দেবরাজ দেবনাথ
১৫৬৪র ১৫ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন গ্যালিলিও গ্যালেলি। ইতালির পিসা শহরে। মারা যান ১৬৪২সালের ৮ই জানুয়ারি। শেষের ৯ বছর ছিলেন গৃহবন্দি চার্চের নির্দেশে। মূলত গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের জগতেই ছিল গ্যালিলিওর আগ্রহ, গবেষণা। গ্যালিলিওর গবেষণা ও আবিষ্কার আধুনিক নিউটনীয় পদার্থবিদ্যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। বিশেষ করে জড়তার সূত্র অর্থাৎ বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে গতিশীল বস্তু সমহারে চলতে থাকে এবং পড়ন্ত বস্তুর সূত্র অর্থাৎ বাতাসের বাধা না থাকলে ভারি ও হাল্কা বস্তু সম হারেই মাটিতে পড়ে— এই দুই আবিষ্কার নিউটনীয় গতিসূত্রের প্রারম্ভিক ভিত। এছাড়াও আবিষ্কার করেন পেন্ডুলামের দোলনকালের সূত্র। পরবর্তীতে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বও গ্যালিলিওর আবিষ্কার থেকে কিছুদূর অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে।
বস্তুত পরবর্তীতে এই গতিসূত্র ও আপেক্ষিকতার তত্ত্ব সার্বিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলির অন্যতম কেন্দ্রীয় প্রশ্ন সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত অধ্যাত্মবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে নস্যাৎ করে দেয়। কিন্তু এই বিপদ সম্বন্ধে তখন চার্চ অতটা ওয়াকিবহাল ছিল না। চার্চের কাছে বিপজ্জনক ছিল গ্যালিলিওর সৌরতত্ত্ব। অর্থাৎ পৃথিবীর নিজস্ব গতি আছে। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার চারিদিকে ঘুরছে। কোপার্নিকাসের যুগান্তকারী তত্ত্ব ও ব্রুনোর দাবির সপক্ষে প্রমাণ হাজির করলেন গ্যালিলিও। সহায়তা করল দূরবীক্ষণ যন্ত্র। আমরা যাকে চিনি টেলিস্কোপ হিসাবে। একদিক থেকে আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার প্রাণপুরুষও গ্যালিলিওকে বলা চলে। টেলিস্কোপ চোখে তিনি পর্যবেক্ষণ করলেন চাঁদের কলঙ্ক আসলে অসংখ্য উঁচু নিচু পাহাড়। দেখলেন সূর্যের গায়ে দাগ। অর্থাৎ সূর্য স্থির না। পরিবর্তনশীল। বৃহস্পতিরও চারখানা নিজস্ব চাঁদ রয়েছে। শুক্র গ্রহ ঘুরছে সূর্যের চারিদিকে।
গ্যালিলিওকে আমরা সচরাচর চিনে থাকি ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে নিবেদিতপ্রাণ মুক্তচিন্তার দিশারী হিসাবে। যদিও গ্যালিলিওকে তার সমকাল-সমাজ-ইতিহাসপ্রেক্ষিত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখলে ভুল হবে। বস্তুত গ্যালিলিওর বিজ্ঞানমনস্কতা বা বিজ্ঞানের প্রতি, যুক্তির প্রতি ঝুঁকে থাকা সেই সময়ের চালু সামাজিক দ্বন্দ্বের প্রতিফলনই বলা চলে। ইউরোপ জুড়েই রাজতন্ত্র ও চার্চের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক তখন টলোমলো। ইতালিও তার বাইরে না। ক্যাথলিক চার্চ অমিত শক্তিধর ছিল এমনিতে। কিন্তু একদিকে রেনেসাঁস, অপরদিকে সংস্কারবাদী প্রোটেস্টান্ট চার্চের উত্থান ক্যাথলিক চার্চকে চাপে রেখেছিল বড্ড। এর পিছনে যদিও ছাপাখানার ভূমিকা বিশাল। তবে মনে রাখা দরকার, ইতালিসহ গোটা ইউরোপ তখন দুনিয়া জুড়ে বাণিজ্যের নামে সাম্রাজ্য গড়তে, বিশেষত উপনিবেশ গড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়বে কিছুকালের মধ্যেই। তারই তোড়জোড় চলছিল তখন একপ্রকার। আর এই বাণিজ্য আগ্রাসনের সহযোগী হতে চলেছিল ক্যাথলিক চার্চের মাধ্যমে ধর্ম বিস্তার। এর প্রেক্ষিতে বিচার করে দেখা দরকার গ্যালিলিওকে।
![](http://i0.wp.com/cpimwb.org.in/wp-content/uploads/2025/02/galileo-galilei-1564-1642-using-a-telescope-circa-1620-photo-by-hulton-archivegetty-images-1-1024x774.jpg)
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগত তথা আকাশগঙ্গা বা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণা বাইবেলের বয়ানের কতটা বিরুদ্ধ? বাইবেল তথা খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় বিশ্বাস কি এতে টলে যাচ্ছিল? তেমনটা ঠিক নয়। খ্রিস্টের পুনর্জন্মের মত মৌলিক কোনো টেস্টামেন্টীয় তত্ত্বকে আক্রমণ করছিল না গ্যালিলিওর আবিষ্কার। সমস্যাটা খানিক অন্যত্র। ক্যাথিলিক চার্চ তখন থেকেই বিজ্ঞানচর্চার নিত্যনতুন আবিষ্কারকে ধারণ করে মানিয়ে চলবার মত এক মধ্যপন্থার প্রবর্তন করে। অর্থাৎ অকাট্য প্রমাণ না হওয়া অবধি চার্চ বিজ্ঞানের সূত্রকে মানবেও না, আবার ঝেড়েও ফেলে দেবে না। আর কোন প্রমাণ অকাট্য তা যাচাই করবে চার্চ নিজে। তেমনই এক সমাধানসূত্রের সুযোগ ছিল গ্যালিলিওর কাছেও।
ইতিমধ্যেই আরিস্ততলীয় ও টলেমীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানকে প্রত্যাখ্যান করে গ্যালিলিও পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট বিতর্কে পড়েছিলেন। কিন্তু গ্যালিলিও শুধু মুক্তচিন্তার পরিসর রক্ষার সংগ্রামী ছিলেন না, ছিলেন বিজ্ঞানজগতের ক্ষুদ্র একক উদ্যোগপতিও, ভাবীযুগের বুর্জোয়াসুলভ ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ তার ছিল বিদ্যমান। নিজের পুরনো আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ ফলাফল বেচে দিতেও দ্বিধাবোধ করতেন না, নতুন গবেষণার সুবিধার্থে। এমনকি তা যুদ্ধের কাজে লাগুক, তা-ও সহি। সে যাইহোক, গ্যালিলিও এমনিতে ছাড়নেওয়ালা আপসকামী মানুষ তো ছিলেন না। সেযুগের অগ্রণী শ্রেণিচিন্তার বাহক হবার দরুণই, তিনি ছিলেন ক্ষুরধার। গ্যালিলিওর প্রতি এককালে ‘স্নেহপ্রবণ’ পোপ অষ্টম আরবান-ও ক্ষেপে গিয়ে তার বিরুদ্ধে ইনক্যুইজিশন বসিয়ে দিলেন ১৬৩৩ সালে ‘দুই নতুন বিজ্ঞান সংক্রান্ত কথোপকথন’ শীর্ষক বইটি প্রকাশের পরে। পোপ ভেবেছিলেন গ্যালিলিও সংশয় ঝুলিয়ে রাখবেন। সরাসরি বাইবেলের লিখিত বয়ানের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠা করবেন না। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দেন গ্যালিলিও। ফলে এমনিতে সে যুগের অন্য পাঁচটা খাওয়া-পরা-যুদ্ধ-থাকা-রাজনীতি-বিদেশনীতি সংক্রান্ত গুরুতর প্রশ্ন না হয়েও গ্যালিলিওর ‘সূর্যকে মাঝে রেখে শুক্র, পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ তার চারিদিকে ঘুরছে’ কার্যত হয়ে উঠল অনাগত কালের শিক্ষিত মধ্যশ্রেণির বুর্জোয়াসুলভ ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তার ঘোষণা। ক্যাথলিক-প্রোটেস্টান্টদের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থেমে গেল গ্যালিলিওর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। উভয়েরই চক্ষুশূল হয়ে উঠল গ্যালিলিও। তখনও চার্চ ও রাজতন্ত্র তথা সামন্তসমাজের সম্পর্ক ছিল হৃদ্যতার। কিন্তু গ্যালিলিওরা ক্রমে সামন্তকাঠামোকে অস্বীকার করতে শুরু করবে৷ এমনিতে ১৬৩৩এর বইটির উৎসর্গপত্রে এক জনৈক লর্ডকেই গ্যালিলিও স্তুতি করেন, বিশেষত প্রকাশনায় সহায়তার জন্যে। সামাজিক রক্ষণশীল স্থিতাবস্থায় আঘাত হানবে গ্যালিলিও। সে হানুক। যুক্তি ও প্রগতির পথে সওয়ার হতে গেলে কিছু ধর্মান্ধতা ও কূপমন্ডুকতাকে ধ্বংস করাটা আবশ্যিক হয়ে ওঠে।
গ্যালিলিওর ইনক্যুইজিশন ও তার পরবর্তীতে গ্যালিলিও’র নিজের আবিষ্কারকে ভুলস্বীকার করে গৃহবন্দী হওয়াকে কেউ বলেন ট্রাজেডি, করুণ অধ্যায়। কেউ বলেন শিরদাঁড়াহীনতা। কেউ বলেন ভিলেনিয়াস। অনেকে ১৯৯২ সালে চার্চ যেভাবে ভুলস্বীকার করেছে গ্যালিলিও’র প্রশ্নে তাতে খানিক স্বস্তি পান৷ কিন্তু এই জুতো মেরে গরুদান ব্যাপারটা এখানে ঠিক খাটে না৷ গ্যালিলিও প্রাণে বেঁচে যান। বিতর্কিত বইটি ও ওনার আবিষ্কারের তথ্য প্রিয় ছাত্র-অনুগামীদের সৌজন্যে ইতালির বাইরে চলে যায়। দুনিয়ার কাছে পরিচিত হয় সৌরকেন্দ্রিক দুনিয়ার গতির ধারণা। একমাত্রিকভাবে নায়ক-খলনায়কের বাইনারিতে গ্যালিলিওকে তাই মাপা সম্ভব না।
![](http://i0.wp.com/cpimwb.org.in/wp-content/uploads/2025/02/A21F3330-0373-4A19-8D03E2D5B080F3AB_source-ezgif.com-webp-to-png-converter.png)
গ্যালিলিওর সঙ্গে চার্চের সংঘাতকে রাষ্ট্রধর্মের হাতে ব্যক্তিনিপীড়নের আঙ্গিকে দেখা সম্ভব। কিন্তু এইখানে আসলে দুই ভাবাদর্শের সংঘাতও ঘটছে। এমনিতে লোকবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, জাদু হল আদিমতম বিজ্ঞান। জাদুর আলোকে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে দেবতা, ধর্ম। রাষ্ট্রনীতির প্রয়োজনে ধর্ম নেয় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। মানুষের নৈতিক আচরণ নির্দেশ করে। পাশাপাশি লালন করে অজস্র কু-আচার, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস। ধর্মবিশ্বাসীরা গোঁড়ামিপূর্ণ হলে তাদের যুক্তিবোধ ম্লান হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানের সত্যান্বেষণ হয়ে ওঠে ‘শয়তানের কাজ’ কিম্বা ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’। বর্তমানে ভারতেও দেখা যায়, সংবিধান বৈজ্ঞানিক মেজাজ তথা বিজ্ঞানমনস্কতা লালন করতে বললেও সংবিধানই ‘ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত’ করাকে বেআইনি বলে। অথচ বিজ্ঞানের পথে চলা তো ধর্মের নানান তত্ত্বের অসাড়তাই মুহুর্মুহু প্রমাণ করে থাকে। এই গোলকধাঁধা থেকে পরিত্রাণ খোঁজেন যারা তাদের পাথেয় হয়ে ওঠেন গ্যালিলিও।
এমনিতে আজকের ভারত বিজ্ঞানকে পর্যদুস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আরএসএস পরিকল্পনামাফিক পুরাণকথাকেই ইতিহাস ও বিজ্ঞান বলে চালাতে চাইছে। গণেশের প্লাস্টিক সার্জারি বা পুষ্পকরথের এয়ারোডায়ানামিক্স কিম্বা দুধের মধ্যে সোনা পাওয়ার কথার মধ্যে অনেকে হাস্যকৌতুক খুঁজলেও তা আসলে মিথকে বৈধতা দেবার এক রাস্তা। বিজ্ঞানকে ব্যবহার করা হচ্ছে আরোহী পদ্ধতিতে যাবতীয় রক্ষণশীল ও কাল্পনিক মিথকথাকে বাস্তবতা দিতে, বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে এক সংগঠিত প্রকল্প চলছে। ফলত বাড়বাড়ন্ত জ্যোতিষবিদ্যার। এখন উচ্চশিক্ষাতেও এর স্থান। কুসংস্কার, অপবিজ্ঞানের চল এখন বহুল।
প্রতি বছর বিজ্ঞান কগ্রেসের মঞ্চ থেকে দেশের সরকার এমন কাজ করে যে ভেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণন ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসকে ‘সার্কাস’ বলেছেন। ২০১৯ সালে প্রায় একহাজার বিজ্ঞানীকে প্রতিবাদী হয়ে মন্তব্য করেন, ‘প্রাচীন সাহিত্যকে ঘটনা বা প্রমাণ ভেবে চলাটা অনৈতিক, কেননা সেগুলো কোনও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে যায়নি।’ এগুলো যে ‘সামগ্রিকভাবে অবৈজ্ঞানিক’ তা বলতেও তাঁরা দ্বিধা করেননি। আর সম্প্রতি ডারউইনবাদ সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে ভারতের তিনটি বিজ্ঞান আকাদেমির সদস্যরা একযোগে বলেছেন, ‘এটি হবে একটি পশ্চাৎমুখী পদক্ষেপ’। কোনো প্রতিবাদই অবশ্য সেভাবে ধোপে টেকেনি। বিজ্ঞানীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে গবেষণার গ্রান্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রশক্তির সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক এখন প্রবল ঘনিষ্ঠ। ফলত প্রবল চ্যালেঞ্জ এখনও বিরাজমান। ধর্মনিরপেক্ষতার রক্ষায় বিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম আসলে। একথা শেখান গ্যালিলিও নিজের জীবন দিয়ে। আইনস্টাইন এককালে হেবারের মতন বাল্যবন্ধুকেও পরিত্যাগ করতে দ্বিধা করেননি। কারণ তার বিজ্ঞানচর্চার দর্শন কট্টর জাতীয়তাবাদের ঘোরতর বিরোধী ছিল। গ্যালিলিওর বিজ্ঞানদর্শনও ছিল অনুসন্ধিৎসামূলক। বাইবেল বা ঈশ্বরকে অস্বীকার করেননি উনি কোনোকালেই। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ তথ্য ও প্রমাণ ও যুক্তিতেই অধিকতর ভরসা রেখেছেন। ক্রিটিকাল থিংকিং ও র্যাশনালিটির চর্চা তাকে এই সিদ্ধান্ত বেছে নিতে সুযোগ করে দিয়েছে।
গ্যালিলিও কূপমন্ডুকতাকে কুঠারাঘাত করতেই শিখিয়েছে বরং বারবার। বিজ্ঞান ও ধর্মের মধ্যেকার যুদ্ধে ধর্ম অনেকখানি পিছিয়ে যায় ইউরোপে। ভারতের বর্তমান অবস্থা অবশ্য আলাদা একেবারেই। বুর্জোয়া ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞানমনস্ক গণতন্ত্রের যে সম্ভাবনার কথা গ্যালিলিওর জীবনে দর্শায় তাকে ভারতে এখন ধর্ম ও রাজনীতির নৈকট্য খতম করে দিচ্ছে আগাগোড়া। গ্যালিলিওকে কেবল বুর্জোয়া বিজ্ঞানমনস্কতা পোস্টারবয় সাজালে চলবে না তাই, বরং সামন্তসমাজে দাঁড়িয়ে যে প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ধারাবাহিক বিদ্রোহের ইঙ্গিত, বিজ্ঞানের স্বার্থে, প্রগতির স্বার্থে গ্যালিলিও দেখিয়েছিলেন অনুপ্রেরণা নিতে হবে আমাদের সেইখান থেকে, যাতে বুর্জোয়া স্ববিরোধিতার হিপোক্রেসিকে চুরমার করে প্রতিষ্ঠা করা যায় সত্যিকারের বৈজ্ঞানিক মেজাজসম্পন্ন ধর্মনিরপেক্ষ বিজ্ঞানচর্চার ভারত।