২১ জানুয়ারী ২০২৩
ঘুম নেই চোখে আজও
সবুজ পাতা,স্রোতস্বিনী জাগো
…………..জাগো।
বরাহনগর ISI, যাদবপুর, উত্তরপাড়া হয়ে কলেজ স্ট্রিটে আজ দুপুর ২:০০টায় আসবেন, অনিঃষ্ট্র চে গুয়েভারা কন্যা বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবী ডাঃ আলেইদা গুয়েভারা ও নাতনী এস্তাফানিয়া গুয়েভারা। বিপ্লবের ও বিদ্রোহের সড়ক বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সেজে উঠেছে ছাত্র-যুব ও অগণিত কমরেডদের অক্লান্ত পরিশ্রমে।
১৯৫৯ সালের জানুয়ারীতে সমাজতান্ত্রিক কিউবার আত্মপ্রকাশ। কিউবা বিপ্লবের পর কেটে গেছে ৬৪ টি বসন্ত।তারই মাঝে সাম্রাজ্যবাদের মাথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাত্র ৯০ মাইল দূরত্বে পৃথিবীর অন্যতম বিপ্লবী ফিদেলের নেতৃত্বে কিউবা হয়ে উঠেছে সমাজতান্ত্রিক ভাবনার নতুন স্বপ্ন নিয়ে। কিউবা চে ও ফিদেল কাস্ত্রোর দেখানো পথে বর্তমানে রাউর কাস্ত্রোর নেতৃত্বে সগর্বে গোটা কিউবা জুড়ে আজও উচ্চস্বরে উচ্চারিত হয় ,“হয় সমাজতন্ত্র নয় মৃত্যু”। ছয় দশকের বেশি সময় ধরে সমাজতন্ত্রের আদর্শের প্রতি অটল থেকে সাম্রাজ্যেবাদী দাদাদের সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র কে ধুলিস্মাৎ করে পৃথিবী জুড়ে খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির সংগ্রামে উদাহরণ তৈরি করে চলেছে চে গুয়েভারা ও ফিদেল কাস্ত্রোর স্বপ্নের কিউবা।
যে স্বপ্ন দেখেছিল চে ও ফিদেল কাস্ত্রো তা আজ বাকি বিশ্ব তথা ভারতীয় মেয়েদের কাছে অন্য পৃথিবী। কিউবা নিয়ে লেখার আগে আমাদের দেশ ভারতে মেয়েদের অবস্থান নিয়ে দু এক লাইন লিখবো। ২০০০ খ্রিঃপূঃ মনু সংহিতা রচনা হয়, যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে শ্রেণী বিভাজন, বৈষম্য ,ধর্মান্ধতা। সর্বোপরি মেয়েদের উপর অন্যায় অবিচার।মনুসংহিতার ৫১\ ৫ম\ ১৪৮ \ নং ধারায় উল্লেখ আছে,
বাল্যে পিতুর্বশে তিষ্ঠেৎ পাণিগ্রাহস্য যৌবনে।
পুত্রাণাং ভর্তরি প্রেতে ন ভজেৎ স্ত্রী স্বতন্ত্রতাম্
অর্থাৎ – বাল্যকালে নারী পিতার অধীন থাকবে, বিবাহের পর সে স্বামীর অধীনে থাকবে এবং স্বামীর মৃত্যুর পর পুত্রের অধীনে থাকবে। নারী কখনও স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারবে না।
কালে কালে ধর্মীয় মৌলবাদীরা নারী জাতির প্রতি নিষ্পেষন করে গেছে।
আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় সরকার RSS দ্বারা পরিচালিত। তারা এখনও ২০০০ খ্রি:পূ রচিত মনু সংহিতার ধারক ও বাহক। শুধু কালের নিয়মে নিষ্পেষনের পদ্ধতি বদলেছে, যা আবার মাঝে মধ্যেই দাঁত নখ বার করে বেড়িয়ে পরে, আড়াল করা যায় না।
শিক্ষা একটা জাতিকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনে, একটা সমাজের পরিকাঠামো নির্ভর করে দেশের শিক্ষিতের সংখ্যার নিরিখে, অথচ আমাদের দেশ শিক্ষা খাতে ২০১৪ -১৫ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটের ক্ষেত্রে ব্যয় হত ৪.১৪% সেখানে আরো কমিয়ে ২০২১-২২ সালের বাজেটে ৩.২৬% করা হয়েছে।শিক্ষা যে দেশে বার্ত্য, সেই দেশের অগ্রসরতা পশ্চাতমুখী।
অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক কিউবা, ১৯৫৯’ জানুয়ারীতে বিপ্লবের পরেই সর্ব প্রথম সামগ্রিক ভাবে শিক্ষার জাতীয়করণ হয়।বিপ্লবের আগে ১৯৫৩ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ৫৬% ,মাত্র ৩০ বছরের ব্যবধানে ১৯৮৬ সালে সাক্ষরতার হার ১০০%। বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যন্ত সকলের জন্য শিক্ষা অবৈতনিক।মোট জাতীয় আয়ের ১৩%খরচ হয় শিক্ষা খাতে। বলাই বাহুল্য যে দেশ প্রতি নিয়ত মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়, সেই দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না, নারী পুরুষ আলাদাভাবে বিবেচিত হবে না।
সমাজতান্ত্রিক কিউবা কেন মেয়েদের কাছে অন্য পৃথিবী…?
১৯৩৩ সালের বিপ্লবের ফলে ১৯৩৪ সালে রামোন গ্রাউ স্যান মার্টিনের প্রগতিশীল সরকারের অধীনে কিউবার মেয়েরা ভোটাধিকার লাভ করেছিলেন। তথাপি রাজনীতিতে মেয়েদের ভূমিকা সীমিত ছিল।১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৬ জন মেয়ে সাংবিধানিক পদে আসীন হয়েছিলেন(২৩ জন ডেপুটি এবং ৩ জন সেনেটর)। বিপ্লব পূর্ববর্তী বাতিস্তা সরকারের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মূল চালিকাশক্তিগুলির মধ্যে মেয়েদের সক্রিয়তা উল্লেখযোগ্য। ১৯৫৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য একটি সামরিক বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হলে কিউবার মেয়েরা সিয়েরা মায়েস্ত্রাতে ফিদেল ক্যাস্ত্রোর নেতৃত্বে ‘জুলাই ২৬ বিপ্লব’ এ অংশগ্রহন করেন। বিপ্লবে অংশগ্রহনকারী মহিলা নেত্রীদের মতে,“ আমরা শুধু মেয়েদের অধিকারের জন্য লড়ছি না। আমরা প্রত্যেকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে লড়ছি।”
বিপ্লবের ঠিক পরে…
কিউবায় বিপ্লবের বিজয় ল্যাটিন আমেরিকায় এক অসাধারণ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উত্তরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফিদেল ক্যাস্ট্রোর নতুন সরকার ১৯৫৯ সালে বিপ্লবের একেবারে শুরু থেকেই সংস্কারের প্রকল্পে দরিদ্রদের বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সমাজে বৈষম্যের প্রধান শিকার মেয়েদের পরিস্থিতি উন্নয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়।বিপ্লবের মূল চেতনা ছিল “of the humble, by the humble and for the humble”। এই চেতনার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবের সাফল্য একটি নতুন যুগের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে।
বৈপ্লবিক সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার ছিল কিউবার নারী। ১৯৬০ সালে ফেডারেশন অফ কিউবান উইম্যান প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাউল ক্যাস্ট্রোর স্ত্রী ভিলমা এসপিন ডাবোইস । ভিলমা জেনারেল ফালজেন্সিও বাতিস্তার স্বৈরতন্ত্র অবসানের বিপ্লবী সংগ্রামে একজন একনিষ্ঠ সক্রিয়তাবাদী ছিলেন।
১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারীতে দেশ থেকে পরাজিত বাতিস্তার পলায়নের কয়েক ঘন্টা পর ফিদেল ক্যাস্ত্রো তার প্রথম ভাষনে নারীদের পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রেখে বলেন,“নারীরা আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে এবং জীবনের অন্য সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। তাই তাদেরকে মুক্ত করতে হবে। যখন ভবিষ্যতে এই বিপ্লবের মূল্যায়ন করা হবে তখন অনেক প্রশ্নের মধ্যে একটি প্রধান জিজ্ঞাসা হবে কিভাবে আমাদের সমাজ এবং আমাদের দেশ নারীদের সমস্যাগুলি সমাধান করেছে। বিপ্লবের অন্যতম উদ্দেশ্য হিসাবে নারীর সমস্যার সমাধানে প্রয়োজন সর্বোচ্চ স্থির সংকল্প, দৃঢ়তা, অধ্যবসায় এবং প্রচেষ্টা।” বিপ্লবের সামাজিক এবং সাম্যবাদী অর্জনের সর্বাধিক সুফল ভোগ করে কিউবার নারী। ১৯৬০ সালে ভিলমা এসপিন দুবোই(Vilma Espin Dubois) ‘ফেডারেশন অফ কিউবা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফেডারেশনের লক্ষ্য ছিল সমানিধিকার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য দূর করা এবং ফলশ্রুতিতে, নারীরা যেন সমাজে তাদের যথার্থ অবস্থান অর্জন করতে পারে এবং নতুন সমাজ গঠনে সম্পুর্ণভাবে নিজেদের অবদান রাখতে পারে।
ফেডারেশনের একটি প্রথম কাজ ছিল দেশে বিদ্যমান পতিতাবৃত্তির অবসান ঘটানো। বিপ্লব- পূর্ব কিউবার প্রায় ১০০,০০০ মেয়ে এই পেশাতে ছিলেন। তাদেরকে এই পেশা থেকে মুক্ত করে নতুন সমাজ গঠনে অংশগ্রহন করানো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। হোসে মার্তির উক্তি “মুক্ত হতে হলে কর্ষিত বা অনুশীলিত হতে হবে(to be cultivated is to be free)” অনুসরণে কিউবা ১৯৬১ সালে একটি ব্যাপক নিরক্ষরতা দুরীকরণ অভিযান শুরু করে যেখানে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল নারী এবং বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েদের জন্য সামাজিক অগ্রসরতার সাথে সাথে সাম্যবাদীতার সুফল তৈরী করা।একই বছরে ১০,০০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যা কিনা ঔপনেবিশিক আমলের ষাট(৬০) বছরের রাজত্বকালে প্রতিষ্ঠিত মোট বিদ্যালয়ের পরিমানের চাইতেও বেশী।
কেন কিউবায় বিপ্লবের মধ্যে বিপ্লব…
১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর থেকেই নারীদের স্বাস্থ্য এবং জীবন যাপনের গুনগত মানোন্নয়ন জাতীয় অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। যেমন, মেয়েদেরর বর্তমান আয়ু কাল ৮০ বছর । শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৪.৬ যা তৃতীয় বিশ্ব এবং আমেরিকার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা)তুলনায় সর্বনিম্ন কিউবায় সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনের কাজে অন্যতম ভূমিকা পালন করে চলেছে মেয়েরা। কিউবা এমন একটি দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয় কর্মী বাহিনীর ৪৮% হল মেয়ে। একইভাবে ম্যানেজমেন্ট সেক্টর গুলিতেও প্রায় ৫০% মেয়ে কাজ করেন। আমারেল বোয়ে , ফেডারেশনে অফ কিউবান উইমেন (FMC)র সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ,মেয়েদের জন্য চমৎকার চাকরীর সুযোগ ও কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার উন্মুক্ত দ্বার আছে কিউবাতে।উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ১০জন আইনজীবীর মধ্যে ৮ জনই মেয়ে। আইনগত প্রেক্ষিতে, শ্রম আইনের আর্টিক্যাল-৫৯ নির্দিষ্টভাবে কিউবার মায়েদের জন্য প্রণীত হয়েছিল। এখানে বলা হয়েছে,“নিয়োগকর্তা কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য অনুকূল পরিবেশ স্থাপন করবে এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে যাতে মায়েরা কর্মক্ষেত্রে এবং সামাজিক দায়িত্বে পুর্ণ অংশগ্রহন করতে পারে।”
বর্তমানে National Assembly of People’s Power (কিউবান পার্লামেন্ট) প্রতিনিধিত্বকারীদের মধ্যে ৫২% হল মেয়ে। কিউবার State Council (রাজ্য পরিষদে) মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব ৫৩%।
(২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, কিউবার সংসদে নারী ডেপুটির সংখ্যা শতকরা ৪৮.৯ ভাগ। সংসদে নারী সদস্যের সংখ্যায় বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে কিউবার অবস্থান তৃতীয় স্থানে। একই ক্ষেত্রে, উন্নত দেশগুলির তালিকায় মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্রের অবস্থান ৭৮, ইউনাইটেড কিংডমের অবস্থান ৫৮, কানাডার অবস্থান ৪৬। ফ্রান্সে সংসদে নারী শতকরা ২৬% আসনে আছেন।)
একইভাবে ৭৮.৫% মেয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত। বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও ৫০% মেয়ে কাজ করছেন। দেশে উচ্চ প্রশিক্ষিত কারিগরী শ্রেনীর (শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র, গবেষক) শতকরা ৬৬% ভাগ হচ্ছে মেয়ে এবং আমলাতান্ত্রিক পেশায় মেয়েরা বিপ্লবের পূর্বের শতকরা ৬.২% ভাগ থেকে বিপ্লবের পর থেকে শতকরা ৬৬% ভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন।বর্তমানে একই মানের কাজে কিউবায় কর্মরত নারী ও পুরুষের সমান বেতন নিশ্চিত করা হয়। আর একই কাজে ফ্রান্সে নারীদের বেতন পুরুষের চাইতে শতকরা ২৮% কম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শতকরা ২০% কম।
খেলাধুলায় কিউবার নারীদের অবস্থান উল্লেখযোগ্য। বিপ্লবের পর ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেন, “খেলাধুলা মানুষের অধিকার, বিত্তশালীদের অধিকার নয়”।
বিপ্লবের বিপ্লব দেশে দেশে সংগঠিত হবেই
কিউবা স্বপ্ন দেখায় বিপ্লবের, কিউবা বাঁচতে শেখায় নতুন ভাবে, একটা সমাজ দেশ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন মানেই সে স্বাধীন নয়, পরিবার এবং রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হওয়া মেয়েদের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। অর্থনৈতিক মুক্তি অবশ্যই একটি সাধারণ পূর্ব শর্ত হতে পারে। কিন্তু যথেষ্ট শর্ত পূরণ না হলে অর্থনৈতিক মুক্তি কাজ করে না।সাম্রাজ্যবাদী শাসকরা ব্যস্ত থাকুন পৃথিবীকে কার্পেটের নীচে চালান করতে কিন্তু তাতে মার্কসবাদী দর্শনের প্রয়োগের অন্যতম নিদর্শন সমাজতান্ত্রিক কিউবার লড়াই বিন্দুমাত্র আবছা হবে না, ঐতিহাসিক কর্মকান্ড হিসাবে কিউবার লড়াই আদর্শ নাটকীয় ঘাত- প্রতিঘাতে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কাজ প্রভৃতি মৌলিক দাবী পূরণের খেটে খাওয়া মানুষের আকাঙ্খা প্রজন্মের পর প্রজন্ম কে পৃথিবী ব্যাপী অনুপ্রাণিত করে এসেছে, করছে আগামীদিনে ও করবে। বিপ্লবের বিপ্লব দেশে দেশে সংগঠিত হবেই।
ছবিঃ সোশ্যাল মিডিয়া