Cuban Diary I

Cuban Diary (Part I)

শ্রেয়সী চৌধুরী

তখনও জানিনা আদৌ ভিসা জুটবে কিনা, কিন্তু কিউবা যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আসলে ইউরোপীয় দেশগুলির নিয়মকানুন আন্তর্জাতিকিকরণের ফলে বাইরে যাওয়া, ভিসা, এসব ভাবলেই ভয় লাগে। চীনে এক যুগোস্লাভ বান্ধবী একবার বলেছিলো, কোথায় যাবে, কী চাকরি পাবে, কোথায় থাকতে পাবে, এসব নির্ভর করে তুমি কোন দেশের পাসপোর্ট ক্যারি করছো তার উপর। কিউবার ভিসা দেখি আধঘন্টায় ইন্টারনেটের মাধ্যমেই হয়ে গেলো। সে যাই হোক, থাকার ব্যবস্থাও হয়ে গেল খুব সহজেই, চলে এলাম গ্রীষ্মকালীন স্কুলে।

Jyoti Basu & Promode Das Gupta receving Fidel Castro at Calcutta Airport on 18/9/73

ভারত থেকে কিউবা যাব, স্বাভাবিকভাবেই এরোপ্লেন বদল করতে করতে যেতে হবে যার প্রথম ধাপ দিল্লী। কোনো সমস্যা নেই। পরের ধাপ ইস্তাম্বুল, টার্কিশ কফি আর ইউরোপে ঢোকার সিংহদুয়ার-স্বরূপ হালকা দেমাগ। অবশ্যই অপ্রত্যাশিত নয়। ঘন্টা বারো অপেক্ষা করে পরের ফ্লাইট হোসে মার্তিতে পৌঁছবে আরও ঘন্টা বারো পর, বোর্ডিং-এর সময়ে ভিসা নিয়ে আরেক ঝামেলা পাকালো ইউরোপের দ্বাররক্ষীগণ। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের লোকজন একেবারেই সাহায্য করছেন না। সহযাত্রীরা এগিয়ে এলেন, কিউবান সৌভাতৃত্ব অভিজ্ঞতা করার শুরু এভাবেই। সহজে ভিসার সমস্যার সমাধান হলো, ফ্লাইটে চড়া গেলো। বারো ঘন্টা পর হোসে মার্তিতে নামলাম।

আসার আগে এয়ারটেলের রোমিং রিচার্জ করে এসেছিলাম, যেমন চীন যাবার আগেও করি। কিন্তু নেমে দেখা গেলো, কিউবাতে সেই রোমিং লাগু হয় না। চীনের ফোন নম্বরটাও একটিভ ছিলো। হঠাৎ করে দেখি চীনের নম্বরে রোমিং চলছে। নেমে পৌঁছ-সংবাদ দিতে ফোন করলাম, ব্যাস তাতেই শেষ টাকা। রিচার্জ করতে চেষ্টা করলাম, জানা গেলো ‘ডেঞ্জারাস টেরিটোরিতে’ আছি, এখানে রিচার্জ করা যাবে না। ট্রাম্পের কথায় ‘স্টেট স্পন্সরড টেরোরিজমের টেরিটোরি’। কাজেই ফোনের ব্যাপার নেই। ফোন নেই মানে ট্রান্সলেটর আপও নেই, অর্থাৎ কিনা আমার কথা বলার অবকাশও নেই।

লাগেজের জন্য ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়ে থাকার পর জানা গেল, টার্কিশ এরায়লাইন ইস্তাম্বুলেই যত্ন করে রেখে দিয়েছে আমার বাক্স-প্যাঁটরা। এয়ারপোর্টের লস্ট এন্ড ফাউন্ডে পৌঁছলাম, জনৈক সুঠাম চেহারার কৃষ্ণাঙ্গ যুবক, ব্যাগ্রাউন্ডে চে গুয়েভারার ছবি। তিনিই লাগেজপত্রের ‘ক্লেইম’ ফাইল করলেন, আমি লাগেজের বদলে ‘আজকা চে গুয়েভারা’র দেওয়া চিরকূট নিয়ে বেরিয়ে এলাম। 

যাঁর বাড়িতে গিয়ে ওঠার কথা তিনি এক প্রাক্তন সাংবাদিক। টেরেসা, তাঁরই পরিচিত ট্যাক্সিওয়ালার নিতে আসার কথা এয়ারপোর্টে, লুইস। বেরিয়েই দেখতে পেলাম তাঁকে, তিনি  স্বাভাবিকভাবেই অবাক, একটা হাতের ব্যাগ নিয়ে ১ মাসের জন্য থাকতে চলে এসেছি। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম জামাকাপড় কোথায় কিনতে পাওয়া যায়, তিনি তেমন কিছু বলতে পারলেন না, বললেন আমি যেখানে মাসখানেকের জন্য থাকতে উঠবো, সিমকার্ড তারই আশেপাশে কোথাও পাওয়া যাবে। এয়ারপোর্টের বাইরেটা সবুজ, দু পা হেঁটে পার্কিং, উঠে পড়লাম ট্যাক্সিতে। সুন্দর তালে তালে গান বেজে উঠলো। আমার এক লাতিন আমেরিকান বান্ধবী কিউবা যাচ্ছি শুনে বলেছিলো, ‘ভালো লাগবে, চিল এনভায়রংমেন্ট উইথ গুড মিউজিক!’ তারপর থেকে রাস্তায় ঘাটে হাতে সময় নিয়ে বেরোলেই এই দুটি বাক্য মনে পড়ে যাচ্ছে।

রাস্তায়ঘাটে যেন চির উৎসব, কিন্তু উৎসবের তাণ্ডব নেই, আছে আমেজ।

কিউবায় প্রথম দিন

‘কিউবা’ শব্দটার সাথে জড়িত সমস্ত প্রত্যাশার উদ্বেগ পেরিয়ে, প্রথম দিন থেকে অভিজ্ঞতার একটা খসড়া লিখতে বসলাম, কারণ অভিজ্ঞতার তোড় সামলানোর চটে অনেক কিছুই ভুলে যেতে পারি। ঠিক কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছি না, তবে যেহেতু হাবানা বিশ্ববদ্যালয়ের ডাকেই ‘ক্যারিবিয়ানের ক্রোকোডাইল’-এর পিঠে চড়তে পেরেছি, সেখান থেকেই শুরু করা যাক।

প্রথমেই বলি, এই অভিজ্ঞতার ধারক হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ক্রমের এক মাসখানেকের শিক্ষার্থী, ফলতঃ দৃষ্টিকোণ অবশ্যই পক্ষপাতদুষ্ট।

কথায় বলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে দেওয়ালে কিউবার ইতিহাসের ছাপ — ১৭২৮ খ্রীষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রায় ৩০০ বছর পেরিয়ে, কিউবার বর্তমান ইতিহাসের আধার হয়ে সানন্দে প্রাচীন দিদিমার মত অধিষ্ঠিত। সেই প্রাচীন দিদিমার মূর্ত প্রতীক, আক্ষরিক অর্থেই, আলমা মেটার, যার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায় ‘প্রতিপালক মা’ (nourishing mother)। মুর্তিটি বিশ্বিবিদ্যালয়ের অম্লান চেতনার প্রতীক। মুখের আদল এক ছোট্টো মেয়ের, সারল্য তাকে ঢেকে রেখেছে, কিন্তু তার সুঠাম শরীর যুবতীর, যা তাকে দেয় পূর্নবয়স্কার মনোবল।  

প্রতিপালক মায়ের কথায় পরে আসছি, আপাতত প্রথম থেকে বলি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন কোর্সে দাখিল তো নাহয় হয়েছি, এদিকে কোর্স শুরুর দিন দুপুরে এসে ঢুকলাম হাভানা, এসে উঠলাম আমার কিউবান ইউনিভার্সিটিতুতো মায়ের বাড়িতে (ঠিকই ধরেছেন, মা-দের এখানে বড়ই বাড়াবাড়ি – মায়ের কড়া হাতের জিনের লাগাম আমার অভিজ্ঞতাকে যেমন রমনীয় করেছে, তেমনই রাজনৈতিক)। যেহেতু কিছুই সঙ্গে নেই, আমার সাবান-শ্যাম্পু থেকে শুরু করে কফি পাঁউরুটি, মুদ্রা অদলবদল থেকে ইউনিভার্সিটি পৌঁছোনোর ব্যবস্থা, সবই প্রায় তিনি করে দিলেন। তিনি আবার জাঁদরেল সাংবাদিক ছিলেন, কিউবাতে বিভিন্ন রেডিও স্টেশনে বছর কুড়ি কাজ করেছেন, এখন পেনশনার।

সে যাইহোক, ইউনিভার্সিটিতে দুপুরে পৌঁছে ইউনিভার্সিটির তিনশ বছরের ইতিহাস এবং তার সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত ইউমিভার্সিটি নির্মাণের গতিধারা সম্পর্কে পরিচিতির সুযোগ ঘটলো। আমাদের ইউনিভার্সিটি পরিক্রমার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতা ও ধর্মের নামা ওঠানামা কিভাবে ইউনিভার্সিটির নির্মাণে ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে, সেসব ইতিবৃত্ত শুনলাম হাভানা ইউনিভার্সিটির হেরিটেজ নিয়ে গবেষণাকারী ছাত্রীর কাছ থেকে। সামনে থেকে দেখলে, আলমা মেটারের মূর্তির সোজা নাক-বরাবর বেড়েছে ইউনিভার্সিটির বিস্তার। আমার বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা শুরু এই আলমা মেটারের পাদদেশ থেকেই।

সিংহদুয়ার পেরতে যে পোর্টিকো সেখানে তিনটি প্যাঁচের ইনফিনিটি চিহ্ন তিনটি চক্র তৈরী করেছে, এক একটি চক্র ছাত্রজীবনের একটি আদর্শকে চিহ্নিত করে – ciencia, conciencia, paciencia – বিজ্ঞান, বিবেক, ধৈর্য। তিনটি ধাপ পেরিয়ে পৌঁছনো গেলো বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে। ফিদেলের বিশ্ববিদ্যালয়, জুলিয়ো এন্তোনিয়ো মেলার বিশ্ববিদ্যালয়।  এই চত্তরেই ক্লাসরুম পেরিয়ে সাধারন শ্রমিক-কৃষকের জন্য জুলিও এন্তনিয়ো মেল্লা পত্তন করেন হোসে মার্তি পপুলার ইউনিভার্সিটি (১৯২৩-১৯২৭)। শ্রমিকশ্রেনীর শিক্ষা-সংস্কারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই তিন-বছরব্যাপী জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়টি কিউবার শ্রমিক-ছাত্র-বুদ্ধিজীবী ঐক্যের ডাক দেয়। মেল্লা শুধু শ্রমিকশ্রেনীর শিক্ষার লক্ষ্যেই সক্রিয় ছিলেন তাই নয়, তিনি কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম প্রধাণ, এমনকি কিউবার ছাত্র সংগঠন – FEU-এর – প্রতিষ্ঠাও হয় তাঁরই উদ্যোগে। ১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ছাত্র সংগঠন যে কিউবার বিপ্লবের অন্যতম কান্ডারী ছিলো তাই নয়, ফিদেল কাস্ত্রোর ২৬-এ জুলাই-এর আন্দোলনেও সকৃয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচে মেল্লার নানা ধরণের ছোটো বড়ো মুর্তি চোখে পড়বে।

সিংহদুয়ারের অন্দরমহলের দিকের দেওয়ালে, লক্ষ্য করলে, দেখ যাবে একটি প্যাঁচার মোটিফ, জ্ঞানবৃদ্ধ এই প্যাঁচাটির চোখের মণি নীল। কিউবার ঐতিহ্য গবেষণার ছাত্রী আমাদের জানালেন এই নীল চোখও আসলে কিউবার ঔপনিবেশিকবাদের ইতিহাস বহন করে। আমি সামলাতে না পেরে বলে ফেললাম, ‘আমাদের উচিৎ চোখ দুটি লাল করে দেওয়া’ তাতে জবাব পেলাম – ‘ইতিহাস মনে রাখা দরকার’ সত্যিই তাই। ঔপনিবেশিকবাদের বিরূদ্ধে লড়াই-এর ইতিহাসের এর থেকে বড়ো মূর্ত প্রমাণ আর কিইবা হতে পারে, নীলচোখের প্যাঁচা এখন কিউবার সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের দ্বাররক্ষী।

সেভাবে দেখতে গেলে, তেমন বিশাল কিছু বড়ো নয় হাবানা বিশ্ববিদ্যালয় চত্তর, কিন্তু তার স্থাপত্যগুণে, এবং নান্দনিকতায় মনে হয় যেন বিশাল এক প্রাচীন চত্তর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের গোলচক্করটির চারদিকে চারটে রাস্তা, মাঝে বাগান, বসার জায়গা, এখানেই রাখা আমেরিকা-স্প্যানিশ যুদ্ধকালীন ব্যবহৃত একটি মিলিটারি ট্যাংক। ১৯৩৩ –এ জেরার্ডো মাচাডোর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভুমিকার স্মারক হিসেবে এই ট্যাঙ্কটি আজও চত্তরে রাখা।  

যে সমস্ত নাম হাবানা ইউনিভার্সিটি হল ঘরগুলি আলো করে রয়েছে তার আরেকটি হলো, ফেলিপে পোয়ে, কিউবান জীববিদ্যার এক যুগান্তকারী নাম, পোয়ে, ১৮৩৯ সালে কিউবার প্রথম প্রাকৃতিক ইতিহাসের মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৪২ সালে তিনি হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণীবিদ্যা এবং তুলনামূলক অ্যানাটমির সভাপতিত্ব করেন। তিনি বিজ্ঞান পরিষদের প্রধাণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-রেক্টর ছিলেন। তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন এবং একাডেমি অফ মেডিকেল, ফিজিক্যাল এবং ন্যাচেরাল সাইন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, তাছাড়াও হাভানায় নৃতাত্ত্বিক সমাজের সভাপতি ছিলেন। পোয়ের সাথে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের নাম জ্বলজ্বল করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উঁচু দেওয়ালে, ইতিমধ্যেই সাইন্স ফ্যাকাল্টিতে ঢুকে পড়েছি আমরা, পরিক্রমা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে মোট চারটি যাদুঘর রয়েছে। ফেলিপে পোয়ে প্রাকৃতিক ইতিহাস যাদুঘর (কিউবার প্রাচীনতম সরকারি যাদুঘর), মন্টানে নৃতাত্ত্বিক যাদুঘর (প্রাক-হিস্পানিক নিদর্শন প্রদর্শন করে), জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক মানমন্দির (১৯শ শতকের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি সহ), জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের হার্বেরিয়াম (কিউবার জীববৈচিত্র্য নথিভুক্ত করে)।

গোলচক্করের বাম দিকে রয়েছে আউলা ম্যাগনা, অর্থাৎ কিনা গ্রে হল, আর্মান্দো গার্সিয়া মেনোকালের চিত্রকর্মে শোভিত এই হলঘরটি কিউবার বৌদ্ধিক ইতিহাসের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

ঐতিহাসিক এই হলটি হাবানা বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিস্ট পার্টির অথবা ছাত্র সংগঠনের যাবতীয় প্রোগ্রামের হলঘর। ২০০৫-এর নভেম্বরে এই হলেই চিরবিপ্লবী ফিদেল কিউবার বিপ্লবের কথায় সাবধানবানী দিতে গিয়ে বলেন “এই বিপ্লব ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, [ …] আমরাই ধ্বংস করতে পারি, দোষ ও দায়িত্ব আমাদের উপরই বর্তায়।”

পরিক্রমা শেষ, কলেজের পালা আজকের মত সাঙ্গ। হাইতির এক সহপাঠীর সাথে আলাপ হলো, সে নিয়ে গেলো পরিচিত একটি কফির দোকানে। ফিদেল ভক্ত এই হাইতিয়ান ছেলেটি নিউট্রিশান নিয়ে গবেষণা করছে, সে আলাপ করিয়ে দিলো আরও এক হাতিয়ানের সঙ্গী! তিনি গত ৩০ বছর ধরে কিউবাতে সাংবাদিক, রেডিও হাবানাতে কাজ তার। হাবানা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এমনকি ৮ মাসের একটি কোর্স করতে হায়দ্রাবাদেও গিয়েছিলেন। ভারতের এনালগ ছবি দেখালেন, আর বললেন, ভারতে তার কাছে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ছিলো রাস্তায় ঘাটে যাবতীয় গৃহপালিত পশুপাখি, গাধা গরু, ছাগল ইত্যাদি। 

ঘুরে ঘুরে বাড়ি ফিরলাম, বার দুয়েক রাস্তা হারিয়ে একই চত্তরে গোল চক্কর কাটলাম। রাস্তায় বেশ কিছু রকমারি অঙ্গভঙ্গী করে দোকানপাট সারলাম। প্রথম দিনের ঘুরে বেড়ানোয় আস্তে আস্তে ইতি টানলাম।

কাল সকাল সকাল ক্লাস।

বিকালে রিনিউয়েবল এনার্জি রিসার্চ সেন্টার পরিক্রমা।

Spread the word

Leave a Reply