জ্যোতি বসু
ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের ৬১তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সংগঠকদের আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমার মনে হয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের মতো সংস্থাগুলির বাৎসরিক অধিবেশনের স্থান খুঁজে পাওয়া ক্রমশ বেশি করে কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের সহস্রাব্দ অধিবেশন আয়োজন করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করায় আমি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিনন্দন জানাই। আর্থিক সমস্যার মধ্যেই তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি এটা জেনেও আনন্দিত যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই উদ্যোগকে সফল করার জন্য সমস্ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার গোড়া থেকেই জ্ঞানের অনুসন্ধিৎসাকে সমর্থন জানিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই ইতিহাস কংগ্রেস অধিবেশনের প্রতি সরকারের সাহায্যকে বিচার করতে হবে।
ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেস বিজ্ঞানভিত্তিক ও সঙ্কীর্ণতামুক্ত ইতিহাস গবেষণার এক গৌরবজনক ঐতিহ্য বহন করে। আমি কখনো ইতিহাসের ছাত্র ছিলাম না। কিন্তু লক্ষ করেছি, আমাদের স্কুল-কলেজের দিনগুলির থেকে আজকের ইতিহাস চর্চার একটা গুণগত পরিবর্তন এদেশে ঘটে গেছে। ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে ক্রমশ এক আকর্ষণীয় বিশ্লেষণাত্মক রীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাবলীকে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে তার ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া এবং বস্তুগত পরিবর্তনের নিরিখে। এর ফলে ভারতীয় ইতিহাসের চর্চা এখন বেশি আকর্ষণীয়। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ইতিহাস ব্যাখার এই নতুন রীতি মার্কসবাদের প্রভাবে। এই প্রসঙ্গে আমার মনে পড়ছে ‘জার্মান ইডিওলজি’ গ্রন্থে মার্কসের সেই বিখ্যাত উক্তি, “The production of ideas, of conceptions, of consciousness is at first directly interwoven with the material activity and the material intercourse of met the language of real life … । আমাদের দেশের বেশ কিছু প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাও ইতিহাস অনুসন্ধানের এই বৈজ্ঞানিক দ্বারা অনুপ্রাণিত। নজির হিসেবে বলা যেতে পারে জওহরলাল নেহরুর লেখা ‘দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া’ এবং ‘লেটার্স ফ্রম এ ফাদার টু হিস ডটার’। এই সব লেখা আমাদেরও ভালো লেগেছিল।
কিন্তু সঙ্কীর্ণতাবাদী ও মৌলবাদী রাজনৈতিক শক্তির ট্র্যাজিক উত্থানের কারণে আজকের ভারতে এসবই ভয়ঙ্করভাবে বিপন্ন। ইতিহাসকে সামাজিক অগ্রগতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার পরিবর্তে, আমাদের পশ্চাদগামী করতে এবং কুসংস্কার ও মৌলবাদী ধ্যান-ধারণায় বিচারবুদ্ধিকে প্রভাবিত করার কাজে ইতিহাসকে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। চেষ্টা চলছে সংগঠিতভাবে যাতে করে মানুষের দৃষ্টি মন্দির-মসজিদ-চার্চের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। অথচ এখন ইতিহাসবিদদের উৎসাহিত করা উচিত যাতে তাঁরা ভারতীয় সভ্যতার সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদের ধারণা, প্রাক-উপনিবেশিক রাজনৈতিক অর্থনীতি, ঔপনিবেশিক শাসনের চরিত্র, সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক প্রতিরোধ, স্বাধীনতা সংগ্রামের বৈশিষ্ট্য, নাগরিক সমাজের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, লিঙ্গ সংক্রান্ত প্রশ্ন এবং জাতপাত ও শ্রেণীবিন্যাসের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ে আমাদের আলোকিত করতে পারেন। আমার খারাপ লাগে যখন দেখি, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে এবং তাঁদের হিংসার শিকার হতে হচ্ছে।
এছাড়াও পাঠ্যক্রম সংস্কারের নামে সাম্প্রদায়িক মতাদর্শের ভিত্তিতে পাঠ্যপুস্তকগুলি পুনঃলিখিত হচ্ছে। আমরা যখন তথ্য-প্রযুক্তিতে বিপ্লবের কথা বলছি তখনই বৈদিক গণিত এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের পাঠক্রমের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। কিছু স্কুল-পাঠ্য পুস্তকে ভারতের মানচিত্রে শুধু যে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তাই নয়, নেপাল, ভূটান, তিব্বত এবং বার্মার কিছু অংশকে ভারতবর্ষের মানচিত্রের মধ্যে দেখানো হচ্ছে। আমি জানি না আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি এসব দেখে কী ভাবছে। আমি এও জেনেছি যে, স্কুলের বাচ্চাদের জন্য লেখা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে হেডগেওয়ার এবং গোলওয়ালকরের প্রশংসা করা হচ্ছে অথচ খাটো করা হচ্ছে মূলস্রোত স্বাধীনতা সংগ্রামের জাতীয় নেতা, মুসলিম এবং কমিউনিস্টদের অবদানকে। ইতিহাসের বই-এ প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলি আমাদের জানা ধ্যান-ধারণার সঙ্গে মেলে না এবং তা কখনই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে নয়। হিন্দুত্ববাদকে খাড়া করা হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতার সরাসরি বিরোধিতা করতে। অথচ এই ধর্মনিরপেক্ষতাই আমাদের সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য।
বিস্ময়কর যে, শিক্ষা প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত সরকারী সংস্থার অধিকর্তা গর্ব করছেন এই বলে যে, ১৯৪৬ সালের সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন এবং নিজে তার মুসলিম প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে উন্মত্ত জনতাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এর বিপ্রতীপে আমি এবং আমার সহকর্মীরা ১৯৪৬-র সেই দুর্যোগের দিনগুলিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে সক্রিয় হয়েছিলাম এবং দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এ প্রসঙ্গে আমি আরও উল্লেখ করতে চাই যে, মূলস্রোত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে বিভিন্ন ধারার প্রতিবাদী রাজনীতির যোগসূত্র স্থাপনে কমিউনিস্টরা যে ভূমিকা পালন করেছিল এবং বাংলায় ১৯৪৩ সালের মানুষের তৈরি দুর্ভিক্ষের সময় ত্রাণকার্য সংগঠনের যে ভূমিকা (কমিউনিস্টরা পালন করেছিলেন তার যথাযথ ঐতিহাসিক মূল্যায়ন এখনও হয়নি। আমি ইতিহাস কংগ্রেসের সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব, তারা যেন আমাদের দেশের ইতিহাসের এই বিষয়টির ওপর আলোচনা করেন। আমি বিস্মিত হই যখন দেখি যে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের একজন পদস্থ অধিক। আমলাতান্ত্রিক শৃঙ্খলার যাবতীয় সীমা লঙ্ঘন করে পরিচালিত পত্রিকায় পরামর্শ দেন ধর্মপরিবর্তন নিষিদ্ধ করার পক্ষে এবং দাপিয়ে বলতে যে, একটি মাত্র ধর্মগ্রন্থভিত্তিক কিছু একেশ্বরবাদী ধর্মের জন্যই আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে নিশ্চিতভাবেই ইসলাম এবং খ্রিস্টধর্মের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এসব তাকে লিখতে দেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি এও দেখছি, খবরের কাগজে পড়লাম যে দিল্লীতে অন্য একটি সরকারী সংস্থার একজন পদস্থ আধিকারিক কোনো রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করেই বলছেন যে, বাবরি মসজিদের নাকি কোনো ধর্মীয় তাৎপর্য নেই এবং মুসলিমদের উচিত এই জায়গাটা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া।
আমি একইভাবে বিব্রত এটা জেনে যে, সরকারী লাইন মেনে চলতে রাজি না হলে এমনকী ইতিহাসবিদদের কণ্ঠও রোধ করা হচ্ছে। ‘টুওয়ার্ডস ফ্রিডম’ সম্পর্কেই আমি এ কথা বলছি। এই গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছিলেন দেশের দুজন অগ্রণী ঐতিহাসিক সুমিত সরকার এবং কে এন পানিকর। বইটি হঠাৎ নক্কারজনকভাবে প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনেকেই সন্দেহ করেন, এই খণ্ডগুলি ছাপা হলো না কারণ এতে এমনসব দলিল রয়েছে যেগুলি আমাদের দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে আর এস এস এবং আরও কিছু সঙ্কীর্ণতাবাদী সংগঠনের জাতীয়তা বিরোধী ভূমিকা ইঙ্গিত করে। সরকারের উচিত আমাদের এই সন্দেহ দূর করা। কিন্তু এই সন্দেহ আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে কারণ সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা থেকে ১৯৩০-র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে ইতালিয় ফ্যাসিস্টদের একটা সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। যাইহোক, একজন মার্কসবাদী হিসেবে আমার জনগণের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে মানুষ শেষপর্যন্ত বুঝতে পারবেন, কোনটা ভুল আর কোনটা মেকি। জনগণের চেতনা বাড়াতে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। ইতিহাসের বিকৃতি এবং মিথ্যাকরণ প্রতিহত করতে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরতে ঐতিহাসিকদেরও সাহায্য করতে হবে বিরাটভাবে।
ইতিহাস চর্চার অগ্রগতি নির্ভর করে ঐতিহাসিকদের মধ্যে প্রতিনিয়ত বিতর্কের ওপরই এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলে প্রত্যেকটি মতই আমাদের বিবেচনা করা প্রয়োজন। শত ফুল বিকশিত হোক আমাদের ইতিহাস বিষয়ক আলোচনায়। কিন্তু অতি অবশ্যই ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম থাকা উচিত বলে মনে করি। একটি যেমন ধরা যাক আমাদের যে কোনো ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, তা সেটা আমাদের পছন্দের হোক বা না হোক! যেমন ধরা যাক ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই মারাত্মক দিনটার কথা। একদল উম্মাদ করসেবক একটা ৫০০ বছরের ঐতিহাসিক সৌধ বাবরি মসজিদকে ধ্বংস করে দেয়। অথচ এমনও লোক আছে যারা বলবে যে বাবরি মসজিদকে ধ্বংস করা হয়নি, সেটা নাকি ভেঙে পড়েছিল, এবং এটা কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা নয়, একটা দুর্ঘটনা মাত্র। এই যেমন প্রধানমন্ত্রী শ্রী বাজপেয়ী নিজে আমায় বলেছেন। এই প্রসঙ্গে আমি বলব যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আমাকে ২৯ জানুয়ারি লিবারহ্যান কমিশন ডেকে পাঠিয়েছে।
আমি অবশ্যই কমিশনের সামনে হাজির হব এবং বিভিন্ন প্রমাণের সাথে অডিও টেপও প্রমাণস্বরূপ পেশ করব। সেখানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রেকর্ড করা আছে।। অত্যন্ত উৎসাহিত কণ্ঠে তিনি বলছেন যে যেখানে ঠিকাদাররা কম করে দেড়মাস নিত বাবরি কাঠামোকে (ওদের ভাষায় ‘খাঁচা’ বলে) সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে, সেখানে করসেবকরা সময় নিয়েছে মাত্র পাঁচ ঘণ্টা। কিছু ত্রুটি সত্ত্বেও ভারতীয় গণতন্ত্র বহু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছে। গণতন্ত্রের এই জয় আমাদের বৌদ্ধিক ঐতিহ্যের বিবর্তনেও অবদান রেখেছে। আমাদের এই বৌদ্ধিক বিবর্তন, রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের মিশ্র রূপ, অথবা যাকে বলে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, তারই জয়গান করেছে।
কিন্তু আজ ইতিহাসের পরিকল্পিত বিকৃতির মাধ্যমে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির এই মূল বৈশিষ্ট্যকেই খাটো করার চেষ্টা চলছে। ৫৩ বছরের স্বাধীনতায় এর চেয়ে ট্র্যাজিক বিষয় আর কিছু নেই। সাম্প্রদায়িকতাবাদ ও মৌলবাদের বিষের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমাদের রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত যুদ্ধ চালাতে হবে। এবং সাম্প্রদায়িক আক্রমণের মোকাবিলায় পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য ইতিহাসবিদ ও ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের মতো সংস্থাগুলির সাহায্য ও পরামর্শ দরকার।
এই কংগ্রেসের আলোচনার ওপর প্রতিবেদন করার জন্য আমার বিশেষ আগ্রহ আছে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই রিপোর্ট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোপরি, আমরা কেবলমাত্র পৃথিবীকে ব্যাখ্যা করেই সন্তুষ্ট থাকবো না। প্রয়োজন একে পরিবর্তন করার। এমন এক উন্নততর পৃথিবী গড়ার প্রয়াসে, যে পৃথিবীতে, রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, চিত্ত হবে ভয়শূন্য এবং উচ্চ রবে শির। বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এবং গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক শক্তিকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই ইতিহাস চর্চ জাতি ধ্বংসের হাতিয়ারের ভূমিকায় অবক্ষয়িত হবে না। বরং তা ব্যবহার হবে দেশ গড়ে তোলার কাজে।
এই কথা বলেই, কংগ্রেস সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করে আমার বক্তব্য শেষ করছি।
পিপলস ডেমোক্র্যাসি’ (১৪ জানুয়ারি, ২০০১) থেকে বক্তৃতার পূর্ণবয়ান সংগৃহীত হয়েছে। মূল বক্তৃতার ইংরেজি শিরোনাম ছিল ‘Historians have to Counter Falsification of History”। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের ৬১তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০১ সালের ২-৪ জানুয়ারি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল ২ জানুয়ারি রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে। কংগ্রেসের উদ্বোধন করেছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। জ্যোতি বসু ভাষণ দিয়েছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি হিসেবে। প্রধান অতিথি ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।