দুঃস্বপ্নের এক দশক : চন্দন দাস ….

নভেম্বর ২২ ,২০২০ রবিবার

পর্ব- ৫
‘ভাতের কারখানা’য় বিজেপির পথেই তৃণমূল….


‘ভাতের কারখানা ধ্বংস করে, মোটর গাড়ির কারখানা/সে হবে না, সে হবে না।’ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে এই স্লোগান তুলেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যে এখন তাঁরই সরকার।

‘ভাতের কারখানার’ এখন কী অবস্থা?

গত সাড়ে ন’ বছরে ২২৩ জন কৃষিজীবী আত্মঘাতী হয়েছেন রাজ্যে। ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষক। মহাজনী ঋণে জর্জরিত বেশিরভাগ কৃষিজীবী। ফড়েদের দৌরাত্ম তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়ার পরই বেড়েছিল। মানুষের ক্ষোভ টের পেয়ে মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন যে, ফড়েদের দৌরাত্ম ঠেকাবেন। পারেননি। আরও বেড়েছে।
কৃষক দুর্দশার ছবি পেতে নন্দীগ্রামের দিকে তাকানো যাক। নন্দীগ্রামের কৃষক সেখ আলমগির হোসেন। ২০১৭-তে তাকে ‘কৃষক সন্মান’ দিয়েছিল মমতা ব্যানার্জির সরকার। ২০১৮-তে পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল। তাই নন্দীগ্রামের কৃষককে পুরস্কার দেওয়ার চাল ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন সেই আলমগির হোসেন কী করেন?


তিনি ‘নন্দীগ্রাম ভ্যানামেই অ্যান্ড বাগদা অ্যাকোয়া কালচার সমিতি’র সভাপতি। কৃষি দপ্তরের তথ্য হলো, নন্দীগ্রামে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর কৃষি জমি ছিল। গত তিন বছরে তার মধ্যে ২৫০০ হেক্টর জমি ভেড়িতে পরিণত হয়েছে। এটি শুধু নন্দীগ্রাম-১নং ব্লকের হিসাব। নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকের হিসাব দেখলে প্রায় ৬৫০০ হেক্টর চাষ জমি ভেড়িতে পরিণত হয়েছে।

নন্দীগ্রামের কৃষক বাজারে, পাইপ লোহার স্তূপ

জমি ভেড়িতে পরিণত করার ক্ষেত্রে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের উসকানি আছে। একবার বাগদা চাষ হলে, সেই জমিকে কৃষির উপযোগী করা কঠিন। তবু কৃষক রাজি হচ্ছেন। কিন্তু কেন? চাষে আয় কমেছে। কৃষকের ফসলের ন্যায্য দামের বন্দোবস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার করতে পারেনি।
এই কৃষিজমির ‘ভেড়িকরণ’র দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছিল ভগবানপুর। প্রথমে কিছু জমি ভেড়িতে পরিণত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশলে। ভেড়ির নিকাশীর জলে আশেপাশের জমিতে চাষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন কৃষক বাধ্য হন নিজের জমিকেও ভেড়িতে দিতে। ভগবানপুরেই অত্যাচার, হুমকিতে বিপর্যস্ত গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে নিহত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা নান্টু প্রধান। তাকে আবার ‘ভোটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা’ পালনের জন্য মঞ্চে তুলে পুরস্কৃত করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আমলে কৃষকের দুর্দশার কথা ব্যাঙ্কগুলি স্পষ্ট করেছে তাদের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার’-এ।


রাজ্যে শাখা আছে এমন ২১টি রাষ্ট্রায়ত্ব, ৯টি বেসরকারী এবং ৩টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি ২০১৮-র জুনে একটি ‘ব্যাকগ্রাউন্ড পেপার’ জমা দেয় রাজ্যের অর্থদপ্তরে। সেখানে উল্লেখ করা হয় — উৎপাদন কম হোক, বা বেশি। পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের তাতে প্রায় কোনও লাভই হয় না। নথীতে লেখা হয় — ‘‘উৎপাদন স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য বেশি হলে কৃষকদের জন্য ফসলের দাম পড়ে যায়। আবার উৎপাদন স্বাভাবিকের থেকে কম হলে ফসলের দাম হু হু করে বেড়ে যায়(স্কাইরকেটিং প্রাইসেস)। কিন্তু তাতে কৃষকের প্রায় কোনও লাভই হয় না।’’

ব্যাঙ্কগুলি রাজ্যের কৃষকদের সঙ্কটগুলি চিহ্নিত করে — প্রথমত, ফড়েদের মাত্রাতিরিক্ত অবস্থান।
দ্বিতীয়ত, হিমঘরের বন্দোবস্ত অত্যন্ত দুর্বল। ফসল রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ কম, তাই যে ফসলের দাম বেশি পাওয়া যেতে পারে, তা চাষ করতে পারছেন না কৃষক।
তৃতীয়ত, কৃষকদের সরাসরি ফসল বিক্রী করার উপায়ই নেই। ফসলের উৎপাদন হওয়া থেকে বাজার পর্যন্ত পৌঁছোনর মাঝে অনেক ভাগ। ফলে কৃষক যে দামে বিক্রী করছেন আর শেষ পর্যন্ত বাজার থেকে যে দামে ক্রেতা ফসল কিনছেন, তার মধ্যে অনেক তফাৎ।


তাহলে প্রায় ১০৭৫ কোটি ৯৭ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা খরচ করে ১৮৬টি কৃষক বাজার বানানো হলো কেন?
কোনও কাজেই লাগেনি এই মান্ডিগুলি কৃষকের। কিছু ঠিকাদারের লাভ হয়েছে — এই পর্যন্ত। প্রমাণ? নন্দীগ্রামে খাসজমিতে বানানো কৃষক বাজারে এখন ডাঁই হয়ে পড়ে আছে পাইপ, লোহা লক্কর। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছিল বাজার হবে, ফসল মজুত রাখার আধুনিক ব্যবস্থা হবে।

কিছু হয়নি। সিঙ্গুরের কৃষক বাজারে কয়েকদিন ধান কেনা হয়। রাজ্যের বেশিরভাগ কৃষক বাজারের এই হাল। তাহলে একেকটির জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচের মানে কী? অপচয়!


সম্প্রতি বিজেপি বিপজ্জনক কৃষি বিল পাস করিয়েছে সংসদে। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কৃষকদের। কিন্তু রাজ্যে আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রিকালচার প্রোডিউস মার্কেটিং (রেগুলেশন) ১৯৭২-র আইনকে শিথিল করে খুলে দেওয়া হয়েছে কর্পোরেটদের কাছে। ইলেকট্রনিক ট্রেডিং লাইসেন্স দিয়ে মোদীর আইনকে লাগু করার পথ রাজ্যে করেই রেখেছেন মমতা ব্যানার্জি।

বিমার টাকা মেলেনি, মহাজনের ধার শোধ করতে না পেরে আত্মঘাতী কৃষকের পরিবার…

তিনিও মোদীর মতই সংখ্যার জোরে এই বদল ঘটিয়েছিলেন। ২০১৪-র ৮ ডিসেম্বর বিধানসভায় পাশ হয়েছিল সেই কৃষিপণ্য বিপণন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের সংশোধনী। রাজ্যপালের সম্মতির পর ২০১৫-র ২১ জানুয়ারি তৈরি হয় আইনের বিধি।


ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেটিং(রেগুলেশন), ১৯৭২ বিল থেকে আইন হিসাবে কার্যকর হতে শুরু করে বামফ্রন্ট সরকারের সময়কালে। ১৯৮২-তে পশ্চিমবঙ্গ কৃষিপণ্য বিপণন (নিয়ন্ত্রণ) আইন তৈরি করে। কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারি মালিকদের ঢালাই সুযোগ দিতে সেই আইনেরই সংশোধন করে মমতা ব্যানার্জির সরকার।

তার ভিত্তিতে সরকার নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজার বন্ধ করে বহুজাতিক সংস্থারা কৃষিবাজার খুলতে পারবে। সরকারের যে মার্কেট কমিটি বা বোর্ড আছে তার এলাকার মধ্যেই ব্যক্তি মালিকানায় কৃষি বাজার খোলা যাবে। গত ১৮মার্চ কৃষি বিপণন দপ্তর থেকে জারি করা হয়েছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা। বেসরকারি কোম্পানিকে কৃষি বাজার খুলে দেওয়ার বিনিময়ে একটি এলাকার জন্য ৫হাজার টাকা, একাধিক এলাকাজুড়ে ইলেকট্রনিক ট্রেডিংয়ের জন্য একবারে ১০ হাজার টাকা লাইসেন্স ফি দিলেই হবে। গত ৩১মার্চ ওই সংশোধনকেই প্রাসঙ্গিক করতে জারি হয় আরও একটি বিজ্ঞপ্তি। সেই নির্দেশিকায় কৃষিপণ্যের ইলেকট্রনিক ট্রেডিং লাইসেন্সের পথ খুলে দেওয়া হয়।


রাজ্যে চাষের খরচ সামান্য বাড়ছে — এই দাবিও করে তৃণমূল কংগ্রেস। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, সার, বীজের দাম যখন বেড়েই চলেছে তখন চাষের খরচ সামান্য বাড়তে পারে? বছরে খরিফে শস্য বীমার নির্দেশিকায় চাষের এমনই খরচ নির্দ্ধারণ করেছে রাজ্য। তাতে দেখা যাচ্ছে ‘কৃষক দরদী’ সরকার মনে করছে
মুর্শিদাবাদে গত বছরের তুলনায় আমনে চাষের খরচ বেড়েছে একর পিছু মাত্র ৩১২ টাকা ৮২ পয়সা।
কোচবিহারেও তাই।
হুগলীতে খরচ বেড়েছে ২২৯ টাকা ৮৬ পয়সা প্রতি একরে।
দক্ষিণ দিনাজপুরে একর প্রতি ৩৩৯ টাকা ৯৪ পয়সা,
উত্তর ২৪ পরগনায় ৬৮৩ টাকা ১২ পয়সা চাষের খরচ বেড়েছে।

ফসলের দাম নেই ,পরে থাকছে অবহেলায় অসহায় কৃষক পরিবার

আসলে চাষের খরচ বেড়েছে এর অনেক গুণ বেশি।

গ্রাম-ভারত বিশেষজ্ঞ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পি সাইনাথ বলেছিলেন যে, ‘রাফালে যুদ্ধ বিমান কেলেঙ্কারির থেকে বড় দুর্নীতি হয়েছে ফসল বিমা যোজনায়।’ বিজেপি নির্দেশিত সেই বিমা প্রকল্পকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে বীমা প্রকল্প চালিয়েছে। আর তার ফলে শুধু ২০১৭-১৮-এ রাজ্য থেকে প্রায় ৩৩১ কোটি টাকা রিলায়েন্স জিআইসি লিমিটেড মুনাফার করতে পেরেছিল।

রাজ্যে কৃষক ফসলের ক্ষতিপূরণ ঠিক মত পান না। এই নিয়ে অনেক অভিযোগ। কৃষকের ফসলের সুরক্ষাকে কতটা রক্ষা করবে নতুন আইন, তা নিয়ে কোন আশ্বাস মোদী দেননি। মমতা ব্যানার্জিও কেন্দ্রীয় আইনের পাল্‌টা আইন তৈরির কোনও চেষ্টা করছেন না। যদিও কিছু সরকার তা করেছে।

২০১৯-র খরিফ থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্প ছেড়ে চলে আসে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তাঁর ঘোষিত প্রকল্পের নাম ‘বাংলা শস্য বিমা যোজনা।’ প্রিমিয়ামের টাকা থেকে বিমা কোম্পানিগুলির দেদার মুনাফার রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের বিমা প্রকল্পেও অটুট রয়েছে। আর লক্ষ্যেই চালু হওয়ার একবছরের মাথায় নির্দেশিকার বদল করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের পদ্ধতি মেনে বীমার পরিসর আরও ছোট করে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাতে কম কৃষক বীমার আওতার আসেন।

এসবের অবধারিত ফল — বেড়েছে ভূমিহীন ক্ষেতমজুর, কৃষি শ্রমিক। ২০১৫-র রিপোর্ট জানাচ্ছে, রাজ্যে তখন সরকারী হিসাবে কৃষি শ্রমিক ছিলেন ৪৫ লক্ষ ২৩ হাজার। ২০১৯-২০-তে রাজ্যের কৃষি শ্রমিক(এগ্রিকালচারাল লেবারস)-র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১কোটি ১লক্ষ ৮৯ হাজার। অর্থাৎ রাজ্যে চার বছরে খেতমজুরের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।


বর্ধমানে এক আত্মঘাতী কৃষকের পরিবার

রাজ্যে কৃষকের চাষ থেকে উপার্জনের জন্য এমন দুর্দশা, তখন মমতা ব্যানার্জি দাবি করে বসেছেন তাঁর শাসনে রাজ্যে কৃষকদের আয় বাড়ছে। এখন তা বছরে প্রায় ৩লক্ষ টাকা! অর্থাৎ মাসে প্রায় ২৫ হাজার। কিভাবে বাড়লো? তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। একই ভাবে মোদী দাবি করছেন, তাঁর শাসনে কৃষকের আয় দ্বিগুণ হতে চলেছে।
যদিও তা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি বিভিন্ন রিপোর্টেই।
দেশের মাথাপিছু আয় নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাকাউণ্ট স্ট্যাটিস্টিকসের (ন্যাস) গত ২০১৯-র সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অথবা রাজ্যের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে ১,২৬,৪০৬ টাকা। যা আগের বছর ছিল ১,১৪,৯৫৮টাকা বছরে।

মমতা ব্যানার্জির দাবি, পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের বছরে আয় তার দ্বিগুণের বেশি!
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুসারে দেশের সাধারণ মানুষের তুলনায় গ্রামের কৃষক মাসে প্রায় ১৪ হাজার টাকা বাড়তি আয় করেন। তাই যদি হবে, তাহলে রাজ্যের বাজারে এমন প্রবল মন্দা কেন? চাষের সহায়তা করতে মমতা ব্যানার্জিকেই দু’বারে ৫০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হয়েছে কৃষকদের। যদিও সেই প্রকল্প মূলত ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানা সরকারের নকল। এবং তাও কতজন কৃষক পাচ্ছেন — তা তৃণমূল কংগ্রেস সরকার জানায়নি।

চাষের খরচ বেড়েছে, ধু ধু মাঠ পরে, চাষ নেই

বামফ্রন্ট সরকারের কৃতিত্ব মুছতে কৃষকের আয় নিয়ে জালিয়াতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা ব্যানার্জির মুখ্যমন্ত্রিত্বের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সরকার প্রকাশ করে — ‘এ টেল অফ ফোর ইয়ার্স।’ সেই বইয়ের ৪২ নং পাতায় লেখা হয়েছিল ২০১১-র ৩১শে মার্চ কৃষকের গড় আয় ছিল ১লক্ষ ১৫ হাজার টাকা। ২০১৮-র জুনে প্রকাশিত একই সরকারের বই ‘ক্রনিক্‌লস অব বেঙ্গল্‌স প্রোগ্রেস’-র তার ৮২নং পাতায় দাবি করা হয় যে, ২০১০-১১-তে রাজ্যে কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯১ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২০১০-১১-তে কৃষকের আয় হঠাৎ গড়ে ২৪ হাজার টাকা কমিয়ে দিলেন মমতা ব্যানার্জি!

অসহায় কৃষক পরিবার

যদিও বামফ্রন্টের সাফল্যকেও তুলে ধরতে বাধ্য হয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তারা দাবি করে যে, ২০০৪-০৫-এ রাজ্যে কৃষক পরিবারের গড় আয় ছিল বছরে ৩৮হাজার ৫৩০টাকা। ২০১০-১১-তে সেই আয় ১লক্ষ ১৫ হাজার হলে বেড়েছিল — ৭৬হাজার ৪৭০ টাকা (এ টেল অব ফোর ইয়ার্স অনুসারে)।

অর্থাৎ ‘বামফ্রন্ট জমি কেড়ে নিচ্ছে’, ‘কৃষি জমি কমে যাচ্ছে’, এই সব অপপ্রচার যখন চলছিল, সেই ২০০৭-১১-র দিনগুলিতেও রাজ্যে কৃষকদের আয় বেড়েছে। বামফ্রন্ট নিজেদের সাফল্য এভাবে দাবি করে না। এই তথ্য মমতা ব্যানার্জিরই দেওয়া।


এই হচ্ছে রাজ্যের ‘ভাতের কারখানার’ কারিগরদের প্রকৃত অবস্থা। কৃষি ক্ষেত্রেও মমতা ব্যানার্জি চূড়ান্ত ব্যর্থ।





★ ★ ★ ★ ★ ★ ★ ★ ★ ★ ★ ★ ★
ধারাবাহিক চলবে…..
পর্ব – ষষ্ঠ , বিষয় : তৃণমূলের দুর্নীতি বিষয়ক


Spread the word

Leave a Reply