের রাতে এই কথাগুলো উচ্চারণ করেছিলেন তরুণ ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন। সারা জীবন পচা ঘুণ ধরা দেওয়াল ধ্বংস করার এই ব্রত থেকে তিনি একচুল নড়েননি। শ্রেণি বিভাজনের দেওয়াল শুধু না – জাতি, ভাষা ও ধর্মের প্রাচীরও তাঁর হাতুড়ির আঘাতে নিমেষে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। ল্যাংস্টন হিউজের কবিতায় দেখি লেনিনের সেই দেওয়াল ভাঙা মূর্তি –
“Lenin walks around the world.
Frontiers cannot bar him.
Neither barracks nor barricades impede.
Nor does barbed wire scar him.
Lenin walks around the world.
Black, brown, and white receive him.
Language is no barrier.
The strangest tongues believe him.
Lenin walks around the world.
The sun sets like a scar.
Between the darkness and the dawn
There rises a red star.”
লেনিন দেওয়াল ভেঙেছিলেন শুধু নয়, ভেঙেছিলেন এমন এক দেশে যেখানে ‘অদ্ভুত এক আঁধার’-কেই মনে করা হত অতি স্বাভাবিক। জাতি সমূহের কারাগার হিসেবে পরিচিত জারতন্ত্রী রাশিয়া, ইউরোপের সবথেকে পশ্চাৎপদ দেশ জারতন্ত্রী রাশিয়া, ধর্মান্ধতা এবং রক্ষণশীলতার দুর্গ জারতন্ত্রী রাশিয়া, ইউরোপের প্রতিবিপ্লবী জঁদার্ম অফ ইউরোপ জারতন্ত্রী রাশিয়া। পশ্চিম ইউরোপে সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ভাবে পরিণত অগ্রসর কোনও দেশে না, এহেন রাশিয়ার ধ্বংসাবশেষের উপরই নভেম্বর বিপ্লবের বিস্ফোরণের পর নতুন কিছু গড়ার চেষ্টা করেছিলেন লেনিন ও তার অনুগামীরা, ইতিহাসে প্রথমবার। অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে তাঁদের। অন্ধকারে প্রথমবার নতুন পথে হাতড়ে হাতড়ে পথ চলেছিলেন তাঁরা। হোঁচট খেয়েছেন, হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। কিন্তু আবার ঠিক গা ঝেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে চলতে শুরু করেছেন। যে পথে লেনিন রাশিয়াকে ঠেলে দিয়েছিলেন, সেই পথেই স্তালিন সহ সোভিয়েত নেতৃত্বের প্রচেষ্টায় রাশিয়া কাঠের লাঙলের যুগ থেকে তিন দশকের মধ্যে পরিণত হয় একটি আণবিক শক্তির অধিকারী রাষ্ট্রে। ইউরোপের একদা প্রতিবিপ্লবের জঁদার্ম পরিণত হয় দক্ষিণ গোলার্ধের উপনিবেশগুলিকে মুক্ত করার সংগ্রামের মক্কাতে।
এই চোখ ধাঁধানো সাফল্য, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সহ বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি, ফ্যাসিবাদের কবর খোঁড়া থেকে গ্যাগারিনের মহাকাশ ছোঁয়ার স্পর্ধার ইতিহাস স্মরণ করেও এই কথাটা আমাদের বর্তমানে অনেক দুঃখ নিয়ে কিন্তু সততার সঙ্গেই স্পষ্ট করে বলতে হবে, লেনিনের এই মহান প্রচেষ্টা দীর্ঘমেয়াদে অ-সফল। আবার ব্রেখটকে উদ্ধৃত করার লোভ সামলানো যাচ্ছে না –
“Friends, I would wish you should know the truth and say it!
Not like the tired fleeing Caesars ‘Tomorrow we get the rations!’
But like Lenin: Tomorrow evening We are done for, UNLESS…”
এই সত্য আমাদের স্বীকার করতে হবে তাঁর হাতে নির্মিত সোভিয়েত দেশের আজ আর কোনও অস্তিত্ব নেই এবং এই না থাকাটা এক ভয়ংকর পরাজয়, লেনিনের আদর্শেরও তাঁর অনুগামীদেরও। কোনও কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে এই সত্যকে মোছা সম্ভব নয়। সেই ৯০-এর দশক থেকে আজ অবধি এই পরাজয়ের মাশুল দিয়ে, লেনিনের মূর্তি ধুলোয় গড়িয়েছে এবং গড়াচ্ছে দেশে দেশে, জার্মানি থেকে এই ভারতের ত্রিপুরায়। তাহলে স্বভাবতঃই প্রশ্ন ওঠে, লেনিন নিয়ে এত কথা আবার কিসের ? তাঁর জন্মশতবর্ষ পালিত হয়েছিল মহা সমারোহে, অর্ধ পৃথিবী তাঁকে স্মরণ করেছিল। আজ তাঁর প্রয়াণের শতবর্ষ পালন করার সময় শ্রদ্ধা জানাবেন তুলনায় ক’জন ? যাঁরা জানাবেন – তাঁদেরও বা ক’জন লেনিনের আদর্শে সত্যি সত্যি আস্থা রাখেন, বিশ্বাস করেন ? কঠিন প্রশ্ন। অপ্রীতিকর প্রশ্ন। কিন্তু এসব প্রশ্ন এড়িয়ে না গিয়ে তার মুখোমুখি দাঁড়ানোই আদতে লেনিনীয়।
লেনিনের ‘তাজমহল’ আজ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। বিশ্বের তাবড় তাবড় ‘পন্ডিত’-দের দাবী, এবার লেনিনের অনুগামীদের প্রেম করাও ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। তাজমহল ভেঙে পড়ার পরও আজও যারা প্রেম করা ছেড়ে দেয় নি, তাঁদের এনারা সেই নব্বই-এর দশক থেকেই উপদেশ দিয়ে চলেছেন – ‘ওহে, পাগলামি তো অনেক হল, তোমাদের আদর্শকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ফেলা হয়েছে তোমাদের সাধের লেনিনের সঙ্গেই। এবার পতাকা গোটাও, ওই লোকটার ছবি ঘরের দেওয়াল থেকে নামাও। বাড়ি যাও বাবা এবার। ইতিহাসের এই পাঞ্জা লড়ায় আমরা বিজয়ী, এবার যা ইচ্ছে তাই করা আমাদের ঐতিহাসিক অধিকার। তাতে বাগড়া দেওয়ার দুঃসাহস করো না।’ নব্য-উদারনীতি ও ইতিহাসের ইতির যুগে এই কথাগুলি হল সাধারণ জ্ঞান। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত এই বক্তব্য মেনে নেওয়াই বাস্তব বোধের পরিচায়ক। মেনে নিতে মন চায়ও। তারপরেই মনে পড়ে, আরে, কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছেলেটাকেও সেইদিন এই কথাই তো বলা হয়েছিল। হিমালয়ের মতো চেপে বসে থাকা জারতন্ত্রের উচ্ছেদ অসম্ভব, উচ্ছেদ যদি হয়ও রাশিয়ার মতো দেশে সমাজতন্ত্র নির্মাণের প্রচেষ্টার কথা বলাও পাগলের প্রলাপ – এই বক্তব্য তো সেই যুগের সাধারণ জ্ঞান ছিল। প্লেখানভের মতো মহাপ্রাজ্ঞ মার্কসবাদীও তো সেই কথা মানতেন। এই যুক্তিতেই তো সহৃদয় দারোগা সেইদিন ওই ছেলেটিকে উপদেশ দিয়েছিল, ‘আরে এতো হৈচৈ হাঙ্গামায় আর কি হবে ছোকরা ? শেষটা তো এই দেওয়াল!’ সেইদিন তো ছেলেটা পতাকা গুটিয়ে পতাকা গুটিয়ে বাড়ি যায়নি ! সেইদিন তো ছেলেটি মেনে নেয়নি এই ‘বাস্তব বোধ’ আর ‘সাধারণ জ্ঞান’-কে।
অথচ ঐ ছেলেটির বর্তমান অনুগামীদের যা অবস্থা, তার থেকে সেইদিনের অবস্থা ছিল অনেক বেশি প্রতিকূল। ছেলেটির সামনে না ছিল প্রায় একশো বছরের সংগ্রামের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আছে, না ছিল দেশে দেশে ছড়িয়ে থাকা নেই নেই করেও এত শক্তিশালী সংগঠন, না ছিল দেশে বিদেশে এতো শুভাকাঙ্ক্ষী ও সুহৃদ। তা-ও ঠান্ডা জেলে একা বসে থেকে সেই নির্বান্ধব ছেলে যদি দারোগার চোখে চোখ রেখে দেওয়াল ভাঙার স্বপ্ন দেখতে পারে, তাঁর আজকের অনুগামীরা এতো বন্ধু-বান্ধব, সংগঠন বেষ্টিত হয়ে এতো অভিজ্ঞতা নিয়ে কেনো স্বপ্ন দেখতে পারবেন না ? অবশ্যই পারবেন, আলবাত পারবেন। নতুবা তাঁদের অধিকার নেই নিজেদের ঐ ছেলেটির অনুগামী বলার।
‘লেনিন’ যে মানুষটির নাম, তাঁর জীবন নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রচুর। চরিত্রের ভালো-খারাপ, কি পড়তে ভালোবাসতেন, কি শুনতে ভালোবাসতেন, বিপ্লবী হিসেবে তাঁর ভূমিকা, রাষ্ট্র-নির্মাতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা – লেনিন সংক্রান্ত এমন কোনও বিষয় নেই যা নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বহু কথা খরচ করে বহু রকম লেখা হয় নি। জরুরি এই সকল লেখা। জরুরি তাঁকে নিয়ে আলোচনা। তাঁর মৃত্যু শত বার্ষিকী উপলক্ষেও সে’সব আলোচনা হবে নতুন করে। কিন্তু এই বৃক্ষ দেখার চেষ্টায় আমরা যেন অরণ্য দেখতে না ভুলে যাই। ‘লেনিন’ শুধু একটা মানুষের নাম না। ‘লেনিন’ আদতে একটা আদর্শের নাম। সেই আদর্শর মূল ভাব হল বদলে দেওয়ার লড়াইয়ে থাকার অদম্য একরোখা জেদ। ১৯০৫-এর বিপ্লবের ব্যর্থতার পর যখন সবাই হতাশ, জীবদ্দশায় আরেকটি এইরকম সুযোগের আশা ছেড়েই দিয়েছেন, তখন সিসিলিয়া বব্রোভস্কায়া গিয়েছিলেন লেনিনের সঙ্গে দেখা করতে। বব্রোভস্কায়া দেখলেন, বিন্দুমাত্র হতাশাহীন লেনিন প্রফুল্ল মেজাজে পরিকল্পনা করতে বসেছেন, এইবার কি কি ভুল হয়েছে, আর তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরের বার কি কি করতে হবে। ‘পরের বার!’, সিসিলিয়া ভেবেছিলেন, এই লোকটা কেমন পাগল, এতবড়ো একটা ব্যর্থতার ঠিক পরেই আবার ভাবছে ‘পরের বার!’। ভয়ংকর প্রতিকূল পরিস্থিতি, যে পরিস্থিতিতে বাস্তব বোধ আর সাধারণ বুদ্ধি বলে বিজয় অসম্ভব, তার মধ্যে লড়ে যাওয়ার গোঁয়ার্তুমির নাম আদতে ‘লেনিন’। অবশ্যই লেনিনের তাত্ত্বিক ভাবনার চর্চা ভয়ংকর জরুরি, অসম্ভব প্রয়োজনীয়। সেই হাতিয়ার ছাড়া তো সংগ্রামে নামাই যাবে না। কিন্তু এই অদম্য জেদ যদি না থাকে, ভয়ংকর বিপ্লবী আশাবাদ যদি না থাকে, তাহলে কিভাবে কাজে লাগানো যাবে সেই হাতিয়ারকে? লেনিনের প্রয়াণের শতবর্ষ-তে আমাদের শপথ থাকুক, তাঁর অনুগামীদের এমন গোঁয়ার্তুমি আর জেদের যেনো কোনওদিন মৃত্যু না ঘটে। তাঁর তত্ত্বের পাশাপাশি এই উত্তরাধিকারের মূল্যও নেহাত কম নয়।